কোন শয়তানের পরামর্শে হাসিনা আল্লাহর উপর আস্থা তুলে দিলেন : কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে আ’লীগ নেতার বৈঠক : বিএনপির পদে পদে হাঁটছে আ’লীগ
স্টাফ রিপোর্টার
সংবিধান আবারও সংশোধনের ইঙ্গিত দিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আদালতের রায়ে সংবিধান সংশোধন করা হলেও জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রয়োজনে গণমানুষের সঙ্গে আলাপ করে সংবিধান আবারও সংশোধন করা হবে।
গতকাল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। এ সময় কাদের সিদ্দিকী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বিরোধিতা করে বলেন, এ মুহূর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল দেশের মানুষ পছন্দ করেনি। কাদের সিদ্দিকীর মোহাম্মদপুরের বাসায় দু’দলের মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টার অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। এর আগের দিন রাত সাড়ে ৯টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধিদল কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সাক্ষাতের ১৮ ঘণ্টা পর আওয়ামী লীগ দৌড়ে গেল কাদের সিদ্দিকীর কাছে। শুধু তাই নয়, বিএনপির প্রতিনিধিদল এলডিপির কর্নেল অলির সঙ্গে দেখা করার পরপর আওয়ামী লীগ তার সঙ্গে বৈঠক করে। অর্থাত্ রাজনীতিতে বিএনপির পেছনে পেছনে হাঁটছে আওয়ামী লীগ। গতকাল কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার আলোচনা হয়। এসময় কাদের সিদ্দিকীকে পাঠানো দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে খুব শিগগিরই তার দল শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকের পর উভয় নেতাই উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। প্রসঙ্গত, এর আগে কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে বুধবার রাতে বিএনপি প্রতিনিধিদল বৈঠক করে।
বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশ ভালোভাবে চলছে না। নানারকম সঙ্কট অতিক্রম করছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের ক্রান্তিকাল চলছে।
সংবিধান সংশোধনীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়েছে। এতে সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। নীতিগতভাবে আমরা মনে করি এ মুহূর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল দেশের মানুষ পছন্দ করেনি। আমাদের দুর্ভাগ্য কোনো রাজনৈতিক দলের ওপর আস্থা অর্জন করতে পারিনি। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না। দলের অধীনে নির্বাচন মেনে নিতে পারি না। শুধু আওয়ামী লীগকে দোষ দেব না। এটা রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা।
সংবিধান সংশোধন পুনর্বিবেচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করব পঞ্চদশ সংশোধনীর ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ও ‘আল্লাহর উপর আস্থা এবং বিশ্বাস’ এ দুটি বিষয় যেন সরকার পুনর্বিবেচনা করে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার বোধগম্য হচ্ছে না যে নেত্রী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, কোন শয়তানের পরামর্শে তিনি সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়েছেন। এটা সমীচীন হয়নি।’
বিএনপি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়া তার দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে আমার বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন। তাদেরকে স্পষ্ট করে কিছু বলিনি। তবে তার দলের আমন্ত্রণ কবুল করেছি। শনিবার তার সঙ্গে দেখা করতে যাব।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের দল আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল আমার বাড়িতে এসেছে, এজন্য আমি গর্বিত। শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে আমাকে খুব ভালোবাসেন। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তার সঙ্গেও দেখা করতে যাব।
দল গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার দল যখন প্রতিষ্ঠা করি, তখন ১০৪ নেতাকর্মী রক্তাক্ত হয়েছেন। দুস্থ লোকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বর্তমান সরকারের সময়ও নিগৃহীত হয়েছি। রাজাকার বলে গালি শুনতে হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে খুব শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। এ বৈঠক জোটের পরিধি বাড়ানোর অভিপ্রায়ে নয় বলে কাদের সিদ্দিকী মন্তব্য করেন।
বিএনপি-আওয়ামী লীগ কার সঙ্গে জোটে যাবেন—এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, বিয়ের আগে অনেক পাত্রই দেখা হয়। সবার সঙ্গে বিয়ে হয় না।
প্রসঙ্গত, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওই দল থেকে বেরিয়ে কাদের সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেন। সে সময় তিনি ও তার দল তত্কালীন সরকারের রোষানলে পড়ে। তখন তার দলের অনেক নেতাকর্মীকে হয়রানির শিকার হতে হয়।
পরে আ’লীগ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদানকারী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে এ বৈঠক নয়—বাংলাদেশ, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের গৌরব রক্ষা, দারিদ্র্য মোকাবিলা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের জন্য একটি অভিন্ন রাজনৈতিক ক্ষেত্র প্রস্তুতের লক্ষ্যে আমরা এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এর জন্য প্রয়োজনে বিএনপির সঙ্গেও আলোচনা হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাজনীতিতে চিরস্থায়ী বন্ধু এবং শত্রু নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা একদলীয় নির্বাচন করতে চাই না। মহাজোট অটুট আছে। অটুট থাকবে। দলের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের জানান, অভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে মহাজোটের বাইরে অন্য দলের সঙ্গেও আলোচনা অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে হবে। পরবর্তী প্রজন্মের স্বার্থে আমরা বৃহত্তর ঐক্যের চেষ্টা করছি। দু’দিন আগে বিএনপি, এরপরই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এ প্রক্রিয়া অনেক দিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে। কখনও ফোনে, কখনও লাইব্রেরিতে আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
সংবিধান সংশোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংবিধান হালনাগাদ করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ নিয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে। জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রয়োজনে গণমানুষের সঙ্গে আলাপ করে সংবিধান আবারও সংশোধন করা হবে।
বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সরকারদলীয় এই নেতা বলেন, আলোচনার দরজা খোলা আছে, বন্ধ হয়নি। আসুন সমঝোতা করি। সমঝোতার জন্য সংলাপ জরুরি। সংসদের বাইরে-ভেতরে যে কোনো স্থানে আমরা আলোচনা করতে রাজি আছি।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী অংশ নেন।
এদিকে কাদের সিদ্দিকীর বাসা থেকে বেরিয়ে ওবায়দুল কাদের মহাজোটের শরিক তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারির সঙ্গে তার বাসায় দেখা করতে যান।
গতকাল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। এ সময় কাদের সিদ্দিকী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বিরোধিতা করে বলেন, এ মুহূর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল দেশের মানুষ পছন্দ করেনি। কাদের সিদ্দিকীর মোহাম্মদপুরের বাসায় দু’দলের মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টার অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। এর আগের দিন রাত সাড়ে ৯টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধিদল কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সাক্ষাতের ১৮ ঘণ্টা পর আওয়ামী লীগ দৌড়ে গেল কাদের সিদ্দিকীর কাছে। শুধু তাই নয়, বিএনপির প্রতিনিধিদল এলডিপির কর্নেল অলির সঙ্গে দেখা করার পরপর আওয়ামী লীগ তার সঙ্গে বৈঠক করে। অর্থাত্ রাজনীতিতে বিএনপির পেছনে পেছনে হাঁটছে আওয়ামী লীগ। গতকাল কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার আলোচনা হয়। এসময় কাদের সিদ্দিকীকে পাঠানো দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে খুব শিগগিরই তার দল শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকের পর উভয় নেতাই উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। প্রসঙ্গত, এর আগে কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে বুধবার রাতে বিএনপি প্রতিনিধিদল বৈঠক করে।
বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশ ভালোভাবে চলছে না। নানারকম সঙ্কট অতিক্রম করছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের ক্রান্তিকাল চলছে।
সংবিধান সংশোধনীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়েছে। এতে সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। নীতিগতভাবে আমরা মনে করি এ মুহূর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল দেশের মানুষ পছন্দ করেনি। আমাদের দুর্ভাগ্য কোনো রাজনৈতিক দলের ওপর আস্থা অর্জন করতে পারিনি। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না। দলের অধীনে নির্বাচন মেনে নিতে পারি না। শুধু আওয়ামী লীগকে দোষ দেব না। এটা রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা।
সংবিধান সংশোধন পুনর্বিবেচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করব পঞ্চদশ সংশোধনীর ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ও ‘আল্লাহর উপর আস্থা এবং বিশ্বাস’ এ দুটি বিষয় যেন সরকার পুনর্বিবেচনা করে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার বোধগম্য হচ্ছে না যে নেত্রী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, কোন শয়তানের পরামর্শে তিনি সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়েছেন। এটা সমীচীন হয়নি।’
বিএনপি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়া তার দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে আমার বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন। তাদেরকে স্পষ্ট করে কিছু বলিনি। তবে তার দলের আমন্ত্রণ কবুল করেছি। শনিবার তার সঙ্গে দেখা করতে যাব।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের দল আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল আমার বাড়িতে এসেছে, এজন্য আমি গর্বিত। শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে আমাকে খুব ভালোবাসেন। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তার সঙ্গেও দেখা করতে যাব।
দল গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার দল যখন প্রতিষ্ঠা করি, তখন ১০৪ নেতাকর্মী রক্তাক্ত হয়েছেন। দুস্থ লোকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বর্তমান সরকারের সময়ও নিগৃহীত হয়েছি। রাজাকার বলে গালি শুনতে হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে খুব শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। এ বৈঠক জোটের পরিধি বাড়ানোর অভিপ্রায়ে নয় বলে কাদের সিদ্দিকী মন্তব্য করেন।
বিএনপি-আওয়ামী লীগ কার সঙ্গে জোটে যাবেন—এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, বিয়ের আগে অনেক পাত্রই দেখা হয়। সবার সঙ্গে বিয়ে হয় না।
প্রসঙ্গত, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওই দল থেকে বেরিয়ে কাদের সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেন। সে সময় তিনি ও তার দল তত্কালীন সরকারের রোষানলে পড়ে। তখন তার দলের অনেক নেতাকর্মীকে হয়রানির শিকার হতে হয়।
পরে আ’লীগ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদানকারী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে এ বৈঠক নয়—বাংলাদেশ, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের গৌরব রক্ষা, দারিদ্র্য মোকাবিলা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের জন্য একটি অভিন্ন রাজনৈতিক ক্ষেত্র প্রস্তুতের লক্ষ্যে আমরা এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এর জন্য প্রয়োজনে বিএনপির সঙ্গেও আলোচনা হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাজনীতিতে চিরস্থায়ী বন্ধু এবং শত্রু নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা একদলীয় নির্বাচন করতে চাই না। মহাজোট অটুট আছে। অটুট থাকবে। দলের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের জানান, অভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে মহাজোটের বাইরে অন্য দলের সঙ্গেও আলোচনা অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে হবে। পরবর্তী প্রজন্মের স্বার্থে আমরা বৃহত্তর ঐক্যের চেষ্টা করছি। দু’দিন আগে বিএনপি, এরপরই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এ প্রক্রিয়া অনেক দিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে। কখনও ফোনে, কখনও লাইব্রেরিতে আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
সংবিধান সংশোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংবিধান হালনাগাদ করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ নিয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে। জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রয়োজনে গণমানুষের সঙ্গে আলাপ করে সংবিধান আবারও সংশোধন করা হবে।
বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সরকারদলীয় এই নেতা বলেন, আলোচনার দরজা খোলা আছে, বন্ধ হয়নি। আসুন সমঝোতা করি। সমঝোতার জন্য সংলাপ জরুরি। সংসদের বাইরে-ভেতরে যে কোনো স্থানে আমরা আলোচনা করতে রাজি আছি।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী অংশ নেন।
এদিকে কাদের সিদ্দিকীর বাসা থেকে বেরিয়ে ওবায়দুল কাদের মহাজোটের শরিক তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারির সঙ্গে তার বাসায় দেখা করতে যান।
- প্রথ