মেসিবাহিনীর অপেক্ষায় ঢাকা
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯৮৬। পুরো বিশ্ব ম্যারাডোনাময়। সর্বত্র আলোচনা; ম্যারাডোনার ‘ঈশ্বরের হাত’, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শতাব্দীর সেরা গোল, বলতে গেলে একা খেলেই আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে চুমো খাওয়ার সুযোগ করে দেয়া-ইত্যাদি। বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, পেলে বড় না ম্যারাডোনা বড়? এ প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি। তবে ভক্তদের চোখে যিনিই বড় হোন, খোদ ফুটবল ঈশ্বর স্বীকৃতি দিয়েছেন আরেকজনকে, লিওনেল মেসি, তার স্বদেশী। ম্যারাডোনা বলেছেন, ‘মেসি আমার চেয়ে বড় খেলোয়াড়’। ম্যারাডোনাদের বিশ্বকাপ জয়ের ঠিক এক বছর পর ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন জন্ম নেন ভবিষ্যতের ম্যারাডোনা, আজকের লিওনেল মেসি। তখন কোনো গণকও ভবিষ্যতবাণী করেননি, এই শিশুর পায়ের জাদুতেই একদিন মাতবে পুরো বিশ্ব। ফুটবল মাঠে চোখ আটকে থাকবে কোটি কোটি মানুষের। এ মেসি জাদু দেখতে টিভির পর্দায় চোখ আটকে থাকে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের। অবশ্য এর শুরু করেছিলেন ম্যারাডোনাই। ’৮৬-তে বিশ্বকাপ জয়ের পরই বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ ম্যারোডোনা তথা আর্জেন্টিনার ভক্ত বনে যায়। এ ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। প্রতি বিশ্বকাপের সময় আর্জেন্টিনার পতাকায় ছেয়ে যায় বাড়িঘর। কিন্তু এবার সরাসরি মেসি দর্শন। হঠাত্ স্বপ্ন দেখে চোখ কচলে নিশ্চিত হওয়া নয়, স্বপ্ন না বাস্তব, মেসি না অন্য কেউ? মেসি আসছেন, নিশ্চিত করেই বলা যায়, এটা এখন বাস্তব, আগামিকালই, এ ৫৬ হাজার বর্গমাইল মাতাতে। পুরো বাংলাদেশ এখন উত্তাল, উন্মুখ ২৪ বছর বয়সী ফুটবলের এ রাজপুত্রের অপেক্ষায়। কলকাতায় ভক্তদের উম্মাদনা দেখে তিনি বিস্মিত হয়েছেন। বলেছেন, ‘এদেশে আমার এত ভক্ত রয়েছে, তা কল্পনায়ও ছিল না।’ বাংলাদেশেও রয়েছে মেসির কোটি ভক্ত। তাকে কাছ থেকে দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। এদের দেখে এ তারকাদের তারকা ফুটবলার কী বলেন কে জানে?
ফিফার উদ্যোগে ঢাকায় ৬ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া প্রীতিম্যাচ আয়োজন করা হলেও সব কিছু ছাপিয়ে আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছেন দুইবার করে বিশ্ব সেরা ফুটবলার লিওনেল।
আগামীকাল সকাল সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ বিমানে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসবেন মেসিবাহিনী। টারমাকে তাদের প্রথম অভ্যর্থনা জানাবেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এরপর ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাগত জানাবেন জাতীয় দলের বর্তমান ও সাবেক ৪০ খেলোয়াড়। তবে বাফুফে’র শাস্তি পাওয়ায় জাতীয় দলের বর্তমান তিন সদস্য এমিলি, মিঠুন ও জাহিদ হোসেন এ দলে থাকতে পারছেন না।
বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেল রূপসী বাংলায় আসবে আর্জেন্টিনা দল। এ হোটেলেই তারা অবস্থান করবে। যদিও তাদের হোটেল সোনারগাঁওয়ে থাকার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সফরের সময় এ হোটেলে থাকবেন বলে মেসিদের শেষ পর্যন্ত জায়গা হয়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে তারা। রাতে যোগ দিবে বাফুফে’র ডিনারে।
৩ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনা দল ঢাকা আসার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যাওয়ায় ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ ও সংশয় ঘনীভূত হয়। কিন্তু শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে সব শঙ্কা উড়িয়ে দেয় বাফুফে। ম্যাচ আয়োজনের নিশ্চয়তা দিয়ে মেসির পায়ের জাদু দেখার প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানায় ফেডারেশন।
আয়োজক কমিটির সভাপতি আনোয়ারুল হক হেলাল এ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। ৩ তারিখের পরিবর্তে ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসবে আর্জেন্টিনা দল।
নির্ধারিত সময়ের দু’দিন পরে মেসিদের ঢাকা আসার কারণ যানজট বলে জানান হেলাল। তিনি বলেন, আর্জেন্টিনা দল মূল ভেন্যুতে টানা প্রাকটিস করবে না সেটি আগেই জানিয়েছিল। অপর প্রাকটিস ভেন্যু ফতুল্লা স্টেডিয়ামে যেতে আসতে প্রায় ৬ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। তারা ভেন্যু পরিদর্শন করতে এসে মাঠে যাতায়াতসহ সবকিছু ভিডিও করে নিয়ে যায়। সেটা দেখার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
নাইজেরিয়া দলের আগমন সম্পর্কে হেলাল জানান, সুপার ঈগলরা মাদাগাস্কার থেকে ৪ সেপ্টেম্বর (আজ রোববার) ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবে। ৫ তারিখ সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছবে। এ দলটি হোটেল ওয়েস্টিন এ থাকবে।
এদিকে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া প্রীতিম্যাচের দিনই ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক বিপুল সংখ্যক মানুষ আশঙ্কা করছেন তিনি আসছেন ট্রানজিটের নামে করিডোর চুক্তি করতে। দিল্লি অনুগত বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এ সফর নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ উদ্দীপনা দেখালেও সাধারণ মানুষের কাছে মেসিদের ঢাকায় আগমনের বিষয়ইটিই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। শুধু রাজধানী ঢাকায়ই নয় কিংবা সারা দেশের ক্রীড়াপ্রেমীই নয়, সাধারণ মানুষও উন্মুখ হয়ে আছে ঢাকার মাঠে মেসির পায়ের জাদু দেখতে। শহর, গ্রাম, গঞ্জ, পাড়া-মহল্লায় সর্বত্র প্রস্তুতি চলছে এ খেলা দেখার।
আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া দলের আগমন উপলক্ষে দু’দলের খেলোয়াড়দের ছবি সংবলিত ব্যানার টানানো হয়েছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে। খেলা নিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে রাজপথসহ অলিগলিতে।
পুরো রাজধানীতে বিশেষ করে খেলোয়াড়দের যাতায়াত পথে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দু’দল যে দুই হোটেলে অবস্থান করবেন সেখানে বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এ দুটি হোটেল সাজানো দু’দেশের পতাকা আর জার্সি দিয়ে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখন শুধু অপেক্ষা। কখন ঢাকার মাঠে মেসির জাদুকরি পায়ে গড়াবে বল।
ফিফার উদ্যোগে ঢাকায় ৬ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া প্রীতিম্যাচ আয়োজন করা হলেও সব কিছু ছাপিয়ে আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছেন দুইবার করে বিশ্ব সেরা ফুটবলার লিওনেল।
আগামীকাল সকাল সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ বিমানে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসবেন মেসিবাহিনী। টারমাকে তাদের প্রথম অভ্যর্থনা জানাবেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এরপর ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাগত জানাবেন জাতীয় দলের বর্তমান ও সাবেক ৪০ খেলোয়াড়। তবে বাফুফে’র শাস্তি পাওয়ায় জাতীয় দলের বর্তমান তিন সদস্য এমিলি, মিঠুন ও জাহিদ হোসেন এ দলে থাকতে পারছেন না।
বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেল রূপসী বাংলায় আসবে আর্জেন্টিনা দল। এ হোটেলেই তারা অবস্থান করবে। যদিও তাদের হোটেল সোনারগাঁওয়ে থাকার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সফরের সময় এ হোটেলে থাকবেন বলে মেসিদের শেষ পর্যন্ত জায়গা হয়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে তারা। রাতে যোগ দিবে বাফুফে’র ডিনারে।
৩ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনা দল ঢাকা আসার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যাওয়ায় ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ ও সংশয় ঘনীভূত হয়। কিন্তু শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে সব শঙ্কা উড়িয়ে দেয় বাফুফে। ম্যাচ আয়োজনের নিশ্চয়তা দিয়ে মেসির পায়ের জাদু দেখার প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানায় ফেডারেশন।
আয়োজক কমিটির সভাপতি আনোয়ারুল হক হেলাল এ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। ৩ তারিখের পরিবর্তে ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসবে আর্জেন্টিনা দল।
নির্ধারিত সময়ের দু’দিন পরে মেসিদের ঢাকা আসার কারণ যানজট বলে জানান হেলাল। তিনি বলেন, আর্জেন্টিনা দল মূল ভেন্যুতে টানা প্রাকটিস করবে না সেটি আগেই জানিয়েছিল। অপর প্রাকটিস ভেন্যু ফতুল্লা স্টেডিয়ামে যেতে আসতে প্রায় ৬ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। তারা ভেন্যু পরিদর্শন করতে এসে মাঠে যাতায়াতসহ সবকিছু ভিডিও করে নিয়ে যায়। সেটা দেখার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
নাইজেরিয়া দলের আগমন সম্পর্কে হেলাল জানান, সুপার ঈগলরা মাদাগাস্কার থেকে ৪ সেপ্টেম্বর (আজ রোববার) ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবে। ৫ তারিখ সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছবে। এ দলটি হোটেল ওয়েস্টিন এ থাকবে।
এদিকে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া প্রীতিম্যাচের দিনই ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক বিপুল সংখ্যক মানুষ আশঙ্কা করছেন তিনি আসছেন ট্রানজিটের নামে করিডোর চুক্তি করতে। দিল্লি অনুগত বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এ সফর নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ উদ্দীপনা দেখালেও সাধারণ মানুষের কাছে মেসিদের ঢাকায় আগমনের বিষয়ইটিই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। শুধু রাজধানী ঢাকায়ই নয় কিংবা সারা দেশের ক্রীড়াপ্রেমীই নয়, সাধারণ মানুষও উন্মুখ হয়ে আছে ঢাকার মাঠে মেসির পায়ের জাদু দেখতে। শহর, গ্রাম, গঞ্জ, পাড়া-মহল্লায় সর্বত্র প্রস্তুতি চলছে এ খেলা দেখার।
আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া দলের আগমন উপলক্ষে দু’দলের খেলোয়াড়দের ছবি সংবলিত ব্যানার টানানো হয়েছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে। খেলা নিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে রাজপথসহ অলিগলিতে।
পুরো রাজধানীতে বিশেষ করে খেলোয়াড়দের যাতায়াত পথে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দু’দল যে দুই হোটেলে অবস্থান করবেন সেখানে বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এ দুটি হোটেল সাজানো দু’দেশের পতাকা আর জার্সি দিয়ে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখন শুধু অপেক্ষা। কখন ঢাকার মাঠে মেসির জাদুকরি পায়ে গড়াবে বল।