About

ABC Radio

Blogger news

বাংলা সংবাদ ২০/০৫/২০১০ইং


পল্টনের জনসমুদ্রে খালেদা জিয়ার আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা : ২৭ জুন সকাল-সন্ধ্যা হরতাল : বিচারবিভাগে হস্তক্ষেপ ও দলীয়করণের প্রতিবাদে ৯ জুন গণঅবস্থান সাংবাদিক নির্যাতন ও মিডিয়া দমনের প্রতিবাদে ১৭ জুন দেশব্যাপী বিক্ষোভ

বিশেষ প্রতিনিধি
পল্টনের জনসমুদ্র থেকে আগামী ২৭ জুন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ঊর্মিমুখর বিশাল জনসমুদ্রে সরকারের ১৬ মাসের ব্যর্থতা ও দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। লাখো জনতা হর্ষধ্বনি ও করতালি দিয়ে কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানান। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর এটাই বিরোধী দলের দেশব্যাপী প্রথম হরতাল। সরকারের দেড় বছর পূর্তির ৮ দিন আগে হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হলো। এছাড়া বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ ও দলীয়করণের প্রতিবাদে ৯ জুন ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে সকাল ১০টা থেকে চার ঘণ্টাব্যাপী গণঅবস্থান এবং সাংবাদিক নির্যাতন ও মিডিয়া দলনের প্রতিবাদে ১৭ জুন ঢাকাসহ দেশের সব জেলা-উপজেলায় সমাবেশ ও বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, এ কর্মসূচি সরকারের জন্য সতর্ক সংকেত। কর্মসূচিতে বাধা এলে পরবর্তী সময়ে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা।
এর আগে প্রায় এক ঘণ্টার ভাষণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকারের হাতে দেশ ও দেশের জনগণ নিরাপদ নয়। মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের ভূত চেপে বসা এ সরকার ১৬ মাসে সবক্ষেত্রে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। অকার্যকর সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন দেয়ার জন্য সরকারকে পরামর্শ দেন তিনি। অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত সিভিল, পুলিশ ও মিলিটারি কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবার চাকরি ফিরিয়ে দেয়া হবে। পিলখানা ট্র্যাজেডিতে ৫৭ মেধাবী সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না করায় সরকারের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, আমরা ক্ষমতায় এলে পিলখানা হত্যাযজ্ঞের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেব। সরকার ও অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে উচ্চ ও নিম্ন আদালতে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করে বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতিকে পর্যন্ত নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে দাঁড়িয়ে বিচারকদের থ্রেট করেন। সরকারি দলের নেতারা সকালে হাজির হয়ে বিকেলে জামিন পেয়ে যান। অন্যদিকে বিরোধী দলের কেউ জামিন পেলেও অ্যাটর্নি জেনারেল চিঠি দিয়ে তার মুক্তি আটকে দেন। এভাবে চলতে পারে না। তিনি বিচারকদের নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায় আইন মেনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটা করলে আপনাদের প্রতি জনগণের সমর্থন থাকবে। সরকারি কর্মকর্তাদের নির্ভয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতিতে সহায়তা করলে কেউ রেহাই পাবেন না। প্রত্যেকের নথি খোলা হয়েছে এবং দুর্নীতির প্রমাণ সংরক্ষণ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক নম্বর থেকে শেষ নম্বর পর্যন্ত লুটপাটে ব্যস্ত, তাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি থামাতে পারছে না। দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে হয়রানি করা হলে আপনাদেরও ভবিষ্যতে ছাড় দেয়া হবে না। বিনাটেন্ডারে বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনে সহযোগিতা না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইনডেমনিটি দিলেও রেহাই পাবেন না। অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হবেন। দেশের জনগণকে বিভক্ত করার সরকারি ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া। দেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, একটি দূতাবাস চিঠি দিয়ে সরকারকে জানিয়েছে তারা তাদের দূতাবাসের নিরাপত্তার জন্য নিজ দেশের আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আসবে। অন্যরাও যদি এভাবে একে একে নিজ দেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আসতে চায় তাহলে একসময় বাংলাদেশ বিদেশি সৈন্যে ভরে যাবে। তখন বিদেশিরা বলবে, এরা নিরাপত্তা দিতে পারে না। এ দেশ অকার্যকর হয়ে গেছে।
বিএনপির বিভাগীয় পর্যায়ে মহাসমাবেশ কর্মসূচির শেষদিনে গতকাল পল্টন ময়দানে ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। পল্টনের মহাসমাবেশ বিকাল ৩টার মধ্যে বিস্তৃতি লাভ করে মতিঝিল, পুরানাপল্টন, বিজয়নগর, প্রেসক্লাব, গুলিস্তান, নবাবপুরসহ কয়েক বর্গকিলোমিটার এলাকা। মিছিলে মিছিলে সয়লাব হয়ে যায় রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র। দুপুরের পর থেকেই ওই এলাকায় বিপুল লোক সমাগমে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পথে পথে হামলা ও বাধা উপেক্ষা করে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে পল্টন অভিমুখে।
বিকাল ৫টা ৪৪ মিনিট থেকে ৬টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত ৫৮ মিনিটের ভাষণের শেষ পর্যায়ে বেগম খালেদা জিয়া সমবেত লাখো জনতাকে উদ্দেশ করে বলেন, সব বিভাগীয় মহাসমাবেশে আমি জনগণের কাছে জানতে চেয়েছি তারা কর্মসূচি চান কি-না। সবাই বলেছেন তারা কঠোর কর্মসূচি চান। আপনাদের কাছেও জানতে চাই, আপনারা কর্মসূচি চান কি-না। জনসমুদ্র থেকে সমস্বরে আওয়াজ ওঠে—চাই, কঠোর কর্মসূচি চাই। এ সময় সমবেত জনতা হরতাল, হরতাল বলে স্লোগান দিতে থাকেন। বেগম জিয়া বলেন, আমি জনগণের রাজনীতি করি। জনগণ চাইলে আমাকে কর্মসূচি ঘোষণা করতেই হবে। এরপর তিনি একে একে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ৯ জুন বুধবার বিচার বিভাগে সরকারের হস্তক্ষেপ ও অযোগ্য এবং বিতর্কিতদের বিচারক নিয়োগের প্রতিবাদে; বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষার দাবিতে এবং জনগণ যাতে ন্যায়বিচার পান তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টাব্যাপী গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। ১৭ জুন বৃহস্পতিবার সাংবাদিক হত্যার বিচার, তাদের ওপর হামলা, মামলা ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে, বেসরকারি টিভি চ্যানেল বন্ধ এবং তাদের সংবাদ ও টকশোর ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ এবং সংবাদপত্রের ওপর খবরদারির প্রতিবাদে রাজধানীসহ দেশের সব জেলা ও থানা সদরে সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিল। এবং ২৭ জুন রোববার গ্যাস, বিদ্যুত্ ও পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা; সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখল বন্ধ; ইডেন কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রী লাঞ্ছনার বিচার; প্রশাসন দলীয়করণ ও প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি ও হেনস্তার প্রতিবাদে; ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিল; পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ; জুলুম-নির্যাতন বন্ধ; দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ; শান্তি-শৃঙ্খলা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনজীবনে বিরাজমান সমস্যাগুলো নিরসনের দাবিতে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হবে। তিনি বলেন, হরতালে আপনাদের কষ্ট হবে সেটা আমি জানি, কিন্তু আরও বড় কষ্ট থেকে রেহাই পেতে এ কষ্ট মেনে নিতে হবে। এ ছাড়া এখন আমাদের সামনে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানানোর আর কোনো পথ খোলা নেই। আমরা আশা করি এ কর্মসূচিগুলো পালন করা হলে সরকারের বোধোদয় হবে। তারা ভুল পথ থেকে সরে আসবে। দোকানদারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা এখন ৮টায় দোকান বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিদ্যুতের জন্য ব্যবসা করতে পারছেন না। হরতাল সফল করুন। আমরা ক্ষমতায় এলে আপনাদের ব্যবসায় এসব সমস্যা থাকবে না। কর্মসূচি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে গোটা সমাবেশ থেকে হরতাল হরতাল ধ্বনি ওঠে। সমাবেশ শেষে ফেরার সময়ও স্লোগান ছিল ২৭ জুন হরতাল।
দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ স্লোগানে গতকাল দুপুর ২টায় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় এ মহাসমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশের প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে সভাস্থলে পৌঁছেন। ওই সময় জনতা স্লোগান আর করতালিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে তাকে স্বাগত জানান। পল্টনের সমাবেশে সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দেয়ার কথা এর আগে রাজশাহীর জনসভায়ই জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ফলে সবার মধ্যে কৌতূহল ছিল কী কর্মসূচি আসছে তা নিয়ে। গত কয়েকদিন মিডিয়ায় পূর্বাভাস দেয়া হয়, হরতাল নয়, লংমার্চ জাতীয় কর্মসূচি আসছে। ফলে হরতালের কর্মসূচি অনেকটা চমক ছিল সমবেত জনতা ও মিডিয়া কর্মীদের কাছে। বক্তব্যের শুরুতেই খালেদা জিয়া বলেন, আজ যে কর্মসূচি দেব তা হবে সরকারের প্রতি সতর্ক সঙ্কেত। তাতে বাধা এলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের সমালোচনা করেন। পল্টনের সমাবেশে আসতে নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ময়মনসিংসহ বিভিন্ন স্থানে সরকার সমর্থকরা বাধা দিয়েছে এবং হামলা করেছে জানিয়ে তার নিন্দাও জানান তিনি। বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দেয়ায় সমবেত জনতাকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন তিনি।
ভাষণে খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকার গত ১৬ মাসে জনগণের জন্য কিছুই করেনি। তাই তারা জনগণকে ভয় পায়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ ৬ মাসের মাথায় হরতাল দিয়েছিল। সংসদে গিয়েই শেখ হাসিনা তখন ঘোষণা করেছিল, সরকারকে একদিনের জন্যও শান্তিতে থাকতে দেবেন না। কিন্তু আমরা শুরুতেই সংসদে গিয়েছি। সরকারকে সহযোগিতা করার কথা বলেছি। ১৬ মাস কোনো আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করিনি।
বেলা ২টা থেকে মহাসমাবেশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও দুপুর ১২টা থেকে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) শিল্পীরা সমাবেশ মঞ্চ থেকে গণসঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।
বিগত মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকার দেশের বারোটা বাজিয়ে গেছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া তার ভাষণে বলেন, তারা দেশকে বিশ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। তারা ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদদের ধরে জোর করে টাকা আদায় করেছে। বিএনপি আমলে যেখানে মোটা চাল ছিল ১৬ টাকা কেজি। মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনরা জনগণকে ৪০ টাকায় চাল খেতে বাধ্য করে। তারা দুই বছরে চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যায়। বিএনপি আমলের চেয়ে এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি উল্লেখ করে তিনি কয়েকটি পণ্যমূল্যের চিত্র তুলে ধরেন। খালেদা জিয়া বলেন, নির্বাচনে ভোট নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগ অনেক মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিল। ক্ষমতায় গেলে নিজেদের সম্পদের হিসাব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু গত ১৬ মাসে তারা সম্পদের হিসাব দেয়নি। বর্তমান সরকারের ১৬ মাসের দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী সরকার নির্বাচনের আগে দেয়া একটি ওয়াদাও পূরণ করতে পারেনি। সরকার জনগণের জন্য কিছুই করতে পারেনি। তারা ক্ষমতায় এসে লুটপাট ও চুরি-চামারিতে ব্যস্ত। এক নম্বর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) থেকে শুরু করে সবার মধ্যে টাকা বানানোর প্রতিযোগিতা চলছে। তারা নিজেদের মামলাগুলো একের পর এক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কিন্তু বিরোধী দলের মামলা প্রত্যাহার তো দূরের কথা, আরও নতুন নতুন মামলা দেয়া হচ্ছে। আইন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বিরোধী দলের মামলা তোলার জন্য তিনি চেয়ারে বসেননি। তার কথায় মনে হচ্ছে, তিনি জনগণের মন্ত্রী নন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী। খালেদা জিয়া বলেন, বন্দুক, কিরিচ, চাপাতি, বল্লম নিয়ে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ করছে। পহেলা বৈশাখ ও ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের নির্যাতন করেছে। অতীতে স্বাধীনতার পর শহীদমিনারে তারা ছাত্রীদের নির্যাতন করেছিল। ছাত্রলীগ, যুবলীগের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আওয়ামী লীগ নেতারাই এখন বলছেন বিদ্যুত্, গ্যাস, পানি সঙ্কটের চেয়ে ছাত্রলীগের এসব কর্মকাণ্ড সরকারের জন্য বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন সম্পর্কে খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের দুর্নীতির কথা, সত্য কথা লিখলে সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মামলা নেমে আসছে। তারা দুর্নীতি করলে লেখা যাবে না, লিখলেই মামলা দেয়া হচ্ছে। আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে একজন সত্, সাহসী ও নির্ভীক সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায় সাহসের সঙ্গে সত্যি কথা লিখে যান, সেজন্য সারাদেশে তার নামে ২৫টি মামলা দেয়া হয়েছে। তারপরও তিনি তার সত্য কথা লেখা বন্ধ করেননি। কারণ তিনি জানেন, তিনি সাহসী, সত্ এবং যোগ্য। বেগম জিয়া মাহমুদুর রহমানসহ সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কেউ দুর্নীতি করলে তার কথাও বলা হবে, ভবিষ্যতে মামলাও হবে। তিনি বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি শওকত মাহমুদ জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলায় তার নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। খালেদা জিয়া এর নিন্দা জানান। এসময় খালেদা জিয়া বলেন, আমি আজ এই সমাবেশে ঘোষণা করছি, ‘শহীদ জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক। পারলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন।’
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবর আলেম সমাজের ওপর আক্রমণ করে দেশকে বিভক্ত করতে চায়। দেশে জঙ্গি না থাকলেও তারা জঙ্গি বলে প্রচার করে। প্রকৃত জঙ্গিদের আমরা ধরেছি এবং বিচার করেছি। তখন দেশের আলেম সমাজ আমাদের এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন। অথচ আলেমদের সম্পর্কে সরকার অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ দাবি করে। অথচ তাদের হাতে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করছে। হিন্দুদের শ্মশান পর্যন্ত তারা দখল করেছে। গতকাল আমার দেশ পত্রিকায় দেখলাম তারা খ্রিস্টানদের গির্জার জায়গাও দখল করে নিয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকারের আমলে দেশে শুধু নেই নেই। আর সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা শুধু খাই খাই করছেন। দেশের মানুষের নিরাপত্তা নেই। গ্যাস, পানি, বিদ্যুত্ নেই। দেশের খারাপ অবস্থার মধ্যে মন্ত্রী-এমপিদের বেতন বাড়ানোর বিরোধিতা করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম আগে গরিব মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করুন তারপর আপনাদের বেতন বাড়ান। কিন্তু তারা তা করল না। এ প্রসঙ্গে তিনি ব্রিটেনে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে মন্ত্রীদের বেতন ৫ শতাংশ কমানোর কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় বারবার রিমান্ডে নিচ্ছে। মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করার জন্য নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে জামিন না দেয়া, আবদুস সালাম পিন্টু, লুত্ফুজ্জামান বাবর, কমিশনার আরিফকে বারবার রিমান্ডে নেয়ার কথা উল্লেখ করেন। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলনকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বেগম জিয়া বলেন, দেশের আইন অমান্য করে গুপ্তহত্যা শুরু হয়েছে। র্যাব-পুলিশের পরিচয় দিয়ে ঘর থেকে ধরে নিয়ে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। তাদের বেশিরভাগ বিএনপির নেতাকর্মী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলে। তারা বলে বিএনপি নাকি এক মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন করতে পারেনি। প্রকৃত সত্য হলো আমরা ১৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন করে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করেছিলাম। আরও আড়াই হাজার মেগাওয়াটের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম। কিন্তু মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনরা সেগুলো বাতিল করে দিয়েছেন। সেগুলো ঠিকমতো হলে এখন বিদ্যুত্ সঙ্কট থাকত না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যাচার করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি আরব সফর করে এসে বললেন, সৌদি বাদশার সঙ্গে এমন বৈঠক নাকি অতীতে কোনো সরকারপ্রধান করতে পারেনি। অথচ আমি অনেকবার এ ধরনের বৈঠক করেছি। আল্লাহর ঘর থেকে এসে যারা মিথ্যা বলেন তাদের সঙ্গে কে পারবেন। সৌদি সফর শেষে আরও বলা হয়েছিল আকামা সমস্য�



শতাধিক গাড়ি ভাংচুর : পথে পথে আওয়ামী লীগের হামলা আহত অর্ধশতাধিক

স্টাফ রিপোর্টার
পল্টন ময়দানের মহাসমাবেশে আসার পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী ক্যাডাররা। এসব হামলায় অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছে। শতাধিক গাড়ি ভাংচুর হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সমাবেশের গাড়ি আটকে দেয়া হয়। প্রশাসনের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট বসিয়েও বহু বাস আটকে দেয়া হয়। এ অবস্থায় রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এদিকে সমাবেশ থেকে ফিরে যাওয়ার পথেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গেটে ছাত্রলীগ কর্মীরা মানিকগঞ্জে একটি বাস আটকে ভাংচুর ও বিএনপি কর্মীদের মারধর করে। এতে তিনজন আহত হন।
গাজীপুরের মাওনাসহ বিভিন্ন স্পটে উত্তরাঞ্চল থেকে মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপির গাড়িবহরে বাধা দেয়া হয়। সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, ভুলতা ও গাউছিয়ায় পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে সমাবেশে আসার পথে গাড়ি আটকে বাধার সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা। এ সময় গাড়িতে হামলা চালালে অনেকে আহত হন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসার পথে কেরানীগঞ্জে বিএনপি কর্মীদের বাধা দেয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা। কিশোরগঞ্জে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীরা সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। মহাসমাবেশে খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতারা হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, ঢাকায় মহাসমাবেশে
যোগ দিতে যাওয়ার পথে জেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধা দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়ায় শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। এ সময় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা প্রায় অর্ধশত গাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। বাধা দেয়ার প্রতিবাদে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেছে। তাছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ ঢাকার প্রবেশদ্বারগুলোতে স্থানীয় প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নামে মহাসমাবেশগামী গাড়ি আটক করে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। ফলে অনেকেই হয়রানির ভয়ে সমাবেশে যোগ না দিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
গতকাল সকাল থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় পিকেটিং করতে থাকে। এ সময় ময়মনসিংহ থেকে ঢাকার সমাবেশগামী বিএনপি নেতাকর্মী ভর্তি কয়েকটি বাস ওই এলাকায় এলে পিকেটাররা বাধা দেয়। এতে ঢাকাগামী সব ধরনের যানবাহন ওই এলাকায় আটকেপড়ে। একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে সমাবেশগামীদের সঙ্গে পিকেটারদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এ সময় উচ্ছৃঙ্খল পিকেটারদের হামলায় অর্ধশত গাড়ি ভাংচুর হয়। এদিকে গাজীপুর সদরের চান্দনা চৌরাস্তা ও ঢাকা-কিশোরগঞ্জ সড়কে কাপাসিয়ার ফকির মজুনশাহ ব্রিজ এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাবেশে যেতে বাধা দেয়। বিএনপির একাধিক নেতা জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, জয়দেবপুর চৌরাস্তা, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গড়গড়িয়া এলাকায় মোবাইল কোর্টের নামে সমাবেশগামী বিভিন্ন যানবাহন আটক করে জরিমানা আদায় করে প্রশাসন। এ সময় সাধারণ যানবাহনেও তল্লাশি চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। হামলা, ভাংচুর, হয়রানি ও গাড়ি আটকের কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় তিন ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় উত্তরাঞ্চল থেকে আসা বিএনপির অনেক নেতাকর্মী সমাবেশে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
কেরানীগঞ্জে বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলায় আহত ২০ : কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গতকাল দুপর ১২টা থেকে দেড়টার মধ্যে উপজেলার ভাওয়ারভিটি, আবদুল্লাহপুর, তেঘরিয়া, ইকুরিয়া, চুনকুটি তেলঘাট ও আলমটাওয়ার, গুদারাঘাট, কদমতলি ও জনি টাওয়ার এলাকায় এসব হামলার ঘটনা ঘটে। এসব এলাকায় বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে পুলিশও অংশ নেয়। হামলায় লতিফ কবির, সুজাত, জাকির ও মোমেনসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের মিছিলে হামলা : নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগ দেয়ার পথে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের মিছিল ও গাড়ির বহরে হামলা চালিয়েছে সরকারদলীয় ক্যাডারা। হামলায় আহত হয়েছেন ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন সেলিমসহ ৫ জন। অপরদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজারে বিভিন্ন পয়েন্টে সমাবেশগামী গাড়িবহরে বাধা ও এলোপাতাড়ি ট্রাক রেখে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। ফলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যারিকেডের কারণে সমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের বহনকারী শতাধিক বাস আটকা পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার তল্লা আজমেরীবাগ এলাকায় গতকাল সকালে বিএনপির একটি মিছিলে হামলা চালিয়েছে যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। তাদের হামলায় ছাত্রদল নেতাসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের শহরের খানপুরের নারায়ণগঞ্জ হাসপাতাল ও স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বিএনপির মহাসমাবেশে যোগদানে বাধা দিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের ভুলতায় খালি ট্রাক দিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। ব্যারিকেডে হাজার হাজার পরিবহন, যাত্রী ও মহাসমাবেশগামী বিএনপি নেতাকর্মীরা এখানে আটকে পড়েন। এ সময় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় ৫টি যাত্রীবাহী বাস ভাংচুর এবং ২ সাংবাদিক ও বাসযাত্রীসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যারিকেডে ভুলতার উভয় দিকে ১০ কিলোমটারজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রীবাহী পরিবহনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। দুপুর আড়াইটায় মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। ৩ ঘণ্টার অবরোধে পরিবহন যাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ে। এসময় কেউ কেউ রূপগঞ্জ-ইফসুফগঞ্জ-ঢাকা সড়ক বিকল্প পথ হিসাবে ব্যবহার করে প্রশাসন। দুপুর দেড়টায় ভুলতা গোলচত্বর এলাকায় হামলা ও অবরোধের ছবি তুলতে গেলে দৈনিক সকালের খবর পত্রিকার রূপগঞ্জ প্রতিনিধি হানিফ মোল্লা ও দৈনিক সোজাসাপটা পত্রিকার রূপগঞ্জ প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম মীরের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। হামলায় তারা গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাদের ব্যবহৃত ২টি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে ভুলতা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
দুপুর সাড়ে ১২টায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সমর্থিত সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা নিয়ে বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। বাধা দেয়ায় তারা পথচারীদের এলোপাতাড়ি লাঠিপেটা করে। এ সময় গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল হালিম, রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আবদুল জলিল ভুঁইয়া, যুবদল নেতা মোমেন ভুঁইয়া, ইয়াকুব, সেলিম, কাজল, জাহাঙ্গীর, বিএনপির সমর্থক জাকির হোসেন, সোহেল মিয়া, আদেল, ছাত্রদল নেতা আবু, রহুল আমিন, আজিজ, বাসযাত্রী মমতাজ বেগম, হাফসা আক্তার ও আবদুল হক আহত হন। হাসপাতালে হামলার আশঙ্কায় আহতদের ভর্তি করা হয়নি। তাদের প্রাথমিক চিকিত্সা দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান সমাবেশে যোগ দিতে তার এলাকার নেতাকর্মীদের বাধা দেয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এদিকে নরসিংদী থেকে আসা বিএনপি কর্মীদের বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গাউছিয়া এলাকায় বাধা দেয়া হয়। আওয়ামী লীগ কর্মীদের হাতে নরসিংদী যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর, ছাত্রদল নেতা স্বপন ও রাসেল আহত হয়। এ সময় তারা বিএনপি কর্মীদের বহনকারী গাড়িও ভাংচুর করে।
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বিএনপির সমাবেশমুখী গাড়িবহরে বাধা দেয়ার উদ্দেশে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ভবেরচর ও আনারপুরায় পুলিশ বিএনপি কর্মী বহনকারী ৩০/৩৫টি গাড়ি আটকে কাগজপত্র তল্লাশি ও মামলা দেয়। এদিকে ঢাকা-হোমনা রুটে চলাচলকারী ঝিনুক পরিবহনের ১৬টিসহ প্রায় ২শ’ গাড়ির কাগজপত্র পুলিশ জব্দ করে বিএনপি কর্মীদের পরিবহনে বাধা সৃষ্টি করে।
জামালপুরে হামলায় আহত ৫ : জামালপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার দেওয়ানগঞ্জে ছাত্রলীগের হামলায় ৫ বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে বেলতৈল বাজার এলাকায় সশস্ত্র ছাত্রলীগ কর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালালে পৌর বিএনপির সভাপতি মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, যুবদল নেতা গোলাম মোস্তফাসহ ৫ জন আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই মঞ্জুকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে এবং গোলাম মোস্তফাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে সরিষাবাড়ি স্টেশনে গতকাল ভোররাতে আন্তঃনগর ট্রেন যমুনায় ঢাকা যাওয়ার পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আ’লীগ কর্মীরা জগন্নাথগঞ্জ ঘাট এলাকায় বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করেছে। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম জানিয়েছেন, ঢাকায় সমাবেশে যাওয়ার জন্য ৩০টি গাড়ি প্রস্তুত করা হলেও আ’লীগ কর্মীদের হামলা ও বাধার মুখে তারা ঢাকা যেতে পারেননি।
কিশোরগঞ্জে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা : কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন জেলার করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি রফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিউজ্জামান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন পাভেল ছাড়াও আলী হোসেন খান পল্টু, নূর মোহাম্মদ রুবেল, মোহাম্মদ পারভেজ, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মঞ্জুরুল আলম সুমন, আনোয়ারুল ইসলাম আনার, এরশাদুল ইসলাম, ফুল মিয়া, টিপু প্রমুখ।
করিমগঞ্জ ও তাড়াইল বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, করিমগঞ্জ-তাড়াইল থেকে ১০টি বাস বিএনপি’র মহাসমাবেশে যোগ দেয়ার পথে দুপুর ১টার দিকে রূপগঞ্জের ভোলতা গাউসিয়া নামক স্থানে পৌঁছলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা বাসগুলোকে আটকে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা চালিয়ে বাস ভাংচুর ও নেতাকর্মীদের মারপিট করে আহত করা ছাড়াও তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল সেট ও টাকা পয়সা জোর করে ছিনিয়ে নেয়। তারা অভিযোগ করেন, এ সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব চালানোর দৃশ্য নীরবে দাঁড়িয়ে দেখেছে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। তাদের কাছে অভিযোগ করলে তারা সমাবেশস্থলে যোগ না দিয়ে ফিরে যেতে বলেন।
আহত নেতাকর্মীদের কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়া হয়। এরপর এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের স্টেশন রোডস্থ কালীবাড়ি মার্কেট চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশ থেকে আজ করিমগঞ্জ-তাড়াইলে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয়া হয়।
বিএনপি মহাসচিবের প্রতিবাদ
বিএনপি ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশে যোগদানরত নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণ, যানবাহন ভাংচুর ও অসংখ্য বিএনপি কর্মী ও সমর্থকদের আহত করার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব অ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন।
গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাফল্যমণ্ডিত হতে দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ও প্রশাসন তাদের পেটোয়া বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে কাঁচপুর ব্রিজ, রূপগঞ্জের গাউছিয়া মোড়, কেরানীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনাসহ বিভাগের বিভিন্ন স্থানে মহাসমাবেশে যোগদানরত বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের যানবাহনের ওপর ভয়াবহ আক্রমণ করে গাড়ি ভাংচুর ও বিভিন্ন জেলার প্রায় চারশত নেতাকর্মীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মারাত্মকভাবে আহত করে।
বিএনপি মহাসচিব ক্ষমতালিপ্সু আওয়ামী সরকারের এহেন হীন কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং আহতদের সুচিকিত্সার জোর দাবি জানান।



R¡j‡Q e¨vsKK: KviwdD Rvwi

Gm G Zv‡je: `v½v Qwo‡q covq e¨vsK‡K ivZ AvUUv †_‡K †fvi QqUv ch©šÍ KviwdD Rvwi K‡i‡Q miKvi| ZvQvov wek„sLjv †`Lv gvÎ †mbv‡`i ¸wj Pvjv‡bvi wb‡`©k w`‡q‡Q †`kwUi miKvi| †mbv Awfhvb ïi“i ci we‡¶vfKvix‡`i †ek K‡qKRb kxl© †bZv wbivcËv Kg©x‡`i nv‡Z AvZ¥mgc©Y K‡i‡Q| e¨vsK‡K we‡¶vfKvix‡`i Ae¯’vb K¨v‡¤úi wbqš¿Y wb‡q‡Q †mbvevwnbx|

†`kwU‡Z KviwdD Rvwii †NvlYvc‡Î ¯^v¶i K‡ib _vB cÖavbgš¿x AwfwRZ †f¾vwRfv| †Uwjwfk‡b †`qv †NvlYvq ejv nq, KviwdD PjvKv‡j KZ©„c‡¶i AbygwZ Qvov †KD iv¯Ívq bvg‡Z cvi‡e bv| G wbw`©ó mg‡q mevB‡K wbR evwo‡Z Ae¯’vb Ki‡Z n‡e| †gRi †Rbv‡ij wcqv D_vBI e‡jb, cywjk BwZg‡a¨ GK nvRvi i¨vwcW gyf‡g›U †mbv †gvZv‡qb K‡i‡Q| ˆbivR¨ m„wó I jyUcv‡Ui †Póv Pvjv‡Z †`L‡jB Zviv ¸wj Pvjv‡e| Gw`‡K eyaevi we‡¶vfKvix‡`i e¨vwi‡KW †f‡O †mbviv Awfhvb Pvjv‡j GK we‡`wk mvsevw`Kmn Kgc‡¶ cuvPRb wbnZ n‡q‡Q| GQvov 50 R‡bi †ewk †jvK AvnZ nb| MZ e„n¯úwZevi wØZxq `dvq msNl© ïi“i ci †_‡K GLb ch©šÍ 40 Rb wbnZ n‡q‡Q| msN‡l©i mgq jvj kvU©avix‡`i K‡qKRb kxl© †bZv e¨vsKK †_‡K cvwj‡q †M‡Qb e‡j miKvwi m~Î Rvwb‡q‡Q| 

we‡¶vfKvix‡`i Pvi kxl© †bZv wbivcËvKg©x‡`i Kv‡Q AvZ¥mgc©Y K‡i‡Q| we‡¶vfKvix‡`i Ici `gb Awfhvb Pvjv‡bvi ci e¨vsK‡K `v½v Qwo‡q c‡o| we‡¶vfKvix‡`i e¨vsKK †Q‡o hvevi Rb¨ cÖavbgš¿xi mgqmxgv †eu‡a †`qvi cÖvq GK mßvn ci G Awfhvb nj|

miKv‡ii gyLcvÎ cvwbZvb IËvbvqvMb© e‡jb, †mbvevwnbx mdjfv‡e jygwcwb cvK© GjvKvi we‡¶vfKvix‡`i Ae¯’vb¸‡jvi wbqš¿Y wb‡q‡Q| msNl© evo‡Z _vKvq e¨vsK‡Ki kxl© PviwU e¨vs‡Ki me kvLv eÜ K‡i †`qv nq| 

MZKvj GKwU †Uwjwfkb P¨v‡b‡j nvgjv Pvwj‡q‡Q we‡¶vfKvixiv| wUwf †÷kb P¨v‡bj wf Gi GKRb Kg©x e‡jb, jvjkvU© we‡¶vfKvixiv Kg©x‡`i Mvwo‡Z Av¸b jvwM‡q †`q| GKRb mvsevw`K e‡jb, jvjkvU©iv _vBj¨vÛ wewìs‡qi ÷K G·‡P‡ÄI Av¸b awi‡q †`q| GQvov cÖavb we`y¨r‡K›`ªmn †ek K‡qKwU e¨vs‡K Av¸b awi‡q †`q we‡¶vfKvixiv| 

Gw`‡K _vBj¨v‡Ûi miKviwe‡ivax we‡¶vfKvix‡`i Ici K‡Vvi `gb Awfhvb I ivR‰bwZK msKU †`kwU‡K †Mwijv hy‡×i w`‡K †V‡j w`‡Z cv‡i e‡j Avk¼v Ki‡Qb †`kwUi mv‡eK cÖavbgš¿x _vKwmb wmbvIqvÎv| wZwb †Uwj‡dv‡b iqUvm©‡K Rvbvb, †mbv evwnbxi `gb-cxo‡b RbM‡Yi g‡b wZ³Zvi Rš§ †`q| Avi †h gvbyl¸‡jv G wZ³ AwfÁZvi gy‡LvgywL n‡e Zviv †Mwijv n‡q †h‡Z cv‡i| we‡¶vfKvix I miKv‡ii Av‡jvPbv cÊ nevi †¶‡Î _vKwm‡bi f‚wgKv i‡q‡Q Ggb Awf‡hvM A¯^xKvi K‡ib wZwb| 

K‡qKw`b †_‡K D‡ËRbv evo‡Z _vKvq †h‡Kvb mgq †mbvwfhvb Pj‡Z cv‡i Ggb Avk¼v Kiv nw”Q‡jv| eyaevi †m Avk¼v mwZ¨ K‡i †mbviv muv‡Rvqv Mvwoeni e¨envi wb‡q we‡¶vfKvix‡`i M‡o †Zvjv e¨vwi‡KW †f‡O †`q| mgv‡ek ¯’‡ji gy‡L ¯‘c K‡i ivLv Uvqvi I KvuUvZv‡ii †eov ¸wo‡q †`qvi mgq mk¯¿ evwnbxi m`m¨iv duvKv ¸wj Qyo‡Z _v‡K| 

miKviwe‡ivax we‡¶vfKvixiv `yB gvm a‡i e¨vsK‡Ki evwYwR¨K GjvKvwU `Lj K‡i Av‡Q| msN‡l©i Av‡M g½jevi wm‡b‡Ui m`m¨‡`i ga¨¯’Zvq Av‡jvPbvq emvi AvMÖn †`Lvq we‡¶vfiZ jvjkvU©iv| wKš‘ miKvi G cÖ¯Íve cÖZ¨vL¨vb K‡i| wewewm, wUIAvB







পিলখানা হত্যাকাণ্ড : তদন্ত রিপোর্ট তৈরিতে চতুর্দশবার সময় নিল সিআইডি

স্টাফ রিপোর্টার
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে হত্যা তদন্তের রিপোর্ট দাখিলের জন্য আরও একদফা সময় বাড়ানো হয়েছে। তদন্তকারী
সংস্থা সিআইডিকে ১৪তম বর্ধিত সময় ধার্য করা হয়েছে ৩০ জুন পর্যন্ত। ঢাকার মহানগর হাকিম একেএম এনামুল হক গতকাল এ আদেশ দেন।
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের সময় সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে হত্যা, অস্ত্রাগার লুট, সেনা কর্মকর্তাদের বাসায় লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুুল কাহ্হার আকন্দ এক বছর তিন মাস ধরে মামলা তদন্ত করছেন। এতো দীর্ঘ সময়েও তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এজন্য তিনি ১৩ বার আদালত থেকে সময় বাড়িয়ে নিয়ে সর্বশেষ গতকালও আদালতে রিপোর্ট দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সিআইডি কর্মকর্তা আবদুল কাহ্হার আকন্দ এ মামলার তদন্তের শুরুতে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলেন এক বছরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দফতর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন নিহত হন। এ সময় নৃশংস হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলাটি নিউমার্কেট থানায় হস্তান্তর করা হয়। মামলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩শ’ বিডিআর সদস্য এবং অপর ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ হাজার ২৮২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং ৫৪৩ জন বিডিআর সদস্য স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলায় বিএনপির সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু এবং আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীকে গ্রেফতার করা হয়। তোরাব আলী বিদ্রোহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনে দলবাজি : মসজিদ পাঠাগারের জন্য কেনা হচ্ছে আওয়ামী বুদ্ধিজীবীদের লেখা বই

এমএ নোমান
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীন মসজিদভিত্তিক পাঠাগারের জন্য কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতা ও বাম বুদ্ধিজীবীদের লেখা অনৈসলামিক বই। চলতি অর্থবছরে সারাদেশের কয়েক লাখ মসজিদে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য সরকারি অর্থে শতাধিক লেখকের বই কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। নির্বাচিত এসব বইয়ে ইসলাম, ইসলামী মূল্যবোধ, পবিত্র কোরআন ও হাদিস, নবী-রাসূলদের আদর্শের উদ্ধৃতির পরিবর্তে ইসলামী চেতনাবিরোধী বক্তব্যই স্থান পেয়েছে বেশি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এ ধরনের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেমরা। তারা বলেছেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন মসজিদভিত্তিক পাঠাগারের মাধ্যমে ইসলামী আদর্শ ও ইসলামিক শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে কাজ করার কথা। এ বছর তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে ইসলামশূন্য করার পর এখন মসজিদগুলোকেও টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সূত্র জানিয়েছে, মসজিদভিত্তিক পাঠাগারের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ এ বছর যেসব লেখকের বই কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন বাম বুদ্ধিজীবী রমেন বিশ্বাস। তার বইয়ের নাম ‘ঘাতকের দিনলিপি’। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত ‘আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি’ ও ‘পিপল অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’। অধ্যক্ষ মোঃ শাহ আলম সাজুর লেখা ‘শেখ হাসিনা যখন কারাগারে’ ও ‘আশুগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধ’, অধ্যাপক মোঃ শওকত জাহাঙ্গীর হোসেনের লেখা ‘বঙ্গবন্ধু’, খালেক বিন জয়েন উদ্দিনের লেখা ‘বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু’, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর ‘আমরা বাঙালি না বাংলাদেশী’, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদেরের লেখা ‘এ বিজয়ের মুকুট কোথায়’, মোনায়েম সরকারের ‘বাঙালির কণ্ঠ, আবুল হাসনাতের স্বাধীনতা-৭১’, আজিজুর রহমান আজিজের ‘উপন্যাসসমগ্র’, এমআর আখতার মুকুলের ‘ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা’, ড. শেখ গউস মিয়ার ‘মুক্তিযুদ্ধে আনসার বাহিনী’, ডা. মোহাম্মদ আবদুর রশিদের ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুদ্ধাপরাধী’, ভিক্টর মাওসুলেনকোর ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের লেখা ‘বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১’, বেবী মওদুদের ‘নিঃসঙ্গ কারাগারে শেখ হাসিনার ৩৩১ দিন’, রফিকুল ইসলামের ‘সম্মুখ সমরে বাঙালি’ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও কিছু অপরিচিত ও অখ্যাত লেখকের বই কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মোঃ সায়দাত উল্লাহ ভূঁইয়ার ছড়ায় ছড়ায় এক-দুই-তিন, আজিজুর রহমান আজিজের কবিতাসংগ্রহ, সৈয়দ মাহমুদুল হাসানের বাংলার ইতিহাস, কৃষিবিদ হাসান ইমামের আধুনিক পদ্ধতিতে ফুল-ফল ও শাক-সবজি চাষ, মু. মামুনুর রশিদের জীলান সূর্যের হাতছানি, ফাহিম রেজানুরের সব পাওয়ার দেশে, মোঃ মহসিন আলীর স্বাধীনতা সংগ্রামে বিচ্ছুসেনানী, বিচ্ছু কন্যা ও যে বাংলাদেশের যুদ্ধ, আখতার হোসেন চৌধুরীর আধুনিক পদ্ধতিতে ব্রয়লার মুরগি পালন চিকিত্সা ও মাংস বৃদ্ধির উপায়, মোহাম্মদ আবদুল আউয়ালের বাঙলা সাহিত্যের ইতিহাস, আসলাম সানীর বিজয়ী বাঙালির নাম বঙ্গবন্ধু, গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আধুনিক ইতিহাস অভিধান, মোঃ আনিছুর রহমানের আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ চিকিত্সা ও ছাগল পালন, মোঃ আনিছুর রহমানের মুখ ও মাড়ির যত্ন, মোঃ আনিছুর রহমানের সঠিক পদ্ধতিতে মাছ ও চিংড়ির চাষ ও আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁস-মুরগি পালন চিকিত্সা ও বাজারজাতকরণ এবং গোলাম মোস্তফার শেরে বাংলা হইতে বঙ্গবন্ধু বইগুলো উল্লেখযোগ্য। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আহকামে শরিয়া হেফাজত কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা ড. আবু ইউসুফ খান আল মাদানী আমার দেশকে বলেন, ইসলামের অগ্রযাত্রা ও ইসলামী আদর্শের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীন মসজিদভিত্তিক পাঠাগারের কার্যক্রম শুরু করা হয়। মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষা-দীক্ষার অগ্রগতির পাশাপাশি হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধধর্মের অনুসারীদের জন্যও পৃথকভাবে ট্রাস্টের মাধ্যমে সরকারি অর্থে বইপুস্তক কেনা হচ্ছে। সরকারের মূল উদ্দেশ্যই ছিল ধর্মীয় চেতনার বিকাশ। কিন্তু সরকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও অধর্মীয় বই কেনার যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে মসজিদভিত্তিক পাঠাগার স্থাপনের যে লক্ষ্য ছিল তা ব্যাহত হবে। উপরোক্ত বইগুলো বিতরণের জন্য সরকার পাবলিক লাইব্রেরিসহ অনেক জেলা পর্যায়ে শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিতরণ করা যেত। তিনি বলেন, মসজিদের পাঠাগারগুলো সবই মসজিদের ভেতরে অবস্থিত। মুসল্লিরা নামাজ আদায় শেষে একটি বই নিয়ে পড়তে বসে। এখন যেসব বই পাঠাগারের তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, মুসল্লিদের উপকারের চেয়ে লেখকদের উপকারই হবে বেশি। এতে মূলত সরকারের কয়েক কোটি টাকা গচ্চাই যাবে।








evsjv‡`k-ivwkqv cvigvYweK Pzw³ Kvj
Lyiig Rvgvb: †`‡ki µgea©gvb we`y¨Z msKU †gvKv‡ejvq cvigvYweK cvIqvi cøv›U ¯’vc‡b ivwkqvi m‡½ miKvi AvMvgxKvj Pzw³ (†d«gIqvK© GwMÖ‡g›U) Ki‡Z hv‡”Q | g‡¯‹v‡Z evsjv‡`‡ki miKv‡ii c‡¶ Pzw³‡Z ¯^v¶i Ki‡eb mdiiZ Z_¨ I cÖhyw³ cÖwZgš¿x ¯’cwZ Bqv‡dm Imgvb| Pzw³ ¯^v¶i Abyôv‡b ciivóªgš¿x Wv. `xcy gwb Dcw¯’Z _vK‡eb| 

Rvbv †M‡Q, ivwkqv md‡i †m †`‡ki ciivóªgš¿x †m‡M©B j¨vfi‡ei m‡½ ˆeVK Ki‡eb `xcy gwb| ˆeV‡K cÖwZi¶v, evwYR¨, wk¶v Ges mvs¯‹…wZK wewbgqmn wewfbœ wØc¶xq wel‡q Av‡jvPbv n‡e| G Pzw³ mB‡qi ci cvIqvi cøv›U wbg©v‡Y A_© I KvwiMwi welq wb‡q Av‡jvPbv n‡e| mdiKv‡j Wv. `xcy gwb cÖavbgš¿x †kL nvwmbvi Avmbœ ivwkqv md‡ii wel‡qI Av‡jvPbv Ki‡eb| 

Gw`‡K ciivó« gš¿x `xcy gwb cvigvYweK R¡vjvwb wewbg‡qi wel‡q Bivb, Zyi¯‹ I eªvwR‡ji g‡a¨ m¤úvw`Z mv¤úÖwZK Pzw³‡K ¯^vMZ Rvwb‡q‡Qb| ZvRvwK¯Ív‡b IAvBwmfz³ †`k¸‡jvi 37 Zg ciivóª gš¿x ch©v‡qi m‡¤§j‡b †hvM wM‡q wZwb G K_v Rvwb‡q‡Qb| 

ZvRvwK¯Ív‡b ciivó«gš¿x e‡jb, cvigvYweK cÖhyw³i kvwšÍc~Y© e¨envi‡K evsjv‡`k memgqB mg_©b K‡i G‡m‡Q| 1990 mv‡j M„nxZ gvbevwaKv‡ii wel‡q Kvq‡iv †NvlYvi D‡jøL K‡ib wZwb Ges †RÏvq GKwU gvbevwaKvi cÖwZôvi cÖ¯Íve‡K mg_©b Rvbvb|









হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান আ’লীগের

স্টাফ রিপোর্টার
সরকারের উন্নয়নযাত্রাকে ব্যাহত করতেই বিরোধী দল বিএনপি হরতালের মতো ‘ধ্বংসাত্মক’ কর্মসূচি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পল্টনের মহাসমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পর গতকাল তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতারা বিরোধী দল ঘোষিত হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। না হলে দেশের জনগণ এই ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি প্রতিহত করবে বলে তারা মন্তব্য করেন। যুবলীগ বিএনপির বিরুদ্ধে দেশকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে আজ বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও অন্য নেতারা সমাবেশে
বক্তৃতা করবেন।
বেগম খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্য ও হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, হরতাল কর্মসূচি সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও পুরনো রাজনৈতিক ধারা। হরতাল কর্মসূচিতে মরিচা ধরে গেছে। এতে মানুষের আগ্রহ নেই বলে জানান তিনি। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির ভারত জুজু এখন বিশ্বাস করে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ গতকাল আমার দেশ’কে দেয়া তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বেগম জিয়ার বক্তব্যে বিএনপির মিথ্যাচারের রাজনীতির চিরাচরিত স্বভাব প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি অসত্য বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
প্রশাসনের দুর্নীতি এবং বিচার বিভাগে বর্তমান সরকারের হস্তক্ষেপ বিষয়ে বেগম জিয়ার বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকতে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। বিচার বিভাগে নগ্ন হস্তক্ষেপ করে চরম দলীয়করণ করা হয়। জাল সার্টিফিকেটধারীদের বিচারপতির আসনে বসিয়ে বিচার ব্যবস্থায় কালিমা লেপন করে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এ থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ এনে উন্নয়নের দিকে পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে বেগম জিয়া মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার চালাচ্ছেন। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। এর মাধ্যমে আবারও তারা দেশটাকে পশ্চাত্মুখী করতে চাচ্ছে।
আমরা বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানাই, ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি পরিহার করে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসুন। তা না হলে দেশের মানুষ এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি ও হরতাল কর্মসূচি প্রতিহত করবে। অতীতে তাদেরকে যেভাবে আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করা হয়েছে, আগামীতেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে









cvwK¯Ív‡b 40 Rw½ wbnZ, Av‡jvPbvq gvwK©b Kg©KZ©viv
bvwRg gvngy`: cvwK¯Ív‡bi IivKRvB‡q MZKvj †mbv-Rw½ msN‡l© AšÍZc‡¶ 40 Rw½ I2 †mbv wbnZ n‡q‡Q| Gw`‡K Rw½ `gbvwfhvb Av‡iv †Rvi`v‡i cvK miKvi‡K ZvMv`v w`‡Z Av‡jvPbvq e‡m‡Qb gvwK©b Kg©KZ©viv| IivKRvB‡q eyaevi `yB kZvwaK Zv‡jevb Rw½ wbivcËv evwnbxi GKwU Zjøvwk †K‡›`ª nvgjv Pvjv‡j `yc‡¶i msN‡l© 40 Rw½ I 2 †mbv wbnZ nq|



Rw½‡`i Av‡iv †KvYVvmv Ki‡Z miKvi‡K ZvMv`v w`‡Z Av‡jvPbvi Rb¨ cvwK¯Ív‡b †cŠu‡Q‡Qb hy³iv‡ó«i †Mv‡q›`v ms¯’v wmAvBG Gi cwiPvjK wjqb c¨v‡bÆv I hy³iv‡ó«i RvZxq wbivcËv Dc‡`óv †Rgm †Rvbm| wbD Bq‡K©i UvBgm ¯‹qv‡i e¨_© †evgv nvgjv †Póvq RwoZ cvwK¯Ívwb esk™¢yZ gvwK©b bvMwiK kvnRv` dqmv‡ji Rw½ mswkóZvi m~Î a‡i IqvwRwi¯Ív‡b Rw½‡`i wei“‡× Av‡iv K‡Vvi e¨e¯’v †bIqvi AvnŸvb Rvbv‡Z cvwK¯Ívwb wbivcËv Kg©KZ©v‡`i m‡½ eyaevi ˆeVK K‡i‡Qb Zviv| GKBm‡½ Zviv ˆeVK K‡i‡Qb †cÖwm‡W›U Avwmd Avjx Rvi`vwi I Zvi gyLcvÎ dinvZyjøvn eve‡ii m‡½| cvwK¯Ív‡bi †Mv‡q›`v I Ab¨vb¨ Kg©KZ©v‡`i m‡½I Zv‡`i ˆeVK Kivi K_v i‡q‡Q| hy³iv‡ó«i wbivcËv Kg©KZ©v‡`i cvwK¯Ív‡b Avmvi Kvi‡YB eyaevi Zv‡jevbiv nvgjv Pvwj‡q‡Q e‡j aviYv Kiv n‡”Q| cvwK¯Ívwb wbivcËv evwnbx mv¤úÖwZK mg‡q DËi cwðgvÂjxq IivKRvB I LvBevi GjvKvq Zv‡jevb‡`i wei“‡× Awfhvb †Rvi`vi K‡i‡Q| †`‡ki Ab¨vb¨ GjvKv †_‡K Zv‡jevb Rw½‡`i D‡”Q‡`i ci Zviv G Awfhv‡b †b‡g‡Q| H A‡ji miKvwi Kg©KZ©v bvDgvb Kvb e‡jb, †fvi nIqvi ciciB †Wvevwi GjvKvi wbivcËv evwnbxi †PK c‡q‡›U nvgjv Kivi Rb¨ Rw½iv cvnv‡oi Ic‡i I‡V| cwiPq bv Rvwb‡q GK mvgwiK Kg©KZ©v e‡jb, "Zviv cÖ_‡g Avgv‡`i Zjvwk †K‡›`ª i‡KU PvwjZ †MÖ‡bW nvgjv Pvjvq| Gici KvQvKvwQ G‡m AvµgY K‡i| nvgjvi ci ciB †mbviv cvëv AvµgY Pvjvq Ges `yc‡¶ wZb NÈv a‡i msNl© nq e‡j Rvbvb wZwb| 

nZvnZ m¤ú‡K© wbi‡c¶ †Kv‡bv Lei cvIqv hvqwb Ges Zvr¶wYKfv‡e gšÍe¨ Kivi Rb¨ †Kv‡bv Zv‡jevb m`m¨‡KI cvIqv hvqwb| wRI, wewewm





কাকা রোনালদো দ্রগবা প্রথম রাউন্ডে ছুটি কার?

মাহমুদুল হাকিম
প্রতিটি ফুটবল বিশ্বকাপেই একটা ‘গ্রুপ অব ডেথ’ থাকে। মানে সোজা কথায় ‘মৃত্যু উপত্যকা’। যেখানে চারদলের মরণপণ লড়াই শেষে নকআউট পর্বে ওঠে যায় ভাগ্যবান দুটো দল। আর বিদায় নিতে হয় কোনো না কোনো অন্যতম সেরা দলকেই। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। লটারির খেলায় একই গ্রুপে পড়ে গেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বরাবরের ফেভারিট ব্রাজিল, ইউরোপের অন্যতম পাওয়ার হাউস পর্তুগাল, আফ্রিকার হট ফেভারিট আইভরি কোস্ট এবং এশিয়ার ডার্কহর্স উত্তর কোরিয়া। এমনিতে ‘জি’ গ্রুপ থেকে সহজ হিসেবে ব্রাজিলকে সবাই দেখছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে পর্তুগাল চতুর্থ হয়েছিল। কাজেই বাদ দেয়া যাবে না তাদেরও। আর আফ্রিকান দলগুলোর মধ্যে সেরা ধরা হচ্ছে আইভরি কোস্টকেই। কাজেই আউটসাইডার হিসেবে উত্তর কোরিয়াকে বাদ দিলেও, বাকি তিন জায়ান্ট থেকে একজনকে বিদায় নিতেই হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১০ এর প্রথম রাউন্ড থেকে। তার মানে কাকা, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং দিদিয়ের দ্রগবা এই তিন মেগাস্টারের একজনকে পয়লা রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়ে বাকি বিশ্বকাপটা দর্শক হিসেবেই দেখতে হবে।
ব্রাজিলিয়ান কাকা এ মৌসুমে ইনজুরির জন্য রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরতে পারেননি। তারপরও ২৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার বিশ্বকাপে ব্রাজিলের মাঝ মাঠের জেনারেল। রেকর্ড ১৯ বার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলা ব্রাজিল যদি এই গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয় তাহলে শেষ ১৬ দলের নকআউট পর্বে তাদের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা একই মহাদেশের চিলির। কোচ কার্লোস ডুঙ্গার চোখ সেদিকেই। গ্রুপের প্রথম ম্যাচ ১৫ জুন আইভরি কোস্ট এবং পর্তুগালের মধ্যে। এ ম্যাচটি দুদলের জন্যই দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ব্রাজিল যদি গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয় তাহলে দ্বিতীয় স্থানের জন্য সম্ভাব্য লড়াই হবে এ দুদলের মধ্যেই। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে রোনালদো কিংবা দ্রগবাকে পড়তে হবে ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনের সামনে। উত্তর কোরিয়া ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে ইতালিকে হারিয়ে শেষ আটে ওঠে ইতিহাস গড়েছিল। এবার তারা কী করবে সেটি কারও ধারণাতেই নেই। তবে তারা বাকি তিন দলেরই যে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে সেটি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
কোচ ডুঙ্গা দলে তারকাপ্রথা প্রায় বিলুপ্ত করেছেন। তিনি টিম গেমে বিশ্বাসী। ‘জোগো বোনিত’ তার কাছে কেবলই একটি স্লোগান। তার সাফকথা ম্যাচ শেষে বিজয়ীকেই সবাই মনে রাখে। গোলে জুলিও সিজারকে এখন অনেকেই বলেন বিশ্বসেরা। ডিফেন্সে লুসিও, হুয়ান, মাইকন, আলভেস। মাঝমাঠে কাকা আর জিলবার্তো সিলভা। আক্রমণে লুইস ফ্যাবিয়ানো এবং নিলমার। এদের নিয়েই শুরু হবে ডুঙ্গার বিশ্বকাপ অভিযান। ব্রাজিলের প্লাস পয়েন্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলার অভিজ্ঞতা তাদের রয়েছে। গত জুনে সেখানে অনুষ্ঠিত ফিফা কনফেডারেশন কাপের ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথমে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ৩-২ গোলে জিতে।
পর্তুগালের গোল্ডেন বয় রোনালদো বাছাইপর্বে দেশের হয়ে মোটামুটি খেলেছেন। তবে ইনজুরিও তার কারণ ছিল। রিয়ালের হয়েও একই কারণে কিছু ম্যাচ তিনি খেলতে পারেননি। তবে মিডফিল্ডার-কাম স্ট্রাইকার এই তারকা রিয়ালের হয়ে গোল করেছেন নিয়মিতই। কোচ কার্লোস কুইরোজ তাকে ঘিরেই গেমপ্ল্যান আঁটছেন। চেলসির হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে এবার দুর্দান্ত মৌসুম গেছে দ্রগবার। শিরোপা জেতার পাশাপাশি ২৯ গোল করে দ্রগবা হয়েছেন প্রিমিয়ার লীগের সর্বাধিক গোলদাতা। পরে তার গোলেই এফএ কাপের ট্রফি জিতে ‘ডাবল’ পেয়েছে চেলসি। কাজেই দ্রগবার ফর্মের দিকে তাকিয়ে আইভরি কোস্ট। তার সঙ্গে দুই ভাই ইয়াইয়া টোরে এবং কোলো টোরে, সলোমন কালুরা মিলে আইভরি কোস্ট যথেষ্টই শক্তিশালী দল। কাজেই উপসংহার হলো ‘জি’ গ্রুপে প্রথম থেকেই দর্শকরা পেয়ে যাবেন বিশ্বকাপের উত্তেজনার খোরাক।









Biv‡bi Ici wb‡lavÁvi †gqv` evov‡jv hy³ivষ্ট্র
Avi †K iwK: Biv‡bi Ici wb‡lavÁvi †gqv` evwo‡q g½jevi RvwZms‡Ni wbivcËv cwil‡` Lmov cÖ¯Íve †ck K‡i‡Q hy³ivó«| cigvYy mg…×KiY cÖKí eÜ Ki‡Z ivwR bv nIqvq Lmov G Pyw³‡Z Biv‡bi e¨vswKs I Ab¨vb¨ wkíLv‡Z Ae‡iva Av‡iv‡ci cwiKíbv Kiv n‡q‡Q| K‡qK gvm a‡i Av‡jvPbvi ci hy³ivóª, weª‡Ub, d«vÝ, Rvg©vwb, Pxb I ivwkqv G Pyw³‡Z m¤§Z nq|

10 c„ôvi Lmov Pyw³‡Z Biv‡bi cvigvYweK Kg©m~wP msµvšÍ m‡›`nRbK gvjvgvj cwien‡b wb‡qvwRZ hvbevnb¸‡jvi Ici AvšÍR©vwZK ZË¡eav‡biI Avn¡vb Rvbv‡bv n‡q‡Q| cwðgv K~UbxwZKiv Rvbvb, RvwZmsN I BD‡ivcxq wZbwU mn‡hvMx †`‡ki g‡a¨ †ek wKQy mg‡SvZvi wfwˇZ Kiv Lmov Pyw³‡Z †Zniv‡bi wei“‡× wb‡lavÁv Av‡iv †Rvi`vi Kiv n‡q‡Q| ivwkqv I Pxb Aek¨ †P‡qwQj Pzw³wU mnR Ki‡Z| Lmov G Pzw³‡Z wKQy bZyb wel‡q cÖ¯Íve Kiv n‡q‡Q| wKš‘ cwðgv †`‡ki cÖwZwbwaiv Rvbvb, Zviv †hgbUv Avkv K‡iwQ‡jb †ZgbUvB n‡q‡Q| cvigvYweK †evgv ˆZwii Rb¨ Bivb cigvYy Kg©m~wP Pvjv‡”Q e‡j cwðgv †`k¸‡jvi Awf‡hvM eiveiB cÖZ¨vL¨vb K‡i Avm‡Q Bivb| BD‡iwbqvg mg„×KiY cªKí eÜ Kivi welqwU cªZ¨vL¨vb K‡i Zviv Rvbvq, kvwšÍc~Y©fv‡e we`y¨r Drcv`b Kivi g‡a¨B Zv‡`i G Kg©m~wP mxgve× i‡q‡Q| Lmov Pyw³‡Z we‡`‡k Biv‡bi †Kv‡bv e¨vs‡Ki bZyb kvLv ev †Kv‡bv Awdm Lyj‡Z wb‡lavÁv Av‡iv‡ci Rb¨ c`‡¶c Mªn‡Y wewfbœ iv‡ó«i cªwZ Avn&evb Rvbv‡bv n‡q‡Q| †Zniv‡bi cigvYy I †¶cYv¯¿ Kg©m~wP‡Z hv‡Z mvnvh¨ Ki‡Z bv cv‡i †mRb¨ Lmov Pyw³‡Z Biv‡bi †K›`ªxq e¨vsKmn wewfbœ e¨vs‡Ki †jb‡`‡bi Ici bRi ivLvi Rb¨I wewfbœ †`‡ki cªwZ Avn&evb Rvbv‡bv n‡q‡Q| Avj-RvwRiv





রেলওয়েতে নিয়োগ বাণিজ্য : কিছুই আর বাকি থাকল না

সরকারের সব কাজে এখন চলছে তুঘলকি কাণ্ড। লেজেগোবরে অবস্থা প্রশাসনের সর্বত্র। ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’র মতো যার যা খুশি করে যাচ্ছে প্রশাসন। এক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অন্য মন্ত্রণালয়ের, এক দফতরের সঙ্গে অন্য দফতরের কাজেকর্মে কোনো সমন্বয় নেই। ক্ষেত্রবিশেষে সম্পর্কেও চলছে টানাপোড়েন। আর এই ফাঁক দিয়ে অসাধু এবং দুর্নীতিবাজ আমলারা দেদারছে চালাচ্ছে দলবাজি ও ঘুষ বাণিজ্য। এই হযবরল দশার সর্বশেষ দৃশ্য অভিনীত হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়েতে। প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় অর্থাত্ সংস্থাপন মন্ত্রণালয়কে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে তাদের অজ্ঞাতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ৩ হাজার ৭৯৫ কর্মচারীর নিয়োগ চূড়ান্ত করে ফেলেছে। পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান, আবেদন সংগ্রহ, বাছাই, লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ—সবকিছুই শেষ করেছে নিজ উদ্যোগে, কোনো অনুমোদন ব্যতিরেকে। গোল বেঁধেছে নিয়োগপত্র দেয়ার সময়। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত ফাইল এলে এখানকার কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে পড়েন। তাদের ছাড়পত্র ছাড়া এত বড় নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিশ্বাস্য বলে মনে হলেও ঘটনার সত্যতা অনস্বীকার্য। তারা চিঠি দেন রেলওয়েকে। রেলওয়ে জানায়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার উপসচিবের নির্দেশানুযায়ী তারা এই কর্মসাধন করেছে। সংস্থাপন মন্ত্রণালয় এই প্রক্রিয়াকে অবৈধ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে। এদিকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বৈধ করার পথ খুঁজে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে রেলওয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এই সুযোগে প্রার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। একইসঙ্গে চূড়ান্ত হওয়া এই নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে বাতিল না হয়, সেজন্য সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ওপর সৃষ্টি করা হচ্ছে নানাবিধ চাপ, যা অনৈতিক তো বটেই, সরাসরি সরকারি চাকরি বিধিমালার লঙ্ঘন। এটা প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল।
সংস্থাপন মন্ত্রণালয় যাতে এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া মেনে নেয়, সেজন্য সরকারেরই বিভিন্ন মহল থেকে এখন বলা হচ্ছে, ঘটনা-উত্তর অনুমোদন ব ভূতাপেক্ষ ছাড়পত্র দেয়ার জন্য। এই চাপ যারা দিচ্ছে তাদের সঙ্গে অবৈধ অর্থের সংযোগ সাধিত হয়েছে, তা অনুমান করা যায়। কারণ এই একই ধরনের আবদার করে চিঠি দেয় সড়ক ও রেলওয়ে বিভাগ। তাদের চিঠির মর্ম ধরে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় বৈঠকও করে। সব দিক বিবেচনা করে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় সাফ জানিয়ে দেয়, শূন্য পূরণের জন্য ঘটনা-উত্তর অনুমোদন, ভূতাপেক্ষ ছাড়পত্র প্রদানের কোনো সুযোগ নেই। আমার দেশে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের এই কঠোর অবস্থানের পর রেলওয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা সংস্থাপন মন্ত্রণালয়কে ম্যানেজ করার নামে চাকরির জন্য মনোনীতদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় বিপুল অর্থ। এ অভিযোগ যোগাযোগ সচিবের কানে এলে তিনি বিষয়টি সংস্থাপন সচিবকে জানান। সংস্থাপন সচিব খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, রেলওয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারাই এসব করছে। এর সঙ্গে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের কেউ জড়িত নেই। ঘুষ বাণিজ্য এর আগেও এক দফা সারে রেলওয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। ৩ হাজার ৭৯৫টি পদের বিপরীতে দরখাস্ত পড়ে কয়েক লাখ। এর জন্য সরকারের বিভিন্ন তরফ থেকে জোর সুপারিশ আসে। সরকারি দলের নেতারাও ঘুষের একটা বড় অংশ পকেটস্থ করেন। এখন এই ঘুষখোর দলীয় নেতাকর্মীরাই সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ওপর চাপের পর চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে একটা দুর্ভাগ্যজনক চিত্র আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সমন্বয়হীনতার চাইতেও এখানে বড় আস্পর্ধার দিকটি। কোনো রূপ বৈধতা ছাড়া যারা সরকারের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে এত বড় কাণ্ড করতে পারে, তারা তো সামান্য নয় নিশ্চয়ই। নিশ্চয়ই তাদের খুঁটির জোরের জায়গাটিতে মজবুতভাবে বসে আছেন বর্তমান সরকারদলীয় কোনো কোনো কেউকেটা। এখানে অঢেল ঘুষ বাণিজ্যের দিকটিতে আর ছাই পড়া নেই। পরিষ্কারভাবে চলে এসেছে লোকচক্ষুর সামনে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এসব শৃঙ্খলাভঙ্গকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেখানে শাস্তির ব্যবস্থা করা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দরকার, সেখানে সরকারের দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের হয়ে চাপ দিয়ে যাচ্ছে সংস্থাপনের ওপর, যা একইসঙ্গে উদ্বেগজনকও বটে। আমরা অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে প্রশাসনকে তার নিজস্ব পদ্ধতি ও গতিতে চলতে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এ অন্যায় যদি প্রতিকারবিহীনভাবে পার পেয়ে যায়, তাহলে আখেরে বড় ধরনের অমঙ্গলের হাত থেকে প্রশাসন ও দেশকে রক্ষা করা কঠিন হবে।

একি! ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ?

ড. মা হ বু ব হা সা ন
‘মনে দোলা লাগে,—এরকম একটি গানের কলি কানে বাজছে আমার। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ এই সংবাদটি পাঠের পর হঠাত্ করে কেন এই গানের পঙিক্ত আমার কানে বাজলো, নাকি মনে পড়লো তা বুঝতে পারছি না। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি তো আর নিষিদ্ধ হয়নি, তাহলে কেন বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় আমার মনে এই ‘দোলা’ লাগলো? তাহলে কি আমার মনের ভেতরেও ছিল ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হোক?
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠনের পর থেকেই ছাত্রলীগের ক্ষমতার তাণ্ডবের শুরু। ছাত্রলীগকে বেপরোয়া দেখে মনে হয়েছিল শুধু আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় গেছে, মহাজোট ক্ষমতায় যায়নি। শরিকরা অবশ্য তেমন একটা মনে করেনি ছাত্রলীগের রাজনৈতিক তাণ্ডবে। কারণ তাতে তাদের কোনো বাহ্যিক ক্ষতি নেই, যা কিছু ক্ষয়ক্ষতি তার পুরোটাই আওয়ামী লীগের। প্রথমদিকে মহাজোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেছিলেন, তার ছেলেরা [তিনি ছাত্রলীগের উপদেষ্টা ছিলেন, যতদিন না নির্বাচন কমিশন দলীয় কোনো অঙ্গসংগঠন থাকতে পারবে না বলে ফরমান জারি করে, ততদিন তিনি নিয়ন্ত্রক হিসেবেই বহাল ছিলেন এ সংগঠনের।] বিরোধী দল বিএনপির ছাত্রদল ও জামায়াতের ছাত্র শিবিরকে কিছুটা শাসনে বা শায়েস্তা করলে ক্ষতি কী? না, তেমন ক্ষতি আর কী? ছাত্রদল আর শিবিরকে শায়েস্তা করার পাশাপাশি ক্ষমতার দ্বন্দ্বে যে নিজেদের মধ্যে হানাহানি, কাটাকাটি শুরু করবে তা কে ভেবেছিল? ব্যাপারটা চরমে পৌঁছল যখন রাজধানীর থানাগুলো ছাত্রলীগের রাজনৈতিক অফিসে ও মাল কামানোর কেন্দ্রে পরিণত হলো। একদিকে মারামারি-কাটাকাটি অন্যদিকে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, প্রভাব বিস্তারের হানাহানি বেড়ে দেশের সব জায়গার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি জাতীয় সমস্যায় পরিণত হলো, তখনই প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়লেন ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণের। কিন্তু তাতেও কোনো ফল হলো না। এখন আর আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন নয় ছাত্রলীগ, তবু পুলিশ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের আটক করছে না। এর আগে আমরা আইজিপির মখে শুনেছি, সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক না কেন, তাকে পুলিশ আটকাবেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ক্ষমতার সূচনাকাল থেকেই একথা বলছেন, অপরাধী যে দলেরই হোক, ছাড়া হবে না। কিন্তু সে কথা কথা হিসেবেই আছে। আমরা কোনো রাজনৈতিক সন্ত্রাসীকে আটক হতে দেখছি না। অবশ্য, উদাহরণ হিসেবে দু’একজন সন্ত্রাসীর সন্ত্রাসীর নাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলতে পারবেন। পুলিশ আটক করেছে অনেক সন্ত্রাসীকে, সেরকম উদাহরণও আছে, কিন্তু তাদের বিচারালয়ে পাঠানো যায়নি। তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু এই সত্য তো আইজিপি প্রকাশ্যে বলতে পারছেন না। বলতে পারছেন না, অমুক মন্ত্রীর অনুরোধে অমুক সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হলাম। তাতে রিস্ক বেশি, চাকরি খোয়ানোর আশঙ্কা আছে। না হলে ওএসডি। সবচেয়ে ছোট শাস্তি হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের কোনো সীমান্তবর্তী থানায় বদলি। এই ভয়ে পুলিশি প্রশাসনের ভেতরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার একটি প্রশাসনিক আকাঙ্ক্ষা থাকা সত্ত্বেও, তাকে কার্যকর করার কোনো উপায় নেই। ঠিক এই কারণেই ছাত্রলীগের হানাহানি-কাটাকাটি, মারামারি বা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করার পরও কোনো অ্যাকশন নেই পুলিশের। গত ষোলো মাসে মহাজোট সরকারের রাজনৈতিক ভবিষ্যেক একেবারে ঝরঝরে করে দিয়েছে। তবে সেটা বোধহয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুরোপুরি বুঝতে পারেন না। কারণ তিনি তো নির্বাচনের সময় এসব ছাত্রকর্মীকে ব্যবহার করেছেন। নির্বাচনে জেতার জন্য এসব জঙ্গি কর্মীদের প্রয়োজন, এটা সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন। যেহেতু রাজনীতিতে গণতন্ত্র নেই, সে জন্যই জঙ্গি রাজনৈতিক কর্মী দরকার। নির্বাচনে যদি জঙ্গি ছাত্রকর্মীদের না লাগে তাহলে তো তাদের সুবিধা দেয়ার কোনো প্রয়োজন থাকবে না। আমরা বলতে পারি, রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র না থাকাই জাতীয় রাজনীতির প্রধান সমস্যা। দলে গণতন্ত্র কায়েম থাকলে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় বসেই ছাত্রদের বিজয়ী উল্লাস-উত্তেজনাকে থামিয়ে দিয়ে বলতে পারতেন তোমরা ক্যাম্পাসে থাক। পড়াশোনো কর। তিনি এবং তার আগের সব সরকার প্রধানই একথা বলতে বা একাজটি করতে পারতেন। ছাত্র রাজনীতি ক্যাম্পাসের বাইরে আসবে না এবং তাদের রাজনীতি হবে শুধু তাদের পড়াশোনা ও জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে। সুখের বিষয় যে, এখন কোনো রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠন নেই। সে জন্য কোনো ছাত্রফ্রন্টও নেই তাদের। এ জন্য বর্তমান সরকার ধন্যবাদ পাবেন নাকি নির্বাচন কমিশনের তা পাওনা, সেটা দেশের মানুষই ভালো বলতে পারবেন। আমার কেবল একটা কথা মনে হচ্ছে যে, সত্য সত্যই, দলগুলো অঙ্গসংগঠন না রাখার বিধানটি মেনে নিয়েছেন কিনা। ভাবে-ভঙ্গিতে মনে হয় বিষয়টি নিয়ে তারা থম ধরে আছেন। হ্যাঁ করছেন না, নাও বলছেন না। ভাবখানা সময় এলেই দেখা যাবে। কিংবা রাজনৈতিক জোয়ার এলে কোথায় উড়ে যাবে এই বিধিবিধান। আমার মনে হচ্ছে, মানসিকভাবে প্রত্যেক দলের লেজুড় হিসেবে আছে ছাত্র সংগঠন এবং ছাত্রনেতারা। সে জন্যই বারে বারে ছাত্রফ্রণ্ট নিষিদ্ধ করতে হয়। কিন্তু তাতে ছাত্রদের অবৈধ দাপট বন্ধ হয় না। অর্থাত্ ছাত্ররা ক্ষমতাসীন দলকে ভয় পায় না। তারা সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের ভাই-বেরাদর মনে করে। আর পুলিশকে মনে করে তাদের আজ্ঞাবহ কর্মচারী। তার আরেকটা কারণ হচ্ছে, ছাত্রলীগের পুরনো কর্মীরাই এখন রাজধানীর অধিকাংশ থানায় ওসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় এসে হয়তো এরকম কাজই করবে।
২.
প্রিয় পাঠক, আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে বরিশাল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ছাত্রলীগের দুই বিবদমান গ্রুপের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের কথা। দা হাতে এক ছাত্রকে পাশে বসে একজন গলা জড়িয়ে ধরে আছে আর একজন সামনে থেকে রড দিয়ে এবং আরেকজন পেছন থেকে বড় দা দিয়ে কোপ মারছে। এটি পত্রিকায় ছাপা ছবির বর্ণনা দিলাম। সম্প্রতি বরিশালের র্যাব-পুলিশ ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার ছাত্রলীগ সদস্যকে আটক করেছে।
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। একে স্বাগত জানিয়েছেন বরিশালের মেয়র শওকত হোসেন হিরণ। তিনি বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত ‘সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত আগে নিতে পারলে বরিশাল পলিটেকনিকে এ ধরনের নৃশংস ঘটনা ঘটতো না। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরীকে ক্লোজড করা সম্পর্কে হিরণ বলেন, এটাও ভালো হয়েছে। ওসি ছাত্রলীগের বিতর্কিত নেতাদের গ্রেফতার না করে তাদের পক্ষে সাফাই গাইতেন।’
আরও একটি উদ্ধৃতি দেয়া যাক। এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক গত বুধবার [১২ মে] বরগুনা যাওয়ার পথে বরিশালের উপ-পুলিশ কমিশনার ভানুলাল দাসের কাছে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ছাত্রলীগের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের কৈফিয়ত্ চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হলো, ঘটনার সঙ্গে যে-ই জড়িত থাকুক না কেন, তাকে গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় প্রশাসনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘সরকারের সুনাম নষ্টকারীরা দলের কেউ নয়।’
এই স্পষ্ট নির্দেশ ও বক্তব্যের পর আমরা ধারণা করি, পুলিশের পক্ষে আর কোনো সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীকে আটক করে জেলে পাঠানোর মধ্যে বাধা রইল না। আর কোনো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতা কর্তৃক ছাত্রলীগের অপরাধী, সন্ত্রাসী বা আইনভঙ্গকারীকে ছাড়িয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটবে না বলেই আমার ধারণা। কিন্তু এর আগে যেসব নেতা সন্ত্রাসীকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কি কোনো পদক্ষেপ নেবেন সরকার? সন্ত্রাসীকে আটক না করলে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার যে কথা এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী বললেন, সেটা বাস্তবায়ন করা গেলে নিশ্চয়ই যারা সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছেন, তাদের বিরুদ্ধেও একই রকম পদক্ষেপ নেয়া হবে? ঢিলেমি বা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী নেতাদের সঙ্গে প্যাক্ট করার অপরাধে যদি পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়, তাহলে রাজনীতিকদের বিরুদ্ধেও সেরকম ব্যবস্থা নেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হলে সন্ত্রাসীরা ছত্রছায়া পাবে না।
এখন পুলিশ আর বলতে পারবে না যে, ক্ষমতাসীনদের কারণে সন্ত্রাসীদের আটক করা যাচ্ছে না। বরিশাল ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে, কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটি কে ভেঙে দেবে? এ-প্রশ্ন অনিবার্য । রাজধানীতে যত চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, কর্মীদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা, প্রতিপক্ষ ছাত্রদল, শিবিরকে ঘায়েল করা ইত্যাদি বন্ধ করতে হলে তো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিও বাতিল করে দিতে হবে। সেটা করে নিজেদের সত্, যোগ্য, সাহসী ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ছাত্রলীগের যে সুনাম ও ঐতিহ্য রয়েছে, জ্ঞানার্জন করে, ছাত্রদের ক্যাম্পাস সমস্যার সমাধান করে, জাতীয় রাজনীতিতে ঢোকার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে তোলার বিকল্প নেই। ছাত্রলীগ আজ আর আওয়ামী লীগের কোনো অঙ্গ-সংগঠন নয়। তাই সত্য মনে রেখে এই ছাত্র সংগঠনটিকে নির্ধারণ করতে হবে তাদের আদর্শ হবে শিক্ষা গ্রহণ, কোনো জাতীয় সংগঠনের রাজনৈতিক আদর্শের তল্পিবাহক হওয়া নয়। একথা কেবল ছাত্রলীগের জন্য নয়, একথা ছাত্রদলের জন্যও সমানভাবে প্রয়োগ করতে হবে। বিএনপি যদি মনে করে থাকে যে, জাতীয় রাজনীতিতে ছাত্রদলকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতার মসনদে যাবে, আমরা বলতে চাই এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিত্যাগ করুন। দেশের অগণন মানুষ আছে যারা সরকারের অনৈতিক, অন্যায় আর অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য প্রস্তুত। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের কেনার সামর্থ্যের বাইরে চলে গেছে। উত্পাদক কৃষকরা জানে, কেবল সারের দাম কমালেই শস্য উত্পাদিত হয় না। তারা জানে, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর বীজ ব্যবসার যাঁতাকলের মধ্যে পড়েছে তারা। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করবে, সেই চিন্তাটা করতে হবে রাজনৈতিক সরকার ও বিরোধী দলগুলোকে। দেশের জনগণ কেবল ছাত্রলীগের নারকীয় তাণ্ডব থেকে বাঁচতে চায় না, তারা রগ-কাটা শিবির আর ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের করাল থাবা থেকেও বাঁচতে চায়। এই সত্য মনে রেখে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেত্রীকে আহ্বান জানাবো ছাত্রদের রাজনৈতিক ঐতিহ্যের কথা বলে সেই গৌরবের বারোটা বাজানোর কোনো প্রয়োজন নেই। পাকিস্তানি শাসনামলের প্রেক্ষাপট ও আদর্শ, আর লক্ষ্য আজ নেই। অতএব ছাত্রদের রাজনীতিরও প্রয়োজন নেই। আইন করেই কেবল নয়, কার্যক্রমের মাধ্যমেও ছাত্রদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। এর কোনো ব্যত্যয় হলে আজকে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা থেকে জাতি মুক্তি পাবে না। সরকার কি সেটা চায় না?
নিউইয়র্ক থেকে


Leave a Reply

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Alertpay

You can replace this text by going to "Layout" and then "Page Elements" section. Edit " About "

সরাসরি চ্যাট করার জন্য পেজ এর নিচে যান

a

ইংরেজী বিজয় ফনেটিক অভ্র ফনেটিক ইউনিজয়

Widget by: Bangla Hacks

b

পত্রিকায় প্রকাশিত চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি 
2 June 2010

এখানে ক্লিক করুন ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করুন।

WELL-COME TO BD ADDA(বিনামূল্যে ওয়েব সাইড তৈরির জন্য যোগাযোগ করুনঃ- ওয়েব ডেভোলাপার- মোঃ শফিকুর রহমান, মোবাইল নং-8801812465879)