About

ABC Radio

Blogger news

দেশে বড় গণআন্দোলনের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে


দেশে বড় গণআন্দোলনের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে : আবু নাসের রহমাতুল্লাহ

মাহাবুবুর রহমান
আড়াই বছরের শাসনে প্রমাণ হয়েছে সরকার স্থিতিশীলভাবে দেশ চালাতে পারছে না—একথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেছেন, নানা ইস্যুতে সরকার দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। প্রভু রাষ্ট্র ও দলীয় এজেন্ডার বাইরে এ সরকারের কোনো সফলতা নেই। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে নির্যাতকের ভূমিকায় এনে জনগণের মুখোমুখি দাঁড়
করিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। স্বাধীনতার পর দেশে গত ৪০ বছরের সবচেয়ে বড় গণআন্দোলনের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল দৈনিক আমার দেশকে দেয়া একান্ত এক সাক্ষাত্কারে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব আবু নাসের রহমাতুল্লাহ দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল, পানি-গ্যাস-বিদ্যুত্ সঙ্কট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আদালতে দলীয়করণ, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি এবং ট্রানজিট ও করিডোর প্রদানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সরকার দেশকে ভয়াবহ সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ দেশ রক্ষায় এখনও আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক একটি দায়িত্ব পালনের সুযোগ রয়েছে। এজন্য পঞ্চদশ সংশোধনী ও ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিল করতে হবে। সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ দুটি ইস্যুতে নতুন করে করণীয় নির্ধারণের দাবি জানান তিনি।
সরকার এ পথে না ফিরলে দেশে বড় ধরনের একটি গণআন্দোলন গড়ে উঠবে দাবি করে আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেন, মানুষ এরই মধ্যে এ সরকারকে মন থেকেই মুছে ফেলেছে। কিন্তু সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে বিরোধী দল মানুষের চাহিদা অনুযায়ী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও যেভাবে আন্দোলন চায়, তাও করা সম্ভব হয়নি। বিরোধী দলের আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারাও উপহাস করছেন। এরপরও জাতিকে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্র ও জনঅধিকার রক্ষায় জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে উঠবেই। এক্ষেত্রে তার দলের অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি চারদলীয় জোটভুক্ত ছিল। এ পর্যন্ত কখনও কোনো রেজুলেশন করে আমরা বের হয়ে যাইনি। আবার বের করে দেয়াও হয়নি। কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। ২০০১ সালে আমাদের দলের চেয়ারম্যান ডা. এমএ মতিনসহ চারজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারির নির্বাচনের আগ মুহূর্তে তত্কালীন বিএনপি মহাসচিব আবদুল মান্নান ভুঁইয়ার কারসাজির কারণে আমাদের দলীয় চেয়ারম্যানসহ নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের আসনগুলোতে মনোনয়ন পরিবর্তন করা নিয়ে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তবে সময়ের প্রয়োজনে দেশ ও জাতির স্বার্থে জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃত্বে যে কোনো আন্দোলনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি অংশ নিতে প্রস্তুত উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে এ দূরত্ব নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে বিশ্বাস করি।
পরিকল্পিতভাবে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অভিযোগ করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেন, এ সরকার রাষ্ট্রের সব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নামের আগে ‘রাজনৈতিক’ ও ‘স্লোগান সর্বস্ব’ ‘স্বাধীন’ শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন বিচার বিভাগ এসব শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে, ঠিক একই মেরিটের মামলা নতুন করে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুদক দায়ের করেছে। এটা হাস্যকর। এসব প্রতিষ্ঠানের ইমেজ ধুলায় মিশিয়ে দিয়ে হাস্যরস করছে সরকার। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ নিয়ে অনেক তোড়জোড় হয়েছে। কিন্তু পরিণামে কী দেখা গেল? উচ্চ আদালতে দলীয় লোককে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে সরকার। এতে জনগণের আস্থার সর্বশেষ ভরসাস্থল আদালতও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। এ সরকারের আমলে কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিই জনআস্থা নেই। যেদিকেই তাকাবেন কেবল আওয়ামী লীগের দলীয় লোকদের মহড়া দেখা যায়।দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার লাগাম ছেড়ে দিয়ে সরকার তামাশা করছে অভিযোগ এনে আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেন, ছয় মাস আগেও দ্রব্যমূল্য নিম্নবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে ছিল। আর এখন দ্রব্যমূল্য উচ্চবিত্ত মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সরকার ও বিরোধী দল নয়, দ্রব্যমূল্য শতকরা ৯৮ ভাগ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছে। ১২০ টাকায় মরিচ কিনতে গিয়ে চোখের পানি ঝরানো ছাড়া আর কী করবে গরিব মানুষ?
দ্রব্যমূল্য ও খাবার নিয়ে বাণিজ্য এবং অর্থমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যকে জনগণের ক্ষুধার সঙ্গে পরিহাস অভিহিত করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের ক্ষুধা নিয়ে তামাশা করে ক্ষমতায় থাকা যায় না।
পানি-বিদ্যুত্ ও গ্যাসকে মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্তর্ভুক্ত করে তিনি বলেন, পবিত্র রমজানে এসবের সঙ্কট নিরসনে সরকার কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বরং বক্তৃতা-বিবৃতিতে রেকর্ড করে ফেলেছে। বিদ্যুত্ খাতে এই সরকার যে দালিলিক ভিত্তিতে দুর্নীতি করছে এটা বিশ্বে নজিরবিহীন। এটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। দায়মুক্তি দিয়ে কুইক রেন্টাল প্ল্যান্ট স্থাপনে সরকারের এ দুর্নীতির প্রমাণ থাকবে, কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। এটা কেবল মধ্যযুগীয় বর্বর কোনো সরকারের দ্বারাই করা সম্ভব। তবে ভবিষ্যতে কোনো দেশপ্রেমিক সরকার ক্ষমতায় এলে জাতীয় সংসদে আইন পাস করিয়েই এসব দুর্নীতির বিচার হতে পারে বলে তিনি বর্তমান সরকারকে সতর্ক করে দেন।
ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত সব চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকাশের সাহস না থাকলে বাতিল করতে হবে। এরপর সংসদ ও জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে দেশের স্বার্থ রক্ষা করে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। আর এজন্য পঞ্চদশ সংশোধনের মাধ্যমে বাতিল করা এ সংক্রান্ত সংবিধানের ক্লোজটি পুনর্বহাল করতে হবে। শুধু ভারতকে ট্রানজিট ও করিডোর দিতেই সরকার সংবিধান থেকে এ সংক্রান্ত ক্লোজ বাতিল করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ২০১০-এর ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি বৈঠক শেষে যতটুকু মনে পড়ে মমতা ব্যানার্জির বরাত দিয়ে টেলিভিশন বলেছিল, ‘বাংলাদেশের কাছে আমরা যা চেয়েছি, তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি।’
গত ২৫ বছর ধরে ভারত তাদের সুবিধার জন্য ট্রানজিট চাইলেও দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আগের কোনো সরকার ভারতকে এ সুযোগ দেয়নি। আর এখন একতরফা দাবি পূরণে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে অভিযোগ করে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেন, এসব অঙ্গীকার করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। ভারতের ট্রানজিটের রাস্তা তৈরি করতে সে দেশের এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে যেসব শর্তে লোন নিয়েছে, এমন শর্ত দিয়ে কোনো অনুদানও একটি স্বাধীন দেশ গ্রহণ করতে পারে না। তিনি বলেন, ট্রানজিটের প্রচারণায় বলা হয়েছিল ট্রানজিট দিলে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে। সে নাম করে এখন এগিয়ে চলা সিকিম বানানোর ষড়যন্ত্র জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।
বিশ্বখ্যাত ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনের পর এ সরকারের লজ্জা থাকলে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে সরকারের বাইরে থাকা সব রাজনৈতিক দল বলতো ভারতের সহায়তায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু এবার বিশ্বখ্যাত এ পত্রিকার তথ্যভিত্তিক রিপোর্ট প্রকাশের পর বিষয়টি বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। একটি অবৈধ সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায়। এ ধরনের স্টেটমেন্ট একটি সরকারের অস্তিত্বের ওপর আঘাত উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি এটা সত্য না হয় তাহলে মহাজোটের সরকার কেন এ বিষয়ে নিশ্চুপ আছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাসিমাখা মুখ কেন এর আনুষ্ঠানকি প্রতিবাদ জানাতে পারছে না। শুধু প্রতিবাদ নয়, এটা মিথ্যা হলে তারা আন্তর্জাতিক আদালতে মামলাও করতে পারে। সেটা যেহেতু করছে না, সেহেতু এটা প্রমাণিত এ সরকার জনগণের সরকার নয়।
আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে দেশকে বন্ধুহীন করা হয়েছে। মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের গড়ে যাওয়া সম্পর্ক বাদ দিয়ে দেশের স্বার্থ যেখানেই যাক না কেন, যে ওয়াদাগুলো দিয়ে এসেছে, তা বাস্তবায়নের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে সরকার। মধ্যপ্রাচ্য থেকে হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে ফিরে এসেছেন। একজন মানুষের সঙ্গে কমপক্ষে একটি পরিবার জড়িত। তারা এখন না খেয়ে থাকছেন।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যর্থতা নিয়ে ব্যবসায়ীদের কোনো প্রতিবাদী ভূমিকা না থাকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক স্থবিরতায় দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন। কিন্তু এফবিসিসিআই নেতারা সরকার তোয়াজে ব্যস্ত। কথা বলার আগেই এসব রাজনীতির ছদ্মাবরণের ব্যবসায়ীরা বিরোধী দলের রাজনীতির ওপর দোষ চাপাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা সরকারের সুরে কথা বলছে। ব্যবসায়ীরা সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে দূরত্ব কমাতে সহায়তা করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেটা এখনকার ব্যবসায়ী নেতৃত্ব করছে না। এফবিসিসিআই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। এটা কাম্য নয়। দেশ ও অর্থনৈতিক স্বার্থে কথা না বলে তারা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ৭-এর ক ও খ অনুচ্ছেদ দ্বারা তারা মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। আবার কিছু বিষয় আর কখনও পরিবর্তন করা যাবে না বলে একটি ক্লজ করা হয়েছে। এটা কোনো গণমুখী সরকার করতে পারে না। মানুষের প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন হয়। ওই আইন ও গণতন্ত্র একসঙ্গে থাকতে পারে না।
সরকার পরিকল্পিতভাবেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছে অভিযোগ করে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব রহমাতুল্লাহ বলেন, এজন্য তাদের আয়োজিত সংলাপে তিন শ্রেণীর লোকজন অংশ নিয়েছিলেন। এর কোনো অংশের বক্তব্যই তারা গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের দুই ভাগ মানুষও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল সিদ্ধান্তের পক্ষে নয়। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও তত্ত্বাধায়ক সরকার বাতিলের সিদ্ধান্ত মানছে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইতিহাস রক্তমাখা ইতিহাস। এজন্য আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দলের নেতারা প্রাণ দিয়েছেন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা এক পাশে নিজামী, আরেক পাশে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে নিয়ে আন্দোলন করে বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রণয়নে বাধ্য করেছিলেন। আর এখন সুপ্রিমকোর্টের রায়ের কথা বলে সংবিধান থেকে এ ব্যবস্থা তুলে দিলেন এই শেখ হাসিনাই। মজার বিষয় হলো, তিনি যখন এই মিথ্যা অজুহাত দিচ্ছিলেন তখনও সুপ্রিমকোর্টে এই জাজমেন্টের রায় লেখা হয়নি। সুপ্রিমকোর্টের রায় নিয়ে সরকার প্রধানের এই মিথ্যাচার জাতির জন্য লজ্জাজনক।
নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাবকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিহিত করে আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান সরকারের নির্দেশেই চলছে। শক্তিশালী করার কথা বলে দলীয় লোকই সেখানে বসানো হবে, যেভাবে উচ্চ আদালতে বসানো হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার চায়নি বলেই ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন তারা করতে পারছে না। ইভিএম সম্পর্কে আগে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রী পরিষদে সিদ্ধান্ত নেয়ার পর নির্বাচন কমিশনে আলোচনা শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করে নির্বাচন করার পরিবেশ এখনও বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়নি। এজন্য রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত ও মানসিকভাবে দীর্ঘ প্রস্তুতির বিষয় আছে।

Leave a Reply

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Alertpay

You can replace this text by going to "Layout" and then "Page Elements" section. Edit " About "

সরাসরি চ্যাট করার জন্য পেজ এর নিচে যান

a

ইংরেজী বিজয় ফনেটিক অভ্র ফনেটিক ইউনিজয়

Widget by: Bangla Hacks

b

পত্রিকায় প্রকাশিত চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি 
2 June 2010

এখানে ক্লিক করুন ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করুন।

WELL-COME TO BD ADDA(বিনামূল্যে ওয়েব সাইড তৈরির জন্য যোগাযোগ করুনঃ- ওয়েব ডেভোলাপার- মোঃ শফিকুর রহমান, মোবাইল নং-8801812465879)