About

ABC Radio

Blogger news

হরতাল বিএনপির রাজপথ আ’লীগে


হরতাল বিএনপির রাজপথ আ’লীগের

স্টাফ রিপোর্টার
তেল-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী রাজনৈতিক জোট আহূত গতকালের হরতালের ছিল ভিন্ন একটি রূপ। হরতাল ডেকেছে বিএনপি, কিন্তু রাজপথে সক্রিয় ছিল আওয়ামী লীগ। তেমনি হরতালে পুলিশেরও দুই ধরনের রূপ দেখা গেছে। জনগণের পাহারাদার এই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের পৃথক চোহারা দেখে পথচারীদের মুখে ‘গণতান্ত্রিক পুলিশের দুই রূপ’—এমন মন্তব্য শোনা গেছে। হরতালে র্যাব-পুলিশ একদিকে বিরোধী দলকে রাস্তায়ই দাঁড়াতে দেয়নি, অন্যদিকে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের লাঠি মিছিলে নিরাপত্তা দিয়েছে। জঙ্গি মহড়ার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের মিছিলে একীভূত হয়ে যান অনেক পুলিশ সদস্য।
পুলিশি বাধার মুখে হরতালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ও সমমনা দলগুলো ঢাকার কোনো সড়কেই দাঁড়াতে পারেনি। নগরীর কয়েকটি স্পটে বিএনপি ও জামায়াত ঝটিকা কয়েক মিনিটের মিছিল বের করে। অর্ধশতাধিক স্পটে মিছিল বের করার উদ্যোগ নিতেই পুলিশ-র্যাবের হামলার শিকার হন বিরোধী জোটের নেতাকর্মীরা। শুধু ঢাকা শহরেই গতকাল শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর দেড় ডজনের মতো নেতাকর্মীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, লালবাগ, ফকিরাপুল, শাহজাহানপুর, উত্তরা, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াতের মিছিলে পুলিশ হামলা করে। মহাখালীতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বেশকিছু নেতা এবং মালিবাগে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে কিছু নেতাকে অবরুদ্ধ করে রাখে র্যাব-পুলিশ।
তবে রাষ্ট্রের অর্থে পোষা জনগণের পাহারাদার এই পুলিশ হরতালে আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। শিশুপার্ক এলাকায় ছাত্রদলের মিছিলে ধাওয়া করে সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুলকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করার চেষ্টা করে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ধারী সিভিল পোশাকে শ’ শ’ ব্যক্তি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র মহড়া দেয়। বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কার্যালয়ের আশপাশ এলাকায় পোশাক পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি এমন অসংখ্য অস্ত্রধারীকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। পুলিশের পোশাকধারী অধিকাংশ সদস্যই তত্পর ছিল বিএনপি কর্মী খুঁজতে। পথচারীদের ধরে ধরে তল্লাশি ও নানাবিধ প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনসহ সিনিয়র নেতাদের ঘোষণা পালনে সোচ্চার ছিল পুলিশ সদস্যরা। বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কর্মরত এক পুলিশ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘মন্ত্রীদের নির্দেশনায় ঢাকা শহরে বিএনপির কাউকে নামতে দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগের বড় ক্যাডার প্রমাণে অনেকে পুলিশ সদস্য ও সাধারণ মানুষকেও হয়রানি করছে।’
হরতাল সমর্থকদের রাস্তায় নামতে না দেয়ার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের মিছিলে নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত সময় কাটায় পুলিশ। হরতাল ঠেকাতে তারা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মিছিল বের করায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাদের লাঠি হাতে মিছিল ও মোটরসাইকেল মহড়ার শব্দে ঢাকার ফাঁকা রাজপথ দিনভর মুখর ছিল। দলের বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে হরতালবিরোধী মিছিল-সমাবেশ করে।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সবচেয়ে বড় সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো। সকাল থেকে এখানে রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। নেতাকর্মীদের পদচারণায় কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুখরিত হয়ে ওঠে। শত শত নেতাকর্মী কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় এবং হরতালবিরোধী বিভিন্ন সেম্লাগান দিতে থাকে। কখনও কখনও কার্যালয়ের আশপাশসহ পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল, প্রেস ক্লাব সড়কগুলোতে মিছিল করে।
সকাল ১১টায় ছাত্রলীগ (দক্ষিণ) একটি বিশাল মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আসে। হরতালবিরোধী প্রথম মিছিলটি করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ মতিঝিল ও পল্টন থানা শাখা। মিছিলটি পল্টন, গুলিস্তান, জিপিও হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এলে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপস্থিত নেতারা বক্তব্য রাখেন। এরপর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক সবুজের নেতৃত্বে একটি মিছিল আসে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে ছাত্রলীগ। সমাবেশে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, প্রধানমন্ত্রীর এপিএস সাইফুজ্জামান শিখর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আনিস-উজ-জামান রানার নেতৃত্বে একটি মিছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে বের হয়ে গুলিস্তান, জিপিও, পল্টন মোড়, বিজয়নগর, কাকরাইল মোড় হয়ে আবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
বিরোধী দল যাতে কোনোভাবেই হরতালের নামে বিশৃঙ্খলা, ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও করতে না পারে সে কারণেই সকাল থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সদস্য সুজিত রায় নন্দী, সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রায় রমেশ চন্দ্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া মতিঝিল, বিজয়নগর, প্রেস ক্লাব, মগবাজার, মালিবাগ, মৌচাক, খিলগাঁও, পুরনো ঢাকাসহ রাজধানীর বড় বড় পয়েন্টগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হরতালবিরোধী মিছিল-সমাবেশ করে।
ভোর থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাহারা ও মহড়া দেয়। বেলা ১১টায় চারুকলার সামনে হরতালবিরোধী সমাবেশ করে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। ঢাবি সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে এতে কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও ঢাবি সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ বক্তৃতা করেন।
হরতাল চলাকালে ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ও কবি নজরুল কলেজে হরতালবিরোধী মিছিল করেছে। জবিতে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বের করা মিছিলটি ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে জনসন রোড, রায়সাহেব বাজার মোড় এবং পুরনো ঢাকার বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আয়োজিত সমাবেশে মিলিত হয়। দুপুর ১২টায় কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে হরতালবিরোধী মিছিল বের করে। দুপুরে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ কলেজের আশপাশের রাস্তায় মিছিল করেছে

Leave a Reply

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Alertpay

You can replace this text by going to "Layout" and then "Page Elements" section. Edit " About "

সরাসরি চ্যাট করার জন্য পেজ এর নিচে যান

a

ইংরেজী বিজয় ফনেটিক অভ্র ফনেটিক ইউনিজয়

Widget by: Bangla Hacks

b

পত্রিকায় প্রকাশিত চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি 
2 June 2010

এখানে ক্লিক করুন ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করুন।

WELL-COME TO BD ADDA(বিনামূল্যে ওয়েব সাইড তৈরির জন্য যোগাযোগ করুনঃ- ওয়েব ডেভোলাপার- মোঃ শফিকুর রহমান, মোবাইল নং-8801812465879)