সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিএনপি : চরম বিপর্যয়ের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন
স্টাফ রিপোর্টার
চরম বিপর্যয়ের আগে জনগণের দাবি মেনে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। ‘আলোচনার কোনো সুযোগ নেই, বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে’—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ মন্তব্যের জবাব দিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্যাতন-নিপীড়নের পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক সহনশীলতার পথে আসতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাস্তবতার মুখোমুখি হন। জনগণের মনের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। স্বৈরাচারী মনোভাব পরিহার করুন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই দেশে নির্বাচন হবে এবং বিরোধীদলীয় নেত্রীও সেই নির্বাচনে আসবেন। রাজনীতি করতে হলে উনাকে নির্বাচনে আসতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে, হবে, হবেই’—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি কীভাবে রাজনীতি করবে তা ঠিক করার সিদ্ধান্তও কি তিনি নিয়ে নিয়েছেন? এটা বিএনপিই ঠিক করবে, অন্য কেউ নয়। শেখ হাসিনার এ বক্তব্য প্রমাণ করে গণতন্ত্রের প্রতি তার কতটা কমিটমেন্ট আছে। অন্য দলের রাজনৈতিক কৌশলও এখন প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করছেন! এ ধরনের স্বৈরাচারী মনোভাব পরিবর্তন করুন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন।
তিনি বলেন, দেশবাসীকে জানাতে চাই, ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল। তখন জামায়াত ও জাতীয় পার্টিও তাদের সঙ্গে ছিল। আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার একগুঁয়েমির জন্য কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল স্যার নিনিয়ান মধ্যস্থতা করতে এসে ব্যর্থ হয়েছিলেন। আমরা তখন যে যুক্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মানতে চাইনি, সে যুক্তিতে এখন প্রধানমন্ত্রী আপত্তি করছেন। সে সময় তত্কালীন বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনা দিনের পর দিন লাগাতার হরতাল, অসহযোগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশ অচল করে দিয়েছিলেন। তখন দেশের অর্থনীতির কথা, জনগণের দুর্ভোগের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে সহিংস আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মাগুরার উপ-নির্বাচনের ধুয়া তুলে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন যে, দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে চলেছিল। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে যাচ্ছিল। শাসনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতায়, গণতন্ত্রকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে আমরা সেদিন ১৫ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে সংযোজন করেছিলাম। এরপর সফলভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দুটি নির্বাচন হয়েছে। সবার কাছে নির্বাচনগুলো গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে অভিজ্ঞতার কথা প্রধানমন্ত্রী এখন বলছেন, সে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন তারাই। দিনের পর দিন হরতাল, অসহযোগ, সন্ত্রাস, লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষকে প্রকাশ্য রাজপথে হত্যার মধ্য দিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করিয়েছিলেন তারাই। বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রকাশ্যে যোগাযোগ করে জাতিসংঘ মিশনের প্রতারণামূলক পত্রের মাধ্যমে, উচ্চাকাঙ্ক্ষী কিছু সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে অবৈধভাবে একটি অসাংবিধানিক সরকার তারাই গঠন করতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন এবং প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেই সরকার তাদের আন্দোলনের ফসল। তিনি বলেন, দেশের জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধান থেকে কেটে ফেলতে একমত হননি। এমনকি যে আদালতের দোহাই দেয়া হচ্ছে তারাও আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান রাখার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী জনমতকে তোয়াক্কা না করে সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজের মতামতকে উপেক্ষা করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন বিষয়ে সংসদে ব্রুট মেজরিটির জোরে জাতির ওপর এ ধরনের নির্বাচন চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে আমাদের মতামত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি, যেদিন সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী গৃহীত হয়েছে সেদিনই বিরোধী দলের নেত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, এটা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
বিএনপির মুখপাত্র মির্জা আলমগীর আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। তার এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তার অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী মনোভাবের সঙ্গে আরও প্রমাণিত হয়েছে, তিনি গণতান্ত্রিক সহনশীলতা, পরমতসহিষ্ণুতা, আলোচনা ও সমঝোতায় বিশ্বাস করেন না। এটা আওয়ামী লীগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। দলটি এর আগেও একই কারণে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল ১৯৭৫ সালে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বার বার বিরোধীদলীয় নেতাকে এবং তার দুই ছেলেকে অসংসদীয় ভাষায় গালাগাল করছেন। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক শিষ্টাচারবিবর্জিত। অবৈধ সরকারের সময় দুদক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৪টি দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল। তাহলে আমরা কি তাকে কোনো বাজে মন্তব্য করতে পারি না। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকার কারণে আমরা কোনো ধরনের অসংসদীয় ভাষায় কথা বলি না।
সরকার বিরোধীদলকে নির্মূল করার প্রকল্প নিয়ে মাঠে নেমেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, অত্যাচার, নির্যাতন, ভয়ভীতি দেখিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাদের গ্রেফতার করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়; রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়। এ অপচেষ্টা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। সরকার আবার অতীতের মতো জোর করে দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে, অস্থিতিশীলতার দিকে, অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে—যা কখনই দেশের জন্য, মানুষের জন্য কল্যাণকর হবে না।
টকশোতে সবাই মিথ্যা কথা বলে—প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা আলমগীর বলেন, আমার জানতে ইচ্ছা করে, প্রধানমন্ত্রী কি সত্য জানার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছেন। সমালোচনা শোনার ন্যূনতম সত্ সাহস তার নেই? তাহলে গণতন্ত্রের মানসকন্যা হবেন কী করে? আর সেজন্যই কি বেসরকারি সম্প্রচার নীতিমালা তৈরি করেছেন একেবারে বাকশালী আদলে—সম্পাদকদের জেলে পুরছেন, নিয়ন্ত্রণ করছেন সংবাদ মাধ্যম? তিনি কি ভুলে গেলেন, এতে শেষ রক্ষা হয় না। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। এরই মধ্যে অনেক ক্ষতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জনগণের মনের কথা বুঝতে ও চোখের ভাষা পড়তে ব্যর্থ হয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, শেয়ারবাজারে বিপর্যয়, অর্থনীতির বিপর্যস্ত অবস্থা, নতজানু পররাষ্ট্র নীতি বাংলাদেশের মানুষের আশা ভঙ্গ করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে এখনও অনুরোধ করব, বাস্তবতা উপলব্ধি করুন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। জনগণকে তাদের পছন্দমত সরকার বেছে নিতে দিন। নয়তো দেশে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে এর জন্য তিনিই দায়ী থাকবেন। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। তাই নির্দিষ্ট সময়ে আমরা আমাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরব।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্যাতন-নিপীড়নের পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক সহনশীলতার পথে আসতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাস্তবতার মুখোমুখি হন। জনগণের মনের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। স্বৈরাচারী মনোভাব পরিহার করুন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই দেশে নির্বাচন হবে এবং বিরোধীদলীয় নেত্রীও সেই নির্বাচনে আসবেন। রাজনীতি করতে হলে উনাকে নির্বাচনে আসতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে, হবে, হবেই’—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি কীভাবে রাজনীতি করবে তা ঠিক করার সিদ্ধান্তও কি তিনি নিয়ে নিয়েছেন? এটা বিএনপিই ঠিক করবে, অন্য কেউ নয়। শেখ হাসিনার এ বক্তব্য প্রমাণ করে গণতন্ত্রের প্রতি তার কতটা কমিটমেন্ট আছে। অন্য দলের রাজনৈতিক কৌশলও এখন প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করছেন! এ ধরনের স্বৈরাচারী মনোভাব পরিবর্তন করুন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন।
তিনি বলেন, দেশবাসীকে জানাতে চাই, ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল। তখন জামায়াত ও জাতীয় পার্টিও তাদের সঙ্গে ছিল। আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার একগুঁয়েমির জন্য কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল স্যার নিনিয়ান মধ্যস্থতা করতে এসে ব্যর্থ হয়েছিলেন। আমরা তখন যে যুক্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মানতে চাইনি, সে যুক্তিতে এখন প্রধানমন্ত্রী আপত্তি করছেন। সে সময় তত্কালীন বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনা দিনের পর দিন লাগাতার হরতাল, অসহযোগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশ অচল করে দিয়েছিলেন। তখন দেশের অর্থনীতির কথা, জনগণের দুর্ভোগের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে সহিংস আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মাগুরার উপ-নির্বাচনের ধুয়া তুলে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন যে, দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে চলেছিল। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে যাচ্ছিল। শাসনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতায়, গণতন্ত্রকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে আমরা সেদিন ১৫ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে সংযোজন করেছিলাম। এরপর সফলভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দুটি নির্বাচন হয়েছে। সবার কাছে নির্বাচনগুলো গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে অভিজ্ঞতার কথা প্রধানমন্ত্রী এখন বলছেন, সে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন তারাই। দিনের পর দিন হরতাল, অসহযোগ, সন্ত্রাস, লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষকে প্রকাশ্য রাজপথে হত্যার মধ্য দিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করিয়েছিলেন তারাই। বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রকাশ্যে যোগাযোগ করে জাতিসংঘ মিশনের প্রতারণামূলক পত্রের মাধ্যমে, উচ্চাকাঙ্ক্ষী কিছু সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে অবৈধভাবে একটি অসাংবিধানিক সরকার তারাই গঠন করতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন এবং প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেই সরকার তাদের আন্দোলনের ফসল। তিনি বলেন, দেশের জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধান থেকে কেটে ফেলতে একমত হননি। এমনকি যে আদালতের দোহাই দেয়া হচ্ছে তারাও আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান রাখার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী জনমতকে তোয়াক্কা না করে সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজের মতামতকে উপেক্ষা করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন বিষয়ে সংসদে ব্রুট মেজরিটির জোরে জাতির ওপর এ ধরনের নির্বাচন চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে আমাদের মতামত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি, যেদিন সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী গৃহীত হয়েছে সেদিনই বিরোধী দলের নেত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, এটা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
বিএনপির মুখপাত্র মির্জা আলমগীর আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। তার এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তার অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী মনোভাবের সঙ্গে আরও প্রমাণিত হয়েছে, তিনি গণতান্ত্রিক সহনশীলতা, পরমতসহিষ্ণুতা, আলোচনা ও সমঝোতায় বিশ্বাস করেন না। এটা আওয়ামী লীগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। দলটি এর আগেও একই কারণে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল ১৯৭৫ সালে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বার বার বিরোধীদলীয় নেতাকে এবং তার দুই ছেলেকে অসংসদীয় ভাষায় গালাগাল করছেন। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক শিষ্টাচারবিবর্জিত। অবৈধ সরকারের সময় দুদক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৪টি দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল। তাহলে আমরা কি তাকে কোনো বাজে মন্তব্য করতে পারি না। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকার কারণে আমরা কোনো ধরনের অসংসদীয় ভাষায় কথা বলি না।
সরকার বিরোধীদলকে নির্মূল করার প্রকল্প নিয়ে মাঠে নেমেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, অত্যাচার, নির্যাতন, ভয়ভীতি দেখিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাদের গ্রেফতার করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়; রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়। এ অপচেষ্টা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। সরকার আবার অতীতের মতো জোর করে দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে, অস্থিতিশীলতার দিকে, অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে—যা কখনই দেশের জন্য, মানুষের জন্য কল্যাণকর হবে না।
টকশোতে সবাই মিথ্যা কথা বলে—প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা আলমগীর বলেন, আমার জানতে ইচ্ছা করে, প্রধানমন্ত্রী কি সত্য জানার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছেন। সমালোচনা শোনার ন্যূনতম সত্ সাহস তার নেই? তাহলে গণতন্ত্রের মানসকন্যা হবেন কী করে? আর সেজন্যই কি বেসরকারি সম্প্রচার নীতিমালা তৈরি করেছেন একেবারে বাকশালী আদলে—সম্পাদকদের জেলে পুরছেন, নিয়ন্ত্রণ করছেন সংবাদ মাধ্যম? তিনি কি ভুলে গেলেন, এতে শেষ রক্ষা হয় না। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। এরই মধ্যে অনেক ক্ষতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জনগণের মনের কথা বুঝতে ও চোখের ভাষা পড়তে ব্যর্থ হয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, শেয়ারবাজারে বিপর্যয়, অর্থনীতির বিপর্যস্ত অবস্থা, নতজানু পররাষ্ট্র নীতি বাংলাদেশের মানুষের আশা ভঙ্গ করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে এখনও অনুরোধ করব, বাস্তবতা উপলব্ধি করুন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। জনগণকে তাদের পছন্দমত সরকার বেছে নিতে দিন। নয়তো দেশে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে এর জন্য তিনিই দায়ী থাকবেন। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। তাই নির্দিষ্ট সময়ে আমরা আমাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরব।
WOW, Love this post that you shared. Do you know Joy News BD helps you for finding any important News like all district news, customs news - import and export, business news, share bazar news, exclusive feature news, special news. You get this this information with in a secound when the things happen. Right now JoynewsBD covers whole Bangladesh from the latest chittagong news to Chittagong city news
Chittagong port news
Chittagong hill news
Coxsbazar news
Bangladesh customs news
Bangladesh business news
Bangladesh share bazar news