চিকিত্সকরা জানালেন : ফারুকের মাথা থেকে পা পর্যন্ত লাঠির আঘাত আশঙ্কামুক্ত নন
স্টাফ রিপোর্টার
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক ইউনাইটেড হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) অচেতন অবস্থায় রয়েছেন। লাঠির আঘাতে সারা শরীরে ব্যথা থাকায় তাকে মরফিন দিয়ে রাখা হযেছে। ৭২ ঘণ্টা পার না হওয়া পর্যন্ত তিনি আশঙ্কামুক্ত কি-না, তা বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।
গতকাল গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে গিয়ে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের এমন অবস্থা লক্ষ্য করা যায়। তিনি হাসপাতালের বিশিষ্ট নিউরো কনসালটেম্লট সৈয়দ সাঈদ আহমদের অধীনে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। সকালে তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের শরীরের অবস্থা জানতে চাইলে হাসপাতালে তার কাছে থাকা বিশিষ্ট চিকিত্সক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি জায়গায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে তার মাথার স্কাল্ফ ফেটে গেছে। মাথাতেই সেলাই লেগেছে ১২টি। বাম হাঁটুর নিচে ফেটে গেছে। বাম হাতের আগের আঘাত আরও বেড়েছে। একবার তার বমি হয়েছে। তার বমি বমি ভাব হচ্ছে।
হরতাল চলাকালে ফার্মগেট থেকে মানিক মিয়া এভিনিউর দিকে যাওয়ার পথে জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর অতর্কিতে হামলা করে পুলিশ। এ সময় তাকে কিল-ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় পুলিশ। মাটিতে পড়া অবস্থার তার শরীরের ওপর বুট দিয়ে লাথি মারে পুলিশ সদস্যরা। এক পর্যায়ে তার গায়ের টি-শার্ট খুলে নেয় তারা। লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত ফারুককে সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়ার ন্যাম ভবনের বাসায় প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়া হয়। পরে সংসদ ভবনের অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ইউনাটেড হাসপাতালে নেয়া হয়।
অধ্যাপক ডা. জাহিদ জানান, জয়নুল আবদিন ফারুকের সারা শরীরেই গুরুতর আঘাত রয়েছে। বেশি আঘাত দেয়া হয়েছে তার মাথায়। লাঠির আঘাতে মাথার মাঝখানের স্কাল্ফ ফেটে গিয়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে। লাঠির আঘাতে বাম হাঁটুর নিচেও ফেটে গেছে। সেখানেও সেলাই দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডা. জাহিদ জানান, তিনি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। কয়েকদিন আগে তার বাম হাত আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। ওই হাত ব্যান্ডেজ করা ছিল। ওই ব্যান্ডেজটিও পুলিশ টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে। এতে হাতের আঘাতটি আরও বেড়েছে।
ডা. জাহিদ বলেন, ফারুকের বমি বমি ভাব আছে। মাথায় আঘাত গুরুতর হলে এমন অবস্থা হয়। তিনি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তিনি এখন গভীর ঘুমে আছেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই আহত বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের সিটি স্ক্যান ও এমআরআই করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সিটি স্ক্যান করা হবে। তারপরই বলা যাবে তিনি আশঙ্কামুক্ত কি-না।
গতকাল গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে গিয়ে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের এমন অবস্থা লক্ষ্য করা যায়। তিনি হাসপাতালের বিশিষ্ট নিউরো কনসালটেম্লট সৈয়দ সাঈদ আহমদের অধীনে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। সকালে তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের শরীরের অবস্থা জানতে চাইলে হাসপাতালে তার কাছে থাকা বিশিষ্ট চিকিত্সক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি জায়গায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে তার মাথার স্কাল্ফ ফেটে গেছে। মাথাতেই সেলাই লেগেছে ১২টি। বাম হাঁটুর নিচে ফেটে গেছে। বাম হাতের আগের আঘাত আরও বেড়েছে। একবার তার বমি হয়েছে। তার বমি বমি ভাব হচ্ছে।
হরতাল চলাকালে ফার্মগেট থেকে মানিক মিয়া এভিনিউর দিকে যাওয়ার পথে জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর অতর্কিতে হামলা করে পুলিশ। এ সময় তাকে কিল-ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় পুলিশ। মাটিতে পড়া অবস্থার তার শরীরের ওপর বুট দিয়ে লাথি মারে পুলিশ সদস্যরা। এক পর্যায়ে তার গায়ের টি-শার্ট খুলে নেয় তারা। লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত ফারুককে সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়ার ন্যাম ভবনের বাসায় প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়া হয়। পরে সংসদ ভবনের অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ইউনাটেড হাসপাতালে নেয়া হয়।
অধ্যাপক ডা. জাহিদ জানান, জয়নুল আবদিন ফারুকের সারা শরীরেই গুরুতর আঘাত রয়েছে। বেশি আঘাত দেয়া হয়েছে তার মাথায়। লাঠির আঘাতে মাথার মাঝখানের স্কাল্ফ ফেটে গিয়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে। লাঠির আঘাতে বাম হাঁটুর নিচেও ফেটে গেছে। সেখানেও সেলাই দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডা. জাহিদ জানান, তিনি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। কয়েকদিন আগে তার বাম হাত আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। ওই হাত ব্যান্ডেজ করা ছিল। ওই ব্যান্ডেজটিও পুলিশ টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে। এতে হাতের আঘাতটি আরও বেড়েছে।
ডা. জাহিদ বলেন, ফারুকের বমি বমি ভাব আছে। মাথায় আঘাত গুরুতর হলে এমন অবস্থা হয়। তিনি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তিনি এখন গভীর ঘুমে আছেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই আহত বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের সিটি স্ক্যান ও এমআরআই করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সিটি স্ক্যান করা হবে। তারপরই বলা যাবে তিনি আশঙ্কামুক্ত কি-না।