স্বাগতম আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া
ইলিয়াস খান
অপেক্ষার পালা শেষ। মেসি ঢাকায় আসছেন—চলতি বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এ ঘোষণা দেয়ার পর সারাদেশের ক্রীড়ামোদী মানুষ অপেক্ষা করছিলেন এ দিনটির জন্য। ফুটবলের এই রাজপুত্রকে বরণ করতে ঢাকা এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। আজ আসছেন লিওনেল মেসি, মেসির আর্জেন্টিনা আর প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া। ঢাকার মাঠে মেসির আর্জেন্টিনার সঙ্গে সুপার ঈগলদের লড়াই শুরু হবে আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায়। গতকাল বিকালে বাফুফে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, খেলার দিন বিকাল ৩টায় দর্শকদের জন্য খুলে দেয়া হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রবেশদ্বারগুলো। ঠিক সন্ধ্যা ছয়টায় সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং শুরু হবে ঢাকার মাঠ কাঁপাতে আসা মেসির আর্জেন্টিনা ও সুপার ঈগল নাইজেরিয়ার ফুটবল যুদ্ধ। বাফুফে আরও জানায়, সোমবার (আজ) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে আর্জেন্টিনা দল ঢাকা পৌঁছাবে। পরে ১১টা ২০ মিনিটে এসে পৌঁছাবে নাইজেরিয়ার ফুটবল দল।
ঢাকায় দুটি দলের অবস্থানের সময় তাদের ‘এ ক্যাটাগরির’ নিরাপত্তা দেয়া হবে। নিরাপত্তা কর্মীরা এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ, খেলার মাঠ, রূপসী বাংলা, ওয়েস্টিন হোটেলে মহড়া দিয়েছেন। এছাড়া বিমানবন্দর থেকে যে পথে দু’দলের খেলোয়াড়রা হোটেল ও মাঠে যাবেন সেসব জায়গায়ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানে কলকাতা থেকে ঢাকা এসে পৌঁছলে টারমাকে মেসিবাহিনীকে প্রথম অভ্যর্থনা জানাবেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্মকর্তারা। এরপর ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাগত জানাবেন জাতীয় দলের বর্তমান ও সাবেক ৪০ জন খেলোয়াড়।
বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেল রূপসী বাংলায় আসবে আর্জেন্টিনা দল। এ হোটেলেই তারা অবস্থান করবে। যদিও তাদের হোটেল সোনারগাঁওয়ে থাকার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সফরের সময় এ হোটেলে থাকবেন বলে মেসিদের শেষ পর্যন্ত জায়গা হয়নি এখানে। ওয়েস্টিন হোটেলে অবস্থান করবে নাইজেরিয়া দল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে আর্জেন্টিনা । আর্জেন্টিনার পর অনুশীলনে নামবে সুপার ঈগলরা। দল দুটির প্র্যাকটিস দেখার জন্য আগ্রহীরা জাতীয় স্টেডিয়াম গেটে টিকিট কিনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। টিকিটের মূল্য এক হাজার ও দুই হাজার টাকা। দুই দলের কর্মকর্তা, খেলোয়াড়রা রাতে যোগ দেবেন বাফুফের ডিনারে। এর আগে দুপুরে দু’দলই সংবাদ সম্মেলন করবে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলনের নির্দিষ্ট সময় জানা যায়নি।
দীর্ঘদিন থেকেই বলা হচ্ছিল ৩ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনা দল ঢাকা পৌঁছাবে। কিন্তু তা দু’দিন পিছিয়ে যাওয়ায় ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ ও সংশয় ঘনীভূত হয়। শেষ পর্যন্ত এ সংশয় ও সন্দেহ দূর হয়েছে। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সব শঙ্কা উড়িয়ে দেয় বাফুফে। ম্যাচ আয়োজনের নিশ্চয়তা দিয়ে মেসির পায়ের জাদু দেখার প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানায় ফেডারেশন।
এদিকে একই দিনে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্নটি হলো, এটা কী কাকতালীয় ঘটনা, না পূর্বপরিকল্পিত? কারণ, মনমোহন আসছেন ট্রানজিটের নামে করিডোর চুক্তি করতে। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে বলে দেশের বিশিষ্টজনরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে এ চুক্তির মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে। বর্তমান দিল্লিবান্ধব সরকার চুক্তির সময়ে যাতে কোনো বিরোধিতার মুখে পড়তে না হয় সেজন্য দেশের মানুষের দৃষ্টি অন্যত্র ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য ঢাকায় এ হাইভোল্টেজ ম্যাচের আয়োজন করেছে।
সে যাই হোক, পুরো দেশ তথা দেশের তরুণ সমাজ অপেক্ষায় আছে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া দ্বৈরথ দেখতে। আর মাত্র একদিন অপেক্ষা মেসি জাদু দেখার, ঢাকার মাঠে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে মেসি হচ্ছেন তৃতীয় বিশ্বখ্যাত তারকা, যিনি ঢাকা আসছেন। এর আগে গত শতকের ’৭০-এর দশকে এসেছিলেন মুষ্ঠিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ক্লে। নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত বক্সিং স্টেডিয়াম উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। এরপর ২০০৭ সালে বাংলাদেশে আসেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার জিনেদিন জিদান। তিনি এসেছিলেন একটি খাদ্যপণ্য উদ্বোধন করতে।
ঢাকায় দুটি দলের অবস্থানের সময় তাদের ‘এ ক্যাটাগরির’ নিরাপত্তা দেয়া হবে। নিরাপত্তা কর্মীরা এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ, খেলার মাঠ, রূপসী বাংলা, ওয়েস্টিন হোটেলে মহড়া দিয়েছেন। এছাড়া বিমানবন্দর থেকে যে পথে দু’দলের খেলোয়াড়রা হোটেল ও মাঠে যাবেন সেসব জায়গায়ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানে কলকাতা থেকে ঢাকা এসে পৌঁছলে টারমাকে মেসিবাহিনীকে প্রথম অভ্যর্থনা জানাবেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্মকর্তারা। এরপর ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাগত জানাবেন জাতীয় দলের বর্তমান ও সাবেক ৪০ জন খেলোয়াড়।
বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেল রূপসী বাংলায় আসবে আর্জেন্টিনা দল। এ হোটেলেই তারা অবস্থান করবে। যদিও তাদের হোটেল সোনারগাঁওয়ে থাকার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সফরের সময় এ হোটেলে থাকবেন বলে মেসিদের শেষ পর্যন্ত জায়গা হয়নি এখানে। ওয়েস্টিন হোটেলে অবস্থান করবে নাইজেরিয়া দল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে আর্জেন্টিনা । আর্জেন্টিনার পর অনুশীলনে নামবে সুপার ঈগলরা। দল দুটির প্র্যাকটিস দেখার জন্য আগ্রহীরা জাতীয় স্টেডিয়াম গেটে টিকিট কিনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। টিকিটের মূল্য এক হাজার ও দুই হাজার টাকা। দুই দলের কর্মকর্তা, খেলোয়াড়রা রাতে যোগ দেবেন বাফুফের ডিনারে। এর আগে দুপুরে দু’দলই সংবাদ সম্মেলন করবে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলনের নির্দিষ্ট সময় জানা যায়নি।
দীর্ঘদিন থেকেই বলা হচ্ছিল ৩ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনা দল ঢাকা পৌঁছাবে। কিন্তু তা দু’দিন পিছিয়ে যাওয়ায় ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ ও সংশয় ঘনীভূত হয়। শেষ পর্যন্ত এ সংশয় ও সন্দেহ দূর হয়েছে। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সব শঙ্কা উড়িয়ে দেয় বাফুফে। ম্যাচ আয়োজনের নিশ্চয়তা দিয়ে মেসির পায়ের জাদু দেখার প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানায় ফেডারেশন।
এদিকে একই দিনে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্নটি হলো, এটা কী কাকতালীয় ঘটনা, না পূর্বপরিকল্পিত? কারণ, মনমোহন আসছেন ট্রানজিটের নামে করিডোর চুক্তি করতে। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে বলে দেশের বিশিষ্টজনরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে এ চুক্তির মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে। বর্তমান দিল্লিবান্ধব সরকার চুক্তির সময়ে যাতে কোনো বিরোধিতার মুখে পড়তে না হয় সেজন্য দেশের মানুষের দৃষ্টি অন্যত্র ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য ঢাকায় এ হাইভোল্টেজ ম্যাচের আয়োজন করেছে।
সে যাই হোক, পুরো দেশ তথা দেশের তরুণ সমাজ অপেক্ষায় আছে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া দ্বৈরথ দেখতে। আর মাত্র একদিন অপেক্ষা মেসি জাদু দেখার, ঢাকার মাঠে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে মেসি হচ্ছেন তৃতীয় বিশ্বখ্যাত তারকা, যিনি ঢাকা আসছেন। এর আগে গত শতকের ’৭০-এর দশকে এসেছিলেন মুষ্ঠিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ক্লে। নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত বক্সিং স্টেডিয়াম উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। এরপর ২০০৭ সালে বাংলাদেশে আসেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার জিনেদিন জিদান। তিনি এসেছিলেন একটি খাদ্যপণ্য উদ্বোধন করতে।