About

ABC Radio

Blogger news

খোলাবাজারে ডলারের দাম ৮০ টাকা

খোলাবাজারে ডলারের দাম ৮০ টাকা

আহসান হাবীব রাসেল
গতকাল খোলাবাজারে (কার্ব মার্কেট) প্রতি মার্কিন ডলার বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। তারপরও মিলছে না পর্যাপ্ত ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে ৭৬ থেকে ৭৭ টাকা দরে। অবশ্য গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রাবাজার তথ্যে দেখানো হয়েছে প্রতি ডলারের ক্রয়মূল্য ৭৪ টাকা ৪৭ পয়সা আর বিক্রিমূল্য ৭৪ টাকা ৪৯ পয়সা।
ডলারের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে আমদানি খাতে। বিশেষ করে রফতানি আয়ের শীর্ষ খাত তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তাদের কাঁচামালের প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। ডলারের চড়ামূল্যের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পণ্য উত্পাদনে।
এদিকে ডলারের বিপরীতে টাকার মান দুর্বল হওয়ার প্রবণতা আগের বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গতকাল ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৭৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আর ১০ মে ছিল ৭৩ দশমিক ১৯ টাকা। আগের বছরের ১০ মে বিনিময় হার ছিল ৬৯ দশমিক ২৮ টাকা। অপরদিকে ২০০৮ সালের ২ মার্চে এ হার ছিল ৬৮ দশমিক ৫৮। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০৮ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত দু’বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ১ শতাংশ। এরপর থেকে বর্তমান সময়ে এক বছরের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান দুর্বল হয়ে পড়েছে ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। চলতি বছরে টাকার মান দ্রুত কমে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে সামষ্টিক অর্থনীতিতে। বেড়ে যাচ্ছে মূল্যস্ফীতি।
টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে আমদানিকারকদের ওপর। টাকার মান কমে যাওয়ায় আগের তুলনায় বেশি টাকা দিয়ে তাদের কিনতে হচ্ছে ডলার। ফলে আমদানিতে খরচ হচ্ছে বেশি। আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে আমদানিকৃত পণ্যের দাম। ফলে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে মূল্যস্ফীতির হার। তাছাড়া মূলধনী দ্রব্য আমদানি করতে গিয়েও আমদানিকারকদের গুণতে হচ্ছে আগের তুলনায় বেশি টাকা। ফলে দেশি পণ্যের উত্পাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। যা দেশের মূল্যস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব কারণে দেশের অভ্যন্তরে পণ্য ক্রয় করতে আগের তুলনায় বেশি টাকা খরচ করতে হয়। অর্থাত্ দেশে পণ্যের বিপরীতেও টাকার মান হ্রাস পাচ্ছে। তবে বিনিময় হার বৃদ্ধির ফলে রফতানিকারক ও রেমিট্যান্স আয়ের মাধ্যমে যারা ডলার আয় করেন, তারা কিছুটা লাভবান হচ্ছেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ডলারের আয় কম হওয়ায় ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ডলার সঙ্কটে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম অব্যাহতভাবে বেড়ে যাচ্ছে। ব্যবধান বাড়ছে টাকা ও ডলার মূল্যের। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিনিময় হার বাড়ার পেছনে মূল কারণ হলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৮ এপ্রিলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৩১৬ মিলিয়ন ডলার। গত ১০ মে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৪০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ৫ জুলাই রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ হাজার ৮৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সূত্রে জানা যায়, সরকার ডলার সঙ্কট এবং তারল্য সঙ্কট মোকাবিলা করার জন্য ব্যাংকিং খাতে নগদ ব্যবস্থাপনা বিল ইস্যু করার চিন্তা করছে। এ বিলটি অনেকটাই ট্রেজারি বিলের মতো। এর মাধ্যমে ৭ দিনের জন্য তারল্য সহায়তা প্রদান করা হবে ব্যাংকগুলোকে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, একদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্যের দামে অস্থিরতা, বিদ্যুত্ উত্পাদনে অতিরিক্ত ভর্তুকি প্রদান, আমদানি খাতে উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভাণ্ডারে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকেই ধারণা করছেন, বিপুল পরিমাণে ডলার বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ফলে ডলারের রিজার্ভের ওপর চাপ তীব্র হয়ে উঠছে। অন্যদিকে রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি বাড়লেও রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারা এবং বৈদেশিক ঋণের অর্থ ছাড়ে স্বল্পতা থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে সঙ্কটময় করে তুলছে। এ অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মাধ্যমগুলোকে শক্তিশালী করা না গেলে দেশের ডলার সঙ্কটের তীব্রতায় বিনিময় হারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Alertpay

You can replace this text by going to "Layout" and then "Page Elements" section. Edit " About "

সরাসরি চ্যাট করার জন্য পেজ এর নিচে যান

a

ইংরেজী বিজয় ফনেটিক অভ্র ফনেটিক ইউনিজয়

Widget by: Bangla Hacks

b

পত্রিকায় প্রকাশিত চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি 
2 June 2010

এখানে ক্লিক করুন ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করুন।

WELL-COME TO BD ADDA(বিনামূল্যে ওয়েব সাইড তৈরির জন্য যোগাযোগ করুনঃ- ওয়েব ডেভোলাপার- মোঃ শফিকুর রহমান, মোবাইল নং-8801812465879)