About

ABC Radio

Blogger news

মুসলিম সভ্যতার ভুলে যাওয়া কয়েকজন বিজ্ঞানীর কথা:


মুসলিম সভ্যতার ভুলে যাওয়া কয়েকজন বিজ্ঞানীর কথা:

সায়েন্টিফিক অ্যামেরিকান পত্রিকার ওয়েবসাইটে ডেভিড বিয়েলো’র The Forgotten History of Muslim Scientists স্লাইড শো অবলম্বনে ;

প্রসঙ্গ :

নিউ ইয়র্ক হল অফ সায়েন্স’ ‘এ গত ডিসেম্বর থেকে প্রদর্শিত হচ্ছে ‘১০০১ আবিষ্কার’ (1001 Inventions) শীর্ষক একটি প্রদশর্নী; এর অংশ হিসাবে সেখানে প্রদর্শিত হচ্ছে স্যার বেন কিংস্লে অভিনীত পুরষ্কার পাওয়া একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র -যার বিষয়বস্তু হলো নানা বর্ণের, বিশ্বাসের আর পেশার সেই সব নারী আর পুরুষদের ভুলে যাওয়া ইতিহাস, যারা মধ্যযুগে জ্ঞানচর্চা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন, পরবর্তীতে যা ইউরোপীয় রেনেসাঁর আগমনের পথকে সুগম করে দেয়।

৭ম শতাব্দী থেকে ১৭শ শতাব্দী পর্যন্ত্য ইউরোপের সেই ’অন্ধকার যুগ’ ছিলো স্পেন থেকে চীন পর্যন্ত্য ছিল জ্ঞান ও বিজ্ঞানের ‘সোনালী যুগ’। বিজ্ঞানের সব শাখায় নতুন সব ধ্যানধারনা অনুপ্রানিত করেছিল অসংখ্য নব্য প্রযুক্তির উদ্ভাবন, যার অনেকগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে আজও। মুল প্রদর্শনীর কেন্দ্রীয় দর্শনীয় বিষয়টি হলো ত্রয়োদশ শতাব্দীতে প্রতিভাবান প্রকৌশলী আল-জাজার ‘র তৈরী ২০ ফুট দীর্ঘ ‘হাতি ঘড়ি’র একটি অনুরুপ মডেল। এছাড়া আরো কিছু উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্যের মধ্যে আছে ১৫শ শতাব্দীর চীনা ‘জাঙ্ক’ জাহাজের একটি স্কেলকৃত মডেল, নবম শতাব্দীতে তৈরী আকাশে ওড়ার একটা গ্লাইডারের মডেল।

মোট ৭টি জোনে বিভক্ত এই প্রদর্শনীতে ৬০ টিরও বেশী ইন্টারঅ্যাক্টিভ মডেল প্রদর্শিত হয়েছে, যার প্রতিটি গৃহ,হাসপাতাল, বাজার, স্কুল, শহর পরিকল্পনা থেকে শুরু করে পৃথিবী এবং মহাবিশ্ব সম্বন্ধে আমাদের মৌলিক ধারনাগুলোকে প্রভাবিত করেছে। দর্শকরা জানতে পারবেন, বিজ্ঞানী কখন প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন, কেমন করে আমরা দেখি বা কেমন করে আধুনিক ঔষধ আমাদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে? কেন পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যে স্থাপত্য ঐতিহ্যের কেন এতো সদৃশ্যতা ? এছাড়াও, দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি যেমন, কফি টুথপেষ্ট,সাবান ইত্যাদির সুচনা হয়েছিল কিভাবে ?

‘১০০১ আবিষ্কার’ প্রদর্শনীটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো দর্শকদের কাছে তুলে ধরা যে, বিজ্ঞান সবসময়ই একটি বিশ্বব্যাপী পারস্পরিক সহযোগিতার ফসল। এই সহস্য বর্ষের সময়ের ফ্রেমে প্রদর্শনীটি দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দেবে ইউরোপ, আফ্রিকা,ইহুদী,আরব, পারস্য, ভারত, চীন এবং তুরস্কের সেই পথ দেখানো বিজ্ঞানীদের সাথে যারা আমাদের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে অসামান্য ভূমিকা রেখে গেছেন।

এই প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হচ্ছে এরকম কয়েকজন ভুলে যাওয়া মুসলিম সভ্যতার বিজ্ঞানীদের নিয়ে সায়েন্টিফিক অ্যামেরিকান পত্রিকার ওয়েবসাইটে ডেভিড বিয়েলো একটি স্লাইড শো তৈরী করেছেন । সেটাকেই একটু ভিন্নভাবে সাজিয়ে এখানে তুলে ধরলাম :

ভূমিকা:

হাজার বছর আগে গৃহবন্দী হয়ে থাকার সময় একজন আরব পদার্থবিজ্ঞানী তার রচিত একটি গ্রন্থে ‘অপটিক্স’ বা আলোর প্রকৃতি আর আচরন সংক্রান্ত বিজ্ঞান সম্বন্ধে নতুন একটি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গী প্রস্তাব করেস। বিজ্ঞানের এই শাখায় গ্রন্থটির বৈপ্লবিক অবদানকে তুলনা করা হয় এর প্রায় ৭০০ বছর পর প্রকাশিত নিউটনের ‘প্রিন্সিপিয়া’র অবদানের সাথে ।

গ্রন্থটির রচয়িতা কায়রোর একজন মুসলিম বিজ্ঞানী - আবু আলী আল-হাসনান ইবন আল-হাইথাম অথবা পশ্চিমে তিনি যে নামে পরিচিত ছিলেন, আল-হাজেন। আয়না এবং প্রতিফলন আর প্রতিসরন ব্যবহার করে নানা পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি প্রমান করেন যে, আলো সরল রেখায় গমন করে। এবং একই সাথে তিনি সুচনা করেন পরীক্ষামুলক পদার্থবিদ্যা সহ পরীক্ষা নীরিক্ষার মাধ্যমে যে কোন হাইপোথেসিসের পক্ষে বিপক্ষে প্রমান সংগ্রহ করার আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এছাড়াও তিনি প্রথম বর্ননা দেন ক্যামেরা অবস্ক্যুরা’র -একটা ছোট ছিদ্র যুক্ত বাক্স, যা সুক্ষভাবে কোন চিত্র আকার জন্য যে কোন প্রতিচ্ছবি পর্দায় প্রক্ষেপন করতে পারতো - এবং যা আধুনিক ক্যামেরার পুর্বসুরী। এছাড়া আলোর বিভ্রম (Optical illusion) এবং মানুষের দেখার পদ্ধতি আর এর পেছনে চিন্তার প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বিস্তারিত গবেষনা করেন, তার অন্যান্য কিছু অবদানের মধ্যে আছে, বায়ুমন্ডলে আলোর প্রতিসরন যে উষা আর গোধুলী’র কারন তার প্রথম বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করা।

এসবই ঘটেছে সেই যুগে, যখনও নর্মানরা অ্যাংলো-স্যাক্সনদের রাজ্য ইংল্যান্ড আক্রমন করেনি আর ভাইকিং দস্যুরা আইরিশ পুরোহিতদের অনুলিপি করা গ্রীক-রোমানদের অসামান্য সব বৈজ্ঞানিক অবদান পুড়িয়ে ধ্বংশ করেছে। আল-হাজেন ছিলেন বহু শতাব্দী পুর্বের তৎকালীন মুসলিম বিশ্বে কর্মরত অসংখ্য বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন,যারা বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। মুসলিম বিশ্বের বিজ্ঞানের এই স্বর্ণযুগের ব্যাপ্তিকাল ছিল প্রায় এক মিলেনিয়াম।

স্লাইড ১ : আল-হাজেন:
ছবি ১ ক্যামেরা অবস্কুরা (সৌজন্যে:© Ali Amro / MuslimHeritageImages.com )

আল-হাজেন:

আধুনিক ইরাকের বন্দর নগরী যা এখন বসরা নামে পরিচিত সেখানে ৯৬৫ খৃষ্টাব্দে, আরব অথবা পারস্যদেশীয় পদার্থ বিজ্ঞানী আল-হাজেন (ইবন আল-হাইথাম) জন্ম গ্রহন করেন। আল হাজেন ছিলেন পরীক্ষামুলক পদার্থবিদ্যার অগ্রদুত এবং অপটিক্স বা আলোকবিদ্যা সম্বন্ধে আধুনিক বৈজ্ঞানিক ধারনার প্রতিষ্ঠাতা। যখন তিনি নীল নদের বন্যা নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হন, তার চাকুরীদাতা খলিফা শাস্তি হিসাবে তাকে গৃহবন্দী করে রাখার আদেশ দেন। সে কারনে তিনি তার বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষার উপর পুরোপুরি মনোনিবেশ করার সুযোগ পান। এসময় তিনি রচনা করেন সুবিশাল সর্বমোট ৭ খন্ডের ‘বুক অফ অপটিক্স’, যা এই বিষয়ে যুগান্তকারী একটি গ্রন্থ। তার এই বইটি শতবর্ষ পরে সরাসরি প্রভাবিত করে য়োহানেস কেপলার এবং রজার বেকনের মতো পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের। এই বইটিতে ছবি প্রক্ষেপনের একটি যন্ত্র- ক্যামেরা অবস্ক্যুরার কথা তিনি উল্লেখ করেন( স্লাইডের ছবিটি দেখুন), যা আধুনিক ক্যামরার পূর্বসুরী। তিনি প্রথম চোখের বিভিন্ন অংশের বিবরন দেন এবং আমাদের দৃষ্টি প্রক্রিয়ার একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেন। তার উদ্ভাবিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি : সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে কোন হাইপোথেসিসকে সঠিক বা ভুল প্রমান করার প্রক্রিয়া, আজো বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করছেন।


স্লাইড ২ : আব্বাস ইবন-ফিরনাস:

ছবি ২ :গ্লাইডারের মডেল (সৌজন্যে:1001 Inventions Ltd., 2010)

আব্বাস ইবন-ফিরনাস :

৮১০ খৃষ্টাব্দে মধ্যযুগীয় মসুলমান স্পেনের আল-আন্দালুস এলাকায় তিনি জন্মগ্রহন করেন। ইবন-ফিরনাস সম্ভবত প্রথম গ্লাইডার ব্যবহার করে উড্ডয়নের পদ্ধতির আবিষ্কারক (ছবিতে যেমন দেখানো হয়েছে)। যদিও রাইট ভাতৃদ্বয়ের আকাশে ওড়ার হাজার বছর আগে স্প্যানিশ শহর কর্ডোবায় তার এই ওড়া নিয়ে সন্দেহের কিছু অবকাশ আছে কারণ এর প্রাথমিক তথ্য সুত্র হচ্ছে রাজদরবারের কবিতা , যদিও বিভিন্ন আরব ইতিহাসের কাহিনীতে এই ওড়ার কথা উল্লেখিত হয়েছে।

স্লাইড ৩ : আল-জাহিজ:

ছবি ৩ :আরবীয় অস্ট্রিচ (সৌজন্যে:The Yorck Project)

আল-জাহিজ :

অষ্টম শতাব্দীর এই আরব-আফ্রিকার জীববিজ্ঞানী ছিলেন বিবর্তন জীববিজ্ঞানের প্রথম প্রস্তাবক। আল-জাহিজের আসল নাম ছিল আবু ওসমান আমর ইবন বাহর আল-কিনানী আল-ফুকাইমি আল-বাসরি। তিনি ‘বুক অব অ্যানিমেল’ নামে মোট সাত খন্ডের একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। সেখানে খাদ্য শৃঙ্খল, পরিবেশগত ডিটারমিনিজম, প্রাকৃতিক নির্বাচন এবং প্রানী মনোবিজ্ঞান বিষয়ক ধারনাগুলোকে তিনি সর্বপ্রথম বর্ণনা করেন। উপরের ছবিটি তার সেই গ্রন্থ থেকে নেয়া, আরবীয় অস্ট্রিচ (বর্তমানে বিলুপ্ত) । একজন আফ্রিকান ক্রীতদাসের দৌহিত্র, বাগদাদ কেন্দ্রিক আল-জাহিজ, আধুনিক যুগের আরেক প্রখ্যাত জীববিজ্ঞানী ই ও উইলসনের মত পিপড়াদের সামাজিক সংগঠন এবং আচরন গবেষনা বিষয়ে বিশেষভাবে আগ্রহী ছিলেন।


স্লাইড ৪ : আল-জাজারি:

ছবি ৪ হাতি ঘড়ি (সৌজন্যে 1001 Inventions Ltd, 2010 )

আল-জাজারি:

এই ইরাকী প্রতিভাবান বিজ্ঞানী, পুরো নাম, আবু আল-ইজ ইবন ইসমাইল ইবন আল রাজাজ আল-জাজারী । যিনি আল-জাজারী হিসাবে সুপরিচিত, ১২০৬ খৃষ্টাব্দে প্রায় ৫০ টির মতো যন্ত্র তৈরীর নকশা প্রনয়ন করেছিলেন, যেমন ছবিতে (কম্পিউটারের সাহায্যে নির্মিত কাল্পনিক ছবি) হাতি ঘড়ি। তিনিই প্রথম প্রকৌশলী যিনি ক্র্যাঙ্কশ্যাফট, ক্যামশ্যাফ্ট, চার বোল্ট বিশিষ্ট তালার ব্যবহার শুরু করেন। এছাড়া বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মধ্যে গতির সঞ্চার ও সংযোগকারী সেগমেন্টাল গিয়ার ব্যবহার করেন তিনি প্রথম, এসব যন্ত্রাংশগুলো বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তিনি ব্যবহার করেছিলেন তার অসাধারন পানি তোলা যন্ত্রে । রবোট বা অটোমাটা চালানোর জন্য তিনি পানি ব্যবহার করেছিলেন, যেমন নড়াচড়া করে এমন ময়ুর, পাত্রে পানি ঢালার জন্য পরিচারিকা, এমনকি উত্তর মেসোপটেমিয়ায় নৌকায় চড়া সঙ্গীতদল।


স্লাইড ৫ : আল-খাওয়ারিজমি:

ছবি ৫ (সৌজন্যে John L. Esposito)

আল-খাওয়ারিজমি:

কারো কারো কাছে বীজগনিতের জনক হিসাবে পরিচিত আবু আবদাল্লাহ মুহাম্মদ ইবন মুসা আল-খাওয়ারিজমি ছিলেন একজন পারস্যদেশীয় গনিতবিদ, যিনি নবম শতকে বাগদাদের হাউস অব উইসডোমে কাজ করতেন। প্রকৃত পক্ষে অ্যালজেবরা এসেছে আল-জাবর থেকে যার অর্থ ‘পূর্বাবস্থায় ফিরে যাওয়া’। আল-খাওয়ারিজমি তার এই সমীকরনের দুই পাশে সমান মান যোগ করে কোয়াড্রাটিক সমীকরন থেকে বর্গমুল, বর্গফল অপসারনের পদ্ধতির নাম দিয়েছিলেন আল-জাবর । এছাড়া অ্যালগরিদম শব্দটি, যেমন ব্যবহার করা হয় ইন্টারনেটে কিছু সার্চ করলে তার ফলাফল সরবরাহের ক্ষেত্রে, এসেছে তার নামের ল্যাটিন সংস্করণ থেকে আল-গরিটমি। আধুনিক সংখ্যা পদ্ধতির জন্য তার ধন্যবাদ প্রাপ্তি আছে, যার ভিত্তি মুলত হিন্দু আরব সংখ্যা এবং উৎস ভারতীয় গনিত। এছাড়া জ্যোতির্বিজ্ঞানে, ত্রিকোনোমিতি এমনকি ভুগোলেও তার অবদান আছে।


স্লাইড ৬ : ফাতিমা আল ফিহরী :


ছবি ৫ (সৌজন্যে 1001 Inventions, 2005)

ফাতিমা আল-ফিহরী :

পৃথিবীর সবেচেয়ে প্রাচীনতম এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে সক্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় আল-কারাঊয়ীন (এখনও সক্রিয়) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মরোক্কোর ফেজ শহরে এ ৮৫৯ খৃষ্টাব্দে। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন একজন ধনী বনিককন্যা ফাতিমা আল-ফিহরী। আল ফিহরীর তৈরী গ্রান্ড মসজিদের এলাকায় প্রতিষ্টিত এই আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়টি পরবর্তীতে অসংখ্য বিজ্ঞানীর জন্ম দিয়েছে।

Leave a Reply

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Alertpay

You can replace this text by going to "Layout" and then "Page Elements" section. Edit " About "

সরাসরি চ্যাট করার জন্য পেজ এর নিচে যান

a

ইংরেজী বিজয় ফনেটিক অভ্র ফনেটিক ইউনিজয়

Widget by: Bangla Hacks

b

পত্রিকায় প্রকাশিত চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি 
2 June 2010

এখানে ক্লিক করুন ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করুন।

WELL-COME TO BD ADDA(বিনামূল্যে ওয়েব সাইড তৈরির জন্য যোগাযোগ করুনঃ- ওয়েব ডেভোলাপার- মোঃ শফিকুর রহমান, মোবাইল নং-8801812465879)