About

ABC Radio

Blogger news

Bhi Bhi General Haspatal & Dayagonistik center

kal Bhi Bhi General Haspatal ar portista basiki kal

Read more

Bhoot-FM_2012-03-16


Bhoot FM Mar 16, 2012 Recorded Episode. 16-03-2012 Bhoot FM.



Bhoot FM - Download Bhoot FM Recorded Episodes

Read more

download/Bhoot-FM_2012-03-09

Bhoot-FM_2012-03-09


Bhoot FM Mar 09, 2012 Recorded Episode. 09-03-2012 Bhoot FM.

Read more

2012 Bhoot FM Episodes

Bhoot-FM_2012-03-02_(Bhoot-FM.com).mp3

Read more

dailynayadiganta

Read more

বিবেক তুমি কোথায় থাকো!!!!



বিবেকের কাছে প্রশ্ন....

নিচের ছবিতে বাম পাশের ছবিটি খেয়াল করুন...। একটি কুকুর রাস্তায় পড়ে থাকা অন্য একটি... আহত কুকুর কে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিরাপদ অবস্থানে রাখছে ...

আর ডান পাশের ছবিটি হচ্ছে কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া বহুলআলোচিত চীনের একটি শহরের ঘটনা ...একটি ১০ বছরের মেয়ে ভুলে রাস্তায় চলে যাওয়ার সময় একটি গাড়ি তাকে চাপা দেয়...পরে আরেকটী গাড়ি এসে তার পায়ের উপর দিয়ে যায় ।। বাচ্চাটির পাশ দিয়ে পর পর ১৮জন ব্যক্তি হেঁটে যায় ।।বাচ্চাটির কান্না শুনেও কেউ এগিয়ে যায়নি...শেষে এক ভিক্ষুক তাকে কোলে নিয়ে হাসপাতালে মূমুর্ষ অবস্থায় ভর্তি করায় .....এই ঘটনাটি ক্লোভ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা হয়... তখন পুরো বিশ্বে চীনের নৈতিকতা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয় ।। এবং বাচ্চাটিকে সাহায্য না করার জন্য ওই ১৮ ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার জন্য সুপারিশ করা হয় ...

সত্যি এই কঠিন বাস্তব দুনিয়াতে মানুষের বিবেক কুকুরের চেয়ে অধম এ পরিণত হচ্ছে ...:(
শেয়ার করুন ।। :(
Share · Saturday

Read more

চাঁদাবাজ গডফাদারের বিরুদ্ধে জনতার রায় - আইভী


আইভীর জয় শামীমের ভরাডুবি : ডা. আইভী ১,৮০,০৪৮ শামীম ওসমান ৭৮,৭০৫ : চাঁদাবাজ গডফাদারের বিরুদ্ধে জনতার রায় - আইভী

কাজী জেবেল ও আবু সাউদ মাসুদ, নারায়ণগঞ্জ
নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র হিসেবে অভিষিক্ত হলেন ডা. সেলিনা হায়াত্ আইভী। ভোটারদের অঢেল ভালোবাসায় স্মরণীয় জয় পেয়েছেন তিনি। নাসিকের সর্বমোট ১৬৩টি ভোট কেন্দ্রের সবগুলোর প্রাথমিক ফলাফলে ডা. আইভী পেয়েছেন ১৮০,০৪৮ ভোট। শামীম ওসমান পেয়েছেন ৭৮,৭০৫ ভোট। ব্যবধান ১০১,৩৪৩ ভোট। গডফাদার-ক্যাডাররা উদ্বেগ উত্কণ্ঠা ভয়ভীতির বাতাবরণ সৃষ্টি করে ব্যালটের রায় জবরদখলের অপচেষ্টা চালালেও তা নস্যাত্ করে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জবাসী। সরকারি দল আওয়ামী লীগের এই ঘরোয়া লড়াইয়ে দলের কেন্দ্র সমর্থিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমানের ভরাডুবি ঘটেছে। জয়ের শেষ হাসি হাসলেন সাবেক পৌর মেয়র এবং দলীয় সমর্থনবঞ্চিত ডা. আইভী। ভয়-আতঙ্ক নাশকতার হুমকির বিরুদ্ধে জয় হলো জনগণের ভালোবাসার।
গডফাদার-ক্যাডারদের নিরবচ্ছিন্ন ভয়ভীতি, হামলা-নাশকতার প্রচ্ছন্ন হুমকির মুখে সেনা মোতায়েন অনিবার্য হয়ে পড়লেও সরকার জননিরাপত্তা বিধানে বিরত থাকায় বিএনপি ও চারদলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার শনিবার মধ্যরাতে নির্বাচন বয়কট করেন। নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর সেনা মোতায়েন ‘সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতা’ হলেও সরকার তা না করে ভোটকে তামাশা ও প্রহসনে পরিণত করে বলে নির্বাচন ও রাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষকদের অভিমত। তাদের মতে, তদুপরি সরকারের নীলনকশা ও অভিলাষ পূর্ণ হয়নি।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সরাসরি সমর্থিত এবং ‘শেখ হাসিনার আশীর্বাদপুষ্ট’ প্রার্থী হিসেবে দাবিদার শামীম ওসমান প্রতিদ্বন্দ্বী আইভীর কাছে লজ্জাজনকভাবে হেরেছেন। সাধারণ ভোটাররা এ ফলাফলকে গডফাদারতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যালটের মারণ-বুলেট বলে আখ্যায়িত করেছেন। নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, এই ভোটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয় ঘটেছে। গডফাদার প্রার্থীকে তারা দলীয়ভাবে সরাসরি সমর্থন দিলেও নারায়ণগঞ্জবাসী নীরব ভোট-বিপ্লবের মাধ্যমে সরকারের চাপানো প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ডা. আইভীর এই বর্ণাঢ্য জয়কে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক হার বলে আখ্যায়িত করছেন অনেকে। তারা স্মরণ করিয়ে দেন পুরনো ইতিহাসকে। ১৯৭৪ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও বঞ্চিত হন জনপ্রিয় নেতা আলী আহমেদ চুনকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চুনকার বদলে মনোনয়ন দেন শামীম ওসমানের বাবা শামসুজ্জোহাকে। কিন্তু জোহাকে হারিয়ে বিপুল জয় পান
চুনকা। চুনকা কন্যা ডা. আইভীও এবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে লাখো ভোটের ব্যবধানে জোহা পুত্রকে হারিয়ে জয় করে নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের নগরমাতার আসন। কেবল নারায়ণগঞ্জ নয়, দেশের সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচনের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী মেয়র। ওদিকে নির্বাচন বয়কট করা প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বাক্সে পড়েছে ৭ হাজার ৬১৬ ভোট।
গডফাদার-ক্যাডাররা গতকাল ভোটের দিনেও ছিল সক্রিয়। বেশিরভাগ কেন্দ্রে আইভী সমর্থক পোলিং এজেন্টদের উপস্থিত হতে দেয়া হয়নি। অনেকক্ষেত্রে শনিবার রাতেই তাদের মৃত্যুর ভয়ভীতি দেখানো হয়। কিছু কেন্দ্রে আইভীর কথিত পোলিং এজেন্ট দেখা গেলেও অনুসন্ধানে জানা যায়, এরা ছিল শামীম ওসমানের ছদ্ম সমর্থক। গতকাল ভোট গ্রহণের দিনও শামীম ওসমানকে দেখা গেছে মারকুটে রণমূর্তিতে। স্থান-কাল-পাত্র ভুলে প্রকাশ্য রাস্তায় তিনি ছাত্রলীগ নেতা নাজিমুদ্দিন রনিকে মারধর করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জে এক পুলিশ সদস্যকে হুমকি-ধমকি দেন। দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে হুকুম দেন তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করতে। পরে ফিল্মি স্টাইলে নিজেই তাকে মোবাইল ফোনে কথা বলিয়ে দেন। উদ্ভূত বিব্রতকর পরিস্থিতিতে চুপসে যান পুলিশ কর্মকর্তা। ওই ভোট কেন্দ্রে দেখা দেয় আতঙ্ক। ভোট গ্রহণে ভাটা পড়ে। পরিস্থিতি এতটাই অবনতির দিকে গড়ায় যে—দায়িত্বরত র্যাব সদস্যরা একপর্যায়ে শামীম ওসমানকে বাসায় অবস্থানের জন্য অনুরোধ জানান।
নির্বাচনের ভোট সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে চলে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সকালে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বেড়েছে। এছাড়া বেশিরভাগ কেন্দ্রে সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ সমর্থিত প্রার্থী ও আওয়াম লীগ নেত্রী সেলিনা হায়াত্ আইভীর পোলিং এজেন্ট পাওয়া যায়নি। তার অভিযোগ, নির্বাচনের আগের রাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানের লোকজন তালিকা অনুযায়ী তার পোলিং এজেন্টদের বাসায় বাসায় গিয়ে হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়েছে। ফলে অনেক এজেন্ট কেন্দ্রে যেতে সাহস পায়নি।
এদিকে নির্বাচনে কারচুপি ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনেছেন খোদ সরকারি দলের প্রার্থী শামীম ওসমান। ভোটগ্রহণ চলাকালে গতকাল বিকাল ৩টায় তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষ আইভী শতকরা ৩০ ভাগ ভোট কারচুপি করেছে। পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে তিনি আরও বলেন, কারচুপির হার ৫০ শতাংশ হলেই তিনি নির্বাচন বয়কট করবেন। একইসঙ্গে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমেও কারচুপি হচ্ছে জানিয়ে শামীম বলেন, ভোটাররা আমার প্রতীক দেয়াল ঘড়িতে ভোট দিলে তা আইভীর দোয়াত-কলম প্রতীকে পড়ছে। এছাড়া কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএমের কারণে ভোটগ্রহণে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে ভোটাররা জানিয়েছেন।
চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে গণবিপ্লব : আইভী
নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থাকা সেলিনা হায়াত্ আইভী গতকাল রাতে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার আশঙ্কা ছিল, সেনাবাহিনী মোতায়েন না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমি বলেছিলাম, জনগণই আমার সেনাবাহিনী। সুুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। জনগণ আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। তিনি বলেন, তার এই জয় চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকার প্রমাণ করেছে সেনাবাহিনী ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। এটি আমাদের গণতন্ত্রের জন্য অগ্রগতি। কারণ জনগণ কোনো হুমকির মুখে কেন্দ্রে যায়নি। ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নিজেদের রায় দিয়েছে। আইভী বলেন, জনগণ আমাকে ভালোবাসে, তাই আমি এগিয়ে গেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখনও দলে (আওয়ামী লীগ) আছি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করি। আমি দলের কর্মী হয়ে থাকতে চাই, তবে আমি দলাদলিতে বিশ্বাস করি না। দলীয় কোনো পদের আমার প্রয়োজন নেই। দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করেছি। তাই সবাই আমাকে ভোট দিয়েছে। জনগণ কখনও ভুল সিদ্ধান্ত নেয় না। এ নির্বাচনের মাধ্যমে তার প্রমাণ হয়েছে।
তিনি বলেন, মানুষ শান্তি চায়। আমি প্রথমেই বলেছি, আগেও বলেছি—নারায়ণগঞ্জের মানুষ শান্তির পক্ষে রায় দিয়েছেন। আমি একশ’ ভাগ নিশ্চিত ছিলাম, নারায়ণগঞ্জের ৭৫ শতাংশ ভোট আমি পাব। নারায়ণগঞ্জে মা-বোন, জনগণ, নারী-পুরুষ সেই রায়টাই দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের জনগণ প্রমাণ করেছেন জনতার প্রার্থীর জয় হয়।
আওয়ামী লীগ আমাকে সমর্থন না দিয়ে ভুল করেছে আমি এটা মনে করি না। কারণ এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে দলের সমর্থন পাওয়ার কিছু নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দোয়া দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ আমার পাশে ছিল। নারায়ণগঞ্জের তৃণমূল মানুষ আমার সঙ্গে ছিল। কে কী করেছে তা আমার দেখার বিষয় নয়। উচ্চপর্যায় থেকে সর্বনিম্ন পর্যন্ত নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে ছিলেন।
কারচুপির অভিযোগ সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। উনি অনেক অভিযোগ এ পর্যন্ত করেছেন। তিনি হামলার কথা বলেছেন, জঙ্গি হামলার কথা বলেছেন; কিন্তু কোনো কিছুই প্রমাণ হয়নি।
ছাত্রলীগ নেতাকে পেটালেন, পুলিশকে শাসালেন শামীম : ভোটগ্রহণের দিনও আগের সেই অগ্নিমূর্তি দেখাতে ভুল করেননি আওয়ামী লীগের গডফাদারখ্যাত শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জ শহরে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ভোটকেন্দ্রের সামনে মূল সড়কে তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সহ-সভাপতি নাজিমুদ্দিন ওরফে রনিকে তিনি নিজেই মারধর করেন। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে শামীম সমর্থক এক কাউন্সিলরকে প্রভাব বিস্তারে বাধা দেয়ার অভিযোগে পুলিশ সদস্যকেও শাসান তিনি। সেলিনা হায়াত্ আইভী সমর্থক হিসেবে পরিচিত নাজিমুদ্দিন রনি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন শামীম ওসমান। রনি এ অভিযোগ মিথ্যা আখ্যায়িত করে প্রতিবাদ জানালে একপর্যায়ে শামীম ওসমান রনিকে নিজেই মারধর শুরু করেন। বেলা সোয়া দুইটার দিকে র্যাবের সদস্যরা রনিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। একই সঙ্গে শামীম ওসমানকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করা হয় বলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়ার পরিচালক এম সোহায়েল জানান। এ ঘটনার পর শামীম ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, একজন ভোটার এসে তাকে এ ধরনের অভিযোগ করেছে। কিন্তু তিনি নিজে এ ধরনের ঘটনা দেখেননি বলে জানান। গতকাল দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এমডব্লিউ স্কুল মাঠে তারই সমর্থক কাউন্সিলরকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ভোটারদের প্রভাভিত করতে বাধা দেয়ায় আনোয়ার নামের এক পুলিশ সদস্যকে শাসালেন শামীম ওসমান। জানা গেছে, দুপুর পৌনে ১টার দিকে তিনি কেন্দ্রে এসেই পুলিশদের শাসাতে শুরু করেন। পুলিশের একজন কর্মকর্তাকে শাসিয়ে তাকে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেন। একপর্যায়ে নিজেই ফোন করে তিনি কোনো একজনের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে। কথা বলে মোবাইল ফোনটি ফিরিয়ে দিয়ে চুপ হয়ে যান পুলিশের ওই কর্মকর্তা। এতে ওই কেন্দ্রে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। সকাল থেকে কেন্দ্রটিতে যে উত্সাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছিল তাতে এ ঘটনার পর অনেকটাই ভাটা পড়ে যায়। পরে শামীম ওসমান কেন্দ্রটি ছেড়ে চলে যান।
শামীমের বিরুদ্ধে পর্যবেক্ষকের অভিযোগ : শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষক মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা ও জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নেতা সালমা আলী। দুপুর ১২টায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিদ্ধিরগঞ্জ সফুরা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় এ অভিযোগ তুলে বলেন, শামীম ওসমানকে ভোটারদের প্রভাবিত করতে দেখা গেছে। সালমা আলী এ কথা বলার সময় শামীম ছিলেন কেন্দ্রের ভেতরে। অবশ্য শামীম ওসমান এ অভিযোগ সরাসরি নাকচ করেন। শামীম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ থাকলে আমার সামনে এসে বলুক। এ বিষয়টি নিয়ে শামীমকে আরও প্রশ্ন করা হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আপনাদের সঙ্গে অযথা কথা বলে লাভ নেই। এছাড়া জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতারা ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন বলেও অভিযোগ করেন এ পর্যবেক্ষক।
অন্যদিকে শহরের এবিসি স্কুল কেন্দ্রে চরম অব্যবস্থাপনা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন থাকলেও অনেক বহিরাগতকে ওই কেন্দ্রে ঢুকতে ও বের হতে দেখা গেছে। বিশৃঙ্খলার কারণে ভোট দিতে অনেক সময় লাগছে বলে জানান ভোটাররা।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কক্ষে এক বহিরাগতকে জানালার পাশে সিগারেট খেতে ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার চেয়ারের উল্টো পাশের চেয়ারে আরেকজন বহিরাগতকে বসে থাকতে দেখা য়ায়। ওই বহিরাগতের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নাম বলেন মোমিনুল ইসলাম মঞ্জু।
কোনো পরিচয়পত্র ছাড়া এখানে কী করছেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি স্যারের ব্যক্তিগত স্টাফ।’
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি যুব উন্নয়নের কর্মকর্তা। মঞ্জু আমার এমএলএসএস।’
কোনো ধরনের পরিচয়পত্র ছাড়া মঞ্জু এখানে কী করছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে রেজাউল বলেন, ‘আমার কাজে আমি তাকে নিয়ে এসেছি।’ পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ ভোটকেন্দ্রে থাকতে পারে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’
বহিরাগতদের ব্যাপারে পুলিশের উপ-পরিদর্শক শহীদুল বলেন, ‘আমি জানি না এখানে বহিরাগত ঢুকেছে।’ তবে পুলিশের এই কর্মকর্তা এ খবর পাওয়ার পরই প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কক্ষে যান।
এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৫৩৭। তবে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কী সংখ্যক ভোট পড়েছে, তথ্য দিতে পারেননি এ প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।
অন্যদিকে স্কুলের নারী কেন্দ্রে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত কোনো প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। এই কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াত্ আইভী আগেই রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছিলেন।
বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যে ভোটগ্রহণ : বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে গতকাল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। গতকাল সকালে কেন্দ্রেগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম। অনেক কেন্দ্রে অব্যবস্থাপনা দেখা দেয়। এতে ভোটগ্রহণে ধীরগতি দেখা যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে দুর্ভোগ পোহাতে হয় বেশকিছু কেন্দ্রের ভোটারদের। বেশিরভাগ কেন্দ্রে সেলিনা হায়াত্ আইভীর পোলিং এজেন্ট ছিল না। অভিযোগ রয়েছে, যেসব কেন্দ্রে আইভীর পোলিং এজেন্ট ছিল, তাদের বেশিরভাগই শামীম ওসমানের ছদ্ম সমর্থক। আইভীর এজেন্ট না আসার সুযোগে তারা কার্ড তৈরি করে এজেন্ট হিসেবে বুথে অবস্থান করেছেন। তবে শামীম ওসমানের পোলিং এজেন্ট সব কেন্দ্রেই পাওয়া গেছে। এছাড়া বেশকিছু ভোটকেন্দ্রের বাইরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ভোটারদের নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ভোট দিতে ভয়ভীতি ও প্রলুব্ধ করতে দেখা গেছে। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে তাদের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো। এ সময় আইনশৃৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। এছাড়া জালভোটের অভিযোগও পাওয়া গেছে। গতকাল সকাল পৌনে ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জের ৯৫নং আদমজীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ৩ হাজার ৪২৫ জন ভোটার অধ্যুষিত এ কেন্দ্রের সেলিনা হায়াত্ আইভীর কোনো পোলিং এজেন্ট নেই। এখানে পুরুষের তুলনায় মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। সকাল সোয়া ১০টায় মিজমিজি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রবেশ পথে মহিলা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়েছে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা। নারী ভোটার সাবিহা অভিযোগ করেন, টুটুলসহ ৩ জন যুবক শামীম ওসমানকে ভোট দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এ কেন্দ্রের বাইরে পুলিশ সদস্যদের সামনেই দেয়াল ঘড়ির ব্যাচ লাগানো অনেক যুবক-যুবতীদের ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ভোটারদের উপস্থিতি কম। অব্যবস্থাপনা ও ভোটগ্রহণে ধীরগতির কারণে মহিলা ভোটাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, তিনি সেলিনা হায়াত্ আইভীর কোনো পোলিং এজেন্ট পাননি। ৬নং ওয়ার্ডের ৯৪নং চরসুমিলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, চারটি বুথের মধ্যে দুটিতে সেলিনা হায়াত্ আইভীর এজেন্ট রয়েছে। এ কেন্দ্রের বাইরে শামীম ওসমানের সমর্থকদের আনাগোনা দেখা গেছে। একই ওয়ার্ডের সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রে দুপুর সাড়ে ১২টায় গিয়ে দেখে গেছে, ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ভিড় না থাকায় ভোটারদের যে যার মতো ভোট দিতে দেখা গেছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারাও ছিলেন রিল্যাক্স ম্যুডে। নারায়ণগঞ্জ শহরের এবিসি স্কুল কেন্দ্রে চরম অব্যবস্থাপনা দেখা যায়। কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন থাকলেও অনেক বহিরাগতকে ওই কেন্দ্রে ঢুকতে ও বের হতে দেখা গেছে। বিশৃঙ্খলার কারণে ভোট দিতে অনেক সময় লাগছে বলে জানান ভোটাররা। নারায়ণগঞ্জের মরগান বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে সুনয়ন মাহদুম ও মোরশেদুল ইসলাম নামে দু’জনকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আটক করেন। আটক ওই ব্যক্তি কেন্দ্রে ঢুকে শামীম ওসমানের পক্ষে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যেসব কেন্দ্রে ভোট দিলেন আইভী-শামীম : নরায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গতকাল সকালে সেলিনা হায়াত্ প্রথমেই মাসদাইর পৌর কররস্থানে সমাহিত বাবা সাবেক নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলী আহম্মেদ চুনকার কবর জিয়ারত করেন। পরে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিশুবাগ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন তিনি। অন্যদিকে সকাল ৯টায় ১২ নম্বর খানপুর বার একাডেমি হাইস্কুলে ভোট দেন শামীম ওসমান।
প্রিজাইডিং অফিসার আটক, পোলিং এজেন্ট বহিষ্কার : আমাদের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম বাবুল জানান, সিদ্ধিরগঞ্জে এক প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ। দুইজন পোলিং এজেন্টকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও জাল ভোটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ৪নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয় মহিলা ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আলীকে কাউন্সিলর প্রার্থী এম এইচ মনিরের চার জন মহিলা পোলিং এজেন্টকে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়ায় আটক করেছে পুলিশ। সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ শাহাজান খান গতকাল দুপুর ২টায় তাকে পুলিশের হেফাজতে দেন। তার স্থলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নুরুল আমিনকে এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং দায়িত্ব দেয়া হয়। সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ শাহাজান খান জানান, প্রার্থীর অভিযোগ পেয়ে তা তাত্ক্ষনিক তদন্ত করে প্রমাণিত হওয়ায় রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এদিকে ভোট কক্ষ থেকে বারবার বের হয়ে বাইরে আসা-যাওয়া করায় ৪নং ওয়ার্ডের শিমরাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট মো. সুমন ও মো. নুরুজ্জামানকে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে বহিষ্কার করা হয়।
গোলযোগ ও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই- র্যাব : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডর এম. সোহায়েলসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, ভোট শুরুর পর আমি নারায়ণগঞ্জ সদর এবং বন্দর থানার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। সবগুলো কেন্দ্রেই ভোটাররা সুশৃঙ্খল শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোথাও কোনো গোলযোগ হয়নি। তিনি বলেন, হাতেগোনা কিছু কেন্দ্রের বাইরে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও বড় ধরনের কোনো গোলযোগের সম্ভাবনা নেই। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। র্যাব ফোর্স অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন কর

Read more

সম্পুর্ণ কোরআন শরীফ আপনার পিসিতে বইয়ের মত পৃষ্ঠা উল্টিয়ে পড়তে পারেন

সম্পুর্ণ কোরআন শরীফ আপনার পিসিতে বইয়ের মত পৃষ্ঠা উল্টিয়ে পড়তে পারেন। পৃষ্ঠা উল্টানোর সময় পৃষ্ঠা উল্টানোর শব্দ শুনতে পাবেন। মাউস দিয়ে পৃষ্ঠা উল্টাতে হবে।





এই লিঙ্ক থেকে কোরআন শরীফটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
http://quranflash.com/en/download/index.html 

শুধু আরবী পড়তে চাইলে Download Tajweed Quran


নামের ফাইলটি ডাউনলোড করুন। সাইজ ৫৬ মেগা।





আরবীর সাথে ইংলিশ উচ্চারণ লেখা এবং ইংলিশ অনুবাদ একসাথে পড়তে চাইলে Download English Transliteration


এই নামের ফাইলটি ডাউনলোড করুন। সাইজ ১৪৩ মেগা।





ফাইলগুলো জিপ আকারে ডাউনলোড হবে। ডাউনলোড এর পর এক্সট্রাক্ট করুন। কোন ইনস্টল লাগবেনা। শুধু ডাবল ক্লিক করে ওপেন করুন।

কোরআন শরীফ এর ফ্ল্যাশ ফাইলের ভিতর অনেক অপশন আছে, যেগুলো আপনি একটু ঘাটাঘাটি করলে বুঝতে পারবেন।

আমার সকল পোস্ট যে কেউ তার নিজের নামে কপি পেস্ট করে কিংবা পরিবর্তন করে প্রচার করতে পারবেন।
ভালো লাগলে আপনার মুল্যবান মতামত আশা করি।
সবাইকে ধন্যবাদ………….

Read more

চরম বিপর্যয়ের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন


সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিএনপি : চরম বিপর্যয়ের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন

স্টাফ রিপোর্টার
চরম বিপর্যয়ের আগে জনগণের দাবি মেনে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। ‘আলোচনার কোনো সুযোগ নেই, বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে’—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ মন্তব্যের জবাব দিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্যাতন-নিপীড়নের পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক সহনশীলতার পথে আসতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাস্তবতার মুখোমুখি হন। জনগণের মনের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। স্বৈরাচারী মনোভাব পরিহার করুন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই দেশে নির্বাচন হবে এবং বিরোধীদলীয় নেত্রীও সেই নির্বাচনে আসবেন। রাজনীতি করতে হলে উনাকে নির্বাচনে আসতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে, হবে, হবেই’—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি কীভাবে রাজনীতি করবে তা ঠিক করার সিদ্ধান্তও কি তিনি নিয়ে নিয়েছেন? এটা বিএনপিই ঠিক করবে, অন্য কেউ নয়। শেখ হাসিনার এ বক্তব্য প্রমাণ করে গণতন্ত্রের প্রতি তার কতটা কমিটমেন্ট আছে। অন্য দলের রাজনৈতিক কৌশলও এখন প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করছেন! এ ধরনের স্বৈরাচারী মনোভাব পরিবর্তন করুন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন।
তিনি বলেন, দেশবাসীকে জানাতে চাই, ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল। তখন জামায়াত ও জাতীয় পার্টিও তাদের সঙ্গে ছিল। আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার একগুঁয়েমির জন্য কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল স্যার নিনিয়ান মধ্যস্থতা করতে এসে ব্যর্থ হয়েছিলেন। আমরা তখন যে যুক্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মানতে চাইনি, সে যুক্তিতে এখন প্রধানমন্ত্রী আপত্তি করছেন। সে সময় তত্কালীন বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনা দিনের পর দিন লাগাতার হরতাল, অসহযোগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশ অচল করে দিয়েছিলেন। তখন দেশের অর্থনীতির কথা, জনগণের দুর্ভোগের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে সহিংস আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মাগুরার উপ-নির্বাচনের ধুয়া তুলে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন যে, দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে চলেছিল। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে যাচ্ছিল। শাসনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতায়, গণতন্ত্রকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে আমরা সেদিন ১৫ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে সংযোজন করেছিলাম। এরপর সফলভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দুটি নির্বাচন হয়েছে। সবার কাছে নির্বাচনগুলো গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে অভিজ্ঞতার কথা প্রধানমন্ত্রী এখন বলছেন, সে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন তারাই। দিনের পর দিন হরতাল, অসহযোগ, সন্ত্রাস, লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষকে প্রকাশ্য রাজপথে হত্যার মধ্য দিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করিয়েছিলেন তারাই। বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রকাশ্যে যোগাযোগ করে জাতিসংঘ মিশনের প্রতারণামূলক পত্রের মাধ্যমে, উচ্চাকাঙ্ক্ষী কিছু সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে অবৈধভাবে একটি অসাংবিধানিক সরকার তারাই গঠন করতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন এবং প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেই সরকার তাদের আন্দোলনের ফসল। তিনি বলেন, দেশের জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধান থেকে কেটে ফেলতে একমত হননি। এমনকি যে আদালতের দোহাই দেয়া হচ্ছে তারাও আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান রাখার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী জনমতকে তোয়াক্কা না করে সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজের মতামতকে উপেক্ষা করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন বিষয়ে সংসদে ব্রুট মেজরিটির জোরে জাতির ওপর এ ধরনের নির্বাচন চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে আমাদের মতামত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি, যেদিন সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী গৃহীত হয়েছে সেদিনই বিরোধী দলের নেত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, এটা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
বিএনপির মুখপাত্র মির্জা আলমগীর আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। তার এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তার অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী মনোভাবের সঙ্গে আরও প্রমাণিত হয়েছে, তিনি গণতান্ত্রিক সহনশীলতা, পরমতসহিষ্ণুতা, আলোচনা ও সমঝোতায় বিশ্বাস করেন না। এটা আওয়ামী লীগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। দলটি এর আগেও একই কারণে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল ১৯৭৫ সালে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বার বার বিরোধীদলীয় নেতাকে এবং তার দুই ছেলেকে অসংসদীয় ভাষায় গালাগাল করছেন। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক শিষ্টাচারবিবর্জিত। অবৈধ সরকারের সময় দুদক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৪টি দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল। তাহলে আমরা কি তাকে কোনো বাজে মন্তব্য করতে পারি না। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকার কারণে আমরা কোনো ধরনের অসংসদীয় ভাষায় কথা বলি না।
সরকার বিরোধীদলকে নির্মূল করার প্রকল্প নিয়ে মাঠে নেমেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, অত্যাচার, নির্যাতন, ভয়ভীতি দেখিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাদের গ্রেফতার করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়; রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়। এ অপচেষ্টা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। সরকার আবার অতীতের মতো জোর করে দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে, অস্থিতিশীলতার দিকে, অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে—যা কখনই দেশের জন্য, মানুষের জন্য কল্যাণকর হবে না।
টকশোতে সবাই মিথ্যা কথা বলে—প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা আলমগীর বলেন, আমার জানতে ইচ্ছা করে, প্রধানমন্ত্রী কি সত্য জানার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছেন। সমালোচনা শোনার ন্যূনতম সত্ সাহস তার নেই? তাহলে গণতন্ত্রের মানসকন্যা হবেন কী করে? আর সেজন্যই কি বেসরকারি সম্প্রচার নীতিমালা তৈরি করেছেন একেবারে বাকশালী আদলে—সম্পাদকদের জেলে পুরছেন, নিয়ন্ত্রণ করছেন সংবাদ মাধ্যম? তিনি কি ভুলে গেলেন, এতে শেষ রক্ষা হয় না। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। এরই মধ্যে অনেক ক্ষতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জনগণের মনের কথা বুঝতে ও চোখের ভাষা পড়তে ব্যর্থ হয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, শেয়ারবাজারে বিপর্যয়, অর্থনীতির বিপর্যস্ত অবস্থা, নতজানু পররাষ্ট্র নীতি বাংলাদেশের মানুষের আশা ভঙ্গ করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে এখনও অনুরোধ করব, বাস্তবতা উপলব্ধি করুন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। জনগণকে তাদের পছন্দমত সরকার বেছে নিতে দিন। নয়তো দেশে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে এর জন্য তিনিই দায়ী থাকবেন। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। তাই নির্দিষ্ট সময়ে আমরা আমাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরব।

Read more
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Alertpay

You can replace this text by going to "Layout" and then "Page Elements" section. Edit " About "

সরাসরি চ্যাট করার জন্য পেজ এর নিচে যান

a

ইংরেজী বিজয় ফনেটিক অভ্র ফনেটিক ইউনিজয়

Widget by: Bangla Hacks

b

পত্রিকায় প্রকাশিত চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি 
2 June 2010

এখানে ক্লিক করুন ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করুন।

WELL-COME TO BD ADDA(বিনামূল্যে ওয়েব সাইড তৈরির জন্য যোগাযোগ করুনঃ- ওয়েব ডেভোলাপার- মোঃ শফিকুর রহমান, মোবাইল নং-8801812465879)