About

ABC Radio

Blogger news

মনোবৈকল্য চিকিত্সার যোগসূত্র!

ভিন্ন খবর : মনোবৈকল্য চিকিত্সার যোগসূত্র!

ডেস্ক রিপোর্ট
তেলাপোকা-মাকড়সা দেখে ভয়ে লাফিয়ে ওঠে না এমন মহিলা ক’জন আছে? আবার এগুলোতো ছার, সাপ-বিচ্ছু দেখেও পাত্তা দিতে চায় না, এমন মহিলাও বা কটা আছে? এ ধরনের মহিলা কিংবা পুরুষ আসলেই নেই। কিন্তু সম্প্রতি এমন এক বিরল মহিলার কথাই বলছেন গবেষকরা। ওই মহিলা এখন চিকিত্সা-গবেষকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন।
কারণ, বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, অকুতোভয় (অন্তত সাপ-ব্যাং-বিচ্ছু থেকে তো বটেই) ওই মহিলার মস্তিষ্কে এমন একটা জিনিস নেই, যা স্বাভাবিক আর সব মানুষের মাথাতেই আছে। ওই জিনিস বা কাঠামোটা নেই বলেই এই মহিলা সাপ দেখলে পুরুষের মতো লাঠিহাতে তেড়ে আসে। মাকড়সা-তেলাপোকাকে পা দিয়ে পিষে থেঁতলে দেয়। টিভি খুলে গভীর রাতে একা বসে আগ্রহের সঙ্গে হরর ছবি দেখে, এমনকি ভুতুড়ে বাড়িতেও একা রাত কাটানোর প্রস্তাবে পিছপা হয় না। কারেন্ট বায়োলজি নামের এক সাময়িকীতে গবেষকরা বলেছেন, মহিলাটি আসলে বিপজ্জনক কোনো পরিস্থিতিতেই ভয় কাকে বলে জানে না।
ভয় হলো মানুষের আদিমতম আবেগ বা অনুভূতিগুলোর একটি। ‘বিরল’ এই মহিলার মনে বা মাথায় আর সব আবেগ-অনুভূতি থাকলেও ভয়ের অনুভূতিটা নেই। আর এই অনুভূতি না থাকার কারণ হলো তার মস্তিষ্ক কাঠামার মধ্যে অ্যামাইগডালা নামের একটি জিনিসের অভাব রয়েছে। ওই জিনিসটা নেই বলেই সাপ দেখেও তার ভয় হয় না, মাকড়সা দেখেও সে দৃকপাত করে না।
গবেষকরা বলেছেন, মানুষের ইতিহাসে এমনটি এর আগে দেখা দূরের তো কথা, শোনাও যায়নি। আসলে মানুষের মস্তিষ্কের ওই কাঠামোটি তার অন্যান্য অনুভূতির ধারক স্নায়ু বা শিরার সঙ্গে সম্পৃক্ত। কিন্তু ওই মহিলার মাথায় অ্যামাইগডালা নামের ভয়-ভীতি জাগানিয়া এই জিনিসটি নেই বলে সে সম্পূর্ণ ভয়শূন্য হয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল অধিকাংশ মানুষ যেসব পরিস্থিতিতে স্বভাবতই ভয় পায়, সেসব অবস্থায় ওই মহিলার প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করে তা লিপিবদ্ধ করেছেন। তাকে ভৌতিক ছবি দেখানো হয়েছে, ভুতুড়ে বাড়িতে একা যেতে বলা হয়েছে এবং বিষাক্ত সাপ ও মাকড়সা ছেড়ে দেয়া হয়েছে তার সামনে। তবে ওই মহিলা তাতে একটুও ভয় না পেয়ে বরং শিশুর মতো সরল কৌতূহলে ওগুলোকে ধরার চেষ্টা করেছে।
তাকে এমন আচরণ করার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে সে বলেছে, সে কৌতূহল মেটানোর জন্যই তা করেছে। প্রধান গবেষক জাস্টিন ফেইনস্টেইন বলেন, ‘যেহেতু ওই মহিলা তার মস্তিষ্কের ওই অংশটি (অ্যামাইগডালা) হারিয়ে ফেলেছে, সুতরাং তার ভয় পাওয়ার ক্ষমতাও হারিয়ে গেছে। সে সাপের মুখে পড়লেও এমনভাবে দাঁড়িয়ে যাবে, যেন তার সামনে ওটা সাপ নয়, তার পোষা বেড়ালটিই।’
এই মহিলার ওপর গবেষকদের কৌতূহলের কারণ হলো যে, তারা জানতে চান যে, কীভাবে অ্যামাইগডালা মানুষের মনে ভয়ের অনুভূতি নিয়ে আসে। এটা ভালোভাবে বুঝতে পারলে তাদের বিশ্বাস, ভয়জনিত মনোবৈকল্যে আকান্ত মানুষের চিকিত্সার ব্যাপারটা আয়ত্তে আসতে পারে। ভয়জনিত মনোবৈকল্য কথাটাকে ডাক্তারি পরিভাষায় পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার নামে বর্ণনা করা হয়।
এ ধরনের রোগী অতীতের ভয়ঙ্কর কোনো স্মৃতিকে মন থেকে মুছে ফেলতে পারে না। দুঃখ, কষ্ট বা ভয়ের সে স্মৃতি প্রাকৃতিক নিয়মে ক্রমশ ঝাপসা না হয়ে যে মুহূর্তে ঘটেছিল, সে মুহূর্তের প্রবলতা নিয়েই মনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকে। আর তাতে আক্রান্ত হতে হতে রোগী একসময় মনোবৈকল্যের শিকারে পরিণত হয়। AmarDesh

Leave a Reply

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Alertpay

You can replace this text by going to "Layout" and then "Page Elements" section. Edit " About "

সরাসরি চ্যাট করার জন্য পেজ এর নিচে যান

a

ইংরেজী বিজয় ফনেটিক অভ্র ফনেটিক ইউনিজয়

Widget by: Bangla Hacks

b

পত্রিকায় প্রকাশিত চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি 
2 June 2010

এখানে ক্লিক করুন ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করুন।

WELL-COME TO BD ADDA(বিনামূল্যে ওয়েব সাইড তৈরির জন্য যোগাযোগ করুনঃ- ওয়েব ডেভোলাপার- মোঃ শফিকুর রহমান, মোবাইল নং-8801812465879)