২৩ জুলাই দেশব্যাপী বিক্ষোভ : সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে : আজহার
স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, সংবিধান থেকে ‘আলাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ উঠিয়ে দিয়ে ‘সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা’ পুনঃস্থাপন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের মাধ্যমে সরকার রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। একতরফাভাবে সংবিধান সংশোধনের প্রতিবাদ এবং জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবিতে জনগণ মিছিল, মিটিং, সমাবেশ ও হরতালের মতো কঠিন কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছে। এসব কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দেশবাসী সরকারের প্রতি কার্যত অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে। জনগণের মতামত উপেক্ষা করে সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, জেল-জুলুম ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতনের ফলে জনগণের মধ্যে ক্রমেই ক্ষোভ ধূমায়িত হচ্ছে। জনগণ এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তিনি বর্তমান আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য মহাঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এছাড়া এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলবে, জামায়াতে ইসলামী তাদের সঙ্গে থাকবে এবং তাদের স্বাগত জানাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল মগবাজারস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন দাবিতে জামায়াতের পক্ষ থেকে ২৩ জুলাই দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ
কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এটিএম আজহার আরও বলেন, সরকার আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহালের দাবিতে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। এই ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা না হলে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন জনগণ কিছুতেই মেনে নেবে না। এ ধরনের কোনো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না।
তিনি বলেন, এ সরকারের নিকট দেশ, জাতি, গণতন্ত্র, ইসলাম, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কিছুই নিরাপদ নয়। সরকার নিজেই সংবিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে। সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক কর্মসূচি মিছিল, সমাবেশ ও হরতাল পালনে বাধা দেয়া হয়েছে। শুধু বাধাই দেয়া হয়নি, রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীকে হরতাল বানচালের জন্য দলীয় বাহিনীর মতো ব্যবহার করা হয়েছে। হরতাল কর্মসূচি বানচালের জন্য রাবার বুলেট, টিয়ারশেল, লাঠিপেটা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে কারাদণ্ড দিয়ে গণতন্ত্রের প্রতি বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শন করেছে। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপকে লাঠিপেটা করে শরীর থেকে জামা খুলে নিয়ে সরকার সংসদীয় গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করেছে। আলেমদেরকে পুলিশ ও লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে হামলা এবং গ্রেফতার করে নাজেহাল করা হয়েছে। সরকার কার্যত ইসলামের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে। তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত আলেমদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, সরকার দেশে জুলুমতন্ত্র কায়েম করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ব্যাপারে সরকার বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে। অথচ তারা নিজেরাই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করে যাচ্ছে। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানসহ ১৮ জন নেতাকর্মীকে গত প্রায় ১০ মাস যাবত্ অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। তারা আদালত থেকে সব মামলায় জামিন পেয়েছেন। অথচ কারাগার থেকে বের হওয়ার পূর্বক্ষণে তাদের বিরুদ্ধে পর পর তিনবার নতুন নতুন মামলা দিয়ে আবারও কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এটা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন। তিনি অবিলম্বে সরকারের এই হয়রানি বন্ধ করে অধ্যাপক মুজিবসহ আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
তিনি বলেন, তথাকথিত যুদ্ধাপরাধের মিথ্যা অভিযোগে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ ৫ নেতার বিচারের নামে প্রহসন চলছে। যুদ্ধাপরাধ একটি মীমাংসিত ইস্যু। ১৯৭৪ সালে ত্রিদেশীয় চুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা করে দেয়ার ফলে সংশ্লিষ্ট আইনটির কার্যকারিতা শেষ হয়ে যায়, যুদ্ধাপরাধী ইস্যুটিরও পরিসমাপ্তি ঘটে। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ৩৭ বছর আগের মীমাংসিত ইস্যুটি জামায়াত নেতাদেরকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। অথচ জামায়াত নেতারা কোনো অবস্থাতেই যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত নন। বিচারের নামে প্রহসন করে জামায়াত নেতাদেরকে শাস্তি দেয়ার সরকারি পদপেক্ষ জনগণ মানে না। প্রহসনের এ বিচার জনগণ প্রতিহত করবে। তিনি অবিলম্বে নিরপরাধ জামায়াত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। এছাড়া সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, জনদুর্ভোগ লাঘব, মাওলানা নিজামীসহ ৫ শীর্ষ জামায়াত নেতা ও সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে ২৩ জুলাই দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা রফিউদ্দিন আহমদ ও মাওলানা এটিএম মাসুম, ঢাকা মহানগরী আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, মো. আবদুর রব ও ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম বুলবুল ও মাওলানা আবদুল হালিম, মহানগরী নেতা সেলিম উদ্দিন, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।
২৩ জুলাই দেশব্যাপী বিক্ষোভ : সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে : আজহার
স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, সংবিধান থেকে ‘আলাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ উঠিয়ে দিয়ে ‘সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা’ পুনঃস্থাপন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের মাধ্যমে সরকার রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। একতরফাভাবে সংবিধান সংশোধনের প্রতিবাদ এবং জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবিতে জনগণ মিছিল, মিটিং, সমাবেশ ও হরতালের মতো কঠিন কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছে। এসব কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দেশবাসী সরকারের প্রতি কার্যত অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে। জনগণের মতামত উপেক্ষা করে সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, জেল-জুলুম ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতনের ফলে জনগণের মধ্যে ক্রমেই ক্ষোভ ধূমায়িত হচ্ছে। জনগণ এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তিনি বর্তমান আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য মহাঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এছাড়া এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলবে, জামায়াতে ইসলামী তাদের সঙ্গে থাকবে এবং তাদের স্বাগত জানাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল মগবাজারস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন দাবিতে জামায়াতের পক্ষ থেকে ২৩ জুলাই দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ
কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এটিএম আজহার আরও বলেন, সরকার আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহালের দাবিতে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। এই ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা না হলে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন জনগণ কিছুতেই মেনে নেবে না। এ ধরনের কোনো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না।
তিনি বলেন, এ সরকারের নিকট দেশ, জাতি, গণতন্ত্র, ইসলাম, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কিছুই নিরাপদ নয়। সরকার নিজেই সংবিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে। সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক কর্মসূচি মিছিল, সমাবেশ ও হরতাল পালনে বাধা দেয়া হয়েছে। শুধু বাধাই দেয়া হয়নি, রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীকে হরতাল বানচালের জন্য দলীয় বাহিনীর মতো ব্যবহার করা হয়েছে। হরতাল কর্মসূচি বানচালের জন্য রাবার বুলেট, টিয়ারশেল, লাঠিপেটা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে কারাদণ্ড দিয়ে গণতন্ত্রের প্রতি বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শন করেছে। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপকে লাঠিপেটা করে শরীর থেকে জামা খুলে নিয়ে সরকার সংসদীয় গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করেছে। আলেমদেরকে পুলিশ ও লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে হামলা এবং গ্রেফতার করে নাজেহাল করা হয়েছে। সরকার কার্যত ইসলামের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে। তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত আলেমদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, সরকার দেশে জুলুমতন্ত্র কায়েম করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ব্যাপারে সরকার বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে। অথচ তারা নিজেরাই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করে যাচ্ছে। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানসহ ১৮ জন নেতাকর্মীকে গত প্রায় ১০ মাস যাবত্ অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। তারা আদালত থেকে সব মামলায় জামিন পেয়েছেন। অথচ কারাগার থেকে বের হওয়ার পূর্বক্ষণে তাদের বিরুদ্ধে পর পর তিনবার নতুন নতুন মামলা দিয়ে আবারও কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এটা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন। তিনি অবিলম্বে সরকারের এই হয়রানি বন্ধ করে অধ্যাপক মুজিবসহ আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
তিনি বলেন, তথাকথিত যুদ্ধাপরাধের মিথ্যা অভিযোগে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ ৫ নেতার বিচারের নামে প্রহসন চলছে। যুদ্ধাপরাধ একটি মীমাংসিত ইস্যু। ১৯৭৪ সালে ত্রিদেশীয় চুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা করে দেয়ার ফলে সংশ্লিষ্ট আইনটির কার্যকারিতা শেষ হয়ে যায়, যুদ্ধাপরাধী ইস্যুটিরও পরিসমাপ্তি ঘটে। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ৩৭ বছর আগের মীমাংসিত ইস্যুটি জামায়াত নেতাদেরকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। অথচ জামায়াত নেতারা কোনো অবস্থাতেই যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত নন। বিচারের নামে প্রহসন করে জামায়াত নেতাদেরকে শাস্তি দেয়ার সরকারি পদপেক্ষ জনগণ মানে না। প্রহসনের এ বিচার জনগণ প্রতিহত করবে। তিনি অবিলম্বে নিরপরাধ জামায়াত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। এছাড়া সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, জনদুর্ভোগ লাঘব, মাওলানা নিজামীসহ ৫ শীর্ষ জামায়াত নেতা ও সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে ২৩ জুলাই দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা রফিউদ্দিন আহমদ ও মাওলানা এটিএম মাসুম, ঢাকা মহানগরী আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, মো. আবদুর রব ও ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম বুলবুল ও মাওলানা আবদুল হালিম, মহানগরী নেতা সেলিম উদ্দিন, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।
গতকাল মগবাজারস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন দাবিতে জামায়াতের পক্ষ থেকে ২৩ জুলাই দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ
কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এটিএম আজহার আরও বলেন, সরকার আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহালের দাবিতে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। এই ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা না হলে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন জনগণ কিছুতেই মেনে নেবে না। এ ধরনের কোনো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না।
তিনি বলেন, এ সরকারের নিকট দেশ, জাতি, গণতন্ত্র, ইসলাম, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কিছুই নিরাপদ নয়। সরকার নিজেই সংবিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে। সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক কর্মসূচি মিছিল, সমাবেশ ও হরতাল পালনে বাধা দেয়া হয়েছে। শুধু বাধাই দেয়া হয়নি, রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীকে হরতাল বানচালের জন্য দলীয় বাহিনীর মতো ব্যবহার করা হয়েছে। হরতাল কর্মসূচি বানচালের জন্য রাবার বুলেট, টিয়ারশেল, লাঠিপেটা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে কারাদণ্ড দিয়ে গণতন্ত্রের প্রতি বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শন করেছে। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপকে লাঠিপেটা করে শরীর থেকে জামা খুলে নিয়ে সরকার সংসদীয় গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করেছে। আলেমদেরকে পুলিশ ও লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে হামলা এবং গ্রেফতার করে নাজেহাল করা হয়েছে। সরকার কার্যত ইসলামের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে। তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত আলেমদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, সরকার দেশে জুলুমতন্ত্র কায়েম করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ব্যাপারে সরকার বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে। অথচ তারা নিজেরাই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করে যাচ্ছে। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানসহ ১৮ জন নেতাকর্মীকে গত প্রায় ১০ মাস যাবত্ অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। তারা আদালত থেকে সব মামলায় জামিন পেয়েছেন। অথচ কারাগার থেকে বের হওয়ার পূর্বক্ষণে তাদের বিরুদ্ধে পর পর তিনবার নতুন নতুন মামলা দিয়ে আবারও কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এটা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন। তিনি অবিলম্বে সরকারের এই হয়রানি বন্ধ করে অধ্যাপক মুজিবসহ আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
তিনি বলেন, তথাকথিত যুদ্ধাপরাধের মিথ্যা অভিযোগে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ ৫ নেতার বিচারের নামে প্রহসন চলছে। যুদ্ধাপরাধ একটি মীমাংসিত ইস্যু। ১৯৭৪ সালে ত্রিদেশীয় চুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা করে দেয়ার ফলে সংশ্লিষ্ট আইনটির কার্যকারিতা শেষ হয়ে যায়, যুদ্ধাপরাধী ইস্যুটিরও পরিসমাপ্তি ঘটে। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ৩৭ বছর আগের মীমাংসিত ইস্যুটি জামায়াত নেতাদেরকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। অথচ জামায়াত নেতারা কোনো অবস্থাতেই যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত নন। বিচারের নামে প্রহসন করে জামায়াত নেতাদেরকে শাস্তি দেয়ার সরকারি পদপেক্ষ জনগণ মানে না। প্রহসনের এ বিচার জনগণ প্রতিহত করবে। তিনি অবিলম্বে নিরপরাধ জামায়াত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। এছাড়া সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, জনদুর্ভোগ লাঘব, মাওলানা নিজামীসহ ৫ শীর্ষ জামায়াত নেতা ও সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে ২৩ জুলাই দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা রফিউদ্দিন আহমদ ও মাওলানা এটিএম মাসুম, ঢাকা মহানগরী আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, মো. আবদুর রব ও ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম বুলবুল ও মাওলানা আবদুল হালিম, মহানগরী নেতা সেলিম উদ্দিন, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।