সিলেট সীমান্তে ২৬১ একর জমি ভারতকে ছেড়ে দেয়া হলো : জরিপের পর নতুন সীমানা চিহ্নিত, কৃষিকাজে বিএসএফের বাধা : মানচিত্র রক্ষায় সীমান্তবাসী আন্দোলন চালিয়ে যাবে : সেলিম
দেলোয়ার হোসেন, জৈন্তাপুর (সিলেট)
সিলেট সীমান্তে যৌথ জরিপের নামে বাংলাদেশের ২৬১ একর ভূমি ভারতের কাছে তুলে দেয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন এ ব্যাপারে লুকোচুরি করলেও যৌথ জরিপের পর গতকাল পর্যন্ত কয়েকটি পয়েন্টে মোট ২৬১ একর জমিতে বাঁশের খুঁটি পুঁতে চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে। এতদিন এসব জমিতে বাংলাদেশী কৃষকরা চাষাবাদ করলেও যৌথ জরিপের পর বাংলাদেশী কৃষকদের কৃষি কাজে বাধা দিচ্ছে বিএসএফ। সীমান্তে বাংলাদেশের জমি ভারতের হাতে তুলে দেয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনমুখী সীমান্তবাসীকে বিজিবি, দাঙ্গা পুলিশ ও সাদা পোশাকধারী আইনশৃৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে মামলা-হামলার ভয়ভীতি দেখানোরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশীরা জরিপ কাজে বাধা দিলে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে সীমান্তবাসীকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ভয়ভীতি ও হুমকি উপেক্ষা করে ‘আমরা সীমান্তবাসী’র ব্যানারে আন্দোলন করছে সিলেট সীমান্তের মানুষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যৌথ জরিপ দলের বাংলাদেশী এক সদস্য আমার দেশকে জানান, গতকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী এক সপ্তাহে কয়েক দফায় পদুয়া সীমান্তের ১২৭০-৭১ নম্বর সীমান্ত খুঁটি পর্যন্ত ২২০ একর, লিঙ্কহাট সীমান্তে ১২৬৩-৬৭ পর্যন্ত ৮ একর, নলজুরী সীমান্তে ১২৭৭-৭৯ পর্যন্ত ৩৩ একর ভূমি ভারতকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ১৫০ গজ ভেতরে বাঁশের খুঁটি বসিয়ে এই জমি ভারতের বলে চিহ্নিত করে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এরই মধ্যে ম্যাপও পরিবর্তন করে ফেলার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সীমান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সেপ্টেম্বরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরের আগে আজই ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বাংলাদেশ সফরে আসছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই এই সীমান্ত পরিবর্তনের কাজ সম্পন্ন করার কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এদিকে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা আবদুল জলিল, শাফিউল্লাহ, করিম উল্লাহ ও নুরুজ্জামান জানান, স্থানীয় এমপি ইমরান আহমেদ ও জেলা প্রশাসক আবু সৈয়দ মোহাম্মদ হাশিম সীমান্ত এলাকার লোকদের বলেছিলেন বাংলাদেশের মঙ্গলের জন্য এই জরিপ করা হচ্ছে, সীমান্তবাসী যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে তারই জন্য এই জরিপ। বাস্তবে ঘটেছে তার সম্পূর্ণ বিপরীত ঘটনা। দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশী কৃষকরা যে এলাকায় চাষাবাদ করত, যৌথ জরিপ শেষ করার পর যে এলাকায় বাঁশের খুঁটি বসানো হয়েছে, সে এলাকায় কৃষি কাজ করতে বিএসএফ এখন বাধা দিচ্ছে।
সীমান্তের বাংলাদেশী ভূখণ্ড ভারতের হাতে তুলে দেয়ার প্রতিবাদে ‘আমরা সীমান্তবাসী’র ব্যানারে গতকাল গোয়াইনঘাটে আয়োজিত সর্বস্তরের সীমান্তবাসীর প্রতিবাদ সমাবেশে সিলেট-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মানচিত্র রক্ষায় আন্দোলন করছি এবং করে যাব। তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রতিবাদ করছি না, প্রতিবাদ করছি দেশ ও সীমান্তের ভূমি রক্ষার জন্য। আমি জনগণের রাজনীতি করি, সীমান্তের আন্দোলনের জন্য আমার জনগণের ওপর মামলা দেবেন না, মামলা দিতে হলে আমার ওপর দিন, বাংলার মানচিত্রকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করবেন না, সীমান্তের ভূমি রক্ষায় প্রয়োজনে জনগণকে নিয়ে হরতালসহ কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব। তবে সে হরতাল কত দিন হবে তা বলতে পারি না।
সাবেক এমপি সেলিম আরও বলেন, আজ সীমান্তবাসী বড় অসহায়। পুলিশ, বিজিবি, সাদা পোশাকধারী বাহিনী এবং সরকারি দলের ক্যাডার ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সীমান্তবাসীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌথ জরিপের নামে বাংলার ভূখণ্ড ভারতের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় পাথর, বালু, ইউরেনিয়াম, মত্স্য ও কৃষি সম্পদসহ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, এই সম্পদ নিতে ভারত মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সিরাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও লুত্ফুল হক খোকনের পরিচালনায় সমাবেশে গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতারা ও সীমান্তবাসী বক্তৃতা করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ জরিপ কমিশন গঠন করে সীমান্তে জরিপ কাজ শুরু হয়। গত ৭ মাসে সীমান্তে মোট ২০ বার জরিপ দল জরিপ করতে প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু ভারতীয়দের আশানুরূপ সিদ্ধান্ত না হওয়ায় তারা ১৬ বার জরিপ কাজে বাধা দেয়। উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের ভূখণ্ড ভারতের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে বাংলার সীমান্তবাসী ৪ বার বাধা দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সীমান্তবাসীকে জিম্মি করে মামলার ভয় দেখিয়ে জোর করে জরিপ কাজ চালায় বাংলাদেশী প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যৌথ জরিপ দলের বাংলাদেশী এক সদস্য আমার দেশকে জানান, গতকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী এক সপ্তাহে কয়েক দফায় পদুয়া সীমান্তের ১২৭০-৭১ নম্বর সীমান্ত খুঁটি পর্যন্ত ২২০ একর, লিঙ্কহাট সীমান্তে ১২৬৩-৬৭ পর্যন্ত ৮ একর, নলজুরী সীমান্তে ১২৭৭-৭৯ পর্যন্ত ৩৩ একর ভূমি ভারতকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ১৫০ গজ ভেতরে বাঁশের খুঁটি বসিয়ে এই জমি ভারতের বলে চিহ্নিত করে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এরই মধ্যে ম্যাপও পরিবর্তন করে ফেলার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সীমান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সেপ্টেম্বরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরের আগে আজই ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বাংলাদেশ সফরে আসছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই এই সীমান্ত পরিবর্তনের কাজ সম্পন্ন করার কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এদিকে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা আবদুল জলিল, শাফিউল্লাহ, করিম উল্লাহ ও নুরুজ্জামান জানান, স্থানীয় এমপি ইমরান আহমেদ ও জেলা প্রশাসক আবু সৈয়দ মোহাম্মদ হাশিম সীমান্ত এলাকার লোকদের বলেছিলেন বাংলাদেশের মঙ্গলের জন্য এই জরিপ করা হচ্ছে, সীমান্তবাসী যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে তারই জন্য এই জরিপ। বাস্তবে ঘটেছে তার সম্পূর্ণ বিপরীত ঘটনা। দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশী কৃষকরা যে এলাকায় চাষাবাদ করত, যৌথ জরিপ শেষ করার পর যে এলাকায় বাঁশের খুঁটি বসানো হয়েছে, সে এলাকায় কৃষি কাজ করতে বিএসএফ এখন বাধা দিচ্ছে।
সীমান্তের বাংলাদেশী ভূখণ্ড ভারতের হাতে তুলে দেয়ার প্রতিবাদে ‘আমরা সীমান্তবাসী’র ব্যানারে গতকাল গোয়াইনঘাটে আয়োজিত সর্বস্তরের সীমান্তবাসীর প্রতিবাদ সমাবেশে সিলেট-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মানচিত্র রক্ষায় আন্দোলন করছি এবং করে যাব। তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রতিবাদ করছি না, প্রতিবাদ করছি দেশ ও সীমান্তের ভূমি রক্ষার জন্য। আমি জনগণের রাজনীতি করি, সীমান্তের আন্দোলনের জন্য আমার জনগণের ওপর মামলা দেবেন না, মামলা দিতে হলে আমার ওপর দিন, বাংলার মানচিত্রকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করবেন না, সীমান্তের ভূমি রক্ষায় প্রয়োজনে জনগণকে নিয়ে হরতালসহ কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব। তবে সে হরতাল কত দিন হবে তা বলতে পারি না।
সাবেক এমপি সেলিম আরও বলেন, আজ সীমান্তবাসী বড় অসহায়। পুলিশ, বিজিবি, সাদা পোশাকধারী বাহিনী এবং সরকারি দলের ক্যাডার ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সীমান্তবাসীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌথ জরিপের নামে বাংলার ভূখণ্ড ভারতের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় পাথর, বালু, ইউরেনিয়াম, মত্স্য ও কৃষি সম্পদসহ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, এই সম্পদ নিতে ভারত মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সিরাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও লুত্ফুল হক খোকনের পরিচালনায় সমাবেশে গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতারা ও সীমান্তবাসী বক্তৃতা করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ জরিপ কমিশন গঠন করে সীমান্তে জরিপ কাজ শুরু হয়। গত ৭ মাসে সীমান্তে মোট ২০ বার জরিপ দল জরিপ করতে প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু ভারতীয়দের আশানুরূপ সিদ্ধান্ত না হওয়ায় তারা ১৬ বার জরিপ কাজে বাধা দেয়। উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের ভূখণ্ড ভারতের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে বাংলার সীমান্তবাসী ৪ বার বাধা দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সীমান্তবাসীকে জিম্মি করে মামলার ভয় দেখিয়ে জোর করে জরিপ কাজ চালায় বাংলাদেশী প্রশাসন।