ভিন্ন খবর : গুলিটি ২৩ বছর মাথায় ছিল!
ডেস্ক রিপোর্ট
কথায় আছে, ‘রাখে আল্লাহ, মারে কে?’ চীনের এক কৃষকের ক্ষেত্রে হয়েছেও তাই। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ হিবি’র জংজিয়াকুইন শহরে বসবাসকারী ওয়াং তিয়ানকিং নামে ওই কৃষক দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে মাথার ভেতর গুলি নিয়ে দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন সম্প্রতি তা বের করার আগ পর্যন্ত। দুই সেন্টিমিটার লম্বা ওই গুলিটি বের করার পর দেখা গেল অনেক আগেই সেটিতে মরিচা ধরেছে মাথার ভেতরে। ঘটনাটি অন্তত চিকিত্সাবিজ্ঞানের ভাষায় বেশ আশ্চর্যজনকই বটে। তবে এর জন্য কৃতিত্বের দাবিদার জংজিয়াকুইন শহরের স্থানীয় হাসপাতালের এক অখ্যাত অ্যাটেনডেন্ট সার্জন ওয়াংজিমিং।
ঘটনাটি ১৯৮৮ সালের। এ সময় তিনি ওই শহরে বাস করতেন। একদিন পাহাড়ি পথ বেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাত্ মাথায় একটা কিছুর আঘাত অনুভব করলেন ওয়াং। পেছনে ফিরে দেখলেন, পাহাড়ের ওপরে কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে। ওয়াং ভাবলেন, সেই লোকই গুলতি দিয়ে কিছু একটা ছুড়ে মারায় তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। হাসপাতালে গেলেন এর চিকিত্সা নিতে। চিকিত্সকের দেয়া সামান্য ব্যথানিরাময়ক ওষুধ সেবন করেই বাড়ি ফিরে গেলেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই মাথায় স্নায়বিক সমস্যা দেখা গেল। এ নিয়ে কাটিয়ে দিলেন গত দুই দশকেরও বেশি সময়।
এবার মাথায় খিচুনি রোগ পেয়ে বসল তাকে। উপায় না দেখে আবারও চিকিত্সকের শরণাপন্ন হলেন ওয়াং তিয়ানকিং। এবার আঁতকে উঠলেন চিকিত্সকের কথায়। ২৩ বছর আগে তাকে কেউ গুলতি দিয়ে কিছু ছুড়ে মারেনি, বরং বন্দুকের গুলি মেরেছিল। মাথায় ওই গুলির উপস্থিতি শনাক্ত করে চিকিত্সকের শক্তিশালী সিটি স্ক্যান যন্ত্র।
জংজিয়াকুইন শহরের স্থানীয় হাসপাতালের নিউরোলজিক্যাল ওনোকোলজি ডিপার্টমেন্টের শল্যচিকিত্সক অ্যাটেনডেন্ট সার্জন ওয়াং জিমিং সফল অস্ত্রোপচার শেষে বের করে আনলেন ওয়াং তিয়ানকিংয়ের মাথা থেকে মরচেধরা গুলিটি। এ সাফল্যে উচ্ছ্বসিত সার্জন ওয়াংজিমিং অস্ত্রোপচার শেষে বললেন, মাথায় গুলি খেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা হাজার গুণেরও বেশি হলেও ওয়াং তিয়ানকিং দিব্বি বেঁচে আছেন। গুলিটি তার মস্তিষ্কের প্রধান শিরায় আঘাত করতে পারেনি। সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ ও স্কাই নিউজ
ঘটনাটি ১৯৮৮ সালের। এ সময় তিনি ওই শহরে বাস করতেন। একদিন পাহাড়ি পথ বেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাত্ মাথায় একটা কিছুর আঘাত অনুভব করলেন ওয়াং। পেছনে ফিরে দেখলেন, পাহাড়ের ওপরে কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে। ওয়াং ভাবলেন, সেই লোকই গুলতি দিয়ে কিছু একটা ছুড়ে মারায় তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। হাসপাতালে গেলেন এর চিকিত্সা নিতে। চিকিত্সকের দেয়া সামান্য ব্যথানিরাময়ক ওষুধ সেবন করেই বাড়ি ফিরে গেলেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই মাথায় স্নায়বিক সমস্যা দেখা গেল। এ নিয়ে কাটিয়ে দিলেন গত দুই দশকেরও বেশি সময়।
এবার মাথায় খিচুনি রোগ পেয়ে বসল তাকে। উপায় না দেখে আবারও চিকিত্সকের শরণাপন্ন হলেন ওয়াং তিয়ানকিং। এবার আঁতকে উঠলেন চিকিত্সকের কথায়। ২৩ বছর আগে তাকে কেউ গুলতি দিয়ে কিছু ছুড়ে মারেনি, বরং বন্দুকের গুলি মেরেছিল। মাথায় ওই গুলির উপস্থিতি শনাক্ত করে চিকিত্সকের শক্তিশালী সিটি স্ক্যান যন্ত্র।
জংজিয়াকুইন শহরের স্থানীয় হাসপাতালের নিউরোলজিক্যাল ওনোকোলজি ডিপার্টমেন্টের শল্যচিকিত্সক অ্যাটেনডেন্ট সার্জন ওয়াং জিমিং সফল অস্ত্রোপচার শেষে বের করে আনলেন ওয়াং তিয়ানকিংয়ের মাথা থেকে মরচেধরা গুলিটি। এ সাফল্যে উচ্ছ্বসিত সার্জন ওয়াংজিমিং অস্ত্রোপচার শেষে বললেন, মাথায় গুলি খেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা হাজার গুণেরও বেশি হলেও ওয়াং তিয়ানকিং দিব্বি বেঁচে আছেন। গুলিটি তার মস্তিষ্কের প্রধান শিরায় আঘাত করতে পারেনি। সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ ও স্কাই নিউজ