সৌদি আরবের কাহিনী | |
বাংলাদেশের এক অশিক্ষিত লোক কাজের জন্য গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। সেখানে বছর পাঁচেক কাজ করার পর দেশে এসে বন্ধুর কাছে গল্প করছে।
বুঝলি দোস্ত সৌদি আরবে সব্বাই আরবীতে কথা কয় আমি তার কিচ্ছু বুঝতে পারি না শুধু মসজিদের মোয়াজ্জিনই আজানের সময় একটু বাংলা কয়
ডাক্তার ও রোগী | |
ডাক্তার: সব ঠিক আছে, চিন্তার কিছু নেই। এখন থেকে রোজ বেশি করে ফল খাবেন। তবে বিশেষ করে ফলের খোসাতেই বেশি ভিটামিন, জানেন তো? তা আপনার কোন ফল বেশি প্রিয়?
রোগী: আজ্ঞে, নারকেল। |
|
সবচেয়ে মজাদার মিথ্যা | |
: কী নিয়ে রাস্তায় ঝগড়া করছ তোমরা?
: একটা কুকুর ছানা নিয়ে, স্যার। আমরা স্থির করেছি, যে সবচেয়ে মজাদার মিথ্যা বলতে পারবে, কুকুর ছানাটা তারই হবে।
: বলিস কী! তোদের মতো বয়সে মিথ্যা কাকে বলে তো আমরা জানতামই না।
: তা হলে কুকুর ছানাটা আপনিই পেলেন, স্যার।
ছাত্র ও শিক্ষক | |
শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে কথোপকথন
শিক্ষক: আচ্ছা বলতো,,, তোমাদের যদি টাকা ও বুদ্ধির মধ্যে যে কোন একটি নিতে বলা হয়, তোমরা কোনটি নিবে?
ছাত্রঃ টাকা স্যার!
শিক্ষকঃ আমি হলে কিন্তু বুদ্ধিটাই নিতাম।
ছাত্রঃ আসলে যার যেটা অভাব স্যার!!!!! |
|
ঘাড় ধরে......... | |
জেল অফিসারঃ জেলখানার ভেতর যারা আছে তারা সবাই ভীষন দুর্দান্ত চরিত্রের মানুষ। তুমি কন্ট্রোল করতে পারবেতো ?
চাকরি প্রার্থীঃ পারবনা মানে, বেশি তেড়িবেড়ি করলে ঘাড় ধরে বের করে দেব। |
|
যে স্ট্যাটাস কেউ লেখে না | |
এইমাত্র হাই তুললাম কিংবা এখন বাথরুমে যাচ্ছি—এই জাতীয় কথাও আজকাল ফেসবুকের স্ট্যাটাস হিসেবে লেখা হচ্ছে। তবে কথা কেউ কখনো স্ট্যাটাস হিসেবে লেখে না।
আবির শাহরিয়ার, আজ স্যার আমাকে সবার সামনে কান ধরে উঠ-বস করালেন।
15 seconds ago . Comment . Like
ইকবাল আখতার সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় একসঙ্গে দুই সিঁড়ি ডিঙাতে গিয়ে আজ নতুন প্যান্টটার অবস্থা বেগতিক করে ফেললেন।
20 seconds ago . Comment . Like
আমিন খন্দকার, আজকের ঝোড়ো হাওয়ায় আমার মাথার পরচুলা উড়ে গিয়েছিল।
55 seconds ago . Comment . Like
আওরঙ্গজেব, আজ আমার এক বন্ধুর বিয়েতে যাচ্ছি। যে শার্ট-প্যান্ট পরে যাচ্ছি, সেগুলো আমার আরেক বন্ধুর। বেল্টটাও…।
15 minutes ago . Comment . Like
সোহেল খান, আমার বউ আগামীকাল বাপের বাড়ি যাবে। আমি তখন পারভীনের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাব।
35 minutes ago . Comment . Like
জয়দেব পলাশ, পাবলিক বাসে ভাড়া না দিয়েও বলেছিলাম দিয়েছি। শেষে ধরা পড়তে হলো এবং বাস থেকে আমাকে মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হলো।
47 minutes ago . Comment . Like
সোহাগ রহমান, গতকাল এক দোকান থেকে বেশ দামি একজোড়া জুতা চুরি করেছিলাম। কিন্তু সেই দৃশ্য সিসি টিভিতে ধরা পড়ায় এখন নাকি আমাকে খোঁজা হচ্ছে।
49 minutes ago . Comment . Like
সুনীল রায়, আজ আমার প্রেমিকার বিয়ে ছিল। বিয়েতে খুব মজা করলাম।
59 minutes ago . Comment . Like
রবিউল ইসলাম, আজ আব্বার আলমারি খুলে টাকা নেওয়ার সময় ধরা খেয়েছি এবং আমাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
5 hours ago . Comment . Like
রুবেল আরমান, উল্টাপাল্টা কমেন্ট করার অপরাধে বেশ কজন আমাকে তাদের ফ্রেন্ড-লিস্ট থেকে বের করে দিয়েছে।
15 hours ago . Comment . Like
পল্লব বণিক, আজ আমার পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। আমি ছাড়া সবাই পাস করেছে।
22 hours ago . Comment . Like
আশুতোষ কর্মকার, গত মেলায় প্রকাশিত আমার বইটি মোট চার কপি বিক্রি হয়েছিল। শুনেছি প্রকাশক নাকি তার মোবাইল ফোন থেকে আমার নম্বর ডিলিট করে দিয়েছে।
25 hours ago . Comment . Like
রতন চৌধুরী, স্টলে দাঁড়িয়ে উঁকিঝুঁকি মেরেই আজকের পত্রিকার হেড লাইনগুলো পড়ে চলে এসেছি।
31 hours ago . Comment . Like
আমির হোসেন, রোদে আমার গায়ের রং আরও কালো হয়ে গেছে। গতকাল পাশের বাড়ির দুটো বাচ্চা আমাকে দেখে ভূত ভূত বলে চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।
42 hours ago . Comment . Like
শামসুল হক, সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম। থার্ড ক্লাসের টিকিট কেটে ফার্স্ট ক্লাসে বসার অপরাধে শো শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগেই আমাকে হল থেকে বের করে দিয়েছে।
47 hours ago . Comment . Like
শহীদুল হক, আমি আজকাল ইন করে জামা পরছি। কারণ আমার শার্টের নিচের দিকের বোতাম নেই।
55 hours ago . Comment . Like
ভাত খাও, বুদ্ধি হবে | |
রেলগাড়ির কামরায় উঠল এক বাংলাদেশি। তার সঙ্গে বিশাল বোঝা। বোঝাটা ওঠানোর দরকার ওপরের তাকে।
কিন্তু তার গায়ে জোর কম, সে কিছুতেই নিজের ঘাড়ের ওপর বোঝাটা তুলতে পারছে না।
এগিয়ে এল এক পাকিস্তানি। বোঝাটা এক ঝটকায় তুলে দিল তাকের ওপর।
তারপর বাংলাদেশিকে বলল, ‘রুটি খাও, গায়ে জোর হবে।’
বাংলাদেশি খানিক পর রেলগাড়ির চেইন টানার চেষ্টা করতে লাগল।
কিন্তু তার ভাবখানা এমন, কিছুতেই সে চেইন টেনে জুত করতে পারছে না।
তার সাহায্যে এগিয়ে এল পাকিস্তানিটি। চলন্ত ট্রেনের চেইনটা টেনে দিল সে এবং আবারও বলল, ‘রুটি খাও, গায়ে বল হবে।’
ততক্ষণে রেলপুলিশ এসে হাজির। ‘কে চেইন টেনেছে? দাও, ২০০ টাকা জরিমানা।’
বেচারা পাকিস্তানি অর্থদণ্ড দিতে বাধ্য হলো। তখন বাংলাদেশি বলল,
‘ভাত খাও, বুদ্ধি হবে।’ |
|
ভাত খাও, বুদ্ধি হবে | |
রেলগাড়ির কামরায় উঠল এক বাংলাদেশি। তার সঙ্গে বিশাল বোঝা। বোঝাটা ওঠানোর দরকার ওপরের তাকে।
কিন্তু তার গায়ে জোর কম, সে কিছুতেই নিজের ঘাড়ের ওপর বোঝাটা তুলতে পারছে না।
এগিয়ে এল এক পাকিস্তানি। বোঝাটা এক ঝটকায় তুলে দিল তাকের ওপর।
তারপর বাংলাদেশিকে বলল, ‘রুটি খাও, গায়ে জোর হবে।’
বাংলাদেশি খানিক পর রেলগাড়ির চেইন টানার চেষ্টা করতে লাগল।
কিন্তু তার ভাবখানা এমন, কিছুতেই সে চেইন টেনে জুত করতে পারছে না।
তার সাহায্যে এগিয়ে এল পাকিস্তানিটি। চলন্ত ট্রেনের চেইনটা টেনে দিল সে এবং আবারও বলল, ‘রুটি খাও, গায়ে বল হবে।’
ততক্ষণে রেলপুলিশ এসে হাজির। ‘কে চেইন টেনেছে? দাও, ২০০ টাকা জরিমানা।’
বেচারা পাকিস্তানি অর্থদণ্ড দিতে বাধ্য হলো। তখন বাংলাদেশি বলল,
‘ভাত খাও, বুদ্ধি হবে।’
গোপাল ভাঁড়ের শ্বশুরবাড়ি যাওয়া | |
গোপাল যাচ্ছে শ্বশুরবাড়ি। মাথার ওপর গনগনে সূর্য। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গোপাল এক গাছের নিচে বিশ্রাম নিতে বসল। বেশি গরম লাগায় ফতুয়াটা খুলে পাশে রেখে একটু আয়েশ করে বসল। বসে বিশ্রাম নিতে নিতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ল, নিজেই জানে না।
ঘুম যখন ভাঙল গোপাল দেখে, তার ফতুয়াটা চুরি হয়ে গেছে। হায় হায়! এখন কী হবে! খালি গায়ে তো আর শ্বশুরবাড়ি ওঠা যায় না। কী আর করা। সে হাঁটতে হাঁটতে মনে মনে বলতে লাগল, ‘হে ভগবান, রাস্তায় অন্তত ১০টি মুদ্রা যেন কুড়িয়ে পাই, তাহলে পাঁচ মুদ্রায় আমার জন্য একটা ভালো ফতুয়া কিনতে পারি। আর তোমার জন্য পাঁচটি মুদ্রা মন্দিরে দান করতে পারি···।’ আর কী আশ্চর্য! ভাবতে ভাবতেই দেখে, রাস্তার ধারে কয়েকটি মুদ্রা পড়ে আছে। খুশি হয়ে উঠল গোপাল, গুনে দেখে পাঁচটি মুদ্রা! গোপাল স্বগত বলে উঠল, ‘হে ভগবান, আমাকে তোমার বিশ্বাস হলো না, নিজের ভাগটা আগেই রেখে দিলে? |
|
নতুন বৌ এর সাথে ঝামেলা | |
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাক্ বিতন্ডা হওয়ার পর এক বন্ধু এসেছে আরেক বন্ধুর কাছে।
প্রথম বন্ধুঃ দোস্ত বড্ড একটা ঝালেমার মধ্যে আছি।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ কেন দোস্ত, তোর আবার কি হলো? মাত্র কয়দিন আগেই তো বিয়ে করলি। এর মধ্যে আবার কি ঝামেলা হলো?
প্রথম বন্ধুঃ সারাদিন অফিস করে বাসায় ফেরা মাত্রই সে এসে শুধু টাকা টাকা করে। প্রত্যেকটা দিনই এক অবস্থা। আর পারি না দোস্ত।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ তা তোর বউ এত টাকা দিয়ে করেটা কি?
প্রথম বন্ধুঃ সে কি করে, কেমনে বলবো? আমি কি ওকে কখনও টাকা দিয়েছি নাকি?
হুজুর নামাজ তো তিন রাকাত পড়া হয়েছে:( :( :( :( | |
এক মুদি দোকানদার তার কাজকর্ম সেরে তাড়াহুড়ো করে আসরের নামাজের জন্য মসজিদে প্রবেশ করলেন।
তিনি মসজিদে প্রবেশ করামাত্রই নামাজ আরম্ভ হলো। যথারীতি নামাজ শেষ করে সালাম ফিরলেন ইমাম সাহেব। সালাম ফিরামাত্রই মুদি দোকানদারটি ইমাম সাহেবকে বলছেন হুজুর আপনি তো তিন রাকাত নামাজ আদায় করেছেন।
ইমাম সাহেব একটু দ্বিধান্বিত হয়ে পুনরায় আসরের নামাজ আরম্ভ করলেন। নামাজ শেষে ইমাম সাহেবের মনে হলো লোকটি আসলেই একটি খাঁটি নামাজী তা নাহলে এরকম একটা ভুল ধরতে পারলেন কি করে। নামাজ শেষে তিনি তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কিভাবে মনে করলেন যে নামাজ তিন রাকাত পড়া হয়েছে?
লোকটি তখন উত্তর দিলেন, প্রত্যেক দিন আমি আসরের নামাজের সময় আমার চারটি মুদি দোকানের লাভ ক্ষতি হিসাব করি কিন্তু আজকে দেখি তিনটি দোকানের হিসাব শেষ করতেই নামাজ শেষ হয়ে গেল। তখন আমার সন্দেহ হলো যে নামাজে ভুল হয়েছে।
চিঠি লেখা এবং পায়ে ব্যথা | |
একদিন এক প্রতিবেশী গোপাল ভাঁড়ের কাছে এসে :
‘আমাকে একটা চিঠি লিখে দাও।’
‘আমি চিঠি লিখতে পারবো না, আমার পায়ে ব্যথা।’
প্রতিবেশী আশ্চর্য হয়ে বললো, ‘চিঠি তো লিখবে হাত দিয়ে, পায়ে ব্যথা তাতে কী হয়েছে?’
‘কারণ আমি অতোদূর হেঁটে যেতে পারবো না।’
‘অতোদূর হাঁটতে পারবে না মানে?’
‘মানে আমার লেখা চিঠি আমি ছাড়া আর কেউ পড়তে পারবে না। আমার হাতের লেখা খুব খারাপ তো। যাকে চিঠি পাঠাবে, তাকে তো আমাকেই পড়ে দিয়ে আসতে হবে, তাই না? পায়ে ব্যথা নিয়ে যাবো কিভাবে? |
|
|
|
|
মিসরীয় কৌতুক: সাইদীর টিভি কেনা | |
[মিসরীয় কৌতুকের একটি বড় অংশ সাইদীদেরকে নিয়ে। দক্ষিণ মিসর বা আপার ইজিপ্টের অধিবাসীদের সাইদী বলে। তারা লম্বা আলখেল্লা (ওরা বলে গ্যালাবাইয়া, শুদ্ধ আবরীতে জাল্লাবিইয়া) আর মাথায় পাগড়ী পরে। তাদের গায়ের রং কিছুটা কালোর দিকে। তাদের আরবী উচ্চারণও কায়রোর অধিবাসীদের থেকে কিছুটা ভিন্ন।]
একজন সাইদী একটি দোকানে গিয়ে সেলসগার্লকে বললো, 'এই টিভিটার দাম কতো?'
সুন্দরী সেলসগার্ল গালে টোল ফেলে হেসে বললো, 'আমরা সাইদীর কাছে কিছু বিক্রি করি না।'
সাইদীর রোখ চেপে গেলো। সে ঠিক করলো এই দোকান থেকে টিভি সে কিনেই ছাড়বে।
কয়েকদিন পর সে আবার এলো দোকানে। লম্বা আলখেল্লা আর মাথার পাগড়ী ছেড়ে এবার সে নিয়েছে পুরোদস্তুর শহুরে বেশ। ভারিক্কি গলায় শহুরে স্টাইলে বললো, 'এই টিভিটার দাম কতো?'
মেয়েটি আগের মতই বললো, 'আমরা সাইদীর কাছে কিছু বিক্রি করি না।'
সাইদীর যেমন রাগ হলো, তেমনি রোখও চেপে গেলো। এই দোকান থেকে টিভি সে কিনেই ছাড়বে।
এবার আরো কিছুদিন পরে সে আবার গেলো দোকানটিতে। এবার সে নিয়েছে মহিলার বেশ। আপাদ-মস্তক বোরকায় ঢাকা থাকায় ছদ্মবেশ নিতে তার কোন সমস্যা হলো না। রক্ষণশীল মহিলাদের মত হাতে পায়ে পরেছে কালো মোজা। ছদ্মবেশে সাইদী কোন ত্রুটি রাখে নি। আগের মেয়েটির কাছে না গিয়ে এবার সে গেলো এক তরুণ সেলসম্যানের কাছে। মেয়েলি গলায় ও ঢঙ্গে বললো, 'মিন ফাদলাক (প্লিজ), এই টিভিটার দাম কত? আমি এটি কিনতে চাই।'
সেলসম্যান হেসে বললো, 'আমরা সাইদীর কাছে কিছু বিক্রি করি না।'
এবার সাইদীর রাগের বদলে কৌতুহল হল অনেক বেশী। সে যে সাইদী তা গোপন করার জন্য কতকিছু করলো, কিন্তু দোকানী ঠিকই ধরে ফেললো। কিভাবে সম্ভব?
কৌতুহল চাপতে না পেরে সে ছদ্মবেশ খুলে বললো, �এই টিভিটা কেনার জন্য আমি প্রায় মাসখানেক ধরে কতভাবে চেষ্টা করছি। প্রতিবার আপনারা বলছেন, আপনারা সাইদীর কাছে টিভি বিক্রি করেন না। আমি যে সাইদী তা আপনারা প্রতিবারই কিভাবে ধরে ফেললেন?�
সেলসম্যান জবাব দিলো, 'আপনি যেটাকে টিভি বলছেন, আসলে সেটি টিভি নয়, মাইক্রোওভেন। |
|
|
|