About

ABC Radio

Blogger news

যোগাযোগমন্ত্রীর দাবি ঠিক নয় : রাস্তার গর্তে চলতে পারছে না গাড়ি


যোগাযোগমন্ত্রীর দাবি ঠিক নয় : রাস্তার গর্তে চলতে পারছে না গাড়ি, এতো গর্ত নয় যেন খাল।

স্টাফ রিপোর্টার
একটি বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান। বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায়। তিনি গ্রাম থেকে আসার পর গত ৮ বছরে কখনও ঢাকায় ঈদ করেননি। কিন্তু এবার ঢাকাতেই ঈদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জানালেন, সড়কের যা অবস্থা তাতে ঈদে বাড়িতে যাওয়া সম্ভব নয়।
মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর ও পাথরঘাটা এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনও সড়কগুলোতে রয়েছে বড় বড় গর্ত। মঠবাড়িয়া থেকে ঝাউতলা পর্যন্ত সড়কে হাজার হাজার গর্তের কারণে গাড়ি চলতে পারে না। অন্যত্রও সড়কের বেহাল দশায় গাড়ি চলতে হয় হেলেদুলে। ফলে নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
গতকাল যাত্রাবাড়ি থেকে ধোলাইরপাড়, জুরাইন, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, ফতুল্লা ও পঞ্চবটি মুক্তারপুর সড়কে দেখা গেছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। জুরাইন রেল ক্রসিং এলাকায় কিছু গর্তে ইট ফেলা হলেও সেগুলো গাড়ির চাকার সঙ্গে বালুতে মিশে গেছে। পোস্তগোলা বাস-ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকায় এবং আলম মার্কেট এলাকায় বড় বড় গর্ত দেখা গেছে। এসব গর্তে পড়ে মুন্সীগঞ্জ মুক্তারপুরের গাড়িগুলো চলতে ভীষণ সমস্যা হচ্ছে।
যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে কুমিল্লায় সাংবাদিকদের বলেন, দেশের কোনো সড়ক-মহাসড়কে এখন আর গর্ত নেই। কিন্তু গতকালই মন্ত্রীর গাড়ি সড়কের গর্ত দিয়ে যাওয়ার সচিত্র প্রতিবেদন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বাইপাস থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট সড়কটি খানাখন্দের কারণে গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ভারতীয় ট্রানজিটের গাড়ি চলার কারণে সড়কটিতে খানাখন্দ হয়েছে বেশি।
এখনও পঙ্গুদশা কাটেনি ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কিছু এলাকায় আধলা ইট ফেলে গর্ত মেরামত করা হলেও এখনও মাওনা, রাজেন্দ্রপুর, ন্যাশনাল পার্ক ও ভালুকা এলাকায় অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত আছে বলে জানান বাস চালকরা। ময়মনসিংহ সড়কের ফিডার সড়কগুলোর অবস্থা আরও নাজুক। পিরুজালী, রাজেন্দ্রপুর, বাঘের বাজার ও মাওনা এলাকায় দেখা গেছে মহাসড়কের ফিডার সড়কগুলো খানাখন্দ অবস্থায় পড়ে আছে। ওইসব সড়কের একটি গর্তও মেরামত করেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
রাজধানীর অদূরে টঙ্গী পৌরসভা এলাকার সবক’টি সড়কের বেহাল দশা। পৌরসভার প্রতিটি সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের মুন্সিরহাট-বাঙড্ডা সড়কের বেহাল অবস্থা। নেত্রকোনার আটপাড়া-বারহাট্টা, বাগেরহাট-মংলা সড়কের অবস্থাও বেহাল।
দেশজুড়ে সড়ক-মহাসড়কে বেহাল দশার কারণে সড়কপথে ঘরমুখো মানুষ পড়ছেন নানা বিড়ম্বনায়। নগরীর গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালে এখনও ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়েনি। মানুষের চাপ বেড়েছে রেলপথ ও নৌপথে। সড়কপথে বাস কোম্পানিগুলোর চালক-মালিকরা বলছেন, রাস্তায় খানাখন্দের কারণে যাত্রীদের যেমন কষ্ট হচ্ছে, তেমনি বাস চালাতে দেরি হওয়ায় অনেক বেশি সময় লাগছে।
বেসরকারি পরিবহন সংস্থা গ্রীন লাইনের কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাভেদ বলছিলেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়া-আসা করতে সাত ঘণ্টা লাগার কথা, কিন্তু এখন লাগছে অনেক বেশি। কোনো কোনো দিন ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টাও লেগে যায়। কক্সবাজারে আসা-যাওয়ার সময় লাগছে আরও বেশি। এ সবই হচ্ছে রাস্তার বেহাল দশার কারণে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের সব রুটেই যোগাযোগের একই অবস্থা বলে জানান শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার মন্টু ঘোষ। তিনি বলেন, বর্ষাকাল হওয়ায় কোনো কোনো জায়গায় ইট-সুরকি দিয়ে সাময়িকভাবে রাস্তার খানাখন্দ বন্ধ করা হলেও এতে কোনো লাভ হচ্ছে না। ফলে তাদের ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়। তবে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বলেছেন, সারাদেশের রাস্তায় খানাখন্দ ভরাট করা হয়েছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিচ্ছিন্ন মঠবাড়িয়া-পিরোজপুর সড়ক যোগাযোগ : মঠবাড়িয়া থেকে আমাদের প্রতিনিধি হারুন অর রশিদ জানান, খানাখন্দে ভরা সড়কের কারণে মঠবাড়িয়ার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ মঠবাড়িয়া-পিরোজপুর, খুলনা, বরিশাল নিয়ে ১২টি রুটে বাস চলাচল প্রায় বন্ধ থাকায় যাত্রীদের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। গত কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণে সড়কটির ইকরি, ঝাউতলা, সাফা, মুছল্লীবাড়ি, মাদার্সী নামক স্থানে রাস্তায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় সড়কটিতে বাস-ট্রাকসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মঠবাড়িয়া হানিফ পরিবহনের কাউন্টারম্যান মাসুম বিল্লাহ জানান, সড়কের খানাখন্দে আটকে গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে যাওয়ায় পরিবহন মালিকরা তাদের গাড়ি মঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটা আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল আমিন বলেন, সড়ক মেরামতের কার্যাদেশ সিলেটের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে হলেও কাজ করবেন স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদার। কাজ শুরুর জন্য এ যাবত সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের তিন দফা চিঠি দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সবুজপাতা প্রকল্পের আওতায় এ সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করে চরখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা ৪৯ কিলোমিটার সড়কের জন্য ২১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, যা টেন্ডারের অপেক্ষায় রয়েছে।

Leave a Reply

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Alertpay

You can replace this text by going to "Layout" and then "Page Elements" section. Edit " About "

সরাসরি চ্যাট করার জন্য পেজ এর নিচে যান

a

ইংরেজী বিজয় ফনেটিক অভ্র ফনেটিক ইউনিজয়

Widget by: Bangla Hacks

b

পত্রিকায় প্রকাশিত চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি 
2 June 2010

এখানে ক্লিক করুন ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করুন।

WELL-COME TO BD ADDA(বিনামূল্যে ওয়েব সাইড তৈরির জন্য যোগাযোগ করুনঃ- ওয়েব ডেভোলাপার- মোঃ শফিকুর রহমান, মোবাইল নং-8801812465879)