আল-জামিয়াতুল আহিলয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলন গতকাল লক্ষাধিক মুসল্লির আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে জামিয়ার মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, পীরে কামেল আল্লামা শাহ্ আহ্মদ শফী (দা. বা.) বলেছেন, আদালতের রায়ের ওপর ভর করে নতুনভাবে সংবিধান মুদ্রণের মাধ্যমে ৯০ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, ’৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা এদেশের তৌহিদি জনতা মেনে নেবে না। সরকার ’৭২-এর সংবিধান, সম্পত্তিতে নারীর সমঅধিকার, ইসলামী শিক্ষা সংকোচন এবং ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বলে বাংলাদেশের মুসলমানদের মনে আঘাত দিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সবক’টি দেশে ধর্মীয় রাজনীতি চালু আছে। ব্রিটেনে ক্যাথলিক রাজনীতি, ভারতে হিন্দুধর্মীয় রাজনীতি চালু থাকতে পারলে বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতি বন্ধের পরিকল্পনা মূলত ইসলামকে এদেশের মানুষের অন্তর থেকে মুছে ফেলার চক্রান্ত। সারাদেশের উলামা-মাশায়েখসহ সর্বস্তরের তৌহিদি জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের এসব ইসলামবিরোধী অপতত্রতা প্রতিহত করবে।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা তফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী, আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী, মাওলানা মুস্তফা আল-হোসাইনী, মুফতি ও মুহাদ্দিস মুফতি আবদুস সালাম চাটগামী, মুফতি নূর আহ্্মদ, হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ্, মাওলানা আবদুল মালেক হালিম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সম্মেলন শেষে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে জামিয়ার বিগত বছরের প্রায় ২ হাজার দাওরায়ে হাদিস (টাইটেল) উত্তীর্ণ তরুণ আলেমকে বিশেষ সম্মানসূচক পাগড়ি দেয়া হয়।