About

ABC Radio

Blogger news

ইসলামী আইন বাস্তবায়নে লাখ লাখ কর্মী তৈরি হয়েছে


ইসলামী আইন বাস্তবায়নে লাখ লাখ কর্মী তৈরি হয়েছে : মুফতি আমিনী

স্টাফ রিপোর্টার
ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির আমির মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে। এটাই নিয়ম। কুরআন-হাদিসে এই মর্মে পরিষ্কার বলা হয়েছে। তিনি বলেন, চলমান এই কুরআন রক্ষার আন্দোলনে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা যে ত্যাগ-তিতিক্ষা, শাহাদাত্ বরণ, কারা নির্যাতন ভোগ, আওয়ামী নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছে, এসবের বদৌলতেই কুরআনের দুশমন সরকারের নিয়ন্ত্রিত কোর্ট থেকে ফতোয়ার পক্ষে রায় এসেছে। ইনশাআল্লাহ এই দেশে ইসলামী আইন বাস্তবায়নে লাখ লাখ কর্মী তৈরি হয়ে গেছে, যারা এদেশের পাশ্চাত্য ও রবীন্দ্রনাথের আদর্শ পরিহার করে মহানবীর আদর্শে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে। তিনি বলেন, যে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ দিয়ে রবীন্দ্রনাথের আদর্শে দেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়, সে দেশে মহানবীর আদর্শে জানবাজ কর্মীরা যদি মাঠে ময়দানে ঝাঁপিয়ে না পড়ে তাহলে বাংলাদেশ একটি হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তিনি ২৭ মে মুক্তাঙ্গনে মহাসমাবেশ সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। গতকাল বাদ জোহর লালবাগস্থ কার্যালয়ে কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাত্ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় নারায়ণগঞ্জের মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মাওলানা খন্দকার নাসিম রেজা, মাওলানা মুমিন উল্লাহ ছাড়াও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তৈয়্যেব, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Read more

রাজধানীতে পুলিশের সামনে ছিনতাই


রাজধানীতে পুলিশের সামনে ছিনতাই

স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর মৌচাক মার্কেট এলাকায় গতকাল জনসম্মুখে মাসুদা নামের এক মহিলার কানের স্বর্ণের দুল, গলার চেন ছিনতাই করেছে একদল ছিনতাইকারী। গতকাল এ ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাসুদা তার শিশুসন্তান কোলে নিয়ে মৌচাক মার্কেটের সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েক ছিনতাইকারী তার সামনে গিয়ে গলা থেকে চেইন ও কানের দুল খুলে নেয়। পাশে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

Read more

ফারাক্কার মারাত্মক প্রভাব : ৫৩ নৌরুট বন্ধের উপক্রম


ফারাক্কার মারাত্মক প্রভাব : ৫৩ নৌরুট বন্ধের উপক্রম

ইলিয়াস খান
ফারাক্কার ভয়াবহ প্রভাব এবার দেশের নদ-নদীর ওপর পড়তে শুরু করেছে। একের পর এক নদী শুকিয়ে যাওয়ায় চলাচলের মূল মাধ্যম নৌরুটগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ) এ পর্যন্ত দেশের ৫৩টি নৌরুটকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। দ্রুত এসব নৌরুটে ড্রেজিং কাজ শুরু করা না হলে নৌ-যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব রুট সচল রাখতে এরই মধ্যে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে একনেকে। এ বিষয় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান হাওলাদার বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫৩টি নৌরুট চিহ্নিত করা হয়েছে। এজন্য ১১ হাজার কোটি টাকার একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে আমরা একনেকে পাঠিয়েছি। প্রকল্পটি পাস হলে নৌরুটগুলোকে সাবেক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিসহ প্রকল্পটির আওতায় ৩টি ড্রেজার ২০১১ সালের এপ্রিল-মের মধ্যে পাওয়া যাবে। এছাড়া অন্যান্য সহায়ক জলযান ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বিআইডব্লিউটিএ’র সংরক্ষণ, খনন কর্মসূচির আওতায় নৌ-চলাচলে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ফেরি ও নৌরুটগুলোর নাব্য অক্ষুণ্ন রাখার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নৌপথগুলোর নাব্য উন্নয়ন কল্পে ৫৩টি নৌপথে ৯ বছর মেয়াদি ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনার আওতায় আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদীভুক্ত মাদারীপুর-চরমুগুরিয়া-টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ নৌপথের নাব্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাদারীপুর-চরমুগুরিয়া-টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-নৌপথে ড্রেজিং শীর্ষক একটি প্রকল্প ২৫ জানুয়ারি একনেক অনুমোদন দিয়েছে এবং বাস্তবায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ১ম পর্যায়ে ২৪টি নৌপথে ক্যাপিটাল ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অভ্যন্তরীণ নৌপথের ৫৩টি রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং (১ম পর্যায় ২৪ নৌপথ) শীর্ষক একটি প্রকল্প ১২টি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে ড্রেজিং শীর্ষক অপর একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। সূত্র জানায়, ৫৩টি রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং (১ম পর্যায় ২৪ নৌপথ) প্রকল্পের ডিপিপির ওপর পরিকল্পনা কমিশনে ২০১০ সালের ২২ আগস্ট পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ড্রেজিং দরপত্র পুনর্নির্ধারণ পূর্বক ডিপিপি পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠন শেষে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে ২৭ জানুয়ারি প্রকল্পের ওপর এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিপিপি পুনর্গঠন করে ৩ মার্চ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় যা অনুমোদন প্রক্রিয়াধীনের নিমিত্তে ৩ এপ্রিল পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে যে ২৪টি রুট ড্রেজিংয়ের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে— ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম-রুট, চাঁদপুর-হিজলা-বরিশাল রুট, গাশিয়াখালী-বরিশাল- কালিগঞ্জ-চাঁদপুর-আরিচা নৌরুট, ভৈরব বাজার-লিপসা-চটক-সিলেট নৌরুট, গাজলাজর-মোহনগঞ্জ রুট, লোয়ারগা- দুলোভপুর রুট, চিটরি-নবীনগর-কুটিবাজার নৌরুট, নরসিংদী-কাটিয়াদী নৌরুট, নরসিংদী-মরিচাকান্দি-সেলিমগঞ্জ-বাঞ্জারামপুর-হোমনা নৌরুট, দাউদকান্দি- হোমনা-রামকৃষ্ণপুর রুট, চাঁদপুর-ইচুলি-ফরিদগঞ্জ রুট, বরিশাল-ঝালকাঠি-পাথরঘাটা নৌরুট, খুলনা-গাজিরহাট- মানিকদা রুট, নন্দীবাজার-মাদারীপুর নৌরুট, দিলালপুর-গৌরাদিঘার-চামড়াঘাট-নীলকিয়াটপাড়া-নেত্রকোনা রুট, মনুমুখ-মৌলভীবাজার নৌরুট, মিরপুর-সাভার নৌরুট, শ্রীপুর-ভোলা খেয়াঘাট-গঙ্গাপুর-ভোলা নৌরুট, চৌকিঘাটা- কালীগঞ্জ রুট, পটুয়াখালী-মীর্জাগঞ্জ রুট, হোসনাবাদ-টরকী-ফাঁসিতলা নৌরুট এবং দালারচর-বালিয়াকান্দি-বোয়ালমারী- কাশিয়ানি নৌরুট। অপর যে ১২টি নৌপথ ড্রেজিংয়ের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলো হলো— ঢাকা-তালতলা-ডহুরী, জারিরা-মাদারীপুর-কবিরাজপুর-চৌধুরীর হাট-পিজাখালি-চরজানাজাত-কেওড়াকান্দি নৌরুট, লাহার হাট-ভেদুরিয়া নৌরুট, শাহেবের হাট-টুঙ্গিবাড়ী-লাহার হাট রুট, ঢাকা সদর ঘাট-ভিরুলিয়া-পাটুরিয়া-বাগাবাড়ী রুট, ডেমরা-ঘোড়াশাল-পলাশ রুট, ঢাকা-রামচর-মাদারীপুর নৌরুট, ঢাকা-শরিয়তপুর নৌরুট, চাঁদপুর-নন্দীরবাজার-শিকারপুর- হুলারহাট রুট, হুলারহাট-চরচাপালি-গোপালগঞ্জ রুট, নারায়ণগঞ্জ-দাউদকান্দি রুট এবং ঢাকা-সুরেশ্বর- আঙ্গারিয়া-মাদারীপুর-নৌরুট। এ বিষয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুন্দরবন নেভিগেশনের স্বত্বাধিকারী সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, আশ্বাসের বাণী বহু শুনেছি এখন চাই বাস্তবায়ন। ৩টি নতুন ড্রেজার আনা হবে এমনটা শুনতে শুনতে কান ব্যথা হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বাস্তবায়ন দেখতে পাচ্ছি না। দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ এখনও নৌপথে যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। অল্প খরচে তারা ঢাকা-বরিশাল রুটে যাতায়াত করেন। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের নৌরুটগুলো বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। বরিশালে গত ৩০ বছরে ২৭টি নৌরুট বন্ধ হয়ে গেছে। সরকার অনতিবিলম্বে ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা না করলে সব নৌরুট যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশে যে ড্রেজারগুলো আছে তার বেশিরভাগ যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ কার্গো মালিক সমিতি অ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক মো. ইউনুচ বলেন, ভাষানচর- গাশিয়াখালি-সন্ন্যাসী-চরমোনাইসহ বিভিন্ন রুটে প্রায়ই আটকা পড়ে জাহাজগুলো। পর্যাপ্ত ড্রেজিং ব্যবস্থা না থাকায় চর পরে ভরে যাচ্ছে বেশিরভাগ নৌরুট। সরকার এখনই ব্যবস্থা না নিলে অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হবে লঞ্চ ও কার্গো মালিকরা।

Read more

এস,এস,সি/ দাখিল ও কারীগরি পরীক্ষার ফলাফল জেনে নিন ইন্টারনেট থেকে

আগামী কাল ১২ মে প্রকাশ হতে যাচ্ছে এস,এস,সি/ দাখিল ও কারীগরি সহ সকল শিক্ষা বোডের পরীক্ষার ফলাফল। S.S.C এস,এস,সি/ দাখিল ও কারীগরি পরীক্ষার ফলাফল জেনে নিন ইন্টারনেট থেকে | Techtunes
এবার মাদ্রাসা ও কারিগরি সহ সকল শিক্ষা বোডের অধিনে মোট পরীক্ষা দিয়েছিল ১৩ লাখ ১৫ হাজার ২ জন। যারা ইন্টারনেট থেকে ফলাফল জানতে চান তারা নিছের লিংকে ক্লিক করে তার পর বোড সিলেক্ট করে রুল নাম্বার দিয়ে এন্টার দিলে-ই ফলা-ফল দেখাবে। তা ছাড়া এই সাইটে রয়েছে সকল শিক্ষা বোডের যাবতীয় তথ্য।
জানতে এখানে ক্লিক করুন

Read more

ভাই অহেতুক প্যাচাল খাড়া করার জন্য আগে দুঃখ প্রকাশ করে নিচ্ছি । তবে যে সব ফটোশপ টেকি  ভাইয়েরা আছেন তারা এই টিউনটি দেখে জাতিকে সহ আমাকে ধাধা থেকে বাচান। নিচের ছবিটা যদি স ত্য হয় তবে কি  আমেরিকানরা  ফটোশপে খুবই কাচাঁ!  আমি যদিও আমেরিকানদের থেকেও কাচা তাতে কি ?
 আমেরিকানরা নাকি ফটোশপে খুবই কাচাঁ!  | Techtunes

Read more

বিন লাদেনের উত্থান পতন BBC BAngla

বিন লাদেনের উত্থান পতন

ওসামা বিন লাদেনের জন্ম ১৯৫৭ সালে৻
সৌদি আরবে একটি বিত্তশালী ঠিকাদার পরিবারে তিনি বেড়ে উঠেছেন৻
ওসামা বিন লাদেন তার পিতা মোহাম্মদ বিন লাদেনের ৫২ জন ছেলেমেয়ের মধ্যে ১৭তম৻
পুরনো ছবিতে দেখা যায়, ছুটি কাটাতে ইউরোপে বেড়াতে আসা ওসামা বিন লাদেন ফ্যাশনদুরস্ত পোশাক পরে আছেন৻
পিতার মৃত্যুর পরই তিনি ব্যবসার হাল ধরেন৻ সৌদি আরবের ৮০ শতাংশ রাস্তাঘাট তার পিতার কোম্পানি তৈরি করেছে বলে ধারনা করা হয়৻

মুজাহিদ বিন লাদেন

ওসামা বিন লাদেন জেদ্দায় ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে লেখাপড়া করেন৻
পরে আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের দখল অভিযান তার জীবন বদলে দেয়৻
হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
বিলাসবহুল জীবন পরিত্যাগ করে তিনি আফগানিস্তানে চলে যান যেখানে তিনি আশির দশকে দখলদার সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে ধরেন৻
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলেন যে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ বিন লাদেনসহ মুজাহিদদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়েছে৻

মিত্র থেকে শত্রু

এই যুদ্ধে শেষ হওয়ার সাথে তার চিন্তা ভাবনাতেও পরিবর্তন আসে৻ মস্কোর প্রতি তার ঘৃণা ওয়াশিংটনের প্রতি ঘৃণায় পরিবর্তিত হয়৻
সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি তিনি আল কায়দা সংগঠন গড়ে তোলেন৻ এবং এই বাহিনীর পেছনে তার অর্থবিত্ত বিনিয়োগ করতে শুরু করেন৻
ওসামা বিন লাদেন বলেছিলেন যে তিনি ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন৻
তার দাবী মধ্যপ্রাচ্যে মুসলমানদের মাটিতে মার্কিন সৈন্যের উপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এই যুদ্ধের ডাক দেন৻
সেসময় তিনি একটি ফতোয়া জারি করেন যেখানে তিনি ঘোষণা করেন মার্কিনদের হত্যা করা মুসলমানদের দায়িত্ব৻

শীর্ষ ফেরারি

তার ৬ মাস পরেই কেনিয়া ও তাঞ্জানিয়াতে মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলা চালানো হয় যাতে ২২৪ জন নিহত এবং আরো প্রায় ৫,০০০ মানুষ আহত হয়৻
এই হামলার জন্যে ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করা হয়৻
তোরা বোরায় আত্মগোপন করেছিলেন বিন লাদেন
তার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ওসামা বিন লাদেনকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্যে পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়৻
তাকে হত্যার জন্যে আফগানিস্তানেও অভিযান পরিচালনা করে৻
ওসামা বিন লাদেন ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর সারা বিশ্বের নজরে আসেন৻
টুইন টাওয়ারে পরিচালিত ঐ হামলায় তিন হাজারের মতো মানুষ প্রাণ হারায়৻ দুটো বিমান ছিনতাই করে বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্রে এই হামলা চালানো হয়৻
তার কয়েক বছরের মধ্যেই ওসামা বিন লাদেন বিশ্বের সবচে ঘৃন্য ও আতঙ্কিত ব্যক্তিতে পরিনত হন৻

পলাতক জীবন

আন্তর্জাতিক বাহিনী ২০০১ সালে আফগানিস্তানে প্রবেশ করে এবং ধারণা করা হয়েছিলো যে তোরা বোরার যুদ্ধে তিনি নিহত হয়েছিলেন৻
তিনি তখন পাকিস্তানের সাথে সীমান্ত এলাকায় সরে যান৻
পরে ২০০৩ সালে আল জাজিরা টেলিভিশনে ওসামা বিন লাদেনের অডিও টেপ প্রচার করা হয়৻
বিন লাদেনকে এই বাড়িতে হত্যা করা হয়
বিন লাদেন তার বক্তব্যে মুসলমানদের উদ্দেশ্য পবিত্র যুদ্ধ শুরু করার আহবান জানান৻
ওসামা বিন লাদেন
ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানে গিয়ে আশ্রয় নেন৻ তালেবান অনুগত পাশতুন উপজাতির লোকেরা তাকে সেখানে আশ্রয় দেয়৻
পাকিস্তানে খালিদ শেইখ মোহাম্মদকে ২০০৩ সালে গ্রেফতার করার পর বিন লাদেনের সন্ধানে পরিচালিত অভিযান নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়৻
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও তাকে গ্রেফতারের জন্যে আফগান সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালায়৻
ওইসব অভিযানে বেঁচে যাওয়ার পর অবশেষে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে অ্যাবোটাবাদে মার্কিন সেনাদের পরিচালিত অভিযানে তিনি নিহত হন৻

Read more

হুদার কার্টুন ............


হুদার কার্টুন

............

Read more

রক্ত, রক্তের গ্রুপ, আরএইচ ফ্যাক্টর ও সুস্থ সন্তান (সবার পড়া উচিত


আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই ? আমি ভাল আছি । আমি আজকে আপনাদের যে বিষয়টি শেয়ার করব তা হল আমাদের শীরের একটি উপাদান রক্ত তা সম্পর্কিত কিছু তথ্য ।বেশি কথা না বলে মূল আলোচনায় চলে আসি ।

রক্ত :

রক্ত কি ? প্রশ্নটির উত্তর সাধারণভাবে দিলে বলা যায় শরীরের কোন অংশে কেটে গেলে লাল রঙের যে তরল পদার্থ বের হয়ে আসে তাই রক্ত । ইহা স্বাদে লবণাক্ত, অস্বচ্ছ, ঈষৎ ক্ষারীয় ও আঠালো চটচটে তরল পদার্থ । একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে গড়ে ৫ থেকে ৬ লিটার রক্ত থাকে। প্রধানত অস্তিমজ্জায় রক্ত উৎপন্ন হয় ।
রক্তের উপাদান : রক্ত প্রধানত দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত ।যথা :

  • ১। রক্তরস বা প্লাজমা
  • ২। রক্ত কণিকা

রক্তরস :

রক্তের হালকা হলুদ বর্ণের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে ।এই রক্তরসে রক্তকণিকা ভাসমান অবস্থায় থাকে ।রক্তরসে পানির পরিমাণ ৯২% । এছাড়াও রক্তরসে গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, ফ্যাটি এসিড, গ্লিসারল, আমিষ (যেমন : অ্যালুবুমিন, ফিব্রিনোজেন), খনিজলবণ, হরমোন, ভিটামিন, ইউরিয়া, এন্টিবডি, অক্সিজেন, কার্বনডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ ।

রক্তকণিকা :

রক্তরসের মধ্যে ছড়ানো বিভিন্ন ধরনের কোষকে রক্তকণিকা বলে । রক্তের ৪৫% হলো রক্তকণিকা । মানুষের রক্তে তিন ধরণের কণিকা থাকে । যথা :
  • ১। লোহিত রক্তকণিকা
  • ২। শ্বেত রক্তকণিকা
  • ৩। অনুচক্রিকা
hhduerthxyhfjfiot1 রক্ত, রক্তের গ্রুপ, আরএইচ ফ্যাক্টর ও সুস্থ সন্তান (সবার পড়া উচিত) | Techtunes
১। লোহিত রক্তকণিকা : লোহিত রক্তকণিকা ক্ষুদ্রাকার, দ্বিঅবতল চাকতির মত । এরা নিউক্লয়াসবিহীন । হিমোগ্লোবিনর নামক একপ্রকার রঞ্জক পদার্থ থাকার কারণে কণিকাগুলো লাল দেখায় । দেহে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২০ লক্ষ কণিকা তৈরি হয় । একটি লোহিত কণিকার গড় আয়ু ৪ মাস ।
Lohit rokto konika1 রক্ত, রক্তের গ্রুপ, আরএইচ ফ্যাক্টর ও সুস্থ সন্তান (সবার পড়া উচিত) | Techtunes
শ্বেত রক্তকণিকা : শ্বেত রক্ত কণিকা নির্দিষ্ট আকার বিঞীন ও নিউক্লিয়াস যুক্ত । সুস্থ মানব দেহে প্রতি কিউবিক মিলিলিটার রক্তে ৬০০০ থেকে ১১০০০ শ্বেত কণিকা থাকে ।
Set rokto konika1 রক্ত, রক্তের গ্রুপ, আরএইচ ফ্যাক্টর ও সুস্থ সন্তান (সবার পড়া উচিত) | Techtunes
অনুচক্রিকা : অনুচক্রিকা সবচেয়ে ক্ষুদ্র রক্তকণিকা । এরা গোল, ডিম্বাকার বা বৃত্তের মত এবং গুচ্ছাকারে থাকে । এতে নিউক্লিয়াস থাকে না । এএদের গড় আয়ু ৫ থেকে ১০ দিন ।
Onuchokrika রক্ত, রক্তের গ্রুপ, আরএইচ ফ্যাক্টর ও সুস্থ সন্তান (সবার পড়া উচিত) | Techtunes

রক্তের কাজ :

  • ১। রক্ত সারা দেহে পানি ও তাপের সমতা রক্ষা করে ।
  • ২। লোহিত রক্তকণিকা হিমোগ্লোবিনের মাধ্যমে ফুসফুস থেকে কোষে কোষে অক্সিজেন পরিবহণ করে ।
  • ৩। শ্বেত রক্তকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায়য় রোগজীবাণু ধ্বংস করে দেহকে সুস্থ রাখে ।
  • ৪। দেহের কোন স্থান কেটে গেলে অনুচক্রিকা সে সস্থানে রক্ত জমাট বাঁধায় । ফলে ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত বন্ধ হয় ।
  • ৫। রক্তরসের মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইড, ইউরিয়া, হজমকৃত খাদ্যবস্তু(যথা : গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড, ফ্যাটি এসিড, গ্লিসারল), হরমোন ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয় ।

রক্তের গ্রুপ :

অস্ট্রিয়া বংশোদ্ভূত আমেরিকান বিজ্ঞানি কার্ল লেন্ডস্টেইনার ১৯০১ খ্যীস্টাব্দে মানুষের লোহিত রক্তকণিকায় প্লাজমা মেমব্রেনের বাইরের দিকে এন্টিজেন নামক প্রোটিনের অস্তিত্ব আবিস্কার করেন । এই এন্টিজেন সাধারনত দুই ধরণের হয় যথা : এন্টিজেন এ এবং এন্টিজেন বি ।কোন একজন মানুষের লোহিত রক্তকণিকায় এন্টিজেন এ অথবা এন্টিজেন বি অথবা এন্টিজেন এ ও বি উভয়ই উপস্থিত থাকতে পারে অথবা এন্টিজেন এ ও বি উভয়ই অনুপস্থিত থাকতে পারে । মানুষের লোহিত রক্তকণিকায় এন্টিজেনের উপস্থিতি ও অনুপস্তিতির উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানী তার্ল লেন্ডস্টইনার ১৯০১ ক্রীস্টাব্দে মানুষের রক্তের যে শ্রেনীবিন্যাস করেন তাকে রক্তগ্রুপ বা এবিও রক্তগ্রুপ বলে । এজন্য ১৯৩০ খ্রীস্টাব্দে তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পান ।
মানুষের লোহিত রক্ত কণিকায় যেরূপ এন্টিজেন থাকে তারসাথে সামঞ্জস্য রেখে রক্তরস বা প্লাজমায় এন্টবডি নামক বিশেষ ধরণের প্রোটিন থাকে । মানুষের প্লাজমায় দুই ধরণের এন্টিবডি থাকে, যথা : ১। এন্টিবডি এ ২। এন্টিবডি বি ।
Image 7 রক্ত, রক্তের গ্রুপ, আরএইচ ফ্যাক্টর ও সুস্থ সন্তান (সবার পড়া উচিত) | Techtunes
এভাবে এন্টিজেন ও এন্টিবডির উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে সমগ্র মানবজাতির রক্তকর চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয় । যথা : এ, বি, এবি এবং ও ।
Image 8 রক্ত, রক্তের গ্রুপ, আরএইচ ফ্যাক্টর ও সুস্থ সন্তান (সবার পড়া উচিত) | Techtunes

যে নির্দিষ্ট ব্যক্তির রক্তে যে এন্টিজেন নেই, শুধু সেই এন্টিবডি সেখানে পাওয়া যাবে । অর্থাৎ এ গ্রুপে এ এন্টিজেন, বি গ্রুপে বি এন্টিজেন এবং এবি গ্রুপে এ ও বি উভয় এন্টিজেন থাকে । ও গ্রুপের রক্তে কোন এন্টিজেন নেই কিন্তু রক্তরসে এ ও বি দুরকম এন্টিবডিই থাকে । প্রতিটি এন্টবডি তার সমগোত্রীয় এন্টিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে রক্তকে জমাট বাঁধায় অর্থাৎ এন্টিবডি এ, ্এন্টিজেন এ এর সাথে এবং এন্টিবডি বি, এন্টিজেন বি এর সাথে বিরূপ বিক্রিয়া ঘটায় । এজন্য রক্ত গ্রহণ ও প্রদানের পূর্বে অবশ্যই রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করতে হয় । চলুন দেখি কে কোন গ্রুপকে রক্ত দিতে পারবে এবং কার কাছ থেকে রক্ত নাতে পারবে :
Image 24 রক্ত, রক্তের গ্রুপ, আরএইচ ফ্যাক্টর ও সুস্থ সন্তান (সবার পড়া উচিত) | Techtunes

এ গ্রুপের রক্তের এন্টিবডি বি গ্রুেপর লোহিত কণিকাকে জমিয়ে দেয় । তদ্রূপ বি গ্রুপের রক্তের এন্টিবডি এ গ্রুপের রক্তের লোহিত কণকাকে জমিয়ে দেয় । কিন্তু এবি গ্রুপের রক্তের প্লাজমায় কোন এন্টিবডি না থাকায় অন্য গ্রুপের রক্তকে জমাতে পারে না । এজন্য এবি গ্রুপধারী মানুষ যেকোন গ্রুপের রক্ত গ্রহণ করতে পারে । তাই এবি গ্রুপকে সর্বজনীন গ্রহীতা গ্রুপ বলা হয় ।
hhgyuymjjh রক্ত, রক্তের গ্রুপ, আরএইচ ফ্যাক্টর ও সুস্থ সন্তান (সবার পড়া উচিত) | Techtunes
আবার ও গ্রুপের রক্তের লোহিত কণিকায় কোন এন্টিজেন না থাকায় অন্য যে কোন গ্রুপের রক্তের সাথে সহজেই মিশতে পারে । তাই ও রক্ত গ্রুপের মানুষ যেকোন গ্রুপধারী মানুষকে রক্ত দিতে পারে । এজন্য ও গ্রুপকে সর্বজনীন দাতা গ্রুপ বলা হয ।
উল্লেখ্য যে, ও গ্রুপ অন্য সকল গ্রুপকে রক্ত দিতে পারে কিন্তু অন্য কোন গ্রুপ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে না এবং এবি গ্রুপ অন্য সকল গ্রুপ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে কিন্তু অন্য কাউকে রক্ত দিতে পারে না ।

চলুন দেখি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করার কিছু ছবি :

Image 12 রক্ত, রক্তের গ্রুপ, আরএইচ ফ্যাক্টর ও সুস্থ সন্তান (সবার পড়া উচিত) | Techtunes
Image 13 রক্ত, রক্তের গ্রুপ, আরএইচ ফ্যাক্টর ও সুস্থ সন্তান (সবার পড়া উচিত) | Techtunes
Image 14 রক্ত, রক্তের গ্রুপ, আরএইচ ফ্যাক্টর ও সুস্থ সন্তান (সবার পড়া উচিত) | Techtunes
Image 15 রক্ত, রক্তের গ্রুপ, আরএইচ ফ্যাক্টর ও সুস্থ সন্তান (সবার পড়া উচিত) | Techtunes
Image 221 রক্ত, রক্তের গ্রুপ, আরএইচ ফ্যাক্টর ও সুস্থ সন্তান (সবার পড়া উচিত) | Techtunes

Rh ফ্যাক্টর : কার্ল লেন্ডস্টেইনার এবং এ. এম উইনার ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে রেসাস বানর এর লোহিত কণিকায় এক ধরণের এন্টিজেন আবিষ্কার করেন । এই এন্টিজেনকে রেসাস এন্টিজেন বা রেসাস ফেক্টর বা Rh ফ্যাক্টর বলে ।পরবর্তীতে মানুষের লোহিত রক্ত কণিকাতেও এদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন । গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে যে প্রায় ৮৫% মানুষের লোহিত রক্ত কণিকায় আর এইচ ফ্যাক্টর বিদ্যমান থাকে ।যেসব মানুষের লোহিত রক্ত কণিকায়্‌ আরএইচ ফ্যাক্টর বিদ্যমান থাকে তাদের রক্তগ্রুপকে আরএইচ পজেটিভ এবং যেসব মানুষের লোহিত রক্ত কণিকায় আরএইচ ফ্যাক্টর অনুপস্থিত থাকে তাদের রক্তগ্রুপকে এরএইচ নেগেটিভ বলা হয় । যেমন : এ পজেটিভ, এ নেগেটিভ, বি পজেটিভ, ও পজেটিভ, এবি নেগেটিভ ইত্যাদি ।প্রধানত দুই ক্ষত্রে আরএইচ ফ্যাক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যেমন :
  • ১। আরএইচ নেগেটিভ রক্তগ্রুপ বিশিষ্ট কোন রোগীর দেহে আরএইচ পজেটিভ গ্রুপের রক্তের সঞ্চারণ ঘটালে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই রোগীর দেহের প্লাজমায় আরএইচ নেগেটিভ এন্টিবডি সৃষ্টি হয় । ঐ রোগী যদি পরবর্তীতে কখনও আরএইচ পজেটিভ গ্রুপের রক্ত গ্রহণ করে তাহলে আরএইচ নেগেটিভ এন্টিবডির প্রভাবে গৃহীত রক্তের লোহিত কণিকাগুলো নষ্ট হয়ে যাবে । এতে বিভিন্ন অসুবিধাসহ রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ।অবশ্য গ্রহীতা যদি পরবর্তীতে আরএইচ পজেটিভ গ্রুপের রক্ত গ্রহণ না করে তবে রক্ত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে ।
  • ২। আরএইচ নেগেটিভ রক্তগ্রুপ বিশিষ্ট মহিলার সাথে আরএইচ পজেটিভ রক্তগ্রুপের কোন পুরুষের বিয়ে হলে তাদের সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে আরএইচ ফ্যাক্টর অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে ।জেনেটিকভাবে আরএইচ পজেটিভ অবস্থা আরএইচ নেগেটিভ অবস্থার উপর প্রকট হওয়ায় এই দম্পত্তির প্রথম সন্তান আরএইচ পজেটিভ হবে । এই শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময়ে মায়ের রক্তে আরএইচ নেগেটিভ এন্টিবডি সৃষ্টি হবে ।প্রথমবার গর্ভধারণকালে আরএইচ নেগেটিভ এন্টিবডি যথেষ্ট পরিমাণে উৎপাদিত না হওয়ায় শিশুর কোন ক্ষতি হয় না এবং এই শিশু জীবিত থাকে ।কিন্তু দ্বিতীয় বা পরবর্তী সময়ে আরএইচ পজেটিভ সন্তান ধারণকালে পূর্বে উৎপাদিত মায়ের রক্তের আরএইচ নেগেটিভ এন্টিবডি অমরার মাধ্যমে ভ্রুণে প্রবেশ করে এবং ভ্রুণের লোহিত কণিকাগুলো ধ্বংস করতে থাকে । এতে ভ্রুণ বিনষ্ট হয়, গর্ভপাত ঘটে বা সদ্যজাত শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।এ অবস্থায় শিশু জীবিত থাকলেও তার দেহে প্রচন্ড রক্তাল্পতা এবং জন্মের পর জন্ডিস রোগ দেখা দেয় ।তাই বিয়ের আগে হবু বর কণের রক্ত পরীক্ষা করে নেয়া উচিত এবং উভয়েরই একই আরএইচ ফ্যাক্টরভুক্ত অর্থাৎ হয় উভয়ই আরএইচ পজেটিভ নয়তো উভয়েরই আরএইচ নেগেটিভ দম্পতি হওয়া উচিত ।
পরিশেষে বলা যায় রক্ত দান বা গ্রহণ করার সময় শুধু রক্তের গ্রুপই নয় রক্তের আরএইচ ফ্যাক্টর নির্ণয় এবং রক্তে জীবাণুর উপস্থিতি সম্বন্ধেও পরীক্ষা করা উচিত । জরুরী রক্ত গ্রহণ বা দানের দরকার


হলে দাতা ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ জানা না থাকলে ও এবং আরএইচ নেগেটিভ রক্ত গ্রহণ বা দান করা

Read more

মুসলিম সভ্যতার ভুলে যাওয়া কয়েকজন বিজ্ঞানীর কথা:


মুসলিম সভ্যতার ভুলে যাওয়া কয়েকজন বিজ্ঞানীর কথা:

সায়েন্টিফিক অ্যামেরিকান পত্রিকার ওয়েবসাইটে ডেভিড বিয়েলো’র The Forgotten History of Muslim Scientists স্লাইড শো অবলম্বনে ;

প্রসঙ্গ :

নিউ ইয়র্ক হল অফ সায়েন্স’ ‘এ গত ডিসেম্বর থেকে প্রদর্শিত হচ্ছে ‘১০০১ আবিষ্কার’ (1001 Inventions) শীর্ষক একটি প্রদশর্নী; এর অংশ হিসাবে সেখানে প্রদর্শিত হচ্ছে স্যার বেন কিংস্লে অভিনীত পুরষ্কার পাওয়া একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র -যার বিষয়বস্তু হলো নানা বর্ণের, বিশ্বাসের আর পেশার সেই সব নারী আর পুরুষদের ভুলে যাওয়া ইতিহাস, যারা মধ্যযুগে জ্ঞানচর্চা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন, পরবর্তীতে যা ইউরোপীয় রেনেসাঁর আগমনের পথকে সুগম করে দেয়।

৭ম শতাব্দী থেকে ১৭শ শতাব্দী পর্যন্ত্য ইউরোপের সেই ’অন্ধকার যুগ’ ছিলো স্পেন থেকে চীন পর্যন্ত্য ছিল জ্ঞান ও বিজ্ঞানের ‘সোনালী যুগ’। বিজ্ঞানের সব শাখায় নতুন সব ধ্যানধারনা অনুপ্রানিত করেছিল অসংখ্য নব্য প্রযুক্তির উদ্ভাবন, যার অনেকগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে আজও। মুল প্রদর্শনীর কেন্দ্রীয় দর্শনীয় বিষয়টি হলো ত্রয়োদশ শতাব্দীতে প্রতিভাবান প্রকৌশলী আল-জাজার ‘র তৈরী ২০ ফুট দীর্ঘ ‘হাতি ঘড়ি’র একটি অনুরুপ মডেল। এছাড়া আরো কিছু উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্যের মধ্যে আছে ১৫শ শতাব্দীর চীনা ‘জাঙ্ক’ জাহাজের একটি স্কেলকৃত মডেল, নবম শতাব্দীতে তৈরী আকাশে ওড়ার একটা গ্লাইডারের মডেল।

মোট ৭টি জোনে বিভক্ত এই প্রদর্শনীতে ৬০ টিরও বেশী ইন্টারঅ্যাক্টিভ মডেল প্রদর্শিত হয়েছে, যার প্রতিটি গৃহ,হাসপাতাল, বাজার, স্কুল, শহর পরিকল্পনা থেকে শুরু করে পৃথিবী এবং মহাবিশ্ব সম্বন্ধে আমাদের মৌলিক ধারনাগুলোকে প্রভাবিত করেছে। দর্শকরা জানতে পারবেন, বিজ্ঞানী কখন প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন, কেমন করে আমরা দেখি বা কেমন করে আধুনিক ঔষধ আমাদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে? কেন পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যে স্থাপত্য ঐতিহ্যের কেন এতো সদৃশ্যতা ? এছাড়াও, দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি যেমন, কফি টুথপেষ্ট,সাবান ইত্যাদির সুচনা হয়েছিল কিভাবে ?

‘১০০১ আবিষ্কার’ প্রদর্শনীটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো দর্শকদের কাছে তুলে ধরা যে, বিজ্ঞান সবসময়ই একটি বিশ্বব্যাপী পারস্পরিক সহযোগিতার ফসল। এই সহস্য বর্ষের সময়ের ফ্রেমে প্রদর্শনীটি দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দেবে ইউরোপ, আফ্রিকা,ইহুদী,আরব, পারস্য, ভারত, চীন এবং তুরস্কের সেই পথ দেখানো বিজ্ঞানীদের সাথে যারা আমাদের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে অসামান্য ভূমিকা রেখে গেছেন।

এই প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হচ্ছে এরকম কয়েকজন ভুলে যাওয়া মুসলিম সভ্যতার বিজ্ঞানীদের নিয়ে সায়েন্টিফিক অ্যামেরিকান পত্রিকার ওয়েবসাইটে ডেভিড বিয়েলো একটি স্লাইড শো তৈরী করেছেন । সেটাকেই একটু ভিন্নভাবে সাজিয়ে এখানে তুলে ধরলাম :

ভূমিকা:

হাজার বছর আগে গৃহবন্দী হয়ে থাকার সময় একজন আরব পদার্থবিজ্ঞানী তার রচিত একটি গ্রন্থে ‘অপটিক্স’ বা আলোর প্রকৃতি আর আচরন সংক্রান্ত বিজ্ঞান সম্বন্ধে নতুন একটি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গী প্রস্তাব করেস। বিজ্ঞানের এই শাখায় গ্রন্থটির বৈপ্লবিক অবদানকে তুলনা করা হয় এর প্রায় ৭০০ বছর পর প্রকাশিত নিউটনের ‘প্রিন্সিপিয়া’র অবদানের সাথে ।

গ্রন্থটির রচয়িতা কায়রোর একজন মুসলিম বিজ্ঞানী - আবু আলী আল-হাসনান ইবন আল-হাইথাম অথবা পশ্চিমে তিনি যে নামে পরিচিত ছিলেন, আল-হাজেন। আয়না এবং প্রতিফলন আর প্রতিসরন ব্যবহার করে নানা পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি প্রমান করেন যে, আলো সরল রেখায় গমন করে। এবং একই সাথে তিনি সুচনা করেন পরীক্ষামুলক পদার্থবিদ্যা সহ পরীক্ষা নীরিক্ষার মাধ্যমে যে কোন হাইপোথেসিসের পক্ষে বিপক্ষে প্রমান সংগ্রহ করার আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এছাড়াও তিনি প্রথম বর্ননা দেন ক্যামেরা অবস্ক্যুরা’র -একটা ছোট ছিদ্র যুক্ত বাক্স, যা সুক্ষভাবে কোন চিত্র আকার জন্য যে কোন প্রতিচ্ছবি পর্দায় প্রক্ষেপন করতে পারতো - এবং যা আধুনিক ক্যামেরার পুর্বসুরী। এছাড়া আলোর বিভ্রম (Optical illusion) এবং মানুষের দেখার পদ্ধতি আর এর পেছনে চিন্তার প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বিস্তারিত গবেষনা করেন, তার অন্যান্য কিছু অবদানের মধ্যে আছে, বায়ুমন্ডলে আলোর প্রতিসরন যে উষা আর গোধুলী’র কারন তার প্রথম বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করা।

এসবই ঘটেছে সেই যুগে, যখনও নর্মানরা অ্যাংলো-স্যাক্সনদের রাজ্য ইংল্যান্ড আক্রমন করেনি আর ভাইকিং দস্যুরা আইরিশ পুরোহিতদের অনুলিপি করা গ্রীক-রোমানদের অসামান্য সব বৈজ্ঞানিক অবদান পুড়িয়ে ধ্বংশ করেছে। আল-হাজেন ছিলেন বহু শতাব্দী পুর্বের তৎকালীন মুসলিম বিশ্বে কর্মরত অসংখ্য বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন,যারা বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। মুসলিম বিশ্বের বিজ্ঞানের এই স্বর্ণযুগের ব্যাপ্তিকাল ছিল প্রায় এক মিলেনিয়াম।

স্লাইড ১ : আল-হাজেন:
ছবি ১ ক্যামেরা অবস্কুরা (সৌজন্যে:© Ali Amro / MuslimHeritageImages.com )

আল-হাজেন:

আধুনিক ইরাকের বন্দর নগরী যা এখন বসরা নামে পরিচিত সেখানে ৯৬৫ খৃষ্টাব্দে, আরব অথবা পারস্যদেশীয় পদার্থ বিজ্ঞানী আল-হাজেন (ইবন আল-হাইথাম) জন্ম গ্রহন করেন। আল হাজেন ছিলেন পরীক্ষামুলক পদার্থবিদ্যার অগ্রদুত এবং অপটিক্স বা আলোকবিদ্যা সম্বন্ধে আধুনিক বৈজ্ঞানিক ধারনার প্রতিষ্ঠাতা। যখন তিনি নীল নদের বন্যা নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হন, তার চাকুরীদাতা খলিফা শাস্তি হিসাবে তাকে গৃহবন্দী করে রাখার আদেশ দেন। সে কারনে তিনি তার বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষার উপর পুরোপুরি মনোনিবেশ করার সুযোগ পান। এসময় তিনি রচনা করেন সুবিশাল সর্বমোট ৭ খন্ডের ‘বুক অফ অপটিক্স’, যা এই বিষয়ে যুগান্তকারী একটি গ্রন্থ। তার এই বইটি শতবর্ষ পরে সরাসরি প্রভাবিত করে য়োহানেস কেপলার এবং রজার বেকনের মতো পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের। এই বইটিতে ছবি প্রক্ষেপনের একটি যন্ত্র- ক্যামেরা অবস্ক্যুরার কথা তিনি উল্লেখ করেন( স্লাইডের ছবিটি দেখুন), যা আধুনিক ক্যামরার পূর্বসুরী। তিনি প্রথম চোখের বিভিন্ন অংশের বিবরন দেন এবং আমাদের দৃষ্টি প্রক্রিয়ার একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেন। তার উদ্ভাবিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি : সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে কোন হাইপোথেসিসকে সঠিক বা ভুল প্রমান করার প্রক্রিয়া, আজো বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করছেন।


স্লাইড ২ : আব্বাস ইবন-ফিরনাস:

ছবি ২ :গ্লাইডারের মডেল (সৌজন্যে:1001 Inventions Ltd., 2010)

আব্বাস ইবন-ফিরনাস :

৮১০ খৃষ্টাব্দে মধ্যযুগীয় মসুলমান স্পেনের আল-আন্দালুস এলাকায় তিনি জন্মগ্রহন করেন। ইবন-ফিরনাস সম্ভবত প্রথম গ্লাইডার ব্যবহার করে উড্ডয়নের পদ্ধতির আবিষ্কারক (ছবিতে যেমন দেখানো হয়েছে)। যদিও রাইট ভাতৃদ্বয়ের আকাশে ওড়ার হাজার বছর আগে স্প্যানিশ শহর কর্ডোবায় তার এই ওড়া নিয়ে সন্দেহের কিছু অবকাশ আছে কারণ এর প্রাথমিক তথ্য সুত্র হচ্ছে রাজদরবারের কবিতা , যদিও বিভিন্ন আরব ইতিহাসের কাহিনীতে এই ওড়ার কথা উল্লেখিত হয়েছে।

স্লাইড ৩ : আল-জাহিজ:

ছবি ৩ :আরবীয় অস্ট্রিচ (সৌজন্যে:The Yorck Project)

আল-জাহিজ :

অষ্টম শতাব্দীর এই আরব-আফ্রিকার জীববিজ্ঞানী ছিলেন বিবর্তন জীববিজ্ঞানের প্রথম প্রস্তাবক। আল-জাহিজের আসল নাম ছিল আবু ওসমান আমর ইবন বাহর আল-কিনানী আল-ফুকাইমি আল-বাসরি। তিনি ‘বুক অব অ্যানিমেল’ নামে মোট সাত খন্ডের একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। সেখানে খাদ্য শৃঙ্খল, পরিবেশগত ডিটারমিনিজম, প্রাকৃতিক নির্বাচন এবং প্রানী মনোবিজ্ঞান বিষয়ক ধারনাগুলোকে তিনি সর্বপ্রথম বর্ণনা করেন। উপরের ছবিটি তার সেই গ্রন্থ থেকে নেয়া, আরবীয় অস্ট্রিচ (বর্তমানে বিলুপ্ত) । একজন আফ্রিকান ক্রীতদাসের দৌহিত্র, বাগদাদ কেন্দ্রিক আল-জাহিজ, আধুনিক যুগের আরেক প্রখ্যাত জীববিজ্ঞানী ই ও উইলসনের মত পিপড়াদের সামাজিক সংগঠন এবং আচরন গবেষনা বিষয়ে বিশেষভাবে আগ্রহী ছিলেন।


স্লাইড ৪ : আল-জাজারি:

ছবি ৪ হাতি ঘড়ি (সৌজন্যে 1001 Inventions Ltd, 2010 )

আল-জাজারি:

এই ইরাকী প্রতিভাবান বিজ্ঞানী, পুরো নাম, আবু আল-ইজ ইবন ইসমাইল ইবন আল রাজাজ আল-জাজারী । যিনি আল-জাজারী হিসাবে সুপরিচিত, ১২০৬ খৃষ্টাব্দে প্রায় ৫০ টির মতো যন্ত্র তৈরীর নকশা প্রনয়ন করেছিলেন, যেমন ছবিতে (কম্পিউটারের সাহায্যে নির্মিত কাল্পনিক ছবি) হাতি ঘড়ি। তিনিই প্রথম প্রকৌশলী যিনি ক্র্যাঙ্কশ্যাফট, ক্যামশ্যাফ্ট, চার বোল্ট বিশিষ্ট তালার ব্যবহার শুরু করেন। এছাড়া বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মধ্যে গতির সঞ্চার ও সংযোগকারী সেগমেন্টাল গিয়ার ব্যবহার করেন তিনি প্রথম, এসব যন্ত্রাংশগুলো বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তিনি ব্যবহার করেছিলেন তার অসাধারন পানি তোলা যন্ত্রে । রবোট বা অটোমাটা চালানোর জন্য তিনি পানি ব্যবহার করেছিলেন, যেমন নড়াচড়া করে এমন ময়ুর, পাত্রে পানি ঢালার জন্য পরিচারিকা, এমনকি উত্তর মেসোপটেমিয়ায় নৌকায় চড়া সঙ্গীতদল।


স্লাইড ৫ : আল-খাওয়ারিজমি:

ছবি ৫ (সৌজন্যে John L. Esposito)

আল-খাওয়ারিজমি:

কারো কারো কাছে বীজগনিতের জনক হিসাবে পরিচিত আবু আবদাল্লাহ মুহাম্মদ ইবন মুসা আল-খাওয়ারিজমি ছিলেন একজন পারস্যদেশীয় গনিতবিদ, যিনি নবম শতকে বাগদাদের হাউস অব উইসডোমে কাজ করতেন। প্রকৃত পক্ষে অ্যালজেবরা এসেছে আল-জাবর থেকে যার অর্থ ‘পূর্বাবস্থায় ফিরে যাওয়া’। আল-খাওয়ারিজমি তার এই সমীকরনের দুই পাশে সমান মান যোগ করে কোয়াড্রাটিক সমীকরন থেকে বর্গমুল, বর্গফল অপসারনের পদ্ধতির নাম দিয়েছিলেন আল-জাবর । এছাড়া অ্যালগরিদম শব্দটি, যেমন ব্যবহার করা হয় ইন্টারনেটে কিছু সার্চ করলে তার ফলাফল সরবরাহের ক্ষেত্রে, এসেছে তার নামের ল্যাটিন সংস্করণ থেকে আল-গরিটমি। আধুনিক সংখ্যা পদ্ধতির জন্য তার ধন্যবাদ প্রাপ্তি আছে, যার ভিত্তি মুলত হিন্দু আরব সংখ্যা এবং উৎস ভারতীয় গনিত। এছাড়া জ্যোতির্বিজ্ঞানে, ত্রিকোনোমিতি এমনকি ভুগোলেও তার অবদান আছে।


স্লাইড ৬ : ফাতিমা আল ফিহরী :


ছবি ৫ (সৌজন্যে 1001 Inventions, 2005)

ফাতিমা আল-ফিহরী :

পৃথিবীর সবেচেয়ে প্রাচীনতম এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে সক্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় আল-কারাঊয়ীন (এখনও সক্রিয়) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মরোক্কোর ফেজ শহরে এ ৮৫৯ খৃষ্টাব্দে। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন একজন ধনী বনিককন্যা ফাতিমা আল-ফিহরী। আল ফিহরীর তৈরী গ্রান্ড মসজিদের এলাকায় প্রতিষ্টিত এই আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়টি পরবর্তীতে অসংখ্য বিজ্ঞানীর জন্ম দিয়েছে।

Read more

উইলিয়াম ও কেট এখন দম্পতি



প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের বিয়ের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই সবার আগ্রহ এখন তাদের মধুচন্দ্রিমার দিকে। দাম্পত্য জীবনের প্রথম পাঠ নিতে, একান্তে সময় কাটানোর জন্য কোথায় যাচ্ছেন এই রাজকীয় দম্পতি! গতকাল অত্যন্ত গোপনীতার সাথে তারা বাকিংহাম প্যালেস থেকে মধুচন্দ্রিমা পালনে অজানা স্থানে গেছে। শুক্রবার ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে সবচে’ আড়ম্বরপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বান্ধবী কেটকে বিয়ে করেন উইলিয়াম। কেটের বিয়ের পোশাকের পরিকল্পনাকারীর নাম থেকে শুরু করে মধুচন্দ্রিমা পালনে তারা কোথায় যাচ্ছেন—এ ধরনের অনেক তথ্যই এখনও পর্যন্ত আড়াল করে রাখা হয়েছে। তবে তাতে করে ভবিষ্যদ্বাণী করা থেকে দমিয়ে রাখা যায়নি সংবাদ মাধ্যমগুলোকে। মধুচন্দ্রিমার সম্ভাব্য স্থান হিসেবে উঠে এসেছে সিসিলি, কেনিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুজতিক, অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এলাকার একটি দ্বীপ, গ্রিসের কোর্ফু দ্বীপ, তাসকানের একটি অবকাশ যাপন কেন্দ্র এবং ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের সিলি দ্বীপপুঞ্জের নাম। বিভিন্ন বাজিকর প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে মুজতিককে শীর্ষ পছন্দ ধরে বাজির খাতা খুলেছে। এরপরই রয়েছে জর্ডান, সিসিলি ও অস্ট্রেলিয়ার নাম। উইলিয়াম আর কেটের প্রতিটি কর্মকাণ্ডের প্রতি মানুষ ও গণমাধ্যমের বিপুল আগ্রহই বলে দেয় ভবিষ্যত্ রাজা ও রানী হিসেবে কী পর্বতসম চাপ তাদের সামলাতে হবে। গণমাধ্যমের স্পটলাইটের পূর্ণ আলো এখন তাদের উপর। উইলিয়াম-কেটের প্রতি এ বিপুল আগ্রহের সঙ্গে উইলিয়ামের মা প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার প্রতি গণমাধ্যমের একই ধরনের আগ্রহের একটি অস্বস্তিকর মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। ১৯৯৭ সালে মিডিয়ার বিপুল আগ্রহের কারণে পাপারাজ্জিদের হাত থেকে পালাতে গিয়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মারা যান ডায়ানা। ডায়ানার মৃত্যুর আগে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার ঘটনা রাজপরিবারের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় বলে ধরে নেয়া হয়। ৩৫০ বছরের মধ্যে রাজপুত্রবধূদের মধ্যে কেট মিডলটনই সাধারণ পরিবার থেকে আসা প্রথম নারী। কেটের কারণে প্রিন্স উইলিয়ামও ব্রিটিশ জনগণের কাছে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন বলে মন্তব্য করেছে দেশটির গণমাধ্যম। তবে সবার কাছেই যে এ রাজকীয় বিয়ে আগ্রহের বিষয় এমন নয়। লন্ডনের ২৯ বছর বয়সী সমাজকর্মী জেসামি বার্কার বলেন, আমাদের দেশের অনেক মানুষের যখন রাষ্ট্রীয় অধিকার পূরণ হচ্ছে না, তখন রাজপরিবার অনেক বেশি অধিকার পাচ্ছে।

Read more
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Alertpay

You can replace this text by going to "Layout" and then "Page Elements" section. Edit " About "

সরাসরি চ্যাট করার জন্য পেজ এর নিচে যান

a

ইংরেজী বিজয় ফনেটিক অভ্র ফনেটিক ইউনিজয়

Widget by: Bangla Hacks

b

পত্রিকায় প্রকাশিত চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি 
2 June 2010

এখানে ক্লিক করুন ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করুন।

WELL-COME TO BD ADDA(বিনামূল্যে ওয়েব সাইড তৈরির জন্য যোগাযোগ করুনঃ- ওয়েব ডেভোলাপার- মোঃ শফিকুর রহমান, মোবাইল নং-8801812465879)