হরতালের সমর্থনে চট্টগ্রামে মিছিল : ইসলামবিদ্বেষী সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না : আল্লামা শফি
চট্টগ্রাম ব্যুরো
কাল ও সোমবারের ৩৬ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে গতকাল চট্টগ্রামে মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং উলামা-মাশায়েখ পরিষদসহ কয়েকটি ইসলামী দল। হরতাল সমর্থকরা দুপুরে নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকায় রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে ব্যারিকেড দিলে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ
থাকে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
এদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা আহমদ শফি এক বিবৃতিতে বলেছেন, যারা সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা বাদ দিয়েছে তারা সরাসরি ধর্মদ্রোহী কাজ করেছে। ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এদেশে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। ইসলামবিদ্বেষী তত্পরতা থেকে সরে না এলে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সরকারের পতন ঘটাবে।
গতকাল জুমার নামাজ শেষে নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের সামনে মিছিল করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘিরে রাখায় মিছিলটি বেশি দূর যেতে পারেনি। এ সময় পুলিশ ব্যারিকেডের মধ্যেই আন্দরকিল্লা মোড়ে সমাবেশ করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। সমাবেশ চলাকালে অদূরে সিরাজউদদৌলা রোড এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শতাধিক মুসল্লি। তারা লাঠিসোটা হাতে অবস্থান নিয়ে রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ধাওয়া করলে মিছিলকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে সরে পরে। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আন্দরকিল্লা ও সিরাজউদদৌলা রোড এলাকায়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নগর সভাপতি মাওলানা রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন নগর সহ-সভাপতি আবুল কাশেম মাতব্বর, সেক্রেটারি মো. জান্নাতুল ইসলাম, মো. ইকবাল, মাওলানা জয়নাল আবেদীন ফয়েজী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, সুলতান ও শাহীন প্রমুখ।
এদিকে চট্টগ্রামের শীর্ষ উলামা-মাশায়েখরা ৩৬ ঘণ্টার হরতাল সফল করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস বাদ দেয়ার পর ঘরে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই। ঈমানি চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জালিম খোদাদ্রোহী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ চট্টগ্রামের অস্থায়ী কার্যালয়ে অধ্যক্ষ হজরত মাওলানা সাইয়েদ আবু নোমানের সভাপতিত্বে হরতালের প্রস্তুতি সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় বক্তৃতা করেন মাওলানা হাফেজ ফজলুল করিম জিহাদী, আনোয়ার হোসাইন, সলিম উল্লাহ হাবিবী, অধ্যক্ষ মাওলানা হাফেজ ছাবের আহমদ, অধ্যক্ষ মাওলানা মিয়া মুহাম্মদ হোসইন শরীফ, মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব প্রমুখ।
বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, সংবিধান থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ বাদ দিয়ে তার স্থলে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র প্রতিস্থাপন করে সরকার সরাসরি কুফরি কাজ করেছে। তিনি বলেন, যারা মনেপ্রাণে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখে না, কাজেকর্মে স্বীকার করে না, তারা মুমিন নয়। সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দেয়ার পর বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখা সুস্পষ্ট মোনাফেকি
থাকে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
এদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা আহমদ শফি এক বিবৃতিতে বলেছেন, যারা সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা বাদ দিয়েছে তারা সরাসরি ধর্মদ্রোহী কাজ করেছে। ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এদেশে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। ইসলামবিদ্বেষী তত্পরতা থেকে সরে না এলে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সরকারের পতন ঘটাবে।
গতকাল জুমার নামাজ শেষে নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের সামনে মিছিল করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘিরে রাখায় মিছিলটি বেশি দূর যেতে পারেনি। এ সময় পুলিশ ব্যারিকেডের মধ্যেই আন্দরকিল্লা মোড়ে সমাবেশ করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। সমাবেশ চলাকালে অদূরে সিরাজউদদৌলা রোড এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শতাধিক মুসল্লি। তারা লাঠিসোটা হাতে অবস্থান নিয়ে রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ধাওয়া করলে মিছিলকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে সরে পরে। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আন্দরকিল্লা ও সিরাজউদদৌলা রোড এলাকায়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নগর সভাপতি মাওলানা রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন নগর সহ-সভাপতি আবুল কাশেম মাতব্বর, সেক্রেটারি মো. জান্নাতুল ইসলাম, মো. ইকবাল, মাওলানা জয়নাল আবেদীন ফয়েজী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, সুলতান ও শাহীন প্রমুখ।
এদিকে চট্টগ্রামের শীর্ষ উলামা-মাশায়েখরা ৩৬ ঘণ্টার হরতাল সফল করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস বাদ দেয়ার পর ঘরে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই। ঈমানি চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জালিম খোদাদ্রোহী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ চট্টগ্রামের অস্থায়ী কার্যালয়ে অধ্যক্ষ হজরত মাওলানা সাইয়েদ আবু নোমানের সভাপতিত্বে হরতালের প্রস্তুতি সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় বক্তৃতা করেন মাওলানা হাফেজ ফজলুল করিম জিহাদী, আনোয়ার হোসাইন, সলিম উল্লাহ হাবিবী, অধ্যক্ষ মাওলানা হাফেজ ছাবের আহমদ, অধ্যক্ষ মাওলানা মিয়া মুহাম্মদ হোসইন শরীফ, মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব প্রমুখ।
বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, সংবিধান থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ বাদ দিয়ে তার স্থলে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র প্রতিস্থাপন করে সরকার সরাসরি কুফরি কাজ করেছে। তিনি বলেন, যারা মনেপ্রাণে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখে না, কাজেকর্মে স্বীকার করে না, তারা মুমিন নয়। সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দেয়ার পর বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখা সুস্পষ্ট মোনাফেকি