ত্রাণের চাল নিয়ে সরকারদলীয় সানজিদা এমপির কেলেঙ্কারি
স্টাফ রিপোর্টার
অনৈতিক দাবি চেয়ারম্যান মেনে না নেয়ায় ত্রাণের চাল বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছেন ঢাকা-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। গতকাল শ্যামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণের সময় এমপি সানজিদা খাতুন কয়েকশ’ অবৈধ কার্ড পাঠিয়ে তার বিপরীতে ত্রাণের চাল দিতে নির্দেশ দেন। ইউপি চেয়ারম্যান এ অনৈতিক আবদার মানতে রাজি না হলে তাকে জেলে ঢোকানোর হুমকি দেয়া হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান বাধ্য হয়ে ত্রাণের চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন। এদিকে ত্রাণের চাল না পেয়ে ৩ হাজার ভিজিএফ কার্ডধারী রাজপথে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন। বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে আগুন জ্বালিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। তারা এমপির পদত্যাগের দাবিতে মিছিলসহ স্লোগান দিতে থাকে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের রাজপথ থেকে হটিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এলাকাবাসী জানান, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শ্যামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিজিএফ কার্ডধারীরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এসে উপস্থিত হন। ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান
সাইজুল ত্রাণের চাল বিতরণ শুরু করলে স্থানীয় সরকারদলীয় এমপি অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম কার্ডধারীদের পরিবর্তে নিয়মবহির্ভূতভাবে তার নিজস্ব লোকদের চাল দিতে নির্দেশ দেন। ইউপি চেয়ারম্যান এ নির্দেশ মানতে রাজি না হলে সংসদ সদস্য সানজিদা চাল বিতরণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। পরে এমপির নির্দেশে বাধ্য হয়ে তিনি চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন। এ খবরে বেলা ২টার দিকে প্রায় ৩ হাজার কার্ডধারী সানজিদার বিরুদ্ধে মিছিল বের করেন। তারা রাজপথে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
ত্রাণ না পাওয়া ষাটোর্ধ্ব এক বিধবা মহিলা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, দআমরা চোখে দেখি না, আমাদের স্বামী নেই। আমরা চাল পাই না। ত্রাণের চাল পায় যারা ভালো মানুষ তারা।'
স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা এমপির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গতকাল চাল দেয়ার কথা থাকলেও এমপির নির্দেশে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমপি আওয়ামী লীগসহ এলাকার জনগণের জন্য কোনো কাজ না করে ছাত্রদল, যুবদল ও জামায়াত শিবিরের জন্য সব কাজ করেন।
এ ব্যাপারে শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইজুল আমার দেশকে জানান, ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে আমি চাল বিতরণ শুরু করি। এমন সময় এমপি সানজিদা নিজের সিল দিয়ে কার্ড পাঠিয়ে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, আকাশ গ্রুপ, মামুন গ্রুপকে চাল দিতে বলেন। এমপির কথামত চাল দিতে অস্বীকার করায় তিনি আর কোনো কার্ডে চাল দিলে জেলে ঢুকিয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়ে চাল দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। শ্যামপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, বিক্ষোভ করছে কিছু লোক। তবে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি।
এলাকাবাসী জানান, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শ্যামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিজিএফ কার্ডধারীরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এসে উপস্থিত হন। ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান
সাইজুল ত্রাণের চাল বিতরণ শুরু করলে স্থানীয় সরকারদলীয় এমপি অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম কার্ডধারীদের পরিবর্তে নিয়মবহির্ভূতভাবে তার নিজস্ব লোকদের চাল দিতে নির্দেশ দেন। ইউপি চেয়ারম্যান এ নির্দেশ মানতে রাজি না হলে সংসদ সদস্য সানজিদা চাল বিতরণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। পরে এমপির নির্দেশে বাধ্য হয়ে তিনি চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন। এ খবরে বেলা ২টার দিকে প্রায় ৩ হাজার কার্ডধারী সানজিদার বিরুদ্ধে মিছিল বের করেন। তারা রাজপথে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
ত্রাণ না পাওয়া ষাটোর্ধ্ব এক বিধবা মহিলা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, দআমরা চোখে দেখি না, আমাদের স্বামী নেই। আমরা চাল পাই না। ত্রাণের চাল পায় যারা ভালো মানুষ তারা।'
স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা এমপির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গতকাল চাল দেয়ার কথা থাকলেও এমপির নির্দেশে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমপি আওয়ামী লীগসহ এলাকার জনগণের জন্য কোনো কাজ না করে ছাত্রদল, যুবদল ও জামায়াত শিবিরের জন্য সব কাজ করেন।
এ ব্যাপারে শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইজুল আমার দেশকে জানান, ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে আমি চাল বিতরণ শুরু করি। এমন সময় এমপি সানজিদা নিজের সিল দিয়ে কার্ড পাঠিয়ে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, আকাশ গ্রুপ, মামুন গ্রুপকে চাল দিতে বলেন। এমপির কথামত চাল দিতে অস্বীকার করায় তিনি আর কোনো কার্ডে চাল দিলে জেলে ঢুকিয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়ে চাল দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। শ্যামপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, বিক্ষোভ করছে কিছু লোক। তবে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি।