About

ABC Radio

Blogger news

ফটো গ্যালারি

Dhaka University Arts Faculty
Guru Duara
Grave of President Ziaur Rahman Bir Uttam 9/2008
Lalbagh Fort
Azimpur, Salimullah Madrassah, 1904
Hotel Taj,Bombay 1/1987
Ahsan Manzil in 1973

Read more

সূরা ইয়াসীন

 *সূরা ইয়াসীন*
 ( মক্কায় অবতীর্ণ ), আয়াত সংখাঃ ৮৩











আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ










بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
يس
01
ইয়া-সীন
وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ
02
প্রজ্ঞাময় কোরআনের কসম।
إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ
03
নিশ্চয় আপনি প্রেরিত রসূলগণের একজন।
عَلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
04
সরল পথে প্রতিষ্ঠিত।
تَنزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ
05
কোরআন পরাক্রমশালী পরম দয়ালু আল্লাহর তরফ থেকে অবতীর্ণ,
لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أُنذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ
06
যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি।
 ফলে তারা গাফেল।
لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَى أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
07
তাদের অধিকাংশের জন্যে শাস্তির বিষয় অবধারিত হয়েছে।
 সুতরাং তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না।
إِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلاَلاً فَهِيَ إِلَى الأَذْقَانِ فَهُم مُّقْمَحُونَ
08
আমি তাদের গর্দানে চিবুক পর্যন্ত বেড়ী পরিয়েছি। ফলে তাদের মস্তক উর্দ্ধমুখী হয়ে গেছে।
وَجَعَلْنَا مِن بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لاَ يُبْصِرُونَ
09
আমি তাদের সামনে ও পিছনে প্রাচীর স্থাপন করেছি,
অতঃপর তাদেরকে আবৃত করে দিয়েছি, ফলে তারা দেখে না।
وَسَوَاء عَلَيْهِمْ أَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ لاَ يُؤْمِنُونَ
10
আপনি তাদেরকে সতর্ক করুন বা না করুন, তাদের পক্ষে দুয়েই সমান; তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না।
إِنَّمَا تُنذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَخَشِيَ الرَّحْمَن بِالْغَيْبِ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَأَجْرٍ كَرِيمٍ
11
আপনি কেবল তাদেরকেই সতর্ক করতে পারেন, যারা উপদেশ অনুসরণ করে
এবং দয়াময় আল্লাহকে না দেখে ভয় করে।
অতএব আপনি তাদেরকে সুসংবাদ দিয়ে দিন ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের।
إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَى وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ وَكُلَّ شَيْءٍ أحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍ
12
আমিই মৃতদেরকে জীবিত করি এবং তাদের কর্ম ও কীর্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করি।
 আমি প্রত্যেক বস্তু স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি।
وَاضْرِبْ لَهُم مَّثَلاً أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ إِذْ جَاءهَا الْمُرْسَلُونَ
13
আপনি তাদের কাছে সে জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করুন, যখন সেখানে রসূল আগমন করেছিলেন।
إِذْ أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمُ اثْنَيْنِ فَكَذَّبُوهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوا إِنَّا إِلَيْكُم مُّرْسَلُونَ
14
আমি তাদের নিকট দুজন রসূল প্রেরণ করেছিলাম,
 অতঃপর ওরা তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল।
 তখন আমি তাদেরকে শক্তিশালী করলাম তৃতীয় একজনের মাধ্যমে। তারা সবাই বলল, আমরা তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।
قَالُوا مَا أَنتُمْ إِلاَّ بَشَرٌ مِّثْلُنَا وَمَا أَنزَلَ الرَّحْمن مِن شَيْءٍ إِنْ أَنتُمْ إِلاَّ تَكْذِبُونَ
15
তারা বলল, তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ,
রহমান আল্লাহ কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা কেবল মিথ্যাই বলে যাচ্ছ।
قَالُوا رَبُّنَا يَعْلَمُ إِنَّا إِلَيْكُمْ لَمُرْسَلُونَ
16
রাসূলগণ বলল, আমাদের পরওয়ারদেগার জানেন, আমরা অবশ্যই তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।
وَمَا عَلَيْنَا إِلاَّ الْبَلاَغُ الْمُبِينُ
17
পরিস্কারভাবে আল্লাহর বাণী পৌছে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব।
قَالُوا إِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْ لَئِن لَّمْ تَنتَهُوا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَلَيَمَسَّنَّكُم مِّنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ
18
তারা বলল, আমরা তোমাদেরকে অশুভ-অকল্যাণকর দেখছি। যদি তোমরা বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাদেরকে প্রস্তর বর্ষণে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি স্পর্শ করবে।
قَالُوا طَائِرُكُمْ مَعَكُمْ أَئِن ذُكِّرْتُم بَلْ أَنتُمْ قَوْمٌ مُّسْرِفُونَ
19
রসূলগণ বলল, তোমাদের অকল্যাণ তোমাদের সাথেই! এটা কি এজন্যে যে, আমরা তোমাদেরকে সদুপদেশ দিয়েছি? বস্তুতঃ তোমরা সীমা লংঘনকারী সম্প্রদায় বৈ নও।
وَجَاء مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَى قَالَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ
20
অতঃপর শহরের প্রান্তভাগ থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এল।
সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় তোমরা রসূলগণের অনুসরণ কর।
اتَّبِعُوا مَن لاَّ يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُم مُّهْتَدُونَ
21
অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত।
وَمَا لِي لاَ أَعْبُدُ الَّذِي فَطَرَنِي وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
22
আমার কি হল যে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং
 যার কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে, আমি তাঁর এবাদত করব না?
أَأَتَّخِذُ مِن دُونِهِ آلِهَةً إِن يُرِدْنِ الرَّحْمَن بِضُرٍّ لاَّ تُغْنِ عَنِّي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا وَلاَ يُنقِذُونِ
23
আমি কি তাঁর পরিবর্তে অন্যান্যদেরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করব?
করুণাময় যদি আমাকে কষ্টে নিপতিত করতে চান,
তবে তাদের সুপারিশ আমার কোনই কাজে আসবে না
এবং তারা আমাকে রক্ষাও করতে পারবে না।
إِنِّي إِذًا لَّفِي ضَلاَلٍ مُّبِينٍ
24
এরূপ করলে আমি প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হব।
إِنِّي آمَنتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِ
25
আমি নিশ্চিতভাবে তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম।
 অতএব আমার কাছ থেকে শুনে নাও।
قِيلَ ادْخُلِ الْجَنَّةَ قَالَ يَا لَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ
26
তাকে বলা হল, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলল হায়, আমার সম্প্রদায় যদি কোন ক্রমে জানতে পারত-
بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَ
27
যে আমার পরওয়ারদেগার আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
وَمَا أَنزَلْنَا عَلَى قَوْمِهِ مِن بَعْدِهِ مِنْ جُندٍ مِّنَ السَّمَاء وَمَا كُنَّا مُنزِلِينَ
28
তারপর আমি তার সম্প্রদায়ের উপর আকাশ থেকে কোন বাহিনী
অবতীর্ণ করিনি এবং আমি (বাহিনী) অবতরণকারীও না।
إِن كَانَتْ إِلاَّ صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ
29
বস্তুতঃ এ ছিল এক মহানাদ। অতঃপর সঙ্গে সঙ্গে সবাই স্তদ্ধ হয়ে গেল।
يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ مَا يَأْتِيهِم مِّن رَّسُولٍ إِلاَّ كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِؤُون
30
বান্দাদের জন্যে আক্ষেপ যে, তাদের কাছে এমন কোন
রসূলই আগমন করেনি যাদের প্রতি তারা বিদ্রুপ করে না।
أَلَمْ يَرَوْا كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّنْ الْقُرُونِ أَنَّهُمْ إِلَيْهِمْ لاَ يَرْجِعُونَ
31
তারা কি প্রত্যক্ষ করে না, তাদের পূর্বে আমি কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি যে,
তারা তাদের মধ্যে আর ফিরে আসবে না।
وَإِن كُلٌّ لَّمَّا جَمِيعٌ لَّدَيْنَا مُحْضَرُونَ
32
ওদের সবাইকে সমবেত অবস্থায় আমার দরবারে উপস্থিত হতেই হবে।
وَآيَةٌ لَّهُمُ الْأَرْضُ الْمَيْتَةُ أَحْيَيْنَاهَا وَأَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ يَأْكُلُونَ
33
তাদের জন্যে একটি নিদর্শন মৃত পৃথিবী। আমি একে সঞ্জীবিত করি
এবং তা থেকে উৎপন্ন করি শস্য, তারা তা থেকে ভক্ষণ করে।
وَجَعَلْنَا فِيهَا جَنَّاتٍ مِن نَّخِيلٍ وَأَعْنَابٍ وَفَجَّرْنَا فِيهَا مِنْ الْعُيُونِ
34
আমি তাতে সৃষ্টি করি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান এবং প্রবাহিত করি তাতে নির্ঝরিণী।
لِيَأْكُلُوا مِن ثَمَرِهِ وَمَا عَمِلَتْهُ أَيْدِيهِمْ أَفَلَا يَشْكُرُونَ
35
যাতে তারা তার ফল খায়। তাদের হাত একে সৃষ্টি করে না।
 অতঃপর তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না কেন?
سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ
36
পবিত্র তিনি যিনি যমীন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, তাদেরই মানুষকে
 এবং যা তারা জানে না, তার প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন।
وَآيَةٌ لَّهُمْ اللَّيْلُ نَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَإِذَا هُم مُّظْلِمُونَ
37
তাদের জন্যে এক নিদর্শন রাত্রি, আমি তা থেকে
 দিনকে অপসারিত করি, তখনই তারা অন্ধকারে থেকে যায়।
وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ
38
সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।
وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّى عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ
39
চন্দ্রের জন্যে আমি বিভিন্ন মনযিল নির্ধারিত করেছি।
 অবশেষে সে পুরাতন খর্জুর শাখার অনুরূপ হয়ে যায়।
لَا الشَّمْسُ يَنبَغِي لَهَا أَن تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
40
সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না
দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে।
وَآيَةٌ لَّهُمْ أَنَّا حَمَلْنَا ذُرِّيَّتَهُمْ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ
41
তাদের জন্যে একটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের
সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌকায় আরোহণ করিয়েছি।
وَخَلَقْنَا لَهُم مِّن مِّثْلِهِ مَا يَرْكَبُونَ
42
এবং তাদের জন্যে নৌকার অনুরূপ যানবাহন সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আরোহণ করে।
وَإِن نَّشَأْ نُغْرِقْهُمْ فَلَا صَرِيخَ لَهُمْ وَلَا هُمْ يُنقَذُونَ
43
আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে নিমজ্জত করতে পারি,
তখন তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই এবং তারা পরিত্রাণও পাবে না।
إِلَّا رَحْمَةً مِّنَّا وَمَتَاعًا إِلَى حِينٍ
44
কিন্তু আমারই পক্ষ থেকে কৃপা এবং তাদেরকে কিছু কাল
 জীবনোপভোগ করার সুযোগ দেয়ার কারণে তা করি না।
وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّقُوا مَا بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَمَا خَلْفَكُمْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
45
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা সামনের আযাব ও
 পেছনের আযাবকে ভয় কর, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়, তখন তারা তা অগ্রাহ্য করে।
وَمَا تَأْتِيهِم مِّنْ آيَةٍ مِّنْ آيَاتِ رَبِّهِمْ إِلَّا كَانُوا عَنْهَا مُعْرِضِينَ
46
যখনই তাদের পালনকর্তার নির্দেশাবলীর মধ্যে থেকে কোন
নির্দেশ তাদের কাছে আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখে ফিরিয়ে নেয়।
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ أَنفِقُوا مِمَّا رَزَقَكُمْ اللَّهُ قَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنُطْعِمُ مَن لَّوْ يَشَاء اللَّهُ أَطْعَمَهُ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
47
যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় কর।
তখন কাফেররা মুমিনগণকে বলে,
ইচ্ছা করলেই আল্লাহ যাকে খাওয়াতে পারতেন, আমরা তাকে কেন খাওয়াব?
 তোমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত রয়েছ।
وَيَقُولُونَ مَتَى هَذَا الْوَعْدُ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
48
তারা বলে, তোমরা সত্যবাদী হলে বল এই ওয়াদা কবে পূর্ণ হবে?
مَا يَنظُرُونَ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً تَأْخُذُهُمْ وَهُمْ يَخِصِّمُونَ
49
তারা কেবল একটা ভয়াবহ শব্দের অপেক্ষা করছে,
 যা তাদেরকে আঘাত করবে তাদের পারস্পরিক বাকবিতন্ডাকালে।
فَلَا يَسْتَطِيعُونَ تَوْصِيَةً وَلَا إِلَى أَهْلِهِمْ يَرْجِعُونَ
50
তখন তারা ওছিয়ত করতেও সক্ষম হবে না।
 এবং তাদের পরিবার-পরিজনের কাছেও ফিরে যেতে পারবে না।
وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَإِذَا هُم مِّنَ الْأَجْدَاثِ إِلَى رَبِّهِمْ يَنسِلُونَ
51
শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখনই তারা কবর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে চলবে।
قَالُوا يَا وَيْلَنَا مَن بَعَثَنَا مِن مَّرْقَدِنَا هَذَا مَا وَعَدَ الرَّحْمَنُ وَصَدَقَ الْمُرْسَلُونَ
52
তারা বলবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ!
কে আমাদেরকে নিদ্রাস্থল থেকে উখিত করল?
রহমান আল্লাহ তো এরই ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং রসূলগণ সত্য বলেছিলেন।
إِن كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ جَمِيعٌ لَّدَيْنَا مُحْضَرُونَ
53
এটা তো হবে কেবল এক মহানাদ। সে মুহুর্তেই তাদের সবাইকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে।
فَالْيَوْمَ لَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَلَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
54
আজকের দিনে কারও প্রতি জুলুম করা হবে না
এবং তোমরা যা করবে কেবল তারই প্রতিদান পাবে।
إِنَّ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ الْيَوْمَ فِي شُغُلٍ فَاكِهُونَ
55
এদিন জান্নাতীরা আনন্দে মশগুল থাকবে।
هُمْ وَأَزْوَاجُهُمْ فِي ظِلَالٍ عَلَى الْأَرَائِكِ مُتَّكِؤُونَ
56
তারা এবং তাদের স্ত্রীরা উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময় পরিবেশে আসনে হেলান দিয়ে।
لَهُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ وَلَهُم مَّا يَدَّعُونَ
57
সেখানে তাদের জন্যে থাকবে ফল-মূল এবং যা চাইবে।
سَلَامٌ قَوْلًا مِن رَّبٍّ رَّحِيمٍ
58
করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম।
وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ
59
হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও।
أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَن لَّا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
60
হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে,
শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?
وَأَنْ اعْبُدُونِي هَذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيمٌ
61
এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ।
وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنكُمْ جِبِلًّا كَثِيرًا أَفَلَمْ تَكُونُوا تَعْقِلُونَ
62
শয়তান তোমাদের অনেক দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা বুঝনি?
هَذِهِ جَهَنَّمُ الَّتِي كُنتُمْ تُوعَدُونَ
63
এই সে জাহান্নাম, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হতো।
اصْلَوْهَا الْيَوْمَ بِمَا كُنتُمْ تَكْفُرُونَ
64
তোমাদের কুফরের কারণে আজ এতে প্রবেশ কর।
الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَى أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ
65
আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব তাদের হাত
 আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।
وَلَوْ نَشَاء لَطَمَسْنَا عَلَى أَعْيُنِهِمْ فَاسْتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَأَنَّى يُبْصِرُونَ
66
আমি ইচ্ছা করলে তাদের দৃষ্টি শক্তি বিলুপ্ত করে দিতে পারতাম,
তখন তারা পথের দিকে দৌড়াতে চাইলে কেমন করে দেখতে পেত!
وَلَوْ نَشَاء لَمَسَخْنَاهُمْ عَلَى مَكَانَتِهِمْ فَمَا اسْتَطَاعُوا مُضِيًّا وَلَا يَرْجِعُونَ
67
আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে স্ব স্ব স্থানে আকার বিকৃত করতে পারতাম,
ফলে তারা আগেও চলতে পারত না এবং পেছনেও ফিরে যেতে পারত না।
وَمَنْ نُعَمِّرْهُ نُنَكِّسْهُ فِي الْخَلْقِ أَفَلَا يَعْقِلُونَ
68
আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি, তাকে সৃষ্টিগত পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেই।
তবুও কি তারা বুঝে না?
وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ
69
আমি রসূলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়।
 এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।
لِيُنذِرَ مَن كَانَ حَيًّا وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ
70
যাতে তিনি সতর্ক করেন জীবিতকে এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِمَّا عَمِلَتْ أَيْدِينَا أَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مَالِكُونَ
71
তারা কি দেখে না, তাদের জন্যে আমি আমার নিজ হাতের
 তৈরী বস্তুর দ্বারা চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তারাই এগুলোর মালিক।
وَذَلَّلْنَاهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَكُوبُهُمْ وَمِنْهَا يَأْكُلُونَ
72
আমি এগুলোকে তাদের হাতে অসহায় করে দিয়েছি।
ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে।
وَلَهُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَمَشَارِبُ أَفَلَا يَشْكُرُونَ
73
তাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তুর মধ্যে অনেক উপকারিতা ও পানীয় রয়েছে।
তবুও কেন তারা শুকরিয়া আদায় করে না?
وَاتَّخَذُوا مِن دُونِ اللَّهِ آلِهَةً لَعَلَّهُمْ يُنصَرُونَ
74
তারা আল্লাহর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে যাতে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হতে পারে।
لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَهُمْ وَهُمْ لَهُمْ جُندٌ مُّحْضَرُونَ
75
অথচ এসব উপাস্য তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম হবে না
এবং এগুলো তাদের বাহিনী রূপে ধৃত হয়ে আসবে।
فَلَا يَحْزُنكَ قَوْلُهُمْ إِنَّا نَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ
76
অতএব তাদের কথা যেন আপনাকে দুঃখিত না করে। আমি জানি যা তারা গোপনে করে এবং যা তারা প্রকাশ্যে করে।
أَوَلَمْ يَرَ الْإِنسَانُ أَنَّا خَلَقْنَاهُ مِن نُّطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُّبِينٌ
77
মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি বীর্য থেকে?
 অতঃপর তখনই সে হয়ে গেল প্রকাশ্য বাকবিতন্ডাকারী।
وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَنَسِيَ خَلْقَهُ قَالَ مَنْ يُحْيِي الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌ
78
সে আমার সম্পর্কে এক অদ্ভূত কথা বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়।
 সে বলে কে জীবিত করবে অস্থিসমূহকে যখন সেগুলো পচে গলে যাবে?
قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ
79
বলুন, যিনি প্রথমবার সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই জীবিত করবেন।
 তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত।
الَّذِي جَعَلَ لَكُم مِّنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنتُم مِّنْهُ تُوقِدُونَ
80
যিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন উৎপন্ন করেন।
 তখন তোমরা তা থেকে আগুন জ্বালাও।
أَوَلَيْسَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِقَادِرٍ عَلَى أَنْ يَخْلُقَ مِثْلَهُم بَلَى وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيمُ
81
যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন,
তিনিই কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হ্যাঁ তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।
إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ
82
তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন, ‘হও’ তখনই তা হয়ে যায়।
فَسُبْحَانَ الَّذِي بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
83
অতএব পবিত্র তিনি, যাঁর হাতে সবকিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।

Read more

বাংলা গানের আসর















Read more

নূহ (আঃ) এর মহাপ্লাবন এবং কিস্তি বা নৌকার সন্ধান লাভ (একটি জ্বলন্ত নিদর্শন )




'আমরা তাকে বহন করলাম তাতে যা ছিলো তক্তা ও পেরেক সম্বলিত, তা ভেসে চলেছিলো আমাদের চোখের সামনে, এক প্রতিদান তার জন্য যাকে প্রত্যাখান করা হয়েছিলো । আর আমরা অবশ্য এটিকে রেখে দিয়েছি এক নিদর্শন রৃপে । অতএব কেউ কি আছে যে, এ নিদর্শন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে ? (সুরা কামার ১৩-১৫) ।




কুরআনের উপরোক্ত আয়াত থেকে এটা অনুধাবন করা যায়না যে, নূহ (আঃ) এর নৈাকা এখন পর্যন্ত দুনিয়াতে আল্লাহ পাক রেখে দিয়েছেন মানুষের শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য ? একেবারে সুষ্পষ্ট বক্তব্য । সুতরাং বর্তমান জমানায় হাজার বৎসর পরে কুরআনে বর্ণিত নূহ (আঃ) কিস্তির প্রাপ্তি কি এটাই প্রমান করে না যে , আল্লাহ সত্য, আল্লাহর নবী সত্য, আল-কুরআন মানব রচিত গ্রন্হা নয় ?




হায় ! আমার পথভ্রষ্ট ভাইয়েরা কবে সঠিক পথের দিশা পাবে ?




হযরত নূহ (আঃ) ছিলেন আল্লাহর অন্যতম প্রধান নবী ও রাসূল ছিলেন। আল-কুরআনে আল্লাহ বলেন,...




"নিশ্চয়ই আমরা নূহ কে পাঠিয়ে ছিলাম তার লোকদের কাছে এই বলে-'তোমরা লোকদেরকে সতর্ক করে দাও তাদের উপর মর্মন্দ্দুদ শাস্তি আসবার আগে । তিনি বলেছিলেন,-'হে আমার স্ব-জাতি ! নিঃসন্দেহে আমি তোমাদের জন্য একজন স্পষ্ট সতর্ককারী । এ বিষয়ে যে তোমরা আল্লাহর উপাসনা করো ও তাকে ভয় করো আর আমাকে মেনে চলো । তিনি তোমাদের পাপগুলো কতকটা ক্ষমা করবেন আর তোমাদের বিরাম দেবেন নির্ধারিত কাল পর্যন্ত । নিঃসন্দেহে আল্লাহর নির্ধারণ করা কাল যখন এসে পড়ে তখন তা পিছিয়ে দেওয়া যায় না - যদি তোমরা জানতে। (তিনি বললেন ) আমার প্রভু ! আমি তো আমার স্বজাতি দেরকে রাতে ও দিনে আহ্বান করেছি । কিন্তু আমার ডাক তাদের পালিয়ে যাওয়া ছাড়া কিছুই বাড়াইনি । আর নিশ্চয়ই যখনই আমি তাদের আহ্বান করেছি যেন তুমি তাদের ক্ষমা করতে পার, তারা তাদের কানের ভেতরে তাদের আঙ্গুলগুলো ভরে দেয় , আর তাদের কাপড় দিয়ে নিজেদের ঢেকে ফেলে, আর গো ধরে, আর সগর্বে গর্ব করে । " সূরা নূহ (১-৭)




"আর আমরা অবশ্যই নূহ কে পাঠিয়ে ছিলাম তার লোকদের কাছে, তিনি তখন তাদের মধ্যে অবস্হান করেছিলেন পন্চাশ বছর কম এক হাজার বৎসর । তখন মহাপ্লাবণ তাদের পাকড়াও করল , যেহেতু তারা ছিল অত্যাচারী । তখন আমরা তাকে ও জাহাজীদের আরোহীদের উদ্ধার করেছিলাম , আর একে আমরা বিশ্ব-বাসীর জন্য একটি নিদর্শন বানিযেছিলাম " (সূরা আনকাবুত ১৪-১৫) ।











In 1959, stereo photos where taken by a Turkish airline pilot of a boat shaped object on the mountains of Ararat for The Geodetic Institute of Turkey. Dr. Brandenburger of Ohio State University, USA, after studying the photographs concluded, "I have no doubt at all, that this object is a ship. In my entire career, I have never seen an object like this on a stereo photograph."
An American team ran a day and a half expedition to the site, hardly enough time to carry out any scientific testing. They blew a hole in the side of the structure with dynamite, although some timber shaped stones were revealed, their conclusion was, "Nothing of any archaeological interest". If this object was Noah's Ark, it would be approximately 4400 years old so the wood would have petrified. So finding timber shaped stone was encouraging evidence. However, because the material had no growth rings, the team decided it could not be wood. But does this really prove true?




After seeing an article published in LIFE magazine covering the expedition, Ron Wyatt an amateur archaeologist, visited the site in 1977. His interest was aroused and he decided the structure deserved further investigation as to whether this could be Noah's Ark.




It lay 6,300 feet above sea level, much too high to be the remains of a boat from a local flood. It is over 200 miles from the nearest sea.




In 1991, Greg Brewer, found a petrified antler in the side of the ark. As a result of a core drilling Ron found extinct rodent hair, petrified animal droppings and red human hair.








এখানে দেখুন ।




সুন্দর ভাবে এবং বিস্তারিত.....জানার জন্য দয়া করে ভিডিওটি দেখুন ।





সংক্ষিপ্তভাবে.............
পার্ট-১

পার্ট-২





আরও দেখুন..ওয়েব সাইটে..নিম্নের লিংকে.....

Read more

আভ্যন্তরীন কোন্দলে দু গ্রুফ কুকুরের মাজে ব্যাপক গুলিবিনিময়: ৩ কুকরের প্রানহানী, আহত প্রচুর



আজ সকালে গরুর গোস্ত এবং টাকার ভাগাভাগি নিয়ে আভ্যন্তরীন কোন্দলে দু গ্রুফ কুকুরের মাজে ব্যাপক গুলিবিনিময় হয় এতে ৩ কুকরের প্রনহানী হয় আহত হয় প্রচুর কুকুর। তাদের দেখতে কুকুর মিনিস্ট্রির লোকজন হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছে। 



আভ্যন্তরীন কোন্দলের সুযোগে ২ কুত্তাকে গদাম দিচ্ছে ছাগুরা।B-)B-) 

আহত কুত্তাগুলাকে ড্রামে রাখা হয়েছে 


সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:২১

Read more


কম্পিউটার
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
• Learn more about citing Wikipedia •




আধুনিক ব্যক্তিগত কম্পিউটার এর ছবি
যন্ত্রগণক বা কম্পিউটার (ইংরেজি: Computer কম্‌পিঊটার্‌) হল এমন একটি যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ করতে পারে।


যদিও কম্পিউটারের যান্ত্রিক উদাহরণ মানব ইতিহাসে সংরক্ষিত রয়েছে, প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার মধ্য বিংশ শতাব্দীতে তৈরী করা হয়েছিল (১৯৪০–১৯৪৫)।


সূচিপত্র [আড়ালে রাখো]
১ ইতিহাস
২ কম্পিউটার সিস্টেম
৩ প্রয়োগ
৪ কম্পিউটারের প্রকার
৪.১ এনালগ কম্পিউটার
৪.২ ডিজিটাল কম্পিউটার
৪.৩ হাইব্রিড কম্পিউটার
৪.৪ মেইনফ্রেম কম্পিউটার
৪.৫ মিনি কম্পিউটার
৪.৬ মাইক্রো কম্পিউটার
৪.৭ সুপার কম্পিউটার
৫ বহির্সংযোগ
[সম্পাদনা]ইতিহাস


এমন একটি যন্ত্রের নির্মাণ ও ব্যবহারের ধারণা (যা কেবলমাত্র যান্ত্রিকভাবে, মানে যেকোনও রকম বুদ্ধিমত্তা ব্যতিরেকে, গাণিতিক হিসাব করতে পারে) প্রথম জোরেশোরে প্রচার করেন চার্লস ব্যাবেজ, যদিও তার জীবদ্দশায় তিনি এর প্রয়োগ দেখে যেতে পারেননি। কম্পিউটার বিজ্ঞানের সত্যিকার সূচনা হয় অ্যালান টুরিং এর প্রথমে তাত্ত্বিক ও পরে ব্যবহারিক গবেষণার মাধ্যমে। বর্তমান প্রযুক্তিতে কম্পিউটারের আবদানের অন্তরালে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ নিরলস পরিশ্রম, উদ্ভাবনী শক্তি ও গবেষনা স্বাক্ষর। প্রগৈতিহাসিক যুগে গননার যন্ত্র উদ্ভাবিত বিভিন্ন কৌশল/ প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার ইতিহাস বলাযায়। প্রাচীন কালে মানুষ সংখ্যা বুঝানোর জন্য ঝিনুক, নুড়ি, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার করত। পরবর্তিতে গননার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্রবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাস (Abacus) নামক একটি প্রাচীন গননা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ অ্যাবাকাস থেকেই কম্পিউটারের ইতিহাসের শুভযাত্রা। অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গননা করার যন্ত্র। খ্রিষ্ট পূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে/ চীনে গননা যন্ত্র জিসেবে অ্যাবাকাস তৈরি হয়।


১৯১৭ সালে স্কটল্যান্ডের গনিতবিদ জন নেপিয়ার (John Napier) গণনা কাজে ছাপা বা তাগ কাটাকাটি/ দন্ড ব্যবহার করেন । এসব দন্ড নেপিয়ার (John Napier) এর অস্থি নামে পরিচিত।


১৬৪২ সারে ১৯ বছর বয়স্ক ফরাসী বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল (Blaise Pascal) সর্বপ্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন। তিনি দাঁতযুক্ত চাকা বা গিয়ারের সাহায্যে যোগ বিয়োগ করার পদ্ধতি চালু করেন।


১৬৭১ সালের জার্মান গণিতবিদ হটফ্রাইড ভন লিবনিজ (Gottfried Von Leibniz) প্যাসকেলের যন্ত্রের ভিত্তিতে চাকা ও দন্ড ব্যবহার করে গণ ও ভাগের ক্ষমতাসম্পন্ন আরো উন্নত যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তেরি করেন।। তিনি যন্ত্রটির নামদেন রিকোনিং যন্ত্র (Rechoning Mechine)। যন্ত্রটি তত্ত্বগত দিক দিয়ে ভাল হলেও যান্ত্রিক আসুবিধার জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি।


পরে ১৮২০ সালে টমাস ডি কোমার (Tomas De Colmar) রিকোনিং যন্ত্রের অসুবিধা দূর করে লাইবানজের যন্ত্রকে জনপ্রিয় করে তোলেন।


এর পর ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের আধ্যাপক চার্লস ব্যাবেজ (Charls Babage) ১৮২৩ সালে ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine) বা বিয়োগফল ভিত্তিক গননার যন্ত্র উদ্ভাবন করেন।


একটু সহজ করে বলা যায় -


কম্পিউটার (computer) শব্দটি গ্রিক কম্পিউট(compute)শব্দ থেকে এসেছে। compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা।আর computer শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র।কিন্তু এখন আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা তথ্যগ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্হাপন করে। আমাদের দেশে প্রথম কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে।


[সম্পাদনা]কম্পিউটার সিস্টেম


সিস্টেম হলো কতগুলো ইন্টিগ্রেটেড উপাদানের সম্মিলিত প্রয়াস যা কিছু সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কাজ করে।কম্পিউটার সিস্টেমের উপাদানগুলো নিম্নরুপ :- ১. হার্ডওয়্যার, ২. সফট্‌ওয়্যার, ৩. হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী, ৪. ডেটা/ইনফরমেশন।


হার্ডওয়্যার (Hardware)


কম্পিউটারের বাহ্যিক আকৃতি সম্পন্ন সকল যন্ত্র,যন্ত্রাংশ ও ডিভাইসসমূহকে হার্ডওয়্যার বলে।কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে প্রাথমিকভাবে তিনভাগে ভাগ করা যায়। ক * ইনপুট যন্ত্রপাতি : কী-বোর্ড,মাউস,ডিস্ক,স্ক্যানার,কার্ড রিডার,ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি। খ * সিস্টেম ইউনিট : হার্ডডিস্ক,মাদারবোর্ড,এজিপি কার্ড ইত্যাদি। গ * আউটপুট যন্ত্রপাতি : মনিটর,প্রিন্টার,ডিস্ক,স্পিকার ইত্যাদি।


সফট্ওয়্যার (software)


সমস্যা সমাধান বা কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের ভাষায় ধারাবাহিকভাবে সাজানো নির্দেশমালাকে প্রোগ্রাম বলে। প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যারকে কার্যক্ষম করে তাকেই সফট্ওয়্যার বলে।কম্পিউটারের সফট্ওয়্যারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ক * সিস্টেম সফট্‌ওয়্যার : সিস্টেম সফট্‌ওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য কম্পিউটারের সামর্থ্যকে সার্থকভাবে নিয়োজিত রাখে। খ * অ্যাপ্লিকেশন সফট্‌ওয়্যার : ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহিত প্রোগ্রামকে অ্যাপ্লিকেশন সফট্‌ওয়্যার বলে।ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক রকম তৈরি প্রোগ্রাম বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে পাওয়া যায়, যাকে সাধারণত প্যাকেজ প্রোগ্রামও বলা হয়।


হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী (Humanware)


ডেটা সংগ্রহ,প্রোগ্রাম বা ডেটা সংরক্ষণ ও পরীক্ষাকরণ,কম্পিউটার চালানো তথা প্রোগ্রাম লিখা,সিস্টেমগুলো ডিজাইন ও রেকর্ড লিপিবদ্ধকরণ এবং সংরক্ষণ,সফট্‌ওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি কাজগুলোর সাথে যুক্ত সকল মানুষকে একত্রে হিউম্যানওয়্যার (Humanware) বলা হয়।


ডেটা/ইনফরমেশন


ইনফরমেশন বা তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে ডেটা বলে।ডেটা হল সাজানো নয় এমন কিছু বিশৃঙ্খল ফ্যাক্ট (Raw Fact)ডেটা প্রধানত দুরকম -


(ক)নিউমেরিক (Numeric) ডেটা বা সংখ্যাবাচক ডেটা। যেমন – ২৫,১০০,৪৫৬ ইত্যাদি। (খ)অ-নিউমেরিক (Non-Numeric) ডেটা। যেমন – মানুষ,দেশ ইত্যাদির নাম,জীবিকা,জাতি কিংবা ছবি,শব্দ ও তারিখ প্রভৃতি।


অপারেটিং সিস্টেম


অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি সফ্টওয়্যার যা কম্পিউটার প্রোগ্রামের এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং যা সিডিউলিং,ডিবাগিং, ইনপুট/আউটপুট কন্ট্রোল,একাউন্টিং,কম্পাইলেশন,স্টোরেজ অ্যাসাইনমেন্ট,ডেটা ম্যানেজমেন্ট,এবং আনুষঙ্গিক কাজ করে থাকে। বর্তমানে মাইক্রো কম্পিউটার বা পিসিতে বহুল ব্যবহিত অপারেটিং সিস্টেমগুলো হলো - PC DOS,MS WINDOWS 95/98/2000,UNIX,LINUX,MAC OS,WINDOWS NT,WINDOWS XP,WINDOWS Vesta,WINDOWS 7.


[সম্পাদনা]প্রয়োগ


কম্পিউটারের রয়েছে প্রচুর ব্যাবহার| ঘরের কাজ থেকে শুরু করে ব্যাবসায়িক, বৈজ্ঞানিক ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে এর অপরিসীম ব্যাবহার| সর্বোপরি যোগাযোগ ক্ষেত্রে এটি এনেছে অনন্য বিপ্লব| চিকিৎসা ও মানবকল্যানেও এটি এক অনন্য সঙ্গী| এক কথায় কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা প্রায় সকল কাজ করতে সক্ষম।






[সম্পাদনা]কম্পিউটারের প্রকার


প্রয়োগের তারতম্যের ভিত্তিতে কম্পিউটারকে দুভাগে ভাগ করা যায়।


সাধারণ ব্যবহারিক কম্পিউটার।
বিশেষ ব্যবহারিক কম্পিউটার।
আবার কম্পিউটারের গঠন ও প্রচলন নীতির ভিত্তিতে একে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।


এনালগ কম্পিউটার।
ডিজিটাল কম্পিউটার।
হাইব্রিড কম্পিউটার।
আকার, সামর্থ্য, দাম ও ব্যবহারের গুরুত্বের ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটারকে আবার চার ভাগে ভাগ করা যায়।


মেইনফ্রেম কম্পিউটার।
মিনি কম্পিউটার।
মাইক্রো কম্পিউটার।
সুপার কম্পিউটার।
নিচে কম্পিউটারের পূর্ণাঙ্গ শ্রেণীবিভাগ দেখানো হলো :


[সম্পাদনা]এনালগ কম্পিউটার
যে কম্পিউটার একটি রাশিকে অপর একটি রাশির সাপেক্ষে পরিমাপ করতে পারে,তাই এনালগ কম্পিউটার। এটি উষ্ণতা বা অন্যান্য পরিমাপ যা নিয়মিত পরিবর্তিত হয় তা রেকর্ড করতে পারে।মোটর গাড়ির বেগ নির্ণায়ক যন্ত্র এনালগ কম্পিউটারের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।


[সম্পাদনা]ডিজিটাল কম্পিউটার
যে কম্পিউটার সংখ্যা ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে তাই ডিজিটাল কম্পিউটার। এটি যে কোন গণিতের যোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে এবং বিয়োগ,গুণ ও ভাগের মতো অন্যান্য অপারেশন যোগের সাহায্যে সম্পাদন করে।


[সম্পাদনা]হাইব্রিড কম্পিউটার
হাইব্রিড কম্পিউটার হলো এমন একটি কম্পিউটার যা এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সর্বোউত্তম বৈশিষ্ট্যগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহার করা হয়।সুতরাং বলা যায়,প্রযুক্তি ও ভিত্তিগত দিক থেকে এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের আংশিক সমন্বয়ই হচ্ছে হাইব্রিড কম্পিউটার।


[সম্পাদনা]মেইনফ্রেম কম্পিউটার
মেইনফ্রেম কম্পিউটার হচ্ছে এমন একটি বড় কম্পিউটার যার সঙ্গে অনেকগুলো ছোট কম্পিউটার যুক্ত করে এক সঙ্গে অনেক কাজ করতে পারে। জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণায়,উচ্চস্তরের প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ,বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের শৈল্পিক ব্যবহারে এটা কাজে লাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে এ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহার করে – cyber 170,ibm-4300.


[সম্পাদনা]মিনি কম্পিউটার
যে কম্পিউটার টার্মিনাল লাগিয়ে প্রায় এক সাথে অর্ধ শতাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে তাই মিনি কম্পিউটার। এটা শিল্প-বাণিজ্য ও গবেষণাগারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যেমন – pdp-11,ibms/36,ncrs/9290.


[সম্পাদনা]মাইক্রো কম্পিউটার
মাইক্রো কম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি বলেও অভিহিত করা হয়। ইন্টারফেস চিপ, একটি মাইক্রোপ্রসেসর cpu এবং ram, rom সহযোগে মাইক্রো কম্পিউটার গঠিত হয়। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে এ কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়।ম্যকিনটোস আইবিএম পিসি এ ধরনের কম্পিউটার।


[সম্পাদনা]সুপার কম্পিউটার
অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার বলে।এ কম্পিউটারের গতি প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১ বিলিয়ন ক্যারেক্টর।পৃথিবীর আবহাওয়া বা কোনো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্হাপনা করার মতো স্মৃতিভান্ডার বিশিষ্ট কম্পিউটার হচ্ছে সুপার কম্পিউটার।CRAY 1, supers xll এ ধরনের কম্পিউটার।


[সম্পাদনা]বহির্সংযোগ

Read more

bangla desh

I am a soaib.welcome to all.salam.valo asen.

Read more

BD adda

Read more

ভিজুয়্যাল বেসিক কি ও কেন শিখবেন ভিজুয়্যাল বেসিক (ভিজুয়্যাল বেসিক টিউটরিয়াল ১)

আমি আজ যে বিষয় টা নিয়ে টিউন করবো তা হল ভিজুয়াল বেসিক । প্রোগ্রামিং নিয়ে টেকটিউন্স এ তেমন বেশি টিউন হয় নি । তাই আমি সাহস করে ভিজুয়াল বেসিক নিয়ে পর্ব (১৫ পর্ব)আকারে টিউন করার চিন্তা করলাম ও ইতি মধ্যে প্রায় ৫ পর্বের মত লিখে ফেলেছি। তবে আমি বলে রাখতে চাই যে ভিজুয়াল বেসিক নিয়ে আমার কোন প্রাষ্ঠানিক শিক্ষা নেই , আমি বিভিন্ন ওয়েব সাইট ঘেটে ও ভিডিও টিউটরিয়াল দেখে ভিজুয়াল বেসিক শিখেছি , তাই কোন প্রকার ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।





ভিজুয়াল বেসিক 
ভিজুয়াল বেসিক কি :
Visual অর্থ দৃশ্যমান এবং Basic অর্থ মৌ্লিক । অর্থ্যাৎ প্রোগ্রামের কোডের ধরন ।
ভিজুয়াল বেসিক (যাকে আমরা সংক্ষেপে ভিবি বা vb বলে থাকি ) একটি তৃতীয় প্রজন্মের ঘটনা চালিত 
প্রোগ্রামিং ভাষা এবং মাইক্রোসফটের “কম” বা কম্পোনেন্ট অবজেক্ট মডেল 
এর আইডিই (IDE – integrated development environment)। 
মাইক্রোসফট এই ভাষাকে বাজারে আনে পুরাতন বেসিক ভাষার উন্নত সংষ্করন হিসেবে।
দৃশ্যমান বা গ্রাফিকাল বৈশিষ্ট্য এবং বেসিক ভাষার উত্তরাধিকার ভিবিকে তুলনামূলকভাবে সহজ়ে আয়ত্ত 
এবং ব্যবহার করার সুবিধা প্রদান করেছে । 
বর্তমানে এই ভাষাটি ভিজুয়াল বেসিক ডট নেট দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
আর জানতে ভিজিট দিস লিঙ্ক
বেসিক ভিবি জিইউআই – গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস (G UI-graphical user interface) বা 
ব্যবহারকারীর জন্য দৃশ্যমান ব্যবহার ব্যবস্থার র‌্যাপিড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট বা র‌্যাড অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে
 আর এই গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেসই হল ভিজুয়াল বেসিক ।

Visual Basic Bd

 Visual Basic 2008 Express Edition

 কেন ভিজুয়াল বেসিক শিখবেন :

ভিজুয়াল বেসিক কেন শিখবেন এটা একটা প্রশ্ন ।
আপনাদের যাদের প্রাগ্রামিং এর নেশা আছে তাদের জন্য ভিজুয়াল বেসিক ।
  • ভিজুয়াল বেসিক খুবেই সহজ ।
  • ভিজুয়াল বেসিক এ আছে কিওয়ার্ড , ফাংশন এবং এস্টেট্মেন্ট যা অধিংশই গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI-graphical user interface)
  • মাল্টিমিডিয়া অ্যাপ্লিকেশ্ন সহজেই তৈরি করা যায়।
  • অ্যাকটিভ এক্স কোন্ট্রল তৈরি সহজ ।
  • বিভিন্ন গ্রাফিক্স ফাইল নিয়ে কাজ করা যায় ।
  • .exe (অর্থ্যাৎ Executable file ) file এ অ্যাপ্লিকেশন সংরক্ষন করা সম্ভব ।
  • এ সবচেয়ে বড় যে গুন এটার সাহায্যে Front End হিসাবে 
          পরিচিত MS Acce8s x MS SQL ডাটা বেস এ্যাক্সেস করা যায় ।
 
এছাড়াও ডেটা অ্যাকসেস অবজেক্ট, রিমোট ডেটা অবজেক্ট ইত্যাদির মাধ্যমে ডেটাবেজে কাজ
করার এবং অ্যাকটিভএক্স (ActiveX) নিয়ন্ত্রক ও অবজেক্ট তৈরী করার সুবিধা দিয়েছে।

Read more

শরীর সুস্থ রেখে কম্পিউটার এর কাজ করুন

প্রত্যহ দীর্ঘখন কম্পিউটারে কাজ করলে আমাদের শরীর এর কিছু অঙ্গের উপর অত্যাধিক চাপ এবং কম্পিউটার হতে নিঃসৃত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রশ্নি আমাদের বিভিন্ন ক্ষতি করতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে কম্পিউটার ব্যবহার করলে চোখ ও শরীর এর বিভিন্ন অসুবিধা দেখা দেই। বিজ্ঞানিরা বিভিন্ন গবেশনা করে অসুবিধা প্রতিরোধ ও নিরাময় পথ বের করেছে। বিজ্ঞানিরা যে শাখায় এ শারারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তার নাম তারা দিয়েছে এরগোনমিকস ( Ergonomics ) । দীর্ঘখন কম্পিউটারে কাজ করলে কিছু কিছু সমস্যা বা যন্ত্রনা বোধ হয় এবং হাত , ঘার , মাথা , কাধ এমন কি পায়েও ব্যাথা হয়। আমরা এবিষয় একটু সচেতন হলে এর প্রতিকার করতে পারি। নিচে এ বিষয় আলোচনা করা হল।

চোখের সমস্যাঃ

মনিটরের অতিরিক্ত আলো ও আলোর অপর্যাপ্ত বা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হওয়া , স্কীন এবং চোখের মধ্যে দূরতের গরমিল এবং এবং অচ্ছচ স্কীন কম্পিউটার ব্যবহারকারির বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে । যেমনঃ
  • চোখ থেকে পানি পড়া ।
  • চোখের জালা করা।
  • মাথা ব্যাথা করা ।
  • অস্পস্ট দেখা বা কোন জিনিস ডাবল দেখা।

চোখের সমস্যা এর সমাধানঃ

  • সব সমায় মনিটরের আলো চোখের সাথে সহনশীল করে সেট করা।
  • দীর্ঘখন একাধারে মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না।
  • মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে কাজ করবেন এবং প্রতি ১ বা ২ ঘন্টা পর ১০ – ১৫ মিনিট বিশ্রাম নিবেন।
  • কিছু খন পর পর চোখ পিট পিট করুন এতে চোখ ভেজা থাকবে এবং চোখের মাংসপেশি বেশি কর্মক্ষম থাকবে।
  • মাঝে মাঝে চোখে ঠান্ডা পানির ঝাপ্টা দিন।
  • সাধারন লেখালেখির কাজ তেকে মুভিং ছবি যেমন ঃ গেম, ভিডিও, সিনেমা ইত্যাদি বেশি ইফেক্ট করে । এ ক্ষেত্রে টেলিভিশন মত দুরত বজায় রাখুন।
  • অশ্লীল ছবি দর্শনে স্নায়ুর উত্তেজনার সাথে সাথে চোখের উপর এও প্রচুর চাপ পরে। তাই এসব পরিহার করুন ।
  • সর্বদা ভালো মানের মনিটর ব্যবহার করার চেস্টা করুন ।
  • কম্পিউটারে গেমখেলা বন্ধ করুন , না খেলাই ভালো ।
  • অনর্থক কম্পিউটারে কাজ করা বন্ধ করুন ।
  • চোখের বিভিন্ন সমস্যা হলেই একজন ভালো ডাক্তারের শরনাপন্ন হন।
  • এবং বছরে একবার হলেও চোখের ডাক্তার দেখান
kevin clip image008 শরীর সুস্থ রেখে কম্পিউটার এর কাজ করুন (পর্ব ১ ) | Techtunes

চোখের ব্যায়ামঃ

সব সময় সম্ভব না হলেও মাঝে মাঝে নিচের ব্যায়াম করার চেস্টা করবেন
  • মাথা এবং কাধ সোজা করে ২টি চোখকে একবার ডানের দিকে একবার বামের দিকে ঘুরান। এভাবে কয়েকবার ঘুরিয়ে ১০ সেকেন্ড ধরে পিট পিট করুন।
  • মাথা এবং কাধ সোজা করে চোখের মনি কবার উপরে তূলুন এবং নিচে নামান। এভাবে কয়েকবার ঘুরিয়ে ১০ সেকেন্ড ধরে পিট পিট করুন।
  • মাথা এবং কাধ সোজা করে চোখের মনি ঘরির কাটার দিকে এবং বিপরীতে ঘুরান ।
2268 erika times four শরীর সুস্থ রেখে কম্পিউটার এর কাজ করুন (পর্ব ১ ) | Techtunes
আজ এ পর্যন্ত । আপনাদের যদি ভালো লাগে তবে কমেন্ট করবেন , তাহলে পরের টিউন হাত , ঘাড় , পা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করবো। সবাইকে ধন্যবাদ।

Read more
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Alertpay

You can replace this text by going to "Layout" and then "Page Elements" section. Edit " About "

সরাসরি চ্যাট করার জন্য পেজ এর নিচে যান

a

ইংরেজী বিজয় ফনেটিক অভ্র ফনেটিক ইউনিজয়

Widget by: Bangla Hacks

b

পত্রিকায় প্রকাশিত চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি 
2 June 2010

এখানে ক্লিক করুন ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করুন।

WELL-COME TO BD ADDA(বিনামূল্যে ওয়েব সাইড তৈরির জন্য যোগাযোগ করুনঃ- ওয়েব ডেভোলাপার- মোঃ শফিকুর রহমান, মোবাইল নং-8801812465879)