আর কার কাছে বিচার চাইব? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি এটা কি করলেন? আপনার বান্ধবী হলেও হোসনে আরারা মানুষ নয়!
"বিষয়টা নিয়ে বাড়াবাড়ি করোনা, ওটা মিউচুয়াল সেক্স।" হোসনে আরা
ভিকারুননিসার পরিচালনা পর্ষদ বাতিল, হোসনে আরাই অধ্যক্ষ -
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিকে রক্ষায় স্বার্থে হলেও নিজেদেরকে অতীতের মত ধর্ষণবান্ধব প্রমাণ করবেন না- আর কার কাছে বিচার চাইব? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি এটা কি করলেন? আপনার বান্ধবী হলেও হোসনে আরারা মানুষ নয়! ক্ষমতার দাপটে বান্ধবীকে ফিরিয়ে আনলেও আমার বিশ্বাস জনতার আন্দোলনের মুখে হোসনে আরাকে অধ্যক্ষ রেখে ভিকারুননিসার পরিবেশ স্বাভাবিক করতে পারবেন না।
যে হোসনে আরার প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় পরিমলের জন্ম সেই হোসনে আরাকে সরানোর সিদ্ধান্ত যথার্থ ছিল। কিন্তু আপনার বান্ধবী হওয়ার কারনেই কি ভিকারুননিসার পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে হোসনে আরাকে অধ্যক্ষ হিসেবে আবার ফিরিয়ে আনলেন? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে এর মাশুল হবে অনেক ভয়াবহ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানিকের মত পরিমলকেও পুরস্কৃত করবেন না-
জানিনা এই নরপশুটি আমার কত অবুঝ মোনালিসা বোনকে ফাঁদে ফেলে সর্বনাশ করেছে- ধর্ষণের সেন্চুরি উৎসব পালনকারী ছাত্রলীগ জাবি শাখার তৎকালীন সেক্রেটারি জসিম উদ্দীন মানিককে যদি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পুরস্কৃত করার পরিবর্তে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতেন, তাহলে সম্ভবতআজকের পরিমলরা সাহস পেত না। সেদিন জাবির ছাত্র হিসেবে তীব্র আন্দোলনে আমিও শরীক হয়ে মানিককে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে পারলে সরকার প্রথমে তাকে ইটালী পাঠিয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে পুরস্কার হিসেবে তাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় কর্মকর্তা নিয়োগ করেন।
আপনি কি ভুলে গেলেন?
আর ধর্ষনের সেন্চুরিয়ান জসিম উদ্দীন মানিককের সে সময়কার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও তত্কালীন ভিসি কুখ্যাত (জাবি থেকে খুব অপমানজনকভাবে বিতারিত ভিসি ) আলাউদ্দিন এখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর প্রভাবশালী উপদেষ্টা। সেলুকাস!!
ভিকারুননিসার পরিচালনা পর্ষদ বাতিল, হোসনে আরাই অধ্যক্ষ। বিস্তারিত- এখানে ভিকারুননিসার পরিচালনা পর্ষদ বাতিল, হোসনে আরাই অধ্যক্ষ
পুলিশের হিসেব অনুযায়ী গত বছর সারাদেশে ধর্ষণের শিকার হয় মোট ৩১০০ জন।
উল্লেখ্য, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্ষমতাসীন দলের সমর্থনপুষ্ট ছাত্রলীগ জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
২১ এপ্রিল পটুয়াখালীতে বাহাদুর নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর নেতৃতে ৬/৭ জন যুবক একজন গৃহবধুকে ধর্ষণ করে। ২২ এপ্রিল ভোলার লালমোহনের কচুয়াখালী গ্রামে বিএনপি কর্মী শফি মাঝির স্ত্রী ও মেয়েকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে ।
ভোলায় উপনির্বাচনের পরদিন যুবলীগ নেতা সিরাজ মিয়া বিএনপি সমর্থিত নান্নু মেম্বারের ভাতিঝা রুবেলের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।
১৩ মে সিলেট পলিটেকনিকে ছাত্রলীগ নেতা সৈকত শ্রেণীকক্ষে এক ছাত্রীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সোনাইকান্দি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন রেজার পুত্র পান্না (২২) তার একজন সহযোগীকে নিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা এক মহিলাকে (৪০) ধর্ষণ করে।
৫ জুলাই টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার ভিডিও চিত্র ধারণ করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। ধর্ষিতা কিশোরী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
৫ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সখীপুর বাজারে আসে খাতা কিনে বাড়ি ফেরার সময় হাবিবুল্লাহ ওরফে হাবিব, ছাত্রলীগ নেতা আরিফ, সখীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত সিকদারের ভাগ্নে বাবুল, নাতি আকাশ মেয়েটিকে মোটরসাইকেলে করে হাজিপাড়ায় ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে হাবিব মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার সহযোগীরা ধর্ষণের চিত্র ভিডিও করে। পরে আরেকজন ধর্ষণ করতে গেলে মেয়েটি সুযোগ বুঝে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। মেয়েটিকে ধাওয়া করে ছাত্রলীগ নেতারা। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরিস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষণকারী ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
ফিল্মিস্টাইলে এ ধরনের ধর্ষণের ঘটনা সামাজিক অবয়ের চিত্র প্রকাশ করে।
৩ সেপ্টেম্বর বগুড়ার শাজাহানপুরে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে বাইরে গেলে বখাটে আলামিন তাকে ধর্ষণ করে। পরে মামলা করতে গেলে যুবলীগ নেতা আবু সাঈদ বাধা দেয়।
৬ নভেম্বর রংপুরের পীরগঞ্জে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চিত্র ভিডিও করে তা প্রচার করে স্থানীয় ক্ষমতাসীন বখাটেরা।
১৭ নভেম্বর বাগেরহাটে ছবি আক্তার নামে এক গৃহবধুকে যুব ও শ্রমিক লীগের শুভ, মিজান, মল্লিক ও খোকা গণধর্ষণের পরে বিষ প্রয়োগে নির্মমভাবে হত্যা করে।
১ ডিসেম্বর নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় ডিআইটি মাঠের সামনে থেকে গার্মেন্টস কর্মীকে ধরে নিয়ে রনি, সুমন, ডাকাত আবুল ও মিঠু ধর্ষণ করে। কিন্তু যুবলীগ কর্মীদের হুমকিতে পুলিশের সামনেই ধর্ষিতা গার্মেন্টস কর্মীকে পতিতা সাজিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়।
৩ জানুয়ারি অপহৃত বোন মৌসুমী আক্তারের সন্ধান চাওয়ায় এক সন্তানের জননী হিরাকে যুবলীগ কর্মী মোহাম্মদ শাহ ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪ নম্বর আউটফল স্টাফ কোয়ার্টার যুবলীগের কাবে সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে ধর্ষণ করে।
২০ মে রাতে বরিশাল নগরীর গোরস্থান রোডের ধোপা বাড়ির মোড় এলাকায় ভুইয়া ভিলার এক গৃহবধুকে ধর্ষণ করে নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল ও নলছিটি ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্র লীগের সাবেক আহবায়ক মো. খায়রুল।
আজকে দেশে একই প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায়। দেখি তিনি অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এই নরপিশাচের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন কিনা?