টুঙ্গিপাড়ায় মহানবীকে কটূক্তি প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশ : শিক্ষক শংকর বহিষ্কার : ফাঁসি দাবি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর নামে জঘন্যতম কটূক্তি করায় মুসল্লিদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মুখে জিটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শংকর বিশ্বাসকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মহানবীকে অবমাননা করার প্রতিবাদে খাদেমুল ইসলাম জামাত গওহরডাঙ্গা মাদরাসার উদ্যোগে জিটি স্কুলসংলগ্ন টুঙ্গিপাড়া ঈদগাহ ময়দানে গতকাল বিকাল ৪টায় প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। মাদরাসার মুহাদ্দিস হজরত মাওলানা আবদুল মুকতাদির আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে জেলা প্রশাসক শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হলো। সে বাংলাদেশের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন তাকে গ্রেফতারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার মো. আবদুল কুদ্দুস আমীন, রেড ক্রিসেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন, শেখ মুজিব কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুন্নবী মোল্লা, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর মেয়র মো. ইলিয়াস হোসেন, বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব ও বড়গুনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সামসুল হক, গিমাডাঙ্গা নেছারিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ কে এম কালিমুল্লাহ, মাওলানা সোয়াইব ইব্রাহিম, কোর্ট মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা সিফাতুল্লাহসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় টুঙ্গিপাড়ার জিটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ইংরেজি ২য় পত্রের ক্লাস নেয়ার সময় শিক্ষক শংকর বিশ্বাস মহানবী সম্পর্কে কটাক্ষ করেন। এ ঘটনায় টুঙ্গিপাড়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসনের সহায়তায় শিক্ষক শংকর পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। বিক্ষুব্ধরা ওই শিক্ষকের জামাকাপড়, আসবাবপত্র ও বিছানায় অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। প্রতিবাদ সমাবেশের শুরুতে মহানবী সম্পর্কে ব্যঙ্গোক্তিকারী শিক্ষক শংকর বিশ্বাসের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
জুমার নামাজের পর এ ঘটনার প্রতিবাদে টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন গ্রাম ও মাদরাসা থেকে হাজার হাজার ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ ধর্মপ্রাণ তৌহিদি জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে করতে সমাবেশস্থলে হাজির হন। বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে ছিল বাঁশের লাঠি।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ ইউসুফ হারুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরদার রোকনুজ্জামানসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ও ৩ প্লাটুন পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জিটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিএম খালিদ হাসান জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ইংরেজির শিক্ষক শংকর বিশ্বাস ইংরেজি ২য় পত্রের ‘সিজন ইউ লাইক মোস্ট’ বিষয় পড়াচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি ক্লাসের এক শিক্ষার্থীর কাছে এ পাঠ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে সে বুঝতে পারেনি বলে জানায়। শিক্ষক ওই ছাত্রকে ‘ছাগল’ বলে সম্বোধন করেন। তখন সে বলে, আমি তো ছাগল নই। ওই শিক্ষক বলেন, ছাগলের মুখে দাড়ি আছে, মানুষের মুখেও দাড়ি আছে। অতএব মানুষ ছাগল। ক্লাসের ছাত্র ইমানসহ বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে বলে, স্যার রবীন্দ্রনাথের মুখে দাড়ি আছে, রবীন্দ্রনাথও কি ছাগল? হ্যাঁ, রবীন্দ্রনাথও ছাগল। এর পরই ওই শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, তোমাদের নবীজির মুখেও দাড়ি আছে, সেও ছাগল।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে নালিশ করে। তারা শিক্ষককে মারপিট করার চেষ্টা করলে পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় বাসে উঠে ওই শিক্ষক স্কুল ত্যাগ করেন। এর পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্কুল হোস্টেলে গিয়ে ওই শিক্ষকের জামাকাপড়, বিছানা ও অসবাবপত্র বের করে এনে পুড়িয়ে দেয়।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর টুঙ্গিপাড়ার গওহরডাঙ্গা মাদরাসার খাদেমুল ইসলাম জামাত এ ঘটনায় জিটি স্কুলসংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে গতকাল বিকালে ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত, গ্রেফতার, ফাঁসি ও ব্লাসফেমি আইন কার্যকর করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে
মহানবীকে অবমাননা করার প্রতিবাদে খাদেমুল ইসলাম জামাত গওহরডাঙ্গা মাদরাসার উদ্যোগে জিটি স্কুলসংলগ্ন টুঙ্গিপাড়া ঈদগাহ ময়দানে গতকাল বিকাল ৪টায় প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। মাদরাসার মুহাদ্দিস হজরত মাওলানা আবদুল মুকতাদির আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে জেলা প্রশাসক শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হলো। সে বাংলাদেশের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন তাকে গ্রেফতারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার মো. আবদুল কুদ্দুস আমীন, রেড ক্রিসেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন, শেখ মুজিব কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুন্নবী মোল্লা, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর মেয়র মো. ইলিয়াস হোসেন, বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব ও বড়গুনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সামসুল হক, গিমাডাঙ্গা নেছারিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ কে এম কালিমুল্লাহ, মাওলানা সোয়াইব ইব্রাহিম, কোর্ট মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা সিফাতুল্লাহসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় টুঙ্গিপাড়ার জিটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ইংরেজি ২য় পত্রের ক্লাস নেয়ার সময় শিক্ষক শংকর বিশ্বাস মহানবী সম্পর্কে কটাক্ষ করেন। এ ঘটনায় টুঙ্গিপাড়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসনের সহায়তায় শিক্ষক শংকর পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। বিক্ষুব্ধরা ওই শিক্ষকের জামাকাপড়, আসবাবপত্র ও বিছানায় অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। প্রতিবাদ সমাবেশের শুরুতে মহানবী সম্পর্কে ব্যঙ্গোক্তিকারী শিক্ষক শংকর বিশ্বাসের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
জুমার নামাজের পর এ ঘটনার প্রতিবাদে টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন গ্রাম ও মাদরাসা থেকে হাজার হাজার ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ ধর্মপ্রাণ তৌহিদি জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে করতে সমাবেশস্থলে হাজির হন। বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে ছিল বাঁশের লাঠি।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ ইউসুফ হারুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরদার রোকনুজ্জামানসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ও ৩ প্লাটুন পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জিটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিএম খালিদ হাসান জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ইংরেজির শিক্ষক শংকর বিশ্বাস ইংরেজি ২য় পত্রের ‘সিজন ইউ লাইক মোস্ট’ বিষয় পড়াচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি ক্লাসের এক শিক্ষার্থীর কাছে এ পাঠ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে সে বুঝতে পারেনি বলে জানায়। শিক্ষক ওই ছাত্রকে ‘ছাগল’ বলে সম্বোধন করেন। তখন সে বলে, আমি তো ছাগল নই। ওই শিক্ষক বলেন, ছাগলের মুখে দাড়ি আছে, মানুষের মুখেও দাড়ি আছে। অতএব মানুষ ছাগল। ক্লাসের ছাত্র ইমানসহ বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে বলে, স্যার রবীন্দ্রনাথের মুখে দাড়ি আছে, রবীন্দ্রনাথও কি ছাগল? হ্যাঁ, রবীন্দ্রনাথও ছাগল। এর পরই ওই শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, তোমাদের নবীজির মুখেও দাড়ি আছে, সেও ছাগল।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে নালিশ করে। তারা শিক্ষককে মারপিট করার চেষ্টা করলে পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় বাসে উঠে ওই শিক্ষক স্কুল ত্যাগ করেন। এর পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্কুল হোস্টেলে গিয়ে ওই শিক্ষকের জামাকাপড়, বিছানা ও অসবাবপত্র বের করে এনে পুড়িয়ে দেয়।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর টুঙ্গিপাড়ার গওহরডাঙ্গা মাদরাসার খাদেমুল ইসলাম জামাত এ ঘটনায় জিটি স্কুলসংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে গতকাল বিকালে ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত, গ্রেফতার, ফাঁসি ও ব্লাসফেমি আইন কার্যকর করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে