বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ৯৯
ডেস্ক রিপোর্ট
জামালপুর ও পাবনার সাঁথিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও কমপক্ষে ৯৯ জন আহত হয়েছেন। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে :
জামালপুর : জামালপুরে পৃথক ঘটনায় ১ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় একটি মাছের খামারসহ বেশকয়টি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর হয়েছে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে জামালপুর শহরের মেডিকেল রোড এলাকায় মোবাইল নিয়ে বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা আল-মামুন নামে এক গার্মেন্টকর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর রাত ২টায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মামুনের বাড়ি শহরের বজ্রাপুর হাজিপাড়া এলাকায়।
নিহত মামুনের ভাই সাইদুর রহমান স্বপন অভিযোগ করেছেন, শহরের কাচারীপাড়া এলাকার বাচ্চু ও সুজনসহ একদল সন্ত্রাসী পিটিয়ে তার ভাইকে হত্যা করেছে। এদিকে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার ঘটনার জের ধরে শনিবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার শরিফপুর ও রাঙ্গামাটিয়া গ্রামবাসীর মধ্যে কয়েকদফা সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুরের ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। এ সময় একটি মত্স্যখামার, বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িঘর ভাংচুর হয়।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ফারুক নামে ১ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নাইম, সম্রাট, শাহীন, খোকন, ইউসুফ, আজিজলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাঁথিয়া (পাবনা) : পাবনার সাঁথিয়ায় এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের খানমাহমুদপুর গ্রামে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের আওয়াল মেম্বার গ্রুপ ও জিয়া গ্রুপের মধ্যে একটি পুকুর দখল ও জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে আওয়াল গ্রুপের আবদুল আওয়াল, জমশেদ আলী, আলম, কাশেম, সুজন, ছাত্তার কাজী এবং জিয়া গ্রুপের আবুল কালাম আজাদ মুক্তি, সোহাগ রানা, নজরুল ইসলাম, মোক্তার হোসেন আহত হয়। আহতদের সাঁথিয়া ও পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়া হয়। গুরুতর আহত মুক্তিকে পাবনা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। সংঘর্ষের সময় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৪০ ব্যক্তি আহত হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার খাটিহাতা গ্রামের ভাণ্ডারি মিয়ার ছেলে আলম এবং সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের সোহেলসহ তাদের বন্ধুরা মিলে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে সীমান্ত এলাকা আখাউয়ায় ফেনসিডিল সেবন করতে যায়। ফেরার পথে আলম ও সোহেলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। রাত ১০টার দিকে তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড় এলাকায় পৌঁছে। এ সময় আলম সিএনজি অটোরিকশাটি সোহেল ও তার বন্ধুদের খাটিহাতা গ্রামে আটকে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে সোহেলের বাড়ি কুট্টাপাড়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিশ্বরোড মোড়ে আসে। খাটিহাতা গ্রামের লোকজনও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিশ্বরোড এলাকায় এলে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে দু’দলের অন্তত ১৫ ব্যক্তি আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যায়। দুই দিকে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। পরে বিশ্বরোড হাইওয়ে, খাটিহাতা ফাঁড়ি ও সরাইল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
অপরদিকে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সরাইল উপজেলা সদরের প্রাতঃবাজার এলাকায় মাদক সেবন করে কবির নামে এক যুবক মাতলামি করছিল। এ সময় ইউনিয়নের উত্তর আরিফাইল গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে আনোয়ারকে মাদকাসক্ত কবির ঘুষি মারে। এ ঘটনায় উপস্থিত বাজারের লোকজন কবিরের ওপর চড়াও হয়। এর জের ধরে কিছুক্ষণ পর কবিরের বাড়ি কাচারি পাড়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাজার এলাকায় আনোয়ারের ওপর হামলা করে। খবর পেয়ে উত্তর আরিফাইল গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রাতঃবাজারে এলে দু’গ্রুপ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বাজারের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। দাঙ্গাবাজদের ইটপাটকেলে বেশকিছু দোকানের টিনসেড ঘর নষ্ট হয়। দেড় ঘণ্টা স্থায়ী সংঘর্ষে দু’গ্রুপের অন্তত ২৫ ব্যক্তি আহত হয়। খবর পেয়ে সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) চন্দন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাপক লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে নারীঘটিত সালিশি বৈঠককে কেন্দ্র করে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা শনিবার রাত ৯টায় ৩০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ, মহিলাদের শ্লীলতাহানি, ৮টি বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে ১৫ জন গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহতরা হলো আল মামুন, জাবেদ হোসেন, জাকির, আবিদা সুলতানা তৃষা, সৈকত, আহাদ, নাজমা বেগম, হোসেনকে রামগঞ্জ সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে সন্ত্রাসী আহসান হাবিবসহ ৩৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করলে পুলিশ মামলার ১ নম্বর আসামি আহসান হাবীবকে গ্রেফতার করে লক্ষ্মীপুর আদালতে পাঠায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লামচর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে চকিদার বাড়ির মিজানুর রহমান দেড়মাস আগে তার স্ত্রী শাহিনুর বেগম মনিকে মৌখিক তালাক দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মেম্বার ইব্রাহিম কয়েকজন গ্রাম্য মাতব্বর এক ইমামের ফতোয়া নিয়ে শনিবার বিকালে সালিশ বসায়। সালিশে হেরে যাওয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজান ও ইব্রাহিমের ইন্ধনে স্থানীয় সন্ত্রাসী আহসান হাবিব, ইব্রাহিম, মোরশেদ আলম, নুরুল আমীন সবুজ, মামুন, রাকীব, মাহফুজ, খোরশেদ ও মাসুদসহ ৩০-৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপকে ভাড়া করে। সন্ত্রাসীরা রাত ৯টার দিকে বেড়িবাজার থেকে গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করতে করতে ভূঁইয়া বাড়িতে উপস্থিত হয়ে এক এক করে আলমগীর হোসেন, আ. আহাদ, দেলোয়ার, মাসুদ, সার্জেন্ট (অব.) মুক্তার হোসেন, খোকা, আজাদ, মোরশেদের বসতঘর ভাংচুর, মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে। সন্ত্রাসীরা নগদ ৮৫ হাজার টাকা, ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি টিভি, একটি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইলসহ মালামাল লুট করে। আহত আলমগীর হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, ভাংচুরের সময় গ্রামবাসী ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা ওপরের দিকে বৃষ্টির মত ফাঁকা গুলি ও ৮-১০টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
শাহিনুর বেগম মনি বলেন, ভূঁইয়া বাড়ির লোকজন আমার ৩ মেয়ে সন্তানের পক্ষে কথা বলায় মেম্বার মিজান ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উল্লা জানান, বিবাহ বিচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম ভূঁইয়া পি পি এম বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। মামলা তদন্তাধীন। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা থেকে পুলিশের এক হাবিলদারকে পেটানোর অভিযোগে বাস চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দুপুরে। এ সময় সব যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বাসটি কালিয়াকৈর থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত দুইদিন যাবত্ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে খনাখন্দক দূর করতে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। সংস্কার কাজ চলমান অবস্থায় যানজট এড়াতে পুলিশ চন্দ্রা ত্রিমোড়ে কোনো বাসকে যাত্রী উঠানো নামানো ছাড়া দাঁড়িয়ে থাকতে বাধা দেয়। ঢাকা থেকে জামালপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-০২-০৫৪৫) দুপুরে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় পৌঁছে যাত্রী উঠানামা শেষে মহাসড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকে। গাজীপুর জেলা পুলিশের হাবিলদার মো. হাফিজুর রহমান চালককে দ্রুত বাস ছেড়ে যাবার জন্য বললে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে হাফিজ চালককে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বেধম মারধর শুরু করে। বাসচালক জীবন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাছে থাকা লাঠি দিয়ে হাবিলদার হাফিজকেও এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। খবর পেয়ে মহাসড়কে কর্তব্যরত ৮-১০ জন পুলিশ কনস্টেবল ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাফিজকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ ও শ্রমিকদের ধস্তাধস্তিতে ৫ জন আহত হয়।
এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সিগন্যাল অমান্য করায় চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) : সীতাকুণ্ডে এবার আনছার দিয়ে দখল করে নিল বসতভিটা ও কৃষিজমি। সংঘর্ষে মহিলাসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।
জানা যায়, স্থানীয় সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী স্টেশন এলাকার মৃত মোহাম্মদ মিয়ার ওয়ারিশগণের জায়গা গতকাল সকাল ৭টার সময় একটি স্টিল মিলের শতাধিক ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনীসহ মিলের আনসার নিয়ে দখল করার জন্য আসে। যথানিয়মে তারা দখল করে নেয়। এতে জায়গার মালিকরা বাধা দিতে এলে লাঠিয়াল বাহিনী ও আনসাররা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় ৬ মহিলা আহত হয়। আহতরা হলেন রনি আক্তার, সাহানাজ আক্তার, সেলিনা আক্তার সেলি, সাজেদা বেগম, মঞ্জুরা খাতুন।
জায়গার মালিক নুরুল আলম মাস্টার জানান, তাদের বাবার ক্রয় করা জায়গা মিলের আনসার দিয়ে দখল করে নেয়। এ দখল প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে তারা আগে থেকে পরিবারের সদস্যদের মামলায় জড়িয়ে জেলে দেয়। তিনি আরও বলেন, আনসার দিয়ে তাদের জায়গা দখল করলেও পরে তারা আবার তাদের ওই জায়গা দখলে নিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ জানান, জায়গাটি নিয়ে নুরুল আলম মাস্টার গং ও মৃত আলি আহমদের ওয়ারিশগণের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। দীর্ঘদিন ধরে আদালতে এ নিয়ে মামলা মোকাদ্দমাও চলছে। গতকাল আলী আহমদের ওয়ারিশগণ জায়গাটি বিএসআরএম নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে এতে কয়েকজন আহত হয়। তবে আনসার দিয়ে দখলের বিষয়টি তার জানা নেই।
সীতাকুণ্ড উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা বাহার উদ্দিন জানান, আনসারের কোনো সদস্য ওই জায়গায় নিয়োগ দেয়া হয়নি। বিএসআরএম মিলে দায়িত্বরত ৩ জন আনসারকে ওই জায়গায় নিয়ে গেলেও পরে তাদের প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আলী নগর ইউনিয়নে পুলিশ আসামি ধরতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আসামি পুলিশের ওপর হামলা চালালে ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়। সেই সঙ্গে পুলিশের কাছ থেকে ২টি রাইফেল ছিনিয়ে নেয় আসামিরা। পরে পুলিশ অভিযানে রাইফেল উদ্ধার করা হয়।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ হোসনা বেগম, শফর বিবি ও শিল্পী বেগম নামে ৩ জনকে আটক করেছে।
দেবিদ্বার (কুমিল্লা) : দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের গফুর হাজীর বাড়িতে সীমানা ও বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জেরে মো. মনির হোসেনের স্ত্রী পারভিন আক্তারকে তার ভাই শাকিল মারধর করে। ঘটনাস্থল থেকে আহত পারভীন আক্তারকে দেবিদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঈদের পরের দিন চাচা আবুল সামাদ, আবদুর রহমান, চাচাতো ভাই হান্নান, ভাই শাকিল হোসেন, আবুল হোসেন হামলা চালিয়ে তার স্বর্ণালঙ্কারসহ ঘরের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। আবুল ও শাকিল মিলে মনির হোসেনের স্ত্রী পারভীন আক্তারকে মারধর করে চলে যায়। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেবিদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
জামালপুর : জামালপুরে পৃথক ঘটনায় ১ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় একটি মাছের খামারসহ বেশকয়টি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর হয়েছে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে জামালপুর শহরের মেডিকেল রোড এলাকায় মোবাইল নিয়ে বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা আল-মামুন নামে এক গার্মেন্টকর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর রাত ২টায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মামুনের বাড়ি শহরের বজ্রাপুর হাজিপাড়া এলাকায়।
নিহত মামুনের ভাই সাইদুর রহমান স্বপন অভিযোগ করেছেন, শহরের কাচারীপাড়া এলাকার বাচ্চু ও সুজনসহ একদল সন্ত্রাসী পিটিয়ে তার ভাইকে হত্যা করেছে। এদিকে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার ঘটনার জের ধরে শনিবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার শরিফপুর ও রাঙ্গামাটিয়া গ্রামবাসীর মধ্যে কয়েকদফা সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুরের ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। এ সময় একটি মত্স্যখামার, বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িঘর ভাংচুর হয়।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ফারুক নামে ১ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নাইম, সম্রাট, শাহীন, খোকন, ইউসুফ, আজিজলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাঁথিয়া (পাবনা) : পাবনার সাঁথিয়ায় এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের খানমাহমুদপুর গ্রামে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের আওয়াল মেম্বার গ্রুপ ও জিয়া গ্রুপের মধ্যে একটি পুকুর দখল ও জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে আওয়াল গ্রুপের আবদুল আওয়াল, জমশেদ আলী, আলম, কাশেম, সুজন, ছাত্তার কাজী এবং জিয়া গ্রুপের আবুল কালাম আজাদ মুক্তি, সোহাগ রানা, নজরুল ইসলাম, মোক্তার হোসেন আহত হয়। আহতদের সাঁথিয়া ও পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়া হয়। গুরুতর আহত মুক্তিকে পাবনা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। সংঘর্ষের সময় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৪০ ব্যক্তি আহত হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার খাটিহাতা গ্রামের ভাণ্ডারি মিয়ার ছেলে আলম এবং সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের সোহেলসহ তাদের বন্ধুরা মিলে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে সীমান্ত এলাকা আখাউয়ায় ফেনসিডিল সেবন করতে যায়। ফেরার পথে আলম ও সোহেলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। রাত ১০টার দিকে তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড় এলাকায় পৌঁছে। এ সময় আলম সিএনজি অটোরিকশাটি সোহেল ও তার বন্ধুদের খাটিহাতা গ্রামে আটকে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে সোহেলের বাড়ি কুট্টাপাড়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিশ্বরোড মোড়ে আসে। খাটিহাতা গ্রামের লোকজনও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিশ্বরোড এলাকায় এলে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে দু’দলের অন্তত ১৫ ব্যক্তি আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যায়। দুই দিকে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। পরে বিশ্বরোড হাইওয়ে, খাটিহাতা ফাঁড়ি ও সরাইল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
অপরদিকে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সরাইল উপজেলা সদরের প্রাতঃবাজার এলাকায় মাদক সেবন করে কবির নামে এক যুবক মাতলামি করছিল। এ সময় ইউনিয়নের উত্তর আরিফাইল গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে আনোয়ারকে মাদকাসক্ত কবির ঘুষি মারে। এ ঘটনায় উপস্থিত বাজারের লোকজন কবিরের ওপর চড়াও হয়। এর জের ধরে কিছুক্ষণ পর কবিরের বাড়ি কাচারি পাড়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাজার এলাকায় আনোয়ারের ওপর হামলা করে। খবর পেয়ে উত্তর আরিফাইল গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রাতঃবাজারে এলে দু’গ্রুপ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বাজারের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। দাঙ্গাবাজদের ইটপাটকেলে বেশকিছু দোকানের টিনসেড ঘর নষ্ট হয়। দেড় ঘণ্টা স্থায়ী সংঘর্ষে দু’গ্রুপের অন্তত ২৫ ব্যক্তি আহত হয়। খবর পেয়ে সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) চন্দন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাপক লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে নারীঘটিত সালিশি বৈঠককে কেন্দ্র করে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা শনিবার রাত ৯টায় ৩০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ, মহিলাদের শ্লীলতাহানি, ৮টি বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে ১৫ জন গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহতরা হলো আল মামুন, জাবেদ হোসেন, জাকির, আবিদা সুলতানা তৃষা, সৈকত, আহাদ, নাজমা বেগম, হোসেনকে রামগঞ্জ সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে সন্ত্রাসী আহসান হাবিবসহ ৩৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করলে পুলিশ মামলার ১ নম্বর আসামি আহসান হাবীবকে গ্রেফতার করে লক্ষ্মীপুর আদালতে পাঠায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লামচর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে চকিদার বাড়ির মিজানুর রহমান দেড়মাস আগে তার স্ত্রী শাহিনুর বেগম মনিকে মৌখিক তালাক দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মেম্বার ইব্রাহিম কয়েকজন গ্রাম্য মাতব্বর এক ইমামের ফতোয়া নিয়ে শনিবার বিকালে সালিশ বসায়। সালিশে হেরে যাওয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজান ও ইব্রাহিমের ইন্ধনে স্থানীয় সন্ত্রাসী আহসান হাবিব, ইব্রাহিম, মোরশেদ আলম, নুরুল আমীন সবুজ, মামুন, রাকীব, মাহফুজ, খোরশেদ ও মাসুদসহ ৩০-৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপকে ভাড়া করে। সন্ত্রাসীরা রাত ৯টার দিকে বেড়িবাজার থেকে গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করতে করতে ভূঁইয়া বাড়িতে উপস্থিত হয়ে এক এক করে আলমগীর হোসেন, আ. আহাদ, দেলোয়ার, মাসুদ, সার্জেন্ট (অব.) মুক্তার হোসেন, খোকা, আজাদ, মোরশেদের বসতঘর ভাংচুর, মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে। সন্ত্রাসীরা নগদ ৮৫ হাজার টাকা, ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি টিভি, একটি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইলসহ মালামাল লুট করে। আহত আলমগীর হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, ভাংচুরের সময় গ্রামবাসী ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা ওপরের দিকে বৃষ্টির মত ফাঁকা গুলি ও ৮-১০টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
শাহিনুর বেগম মনি বলেন, ভূঁইয়া বাড়ির লোকজন আমার ৩ মেয়ে সন্তানের পক্ষে কথা বলায় মেম্বার মিজান ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উল্লা জানান, বিবাহ বিচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম ভূঁইয়া পি পি এম বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। মামলা তদন্তাধীন। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা থেকে পুলিশের এক হাবিলদারকে পেটানোর অভিযোগে বাস চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দুপুরে। এ সময় সব যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বাসটি কালিয়াকৈর থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত দুইদিন যাবত্ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে খনাখন্দক দূর করতে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। সংস্কার কাজ চলমান অবস্থায় যানজট এড়াতে পুলিশ চন্দ্রা ত্রিমোড়ে কোনো বাসকে যাত্রী উঠানো নামানো ছাড়া দাঁড়িয়ে থাকতে বাধা দেয়। ঢাকা থেকে জামালপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-০২-০৫৪৫) দুপুরে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় পৌঁছে যাত্রী উঠানামা শেষে মহাসড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকে। গাজীপুর জেলা পুলিশের হাবিলদার মো. হাফিজুর রহমান চালককে দ্রুত বাস ছেড়ে যাবার জন্য বললে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে হাফিজ চালককে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বেধম মারধর শুরু করে। বাসচালক জীবন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাছে থাকা লাঠি দিয়ে হাবিলদার হাফিজকেও এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। খবর পেয়ে মহাসড়কে কর্তব্যরত ৮-১০ জন পুলিশ কনস্টেবল ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাফিজকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ ও শ্রমিকদের ধস্তাধস্তিতে ৫ জন আহত হয়।
এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সিগন্যাল অমান্য করায় চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) : সীতাকুণ্ডে এবার আনছার দিয়ে দখল করে নিল বসতভিটা ও কৃষিজমি। সংঘর্ষে মহিলাসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।
জানা যায়, স্থানীয় সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী স্টেশন এলাকার মৃত মোহাম্মদ মিয়ার ওয়ারিশগণের জায়গা গতকাল সকাল ৭টার সময় একটি স্টিল মিলের শতাধিক ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনীসহ মিলের আনসার নিয়ে দখল করার জন্য আসে। যথানিয়মে তারা দখল করে নেয়। এতে জায়গার মালিকরা বাধা দিতে এলে লাঠিয়াল বাহিনী ও আনসাররা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় ৬ মহিলা আহত হয়। আহতরা হলেন রনি আক্তার, সাহানাজ আক্তার, সেলিনা আক্তার সেলি, সাজেদা বেগম, মঞ্জুরা খাতুন।
জায়গার মালিক নুরুল আলম মাস্টার জানান, তাদের বাবার ক্রয় করা জায়গা মিলের আনসার দিয়ে দখল করে নেয়। এ দখল প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে তারা আগে থেকে পরিবারের সদস্যদের মামলায় জড়িয়ে জেলে দেয়। তিনি আরও বলেন, আনসার দিয়ে তাদের জায়গা দখল করলেও পরে তারা আবার তাদের ওই জায়গা দখলে নিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ জানান, জায়গাটি নিয়ে নুরুল আলম মাস্টার গং ও মৃত আলি আহমদের ওয়ারিশগণের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। দীর্ঘদিন ধরে আদালতে এ নিয়ে মামলা মোকাদ্দমাও চলছে। গতকাল আলী আহমদের ওয়ারিশগণ জায়গাটি বিএসআরএম নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে এতে কয়েকজন আহত হয়। তবে আনসার দিয়ে দখলের বিষয়টি তার জানা নেই।
সীতাকুণ্ড উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা বাহার উদ্দিন জানান, আনসারের কোনো সদস্য ওই জায়গায় নিয়োগ দেয়া হয়নি। বিএসআরএম মিলে দায়িত্বরত ৩ জন আনসারকে ওই জায়গায় নিয়ে গেলেও পরে তাদের প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আলী নগর ইউনিয়নে পুলিশ আসামি ধরতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আসামি পুলিশের ওপর হামলা চালালে ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়। সেই সঙ্গে পুলিশের কাছ থেকে ২টি রাইফেল ছিনিয়ে নেয় আসামিরা। পরে পুলিশ অভিযানে রাইফেল উদ্ধার করা হয়।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ হোসনা বেগম, শফর বিবি ও শিল্পী বেগম নামে ৩ জনকে আটক করেছে।
দেবিদ্বার (কুমিল্লা) : দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের গফুর হাজীর বাড়িতে সীমানা ও বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জেরে মো. মনির হোসেনের স্ত্রী পারভিন আক্তারকে তার ভাই শাকিল মারধর করে। ঘটনাস্থল থেকে আহত পারভীন আক্তারকে দেবিদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঈদের পরের দিন চাচা আবুল সামাদ, আবদুর রহমান, চাচাতো ভাই হান্নান, ভাই শাকিল হোসেন, আবুল হোসেন হামলা চালিয়ে তার স্বর্ণালঙ্কারসহ ঘরের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। আবুল ও শাকিল মিলে মনির হোসেনের স্ত্রী পারভীন আক্তারকে মারধর করে চলে যায়। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেবিদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।