সরকারের দুর্নীতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্মোচিত হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্মোচিত হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের আলোচনা সভায় এ প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী সরকারের মন্ত্রীদের দুর্নীতি আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই কানাডায় তাদের দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। ’৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই বাংলাদেশ প্রথম বিশ্বের এক নম্বর দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
মির্জা আলমগীর বর্তমান সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি আহ্বান জানান। একুশ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেমেছে বিশ্বব্যাংক। শুক্রবার ব্যাংকটির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের অনুরোধে কানাডার পুলিশ সেদেশের এসএনসি-সাভালিয়ান গ্রুপের একাধিক অফিসে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে তল্লাশি চালায়। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তৃতীয় কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ‘শাবাশ তারেক রহমান’ নামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘বাঁচাও বাংলাদেশ, বাঁচাও তারেক রহমান’ নামে একটি সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজে’র মহাসচিব ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ। মির্জা আলমগীর রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এসবের অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানোরও সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াকেও রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দেয়া হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বর্তমান সরকারকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে গঠিত সংসদ ১৬ দিনও টিকবে না। তিনি বলেন, তারেক রহমান একটি সংগ্রামের নাম। তিনি ফিরলে বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটি আধুনিক দেশে পরিণত করতে পারব। বাংলাদেশে যে গভীর সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের তারেক রহমানকে দরকার। মির্জা আলমগীর বলেন, মাত্র তিন বছরের মধ্যে এ সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা কোনো সমস্যারই সমাধান করতে পারেনি। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। পুলিশ জনগণের হাতে মানুষ তুলে দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করছে। মানুষের জীবন এখন বিপন্ন। মানুষের সম্পত্তির কোনো নিরাপত্তা নেই। তিনি জানান, জনগুরুত্বসম্পন্ন এসব বিষয়ের দিকে নজর না দিয়ে সরকার ব্যস্ত বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কীভাবে নির্যাতন করা যায়। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা জেনে গেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিজয়ী হতে পারবেন না। সেজন্যই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার ব্যবস্থা করেছেন।
শওকত মাহমুদ আগামী বছর তারেক রহমানের উপস্থিতিতে চতুর্থ কারামুক্তি দিবস পালনের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারেক রহমানের ফেরাকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, তারেক রহমান দেশের ভবিষ্যত্ কাণ্ডারী। তার নেতৃত্ব না পেলে বাংলাদেশের উন্নতি আশা করা যায় না। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের ভবিষ্যত্ কাণ্ডারীর উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় নেতৃত্ব হচ্ছে তারেক রহমান। তাকে শেষ কিংবা স্তব্ধ করে দেয়ার যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা সফল হবে না। সব ষড়যন্ত্র পায়ে দলে বীরদর্পে তিনি দেশে ফিরবেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এমপি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেসব মামলা দেয়া হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। তিনি এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. খন্দকার মুশতাহিদুর রহমান বলেন, তৃণমূল মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা যেন রাষ্ট্রের পলিসিতে প্রতিফলিত হতে পারে, সেজন্য তারেক রহমান গ্রামে গ্রামে ঘুরে তাদের মতামত সংগ্রহ করেছিলেন। পরে তা সরকারের কাছে তুলে ধরেছিলেন। তিনি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক হচ্ছে জিয়া পরিবার। এই জিয়া পরিবারের সদস্য তারেক রহমানের মধ্যে দেশের আগামী দিনের কর্ণধারের সম্ভাবনা দেখে ষড়যন্ত্র শুরু করে আধিপত্যবাদীরা। এই ষড়যন্ত্র টিকবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বীরের বেশেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ভবিষ্যত্ কাণ্ডারী। তিনি তার বাবা শহীদ জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে গ্রামে গ্রামে গিয়ে রাজনীতির মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেন। তার ভবিষ্যত্ এই সম্ভাবনা দেখেই কুচক্রিরা ষড়যন্ত্র শুরু করে। ১/১১-এর সরকার ও বর্তমান সরকার তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত করে। কিন্তু তারা সফলকাম হবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রায়ই অভিযোগ করে বিএনপি হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, আওয়ামী লীগই এসবের সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, ’৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সংসদীয় ক্যু করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিলেন। একই বছরের ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা খন্দকার মোশতাক আহমদ প্রথম সামরিক শাসন জারি করেন। ৩ নভেম্বর আরেক ক্যু-এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের আর্শীবাদপুষ্ট ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ তত্কালীন সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমানকে বন্দি করেন এবং তার নিয়োগকৃত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সায়েম দ্বিতীয় সামরিক শাসন জারি করেন। ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনকে অভিনন্দন জানায় আওয়ামী লীগের মুখপত্র বাংলারবাণী। তখন বিবিসিতে সাক্ষাত্কার দিয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আই অ্যাম নট আনহ্যাপী (আমি অখুশী নই)। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগের সমর্থনে তত্কালীন সেনাপ্রধান জেনারেল নাসিম ব্যর্থ ক্যু করেছিলেন। ওয়ান-ইলেভেনে জেনারেল মইন শেখ হাসিনার ইন্ধনে জরুরি অবস্থা জারি করেন। উইকিলিকস গতকাল যে তথ্য ফাঁস করে তাতে দেখা যায়, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিউটিনিসকে শেখ হাসিনা বলেছেন, সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করলে ভালই হবে। অর্থাত্ সবগুলো ষড়যন্ত্রের সঙ্গে এরা জড়িত।
শাবাশ তারেক রহমান বইয়ের লেখক আতিকুর রহমান রুমন অনুষ্ঠানে আগত সবাইকে স্বাগত ও কৃতজ্ঞতা জানান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. সদরুল আমীন, বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. একেএম আজিজুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কবি আবদুল হাই শিকদার। উল্লেখ্য, ৯৬ পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে শিকড় প্রকাশনী। এর দাম রাখা হয়েছে ১৫০ টাকা। বইটি দেশের বিভিন্ন লাইব্রেরি এবং লেখকের কাছে পাওয়া যাবে।
মির্জা আলমগীর বর্তমান সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি আহ্বান জানান। একুশ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেমেছে বিশ্বব্যাংক। শুক্রবার ব্যাংকটির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের অনুরোধে কানাডার পুলিশ সেদেশের এসএনসি-সাভালিয়ান গ্রুপের একাধিক অফিসে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে তল্লাশি চালায়। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তৃতীয় কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ‘শাবাশ তারেক রহমান’ নামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘বাঁচাও বাংলাদেশ, বাঁচাও তারেক রহমান’ নামে একটি সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজে’র মহাসচিব ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ। মির্জা আলমগীর রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এসবের অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানোরও সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াকেও রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দেয়া হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বর্তমান সরকারকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে গঠিত সংসদ ১৬ দিনও টিকবে না। তিনি বলেন, তারেক রহমান একটি সংগ্রামের নাম। তিনি ফিরলে বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটি আধুনিক দেশে পরিণত করতে পারব। বাংলাদেশে যে গভীর সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের তারেক রহমানকে দরকার। মির্জা আলমগীর বলেন, মাত্র তিন বছরের মধ্যে এ সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা কোনো সমস্যারই সমাধান করতে পারেনি। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। পুলিশ জনগণের হাতে মানুষ তুলে দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করছে। মানুষের জীবন এখন বিপন্ন। মানুষের সম্পত্তির কোনো নিরাপত্তা নেই। তিনি জানান, জনগুরুত্বসম্পন্ন এসব বিষয়ের দিকে নজর না দিয়ে সরকার ব্যস্ত বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কীভাবে নির্যাতন করা যায়। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা জেনে গেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিজয়ী হতে পারবেন না। সেজন্যই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার ব্যবস্থা করেছেন।
শওকত মাহমুদ আগামী বছর তারেক রহমানের উপস্থিতিতে চতুর্থ কারামুক্তি দিবস পালনের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারেক রহমানের ফেরাকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, তারেক রহমান দেশের ভবিষ্যত্ কাণ্ডারী। তার নেতৃত্ব না পেলে বাংলাদেশের উন্নতি আশা করা যায় না। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের ভবিষ্যত্ কাণ্ডারীর উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় নেতৃত্ব হচ্ছে তারেক রহমান। তাকে শেষ কিংবা স্তব্ধ করে দেয়ার যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা সফল হবে না। সব ষড়যন্ত্র পায়ে দলে বীরদর্পে তিনি দেশে ফিরবেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এমপি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেসব মামলা দেয়া হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। তিনি এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. খন্দকার মুশতাহিদুর রহমান বলেন, তৃণমূল মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা যেন রাষ্ট্রের পলিসিতে প্রতিফলিত হতে পারে, সেজন্য তারেক রহমান গ্রামে গ্রামে ঘুরে তাদের মতামত সংগ্রহ করেছিলেন। পরে তা সরকারের কাছে তুলে ধরেছিলেন। তিনি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক হচ্ছে জিয়া পরিবার। এই জিয়া পরিবারের সদস্য তারেক রহমানের মধ্যে দেশের আগামী দিনের কর্ণধারের সম্ভাবনা দেখে ষড়যন্ত্র শুরু করে আধিপত্যবাদীরা। এই ষড়যন্ত্র টিকবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বীরের বেশেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ভবিষ্যত্ কাণ্ডারী। তিনি তার বাবা শহীদ জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে গ্রামে গ্রামে গিয়ে রাজনীতির মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেন। তার ভবিষ্যত্ এই সম্ভাবনা দেখেই কুচক্রিরা ষড়যন্ত্র শুরু করে। ১/১১-এর সরকার ও বর্তমান সরকার তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত করে। কিন্তু তারা সফলকাম হবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রায়ই অভিযোগ করে বিএনপি হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, আওয়ামী লীগই এসবের সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, ’৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সংসদীয় ক্যু করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিলেন। একই বছরের ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা খন্দকার মোশতাক আহমদ প্রথম সামরিক শাসন জারি করেন। ৩ নভেম্বর আরেক ক্যু-এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের আর্শীবাদপুষ্ট ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ তত্কালীন সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমানকে বন্দি করেন এবং তার নিয়োগকৃত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সায়েম দ্বিতীয় সামরিক শাসন জারি করেন। ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনকে অভিনন্দন জানায় আওয়ামী লীগের মুখপত্র বাংলারবাণী। তখন বিবিসিতে সাক্ষাত্কার দিয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আই অ্যাম নট আনহ্যাপী (আমি অখুশী নই)। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগের সমর্থনে তত্কালীন সেনাপ্রধান জেনারেল নাসিম ব্যর্থ ক্যু করেছিলেন। ওয়ান-ইলেভেনে জেনারেল মইন শেখ হাসিনার ইন্ধনে জরুরি অবস্থা জারি করেন। উইকিলিকস গতকাল যে তথ্য ফাঁস করে তাতে দেখা যায়, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিউটিনিসকে শেখ হাসিনা বলেছেন, সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করলে ভালই হবে। অর্থাত্ সবগুলো ষড়যন্ত্রের সঙ্গে এরা জড়িত।
শাবাশ তারেক রহমান বইয়ের লেখক আতিকুর রহমান রুমন অনুষ্ঠানে আগত সবাইকে স্বাগত ও কৃতজ্ঞতা জানান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. সদরুল আমীন, বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. একেএম আজিজুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কবি আবদুল হাই শিকদার। উল্লেখ্য, ৯৬ পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে শিকড় প্রকাশনী। এর দাম রাখা হয়েছে ১৫০ টাকা। বইটি দেশের বিভিন্ন লাইব্রেরি এবং লেখকের কাছে পাওয়া যাবে।