নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার সমর্থন মেনে নেয়া যায় না : ইরান
রয়টার্স
ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে জাতিসংঘের খসড়া প্রস্তাবে রাশিয়া সমর্থন দেয়ায় স্নায়ুযুদ্ধের পর এবারই প্রথম দুই দেশের সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।
বিতর্কিত পরমাণু প্রকল্পের কারণে ইরানের ওপর চতুর্থ দফা জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবে দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর দুই মিত্র দেশ রাশিয়া ও চীন সমর্থন দিয়েছে বলে ওয়াশিংটনের ঘোষণায় দুই দেশের সরকারপ্রধানদের এ বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার রাশিয়ার কড়া সমালোচনা করে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ যুক্তরাষ্ট্রের চাপে জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে অভিযোগ করে ক্রেমলিনের তিরস্কার করেন। সেইসঙ্গে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভকে আরও সতর্ক হওয়ার জন্য হুশিয়ার করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট হলে আমি এ রকম মহান একটি জাতির (ইরান) বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতাম। আমি আরও চিন্তাভাবনা করতাম।’
যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সমর্থন গ্রহণযোগ্য নয় জানিয়ে তিনি বলেন, তেহরানের শত্রু হিসেবে দেখা দেয়ার আগে মস্কোর এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ক্রেমলিনের শীর্ষ পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টা সের্গেই প্রিকোদকো আহমাদিনেজাদের অভিযোগ নাকচ করে এ ধরনের আবেগতাড়িত রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া থেকে তাকে বিরত থাকতে বলেন।
এক বিবৃতিতে সের্গেই বলেন, ‘আবেগতাড়িত রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কেউ কখনও তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারেনি। ইরানের হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাসই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ বলে আমি মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রুশ ফেডারেশন তার দীর্ঘমেয়াদি রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনা করে। আমাদের অবস্থান নিজস্ব। দেশের সব নাগরিকের স্বার্থ বিবেচনা করায় রাশিয়া আমেরিকা ও ইরান কারোরই সমর্থক হতে পারে না।’
গত সপ্তাহে চীন ও রাশিয়া ইরানের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এর মাত্র ঘণ্টাকয়েক আগেই ইরান তার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রথমবারের মতো বিদেশে পাঠাতে রাজি হয়। কিন্তু ওয়াশিংটন ঘোষণা দেয়, জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের সব সদস্যই ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের খসড়া প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে। ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী জোর কূটনৈতিক তত্পরতা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির আড়ালে পরমাণু বোমা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান বলছে, তাদের এ কর্মসূচি কেবলই জনকল্যাণে নিবেদিত।
নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার সমর্থন মেনে নেয়া যায় না : ইরান
রয়টার্স
ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে জাতিসংঘের খসড়া প্রস্তাবে রাশিয়া সমর্থন দেয়ায় স্নায়ুযুদ্ধের পর এবারই প্রথম দুই দেশের সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।
বিতর্কিত পরমাণু প্রকল্পের কারণে ইরানের ওপর চতুর্থ দফা জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবে দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর দুই মিত্র দেশ রাশিয়া ও চীন সমর্থন দিয়েছে বলে ওয়াশিংটনের ঘোষণায় দুই দেশের সরকারপ্রধানদের এ বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার রাশিয়ার কড়া সমালোচনা করে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ যুক্তরাষ্ট্রের চাপে জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে অভিযোগ করে ক্রেমলিনের তিরস্কার করেন। সেইসঙ্গে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভকে আরও সতর্ক হওয়ার জন্য হুশিয়ার করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট হলে আমি এ রকম মহান একটি জাতির (ইরান) বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতাম। আমি আরও চিন্তাভাবনা করতাম।’
যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সমর্থন গ্রহণযোগ্য নয় জানিয়ে তিনি বলেন, তেহরানের শত্রু হিসেবে দেখা দেয়ার আগে মস্কোর এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ক্রেমলিনের শীর্ষ পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টা সের্গেই প্রিকোদকো আহমাদিনেজাদের অভিযোগ নাকচ করে এ ধরনের আবেগতাড়িত রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া থেকে তাকে বিরত থাকতে বলেন।
এক বিবৃতিতে সের্গেই বলেন, ‘আবেগতাড়িত রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কেউ কখনও তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারেনি। ইরানের হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাসই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ বলে আমি মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রুশ ফেডারেশন তার দীর্ঘমেয়াদি রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনা করে। আমাদের অবস্থান নিজস্ব। দেশের সব নাগরিকের স্বার্থ বিবেচনা করায় রাশিয়া আমেরিকা ও ইরান কারোরই সমর্থক হতে পারে না।’
গত সপ্তাহে চীন ও রাশিয়া ইরানের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এর মাত্র ঘণ্টাকয়েক আগেই ইরান তার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রথমবারের মতো বিদেশে পাঠাতে রাজি হয়। কিন্তু ওয়াশিংটন ঘোষণা দেয়, জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের সব সদস্যই ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের খসড়া প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে। ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী জোর কূটনৈতিক তত্পরতা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির আড়ালে পরমাণু বোমা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান বলছে, তাদের এ কর্মসূচি কেবলই জনকল্যাণে নিবেদিত।
বিতর্কিত পরমাণু প্রকল্পের কারণে ইরানের ওপর চতুর্থ দফা জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবে দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর দুই মিত্র দেশ রাশিয়া ও চীন সমর্থন দিয়েছে বলে ওয়াশিংটনের ঘোষণায় দুই দেশের সরকারপ্রধানদের এ বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার রাশিয়ার কড়া সমালোচনা করে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ যুক্তরাষ্ট্রের চাপে জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে অভিযোগ করে ক্রেমলিনের তিরস্কার করেন। সেইসঙ্গে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভকে আরও সতর্ক হওয়ার জন্য হুশিয়ার করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট হলে আমি এ রকম মহান একটি জাতির (ইরান) বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতাম। আমি আরও চিন্তাভাবনা করতাম।’
যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সমর্থন গ্রহণযোগ্য নয় জানিয়ে তিনি বলেন, তেহরানের শত্রু হিসেবে দেখা দেয়ার আগে মস্কোর এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ক্রেমলিনের শীর্ষ পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টা সের্গেই প্রিকোদকো আহমাদিনেজাদের অভিযোগ নাকচ করে এ ধরনের আবেগতাড়িত রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া থেকে তাকে বিরত থাকতে বলেন।
এক বিবৃতিতে সের্গেই বলেন, ‘আবেগতাড়িত রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কেউ কখনও তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারেনি। ইরানের হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাসই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ বলে আমি মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রুশ ফেডারেশন তার দীর্ঘমেয়াদি রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনা করে। আমাদের অবস্থান নিজস্ব। দেশের সব নাগরিকের স্বার্থ বিবেচনা করায় রাশিয়া আমেরিকা ও ইরান কারোরই সমর্থক হতে পারে না।’
গত সপ্তাহে চীন ও রাশিয়া ইরানের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এর মাত্র ঘণ্টাকয়েক আগেই ইরান তার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রথমবারের মতো বিদেশে পাঠাতে রাজি হয়। কিন্তু ওয়াশিংটন ঘোষণা দেয়, জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের সব সদস্যই ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের খসড়া প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে। ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী জোর কূটনৈতিক তত্পরতা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির আড়ালে পরমাণু বোমা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান বলছে, তাদের এ কর্মসূচি কেবলই জনকল্যাণে নিবেদিত।