About

ABC Radio

Blogger news

এমপি পাপিয়াসহ ৩ আইনজীবী জেলহাজতে : ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ : অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী সুপ্রিমকোর্টে অবরুদ্ধ


এমপি পাপিয়াসহ ৩ আইনজীবী জেলহাজতে : ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ : অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী সুপ্রিমকোর্টে অবরুদ্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি
সুপ্রিমকোর্ট থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হওয়া সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়াসহ তিন আইনজীবীকে গতকাল সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। আদালতে তিন আইনজীবীকে হাজির করা হলে মামলার নথি উপস্থাপন না করায় ম্যাজিস্ট্রেট রিমান্ডের আবেদন ও জামিনের আবেদনের বিষয়ে ৮ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী গত বৃহস্পতিবার থেকে সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতির রুমে অবরুদ্ধ অবস্থায় অবস্থান করছেন। সভাপতির রুমের আশপাশে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরাও অবস্থান নিয়ে মোহাম্মদ আলীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। গত দুদিন ধরে সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতির রুমের আশপাশে এবং আইনজীবী সমিতি ভবনের প্রবেশপথে ডিবিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের তত্পর থাকতে দেখা গেছে। সুপ্রিমকোর্ট বার সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, দেশবাসী শুনলে অবাক হবেন একজন আইনজীবীকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ পুরো সুপ্রিমকোর্ট এলাকা ঘেরাও করে রেখেছে। এটা নজিরবিহীন ঘটনা।
অপরদিকে ৯ আইনজীবীর বিরুদ্ধে গতকাল আরেকটি মামলা দেয়া হয়েছে। তাদেরকে হত্যা
প্রচেষ্টা মামলায় জড়ানো হয়েছে। বিএনপির সংসদ সদস্যরা এর প্রতিবাদে আজ সকাল ১০টায় সংসদ ভবনের সামনে ও আইনজীবীরা সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়েছে। ৮ আগস্ট সোমবার মহানগর বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে বিক্ষোভ।
গতকাল বিকাল সোয়া ৩টায় সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সেক্রেটারি ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদলের নেতৃত্বে সিনিয়র আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে তার বাসভবনে দেখা করেছেন। বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করার পর এক প্রশ্নের জবাবে আমার দেশকে জানান, প্রধান বিচারপতি তাদের বলেছেন সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গনে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েনের বিষয়টি তার জানা নেই। এরকম কিছু হয়ে থাকলে প্রত্যাহার করে নেবেন বলেও তাদের আশ্বাস দেন তিনি। সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতির রুমে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ডিবি পুলিশ দিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন—এ সংবাদ প্রতিটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া বৃহস্পতিবার রাতে সরাসরি সম্প্রচারও করেছে। তারপরও বিষয়টি সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি অবহিত নন। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কার সিদ্ধান্তে সুপ্রিমকোর্ট বার সমিতি ভবনে ডিবি পুলিশ এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা মোতায়েন রয়েছে। রাত ১টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ট্রেজারার অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি জানান, প্রধান বিচারপতি প্রতিশ্রুতি দিলেও ডিবি পুলিশ সুপ্রিমকোর্ট এলাকা থেকে যাননি। গভীর রাতেও সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতির রুমের সামনে কয়েকজন ডিবি পুলিশ অবস্থান করছিল। ডিবি পুলিশ না যাওয়ায় অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীও সভাপতির রুমেই অবস্থান করছেন।
সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতির রুমে অবরুদ্ধ অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী গতকাল আমার দেশকে বলেন, কষ্টে আছি। বিনা কারণে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। অনেকটা না খাওয়ার মতো অবস্থা। তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে তাকে পুলিশ গ্রেফতারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতির রুম থেকে বের হয়ে বাথরুমে গেলেও ডিবি পুলিশ তার পেছনে পেছনে থাকেন। নামাজ পড়ার জন্য বার ভবনের মসজিদে গেলে সেখানেও তার সঙ্গে একাধিক ডিবি পুলিশ উপস্থিত হন। তিনি বলেন, নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন এবং সাহরির সময় খাওয়ারও সুযোগ পাননি। সাহরি না খেয়েই তাকে রোজা রাখতে হয়েছে। বাসা থেকে পোশাক পাঠানো হয়েছে। পোশাক পরিবর্তন করেছি।
এদিকে গতকাল ডিবি অফিস থেকে তিন আইনজীবীকে আদালতে হাজির করা হলেও তাদের নামে দায়ের করা মামলার নথিপত্র পেশ করা হয়নি। নথিপত্র না থাকায় আগামী সোমবার রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সরকারপক্ষ আসামিদের সোপর্দ করেও মামলার নথি পেশ না করায় আদালতে বিক্ষোভ করেছেন শত শত আইনজীবী। গ্রেফতারকৃত আইনজীবীদের জামিনের আবেদন শুনানির প্রার্থনা জানিয়ে বলেন, সরকার দেশের বিচার ব্যবস্থা ও আদালত অঙ্গনকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে উঠেছে। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সরকার আদালতে আইনজীবীদের নামে দায়ের করা মামলার নথিপত্র উপস্থাপন করেনি। জামিনের শুনানির জন্য আইনজীবীরা দাবি জানাতে থাকলে আদালত বলেন, মামলার নথিপত্র ছাড়া জামিন আবেদনের শুনানি করা সম্ভব নয়। আদালতের এ মন্তব্যে উপস্থিত শত শত আইনজীবী ক্ষোভ প্রকাশ করলে বিচারক এজলাস ত্যাগ করে চলে যান। এদিকে গ্রেফতারকৃত তিন আইনজীবীকে শাহবাগ থানায় গত ৪ জুন দায়ের করা একটি গাড়ি পোড়ানো মামলায়ও গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেছে পুলিশ। এ মামলায়ও তাদেরকে ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। অ্যাডভোকেট পাপিয়াসহ তিন আইনজীবী গত ৫ জুন বিরোধী দলের ডাকা হরতালের আগের দিন জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য গাড়ি পুড়িয়েছেন বলে পুলিশের আবেদনে বলা হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেফতারকৃত সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, ব্যারিস্টার আবু বকর সিদ্দিক রাজন ও অ্যাডভোকেট গাজী তৌহিদুল ইসলামকে গতকাল ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাত্ হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের সঙ্গে একই মামলার অপর আসামি অ্যাডভোকেট শরিফ উদ্দিন আহমদকেও ওইদিন গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীরা দাবি করেন। তবে শাহবাগ থানা পুলিশ ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট শরিফকে গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে মুফতি ফজলুল হক আমিনীর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি রিটের শুনানিকালে গত ২ আগস্ট সরকার সমর্থক ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও হৈচৈ হয়। এর জের ধরে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে অ্যাডভোকেট পাপিয়াসহ ১৩ আইনজীবীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। অ্যাডভোকেট পাপিয়াসহ গ্রেফতারকৃত তিন আইনজীবীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের প্রার্থনা জানিয়ে ডিবি অফিস থেকে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় সিএমএম কোর্টে নেয়া হয়। বেলা আড়াইটার দিকে তাদের এজলাসে আনা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট এজলাসে আসন গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে তিন আইনজীবীর পক্ষে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া জামিনের আবেদন পেশ করেন। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (সিডি) আদালতে উপস্থাপন না করায় ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের রিমান্ড ও জামিনের আবেদনের শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া আদালতকে উদ্দেশ করে বলেন, আসামিরা সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সম্মানিত আইনজীবী। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে সরকারের সাজানো মামলায় তাদের হেনস্তা করতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে, তাদের কেস ডকেট পেশ করা হয়নি। এগুলো সবই সরকারের ষড়যন্ত্র। সরকার দেশের বিচার ব্যবস্থা ও আইনের শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আদালতের হাত-পা বেঁধে দিয়ে বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে সরকার। তিনি বিভিন্ন মামলার নজির পেশ করে বলেন, আসামিদের যেহেতু আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। কাজেই আদালত জামিন আবেদন শুনানি করতে পারেন। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার এ বক্তব্যকে সমর্থন করে আদালতে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমদ তালুকদার, খোরশেদ আলম, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া প্রমুখ। তাদের বক্তব্য ও যুক্তিতর্কের জবাবে আদালত আবার বলেন, মামলার নথিপত্র ছাড়া শুনানি করা সম্ভব নয়। এ পর্যায়ে আদালতকক্ষে উপস্থিত কয়েকশ’ আইনজীবী শুনানির জন্য দাবি জানাতে থাকলে বিচারক এজলাস ত্যাগ করে খাস কামরায় চলে যান। পরে আইনজীবীরা এজলাস থেকে বেরিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম তুলে ধরে স্লোগান দেন।
আদালতে এমপি পাপিয়া : আদালতের কাঠগড়া থেকে নামানোর সময় অ্যাডভোকেট পাপিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এ সরকার হচ্ছে মামলাবাজ সরকার। হামলা, মামলা, জুলুম-নির্যাতনই হচ্ছে এ সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার একমাত্র ভরসা। পৃথিবীর সব স্বৈরশাসকের যে পরিণতি হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনার সরকারের জন্যও একই পরিণতি অপেক্ষা করছে। জুলুম-নির্যাতন করে কোনো স্বৈরাচারী সরকারই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। এরাও পারবে না। তিনি বলেন, সরকারের আয়ু যখন দ্রুত ফুরাতে থাকে, তখনই তারা নিপীড়নের পথ বেছে নেয়। আমরা এ মামলাকে মোটেও পরোয়া করি না। সরকার এখন পুলিশবাহিনীর পাশাপাশি আদালতকেও বিরোধী দল দমনের কাজে ন্যক্কারজনকভাবে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, সরকার এখন আদালতকে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছে। আর বিচারকদের দলীয় নেতাকর্মীর মতো ব্যবহার করতে চায়। বিকাল সাড়ে ৩টায় তাকে কোর্ট হাজত থেকে প্রিজনভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
  • প্রথম

Leave a Reply

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Alertpay

You can replace this text by going to "Layout" and then "Page Elements" section. Edit " About "

সরাসরি চ্যাট করার জন্য পেজ এর নিচে যান

a

ইংরেজী বিজয় ফনেটিক অভ্র ফনেটিক ইউনিজয়

Widget by: Bangla Hacks

b

পত্রিকায় প্রকাশিত চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি 
2 June 2010

এখানে ক্লিক করুন ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করুন।

WELL-COME TO BD ADDA(বিনামূল্যে ওয়েব সাইড তৈরির জন্য যোগাযোগ করুনঃ- ওয়েব ডেভোলাপার- মোঃ শফিকুর রহমান, মোবাইল নং-8801812465879)