বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ : রাসুল (সা.) ও বোরকা নিয়ে কটূক্তিকারীদের শাস্তি দাবি
স্টাফ রিপোর্টার
গত ১৪ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ার জিটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শঙ্কর বিশ্বাস মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দাড়ি নিয়ে কটাক্ষ করে এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু ১৫ জুলাই নরসিংদী টাউন হলে আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ‘বোরকা পরা থেকে বাঁচতে হলে ছেলেমেয়েদের নাচ-গান শিক্ষা দিন’ মর্মে যে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন সংগঠন। এসব ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। পৃথক সমাবেশ ও বিবৃতিতে নেতারা অবিলম্বে শিক্ষক শঙ্কর এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর শাস্তি দাবি করেন।
জামায়াতে ইসলামী : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, শঙ্কর বিশ্বাস মহানবীর (সা.) দাড়ি নিয়ে কটাক্ষ এবং ডাক ও টেলিযাগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু ‘বোরকা পরা থেকে বাঁচতে হলে ছেলেমেয়েদের নাচ-গান শিক্ষা দিন’ মর্মে প্রদত্ত বক্তব্য চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ। এ ধরনের ইসলামবিদ্বেষী ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তারা দু’জনই ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। তারা এ ধরনের অন্যায় বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের ঈমান-আকস্ফিদার ওপর চরম আঘাত হেনেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই ইসলামবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় এবং এক শ্রেণীর ইসলামবিদ্বেষী লোক ইসলামের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাখার সাহস পায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের মনে রাখা উচিত, ইসলামবিদ্বেষী এসব লোককে প্রশ্রয় দিলে জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করবে না। তিনি গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করতে দেশবাসী এবং ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
খেলাফত আন্দোলন : বাদ আসর গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজার মসজিদের কাছে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশ। দলের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইদুর রহমান, মহানগর সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সরকারের আশকারা ও সহায়তায় ইসলাম ও নবী সম্পর্কে একের পর এক কটূক্তি করা হচ্ছে। তারা অবিলম্বে শঙ্করকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এছাড়া রাসুল (সা.) ও বোরকা সম্পর্কে কটূক্তিকারীদের শাস্তি দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সভাপতি শায়খ আবদুল মোমিন ও মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুর রকিব অ্যাডভোকেট ও মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, খাদেমুল ইসলাম জামায়াতের আমির মুফতি রুহুল আমিন ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা কামরুজ্জামান প্রমুখ।
জামায়াতে ইসলামী : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, শঙ্কর বিশ্বাস মহানবীর (সা.) দাড়ি নিয়ে কটাক্ষ এবং ডাক ও টেলিযাগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু ‘বোরকা পরা থেকে বাঁচতে হলে ছেলেমেয়েদের নাচ-গান শিক্ষা দিন’ মর্মে প্রদত্ত বক্তব্য চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ। এ ধরনের ইসলামবিদ্বেষী ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তারা দু’জনই ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। তারা এ ধরনের অন্যায় বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের ঈমান-আকস্ফিদার ওপর চরম আঘাত হেনেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই ইসলামবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় এবং এক শ্রেণীর ইসলামবিদ্বেষী লোক ইসলামের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাখার সাহস পায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের মনে রাখা উচিত, ইসলামবিদ্বেষী এসব লোককে প্রশ্রয় দিলে জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করবে না। তিনি গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করতে দেশবাসী এবং ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
খেলাফত আন্দোলন : বাদ আসর গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজার মসজিদের কাছে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশ। দলের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইদুর রহমান, মহানগর সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সরকারের আশকারা ও সহায়তায় ইসলাম ও নবী সম্পর্কে একের পর এক কটূক্তি করা হচ্ছে। তারা অবিলম্বে শঙ্করকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এছাড়া রাসুল (সা.) ও বোরকা সম্পর্কে কটূক্তিকারীদের শাস্তি দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সভাপতি শায়খ আবদুল মোমিন ও মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুর রকিব অ্যাডভোকেট ও মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, খাদেমুল ইসলাম জামায়াতের আমির মুফতি রুহুল আমিন ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা কামরুজ্জামান প্রমুখ।