সাভারে দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠাল বাগান করছেন অনেকেই। যেদিকে চোখ যায় দেখা মেলবে কাঁঠাল বাগানের। কোথাও গাছের নিচ থেকে আবার কোথাও মাঝখান থেকে মগডাল পর্যন্ত কাঁঠালের সারি। এমন দৃশ্য এখন সাভারের প্রায় সর্বত্র।
পাকা কাঁঠাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। ছোট-বড় মিলিয়ে ২০ স্থানে গড়ে উঠেছে কাঁঠালের পাইকারি বাজার। এখানকার কাঁঠাল ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে নিয়ে যান পাইকাররা। লালমাটির সাভার, ধামরাইয়ের উঁচু-নিচু টিলাভূমিতে মিষ্টি সুস্বাদু কাঁঠাল জন্মে। বহু বছর আগ থেকে এখানকার গৃহস্থরা কাঁঠাল বাগান করে আসছেন। কাঁঠাল বাগানে তেমন যত্ন নিতে হয় না। যত্ন-আত্তি
ছাড়াই কাঁঠালের ভালো ফলন পাওয়া যায়। সাভার উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইয়ারপুর, আশুলিয়া, বিরুলিয়া, সাদাপুরসহ বেশ কিছু স্থানে অনেক বৃত্তশালী গৃহস্থ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাঁঠাল চাষ করছেন। পাঁচ-দশ একর জমিতে কাঁঠাল বাগান অনেক গৃহস্থেরই রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাঁঠাল বাগান গড়ে তুলেছে। প্রতিবছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিএলআরআই), কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন কেন্দ্র (ডেইরি ফার্ম), রাজালাখ হর্টিকালচার সেন্টার, সামরিক খামারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং কেউ কেউ মাইকিং করে কাঁঠাল বিক্রির টেন্ডার আহ্বান করে থাকেন।
প্রতিবছর বৈশাখের মাঝামাঝি থেকেই সাভারের হাটবাজারগুলো কাঁঠালে সয়লাব হয়ে যায়। এ বছর কাঁঠাল বাজারে আসতে অন্য বছরের চেয়ে একটু দেরি হচ্ছে বলে জানান সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাইকারি কাঁঠাল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নজু। তিনি জানান, কালিয়াকৈর, আশুলিয়া, সাদাপুর, গেণ্ডা, ইয়ারপুর, নয়ারহাট, নবীনগর, বাইপাইল, শিমুলিয়া, দোসাইদসহ ২০ স্থানে কাঁঠালের পাইকারি বাজার বসে। পাইকাররা প্রতিদিন ২০/৩০টি ট্রাক বোঝাই করে কাঁঠাল নিয়ে যান রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। কাঁঠাল পাকার শুরুতে অনেক বাগানে চাষীরা টংঘর বানিয়ে শ্রমিক নিয়ে বড় ও পাকা কাঁঠাল কাটতে এবং কাঠ বিড়াল-শিয়াল জাতীয় প্রাণী তাড়াতে ব্যস্ত থাকেন। ব্যবসায়ীরা জানান, ধামরাই ও সিঙ্গাইরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গৃহস্থরা ট্রাক, পিকআপ, মহিষের গাড়ি, ভ্যান ও ঠেলাগাড়িযোগে সাভারে কাঁঠাল এনে বিক্রি করে থাকেন। সাভার বাসস্ট্যান্ডে কাঁঠাল কিনতে এসে পৌর এলাকার মজিদপুরের আবদুর রহমান ও রুহুল আমিন বলেন, কাঁঠালের ফলন এবার ভালো দেখছি। বাজারে কাঁঠাল প্রচুর। এত কাঁঠাল দেখে এবার একটু আগেই কিনতে এসেছি। উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) শিখা রানী আচার্য জানান, এ বছর ২৪৭ হেক্টর বা ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৭০ একর জমিতে কাঁঠাল চাষ করা হয়েছে। তবে আশঙ্কার কথা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিকাশ ও শহরায়নের ফলে সাভার এলাকায় কাঁঠাল চাষ কমে যাচ্ছে।
পাকা কাঁঠাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। ছোট-বড় মিলিয়ে ২০ স্থানে গড়ে উঠেছে কাঁঠালের পাইকারি বাজার। এখানকার কাঁঠাল ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে নিয়ে যান পাইকাররা। লালমাটির সাভার, ধামরাইয়ের উঁচু-নিচু টিলাভূমিতে মিষ্টি সুস্বাদু কাঁঠাল জন্মে। বহু বছর আগ থেকে এখানকার গৃহস্থরা কাঁঠাল বাগান করে আসছেন। কাঁঠাল বাগানে তেমন যত্ন নিতে হয় না। যত্ন-আত্তি
ছাড়াই কাঁঠালের ভালো ফলন পাওয়া যায়। সাভার উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইয়ারপুর, আশুলিয়া, বিরুলিয়া, সাদাপুরসহ বেশ কিছু স্থানে অনেক বৃত্তশালী গৃহস্থ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাঁঠাল চাষ করছেন। পাঁচ-দশ একর জমিতে কাঁঠাল বাগান অনেক গৃহস্থেরই রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাঁঠাল বাগান গড়ে তুলেছে। প্রতিবছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিএলআরআই), কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন কেন্দ্র (ডেইরি ফার্ম), রাজালাখ হর্টিকালচার সেন্টার, সামরিক খামারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং কেউ কেউ মাইকিং করে কাঁঠাল বিক্রির টেন্ডার আহ্বান করে থাকেন।
প্রতিবছর বৈশাখের মাঝামাঝি থেকেই সাভারের হাটবাজারগুলো কাঁঠালে সয়লাব হয়ে যায়। এ বছর কাঁঠাল বাজারে আসতে অন্য বছরের চেয়ে একটু দেরি হচ্ছে বলে জানান সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাইকারি কাঁঠাল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নজু। তিনি জানান, কালিয়াকৈর, আশুলিয়া, সাদাপুর, গেণ্ডা, ইয়ারপুর, নয়ারহাট, নবীনগর, বাইপাইল, শিমুলিয়া, দোসাইদসহ ২০ স্থানে কাঁঠালের পাইকারি বাজার বসে। পাইকাররা প্রতিদিন ২০/৩০টি ট্রাক বোঝাই করে কাঁঠাল নিয়ে যান রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। কাঁঠাল পাকার শুরুতে অনেক বাগানে চাষীরা টংঘর বানিয়ে শ্রমিক নিয়ে বড় ও পাকা কাঁঠাল কাটতে এবং কাঠ বিড়াল-শিয়াল জাতীয় প্রাণী তাড়াতে ব্যস্ত থাকেন। ব্যবসায়ীরা জানান, ধামরাই ও সিঙ্গাইরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গৃহস্থরা ট্রাক, পিকআপ, মহিষের গাড়ি, ভ্যান ও ঠেলাগাড়িযোগে সাভারে কাঁঠাল এনে বিক্রি করে থাকেন। সাভার বাসস্ট্যান্ডে কাঁঠাল কিনতে এসে পৌর এলাকার মজিদপুরের আবদুর রহমান ও রুহুল আমিন বলেন, কাঁঠালের ফলন এবার ভালো দেখছি। বাজারে কাঁঠাল প্রচুর। এত কাঁঠাল দেখে এবার একটু আগেই কিনতে এসেছি। উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) শিখা রানী আচার্য জানান, এ বছর ২৪৭ হেক্টর বা ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৭০ একর জমিতে কাঁঠাল চাষ করা হয়েছে। তবে আশঙ্কার কথা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিকাশ ও শহরায়নের ফলে সাভার এলাকায় কাঁঠাল চাষ কমে যাচ্ছে।