ধর্মীয় বই সঙ্গে থাকায় ঝালকাঠিতে শিশুসহ ৯ জন গ্রেফতার : ৫৪ ধারায় জেলে প্রেরণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুরে জঙ্গি সন্দেহে আটক শিশু-কিশোরদের নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঝালকাঠির মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি ধর্মীয় বই নিয়ে কেউ চলাফেরা করতে পারবে না? ইসলাম ধর্মের বিষয়ে লেখা বই কি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ? সঙ্গে ধর্মীয় বই থাকায় ৯ জনকে ঝালকাঠি পুলিশ গত মঙ্গলবার আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় আদালতে চালান দেয়া হয়। আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় রাজাপুর বাইপাস মোড় এলাকার হাজী রফিকুল ইসলামের একটি ভাড়া বাসা থেকে থানা পুলিশ শিশু-কিশোরসহ ৯ জনকে জঙ্গি সন্দেহে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি ধর্মীয় বই, ৪টি ইলেকট্রিক টেস্টার, বৈদ্যুতিক চাতাল ও ৭টি মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার তাদের আদালতে চালান দেয়া হয়। আটকদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত নামঞ্জুর করে এদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আটকের পর জেলহাজতে পাঠানো এই ব্যক্তিরা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে এসেছিল। তারা একটি ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, ৯ জনের মধ্যে ৫ জনই শিশু ও কিশোর। এর মধ্যে ৩ জনের বয়স ৭ থেকে ৯ বছর। এই শিশুদের কেন আটক করা হলো, কেনই বা ৫৪ ধারায় চালান দেয়া হলো এটাই হচ্ছে এলাকাবাসীর প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে গতকাল রাজাপুর থানার এসআই আঃ হালিম আমার দেশকে বলেন, জঙ্গি সন্দেহে এদের গ্রেফতার করা হলেও তারা যে জঙ্গি এ ধরনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ জন্য এদের ৫৪ ধারায় চালান দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা ভোলার চরফ্যাশন কলেজের সাবেক প্রফেসর আবদুল মজিদের ‘কলেমা জামায়াত’ দলের সদস্য। এ সংগঠনের দাওয়াত দিতে তারা সারাদেশের মতো রাজাপুরে এসেছে। এ সংগঠন নিষিদ্ধ কিনা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। তবে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শিশু থাকার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, ওরা শিশু নয়, কিশোর। আটকরা পুলিশকে ভ্রাম্যমাণ হার্ডওয়্যার ও ইলেট্রনিক মালামাল বিক্রেতা বলে জানিয়েছে।
গ্রেফতাকৃতরা হলো মির্জাগঞ্জ শ্রীনগরের সাইফুল ইসলাম, আলামিন, খুলনার খালিশপুরের আনোয়ার কবির মিলন, মাসুম, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার পিঞ্জুরি গ্রামের ওয়ালিউল্লাহ, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী চেড়াখালী গ্রামের আউয়াল পেয়াদা, বগুড়ার গাবতলী মাসুমদী গ্রামের আবদুর রহমান, কক্সবাজারের উখিয়া চাকবেঠা গ্রামের আরিফ ও চট্টগ্রাম বাঁশখালীর রত্নপুর গ্রামের আবদুল্লাহ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, ৯ জনের মধ্যে ৫ জনই শিশু ও কিশোর। এর মধ্যে ৩ জনের বয়স ৭ থেকে ৯ বছর। এই শিশুদের কেন আটক করা হলো, কেনই বা ৫৪ ধারায় চালান দেয়া হলো এটাই হচ্ছে এলাকাবাসীর প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে গতকাল রাজাপুর থানার এসআই আঃ হালিম আমার দেশকে বলেন, জঙ্গি সন্দেহে এদের গ্রেফতার করা হলেও তারা যে জঙ্গি এ ধরনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ জন্য এদের ৫৪ ধারায় চালান দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা ভোলার চরফ্যাশন কলেজের সাবেক প্রফেসর আবদুল মজিদের ‘কলেমা জামায়াত’ দলের সদস্য। এ সংগঠনের দাওয়াত দিতে তারা সারাদেশের মতো রাজাপুরে এসেছে। এ সংগঠন নিষিদ্ধ কিনা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। তবে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শিশু থাকার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, ওরা শিশু নয়, কিশোর। আটকরা পুলিশকে ভ্রাম্যমাণ হার্ডওয়্যার ও ইলেট্রনিক মালামাল বিক্রেতা বলে জানিয়েছে।
গ্রেফতাকৃতরা হলো মির্জাগঞ্জ শ্রীনগরের সাইফুল ইসলাম, আলামিন, খুলনার খালিশপুরের আনোয়ার কবির মিলন, মাসুম, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার পিঞ্জুরি গ্রামের ওয়ালিউল্লাহ, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী চেড়াখালী গ্রামের আউয়াল পেয়াদা, বগুড়ার গাবতলী মাসুমদী গ্রামের আবদুর রহমান, কক্সবাজারের উখিয়া চাকবেঠা গ্রামের আরিফ ও চট্টগ্রাম বাঁশখালীর রত্নপুর গ্রামের আবদুল্লাহ।